প্রবেশগম্যতা সেটিংস

রিসোর্স

» গাইড

বিষয়

ভূমিকা: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

অনুসন্ধানী রিপোর্টিং কী? বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক ও পণ্ডিতরা কয়েক দশক ধরে আলোচনা করছেন। যেমন, কোনো ব্যবসায়িক বা সরকারি কর্মকর্তার একক কোনো দুর্নীতির ঘটনার সূত্র ধরে কাঠামোগত বড়সড় ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেয়া। তুলে ধরা, দীর্ঘদিনের পদ্ধতিগত ওই ভুল চর্চার ( বিপজ্জনক মাত্রার অদক্ষতা) কারণে দুর্নীতিটি বট বৃক্ষের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।

১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটরসের (আইআরই) সংজ্ঞাকে অনুসন্ধানী সংবাদিকতার সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেয়া হয়। সংজ্ঞাটি হচ্ছে: “নিজ উদ্যোগে ও কাজের মাধ্যমে পাঠক, দর্শক বা শ্রোতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা  এই বিষয়গুলো লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চান ।”

সাংবাদিকরা সময়ের সাথে সাথে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সংজ্ঞায় নতুন ধারণা ও শব্দ যেমন “ওয়াচডগ রিপোর্টিং” এবং “জবাবদিহিমূলক সাংবাদিকতা”কে যুক্ত করেছেন। তাঁরা আরো দেখেছেন, অনুসন্ধানে উঠে আসছে সমাধানের উপায়ও (যা নতুন ধারার “সলিউশন জার্নালিজম”-এর ওপর জোর দেয়)। এভাবেই তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। সাধারণত সব ধরনের অনুসন্ধানেই আইন, বিধি-বিধান কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের) কাজের মