Illustration: Marcelle Louw for GIJN
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
ভূমিকা: আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জিআইজেএন গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১: উত্তম চর্চা ও কোভিড যুগের উপযোগী বিষয়বস্তু
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ২ : কোভিড-১৯ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের অভিবাসী শ্রমিক
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৩: পরিসংখ্যান ও গবেষণা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৪: দরকারি পাঠ
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৫: বিশেষজ্ঞ গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৬: মানব পাচারের কেস স্টাডি
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৮: গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৯: পাচার ও বলপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১০: বাহরাইনের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১১: কুয়েতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১২: ওমানের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৩: কাতারের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৪: সৌদি আরবের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৫: সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
এই পরামর্শগুলো দিয়েছেন বাণী সরস্বতী। সাবেক এই কাতারভিত্তিক সাংবাদিক এখন দায়িত্ব পালন করছেন মাইগ্র্যান্টস-রাইটস ডট অর্গ-এর সহযোগী সম্পাদক হিসেবে।
গণমাধ্যম পরিস্থিতি
আল-জাজিরা নেটওয়ার্কের মতো প্রতিষ্ঠান কাতারে অবস্থিত, তবু দেশটিতে সমালোচনামূলক রিপোর্টিংয়ের সুযোগ নেই।
সব মিলিয়ে, স্থানীয় গণমাধ্যমে দেশটির সরকার বা ক্ষমতাসীন পরিবার নিয়ে খুব একটা সমালোচনা হয় না। মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল নির্বাচনের সময় কিছুটা সমালোচনা দেখা গেলেও তা নেহাতই সামান্য। ব্লক করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত দোহা নিউজ ছিল দেশটির একমাত্র স্বাধীন গণমাধ্যম। সঠিক লাইসেন্স নেই— এমন অজুহাত দেখিয়ে তাদের ব্লক করা হয়। পরবর্তীকালে মূল মালিক ও সম্পাদকদের বাধ্য করা হয় প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করে দিতে। ২০১৭ সালে এটি আবার চালু করা হয় নতুন ব্যবস্থাপনার অধীনে। তারপর থেকে প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনার স্বর স্তিমিত হয়ে গেছে। অবশ্য এরপরও দেশের অন্য সাতটি সংবাদপত্রের মধ্যে একমাত্র এটিই দর্শকদের একটু স্বস্তি দেয়। পত্রিকাগুলোতে সেন্সরশিপের চর্চা চলে প্রবলভাবে। ২০১২ সালের মে মাসে আল রাইয়ান টিভি ছাড়া বহু বছর ধরে কোনো গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেয়নি কাতার। খুব সম্প্রতি তারা দোহা নিউজের সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সেখানে কিছু সংবাদভিত্তিক অনলাইন আছে, কিন্তু বিতর্কিত সাইবার ক্রাইম আইনের কারণে তারাও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। ২০২০ সালে, “ভুয়া সংবাদ” সংক্রান্ত একটি ধারা সংযোজনের জন্য দণ্ডবিধি সংশোধন করেছে কাতার। এর মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা প্রায় ২৮ হাজার ডলার জরিমানা করা যাবে।
কাতারে যে তিনটি ইংরেজি এবং চারটি আরবি পত্রিকা আছে, তারা সবাই সেলফ-সেন্সরশিপ চর্চা করে। অভিবাসী শ্রমিক ইস্যু নিয়ে তাদের করা কোনো রিপোর্টেই গভীর বিশ্লেষণ বা পটভূমি থাকে না। অবশ্য আদালতের শুনানি এবং সরকারি প্রকাশনায় প্রবেশাধিকার আছে এসব সংবাদপত্রের। তারা শুধু সরকারি প্রেস রিলিজ আক্ষরিকভাবে পুনঃপ্রকাশ করে। অবশ্য সংক্ষিপ্ত এই রিপোর্টগুলোও আপনার ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের জন্য দরকারি তথ্য জোগাতে পারে।
কাতারে ইংরেজি ভাষার প্রায় সব সাংবাদিক এবং বেশির ভাগ আরবি ভাষার সাংবাদিক নিজেরাই অভিবাসী। তাঁরা সেখানে কাজ করেন দেশত্যাগ বা কারাবন্দি হওয়ার ঝুঁকি নিয়ে। বেশির ভাগই অনেক অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে কাজ করতে আসেন। আপনি যদি অন্য কোনো দেশ থেকে কাতারে সাংবাদিকতা করতে যান, তাহলে স্থানীয়দের সঙ্গে কাজ করাই ভালো। শুধু ডিরেক্টর অব পাবলিকেশন্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নিন, প্রকাশ্যে কোনো কিছু রেকর্ড করার অনুমতি আপনার আছে কি না।
প্রবল সেলফ-সেন্সরশিপ ছাড়া কাতার থেকে রিপোর্টিং করার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে প্রণীত একটি সাইবার আইন (আইনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আল তামিমি অ্যান্ড কোম্পানির সহায়তায় অনূদিত):
“কনটেন্ট ক্রাইমবিষয়ক আইনটি ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আইনে এসব শব্দের কোনো ব্যাখ্যা নেই। ফলে কোন ধরনের কনটেন্ট স্থানীয় সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের বিপদে ফেলবে, তা অস্পষ্ট। এই আইনের আওতায় না পড়ার জন্য সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক মাধ্যমে কোনো সংবাদ প্রচার করার আগে তার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি।”
গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)-ভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে কাতারেই সাংবাদিকেরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পান। ২০২০ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে কাতারের অবস্থান ১২৮তম। কুয়েত ছাড়া উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্য যেকোনো প্রতিবেশীর তুলনায় এটি অনেক ভালো অবস্থা। আন্তর্জাতিক এনজিও এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলো ভালোভাবে পরিচালিত হতে পারে বলে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় কাতারে মানব পাচার ও বলপূর্বক শ্রম কাভার করা তুলনামূলক সহজ।
কাতারে ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে বলে সেখানকার অভিবাসীদের মানবাধিকার পরিস্থিতি আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে নতুন করে। শ্রমিক মৃত্যুর সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন প্রকাশের পর উঠেছে বর্জন ও আন্দোলনের ডাক। এই রিপোর্টগুলোতে নিশ্চিতভাবেই শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে ডেটা ও পরিসংখ্যানকে যেন ভুলভাবে বা চাঞ্চল্যকরভাবে উপস্থাপন করা না হয়, তা নিশ্চিত করাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ। যেন এর মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার ইস্যুগুলো ভালোমতো উঠে আসে। ডেস্ক গবেষণার সময়, অভিবাসীদের উৎস দেশের সংবাদমাধ্যম ও একাডেমিক প্রতিবেদনও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রায়ই এগুলো পাওয়া যাবে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায়। কিন্তু এখানে বিষয়গুলো উঠে আসে অনেক স্পষ্টভাবে। কার্যকর ব্যাখ্যা পাওয়া যায় যে, কেন মানব পাচার ও বলপূর্বক শ্রমের ঘটনাগুলো ঘটে।
আবার এটি মাথায় রাখাও গুরুত্বপূর্ণ যে: বিশ্বকাপ প্রকল্পগুলোর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা, দেশটির মোট শ্রমিকের খুবই ছোট একটি অংশ। এবং ২০২২ সালের পরও দেশটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ফলে অভিবাসী শ্রমিকদের ওপরও তাদের নির্ভরতা বাড়বে। বিশ্বকাপ নিয়ে এভাবে রিপোর্টিং করতে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি শুধু একটি ইভেন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না।
বিশ্বকাপের সময় আসতে আসতে আরও বেশ কিছু খাতে (যেমন সেবা, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত) নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে নির্মাণ খাত নিয়ে এখন পর্যন্ত যে রিপোর্টিং হয়েছে, ভবিষ্যতে তার চেহারা ভিন্ন ধরনের হবে। নতুন এই খাতগুলোতে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার নতুন উৎস দেশ থেকে আসা শ্রমিকদের। এই শ্রমিকেরা হয়তো কোনো ধরনের জানাবোঝা ছাড়াই সেখানে আসবেন। এবং হয়তো নিজ দেশে বা নতুন কাজের দেশে এসে কোনো কমিউনিটির সমর্থনও পাবেন না। এই অভিবাসী শ্রমিকেরা হয়তো এমন দেশ থেকে আসবেন, যেখানে বিদেশে চাকরি করতে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য কোনো শক্তিশালী নীতিমালা নেই, বা কাতারের (ও অন্যান্য জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর) সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নেই।
বিশেষ করে, এই ধরনের জনগোষ্ঠীই মানব পাচার ও বলপূর্বক শ্রমের ঝুঁকিতে বেশি থাকে।
নির্মাণ খাতের বাইরে অন্য খাতগুলোর নিয়োগ ও চাকরির কাঠামোও ভিন্ন ধরনের হয়। এই শ্রমিকেরা অনেক বেশি জনসংশ্লিষ্ট থাকেন। ফলে এটিও একটি সুযোগ হতে পারে তাঁদের নিয়ে গভীর অনুসন্ধান করার এবং আরও বেশি সাক্ষ্য সংগ্রহ করার।
খবর কোথায় পাবেন
খবর খুঁজে পাওয়ার কিছু উপায়:
- কাতার সরকার শ্রমিকদের নিয়ে একটি সাময়িকী প্রকাশ করে। সেখানে গ্রিভেন্স কমিটির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং কেস স্টাডি থাকে।
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ট্রাফিকিং ইন পারসন রিপোর্ট দেখুন। এখানে বেশ কিছু ঘটনার বিশদ বিবরণ থাকে। সাধারণত উন্মুক্ত উৎসে এসব তথ্য পাওয়া যায় না।
- ২০১৭ সালে ন্যাশনাল কমিটি ফর কমব্যাটিং হিউম্যান ট্রাফিকিং প্রতিষ্ঠা করে কাতার। তারা একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে এখনো তাদের ওয়েবসাইট নেই।
- প্রশাসন, শ্রম এবং সমাজবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানের একটি কালো তালিকা করে। এর মধ্যে মানব পাচারও থাকতে পারে। এই তালিকা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়।
- বিদেশি শ্রমিক পাচারের ঘটনা নিয়ে শ্রমিকেরা কোনো অভিযোগ করলে তা-ও চিহ্নিত করা সম্ভব। স্থানীয় মিডিয়াতে এমন রিপোর্ট খুঁজে না পেলেও, শ্রমিকেরা যে দেশ থেকে এসেছেন, সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে পেতে পারেন।
- পাচারের শিকার, আটকে পড়া বা দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের তথ্য শেয়ারের ক্ষেত্রে উৎস দেশের কিছু দূতাবাস বেশি আগ্রহী থাকে। (যেমন: ফিলিপাইন, নেপাল)
- আগে বোঝা জরুরি যে, কীভাবে পাচার ও জোর করে শ্রমের মতো ব্যাপারগুলো সংঘটিত হয়। পাচারের ঘটনা চিহ্নিত করার জন্য শ্রমিকদের মূল দেশের শ্রম অধিকার সংগঠনের (যেমন SARTUC, GEFONT, BWI) সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। চুক্তি পরিবর্তন, মজুরি ছাড়াই চুক্তির চেয়ে বেশি কাজ করানো, চলাফেরায় বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা—এদের সবই বলপূর্বক শ্রম নিয়োজনের নির্দেশক।
- কাতারের আইএলও দপ্তর বেশ মিডিয়াবান্ধব। তবে জাতিসংঘ সংস্থা হিসেবে এটি আপনাকে সরকারের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেবে।
বৈঠক ও সাক্ষাৎকার
নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা সপ্তাহে মাত্র এক দিন ছুটি পান। আর সেই দিনটি হলো শুক্রবার। ছুটির দিনে আপনি তাঁদেরকে পাবেন করনিশে, আল ফারদান এক্সচেঞ্জ বাস টার্মিনালের আশপাশে, মুনতাজাহ পার্কের বাইরে এবং আল খোর এলাকায় অবস্থিত লুলু মলে।
নিম্ন আয়ের অভিবাসী শ্রমিকেরা সাধারণত থাকেন শহরের কেন্দ্র থেকে ১০-২৫ কিলোমিটার দূরে। কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান এসব ক্যাম্পে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে।
কাজের পরে তাঁদেরকে পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে লেবার সিটি, এশিয়ান টাউন, শিল্প এলাকা সানায়াসহ কিছু দূরবর্তী এলাকায়। মোয়াসালাত বাস সেবার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভালো। শহরের মূল টার্মিনাল থেকে বাসে উঠে আপনিও যেতে পারবেন সহজেই। সেখানে শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করার এবং কথাবার্তা বলার সুযোগ পেতে পারেন। ছুটির দিনে শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করার আরেকটি ভালো জায়গা হলো মসজিদ।
মনে রাখবেন, এসব এলাকায় তাঁরাই থাকেন, যাঁরা তুলনামূলক ভালো কাজ করেন। কাতারের মূল যোগাযোগ গ্রিডের বাইরেও কিছু ক্যাম্প রয়েছে, কিন্তু সেখানে পৌঁছানো অনেক কঠিন। ওই সব জায়গায় পানি বা নিষ্কাশনব্যবস্থা নেই, তাই মানুষ পানির ট্যাংক এবং সেপটিক ট্যাংকের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।
ক্যাম্পে যাওয়ার সময় এই পরামর্শগুলো মনে রাখবেন:
- এলাকাটি সম্পর্কে পরিচিত, এমন কাউকে সঙ্গে নিন।
- এসব এলাকা (এমনকি মসজিদও) সিসিটিভি, গোয়েন্দা এবং টহল পুলিশের কঠিন নজরদারিতে থাকে। সতর্ক থাকুন।
- আপনি যদি নারী রিপোর্টার হন, তাহলে সেখানে যাওয়ামাত্রই বাধার মুখে পড়তে পারেন।
- ভারী যন্ত্রপাতি সঙ্গে নেবেন না। এতে আপনি সহজেই লক্ষ্যে পরিণত হবেন। জেনে রাখুন, অনেক বহিরাগত সাংবাদিককে কাতারে আটক করা হয়েছে।
- সপ্তাহান্তে, দূতাবাস বা অভিবাসী শ্রমিক পাড়ার ক্যাফেটেরিয়ার আশপাশে ঘোরাফেরা করুন। শ্রমিকদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার এটি একটি ভালো উপায় হতে পারে।
- শিল্পাঞ্চল বা সানায়া এলাকার আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রধান হাসপাতালগুলোর জরুরি সেবা বিভাগে অভিবাসী শ্রমিকদের পাওয়া যায় হরহামেশা।
- গৃহস্থালি শ্রমিকেরা এখন সিটি সেন্টার মলের বিপরীতে, ডাফনা এলাকার MADLSA দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এর কাছেই আছে ফিলিপিন্স ওভারসিজ লেবার অফিস। ব্যাক রোড ও সিটি সেন্টারের মতো জায়গাগুলোতে শ্রমিকেরা বড় আকারে সমবেত হন।
মাথায় রাখুন: টিকটক ও ফেসবুক শ্রমিকদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। অনেকেই এসব প্ল্যাটফর্মে নিজেদের গল্প শেয়ার করেন বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য।
সাধারণ রিপোর্টিং টিপস
- কোনো শ্রমিক অন রেকর্ডে কথা বলতে রাজি হলে, তাঁকে আগে সবকিছু জানান এবং অনুমতি নিন। এমন ভাষা ব্যবহার করুন, যা তিনি বুঝতে পারেন।
- শ্রমিকদের গোপনীয়তা রক্ষা করুন। তাঁদের চেহারা বা কাতারের পরিচয়পত্র নম্বর প্রকাশ করবেন না।
- শ্রমিকের নিরাপত্তা বজায় রাখার একটি কৌশল হলো তাঁর পরিবার এবং দূতাবাসের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রিপোর্টিং করা।
- সমাজকর্মী বা শ্রমিক পরিবারের সদস্য হলে আপনি ডিটেনশন সেন্টারে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারেন।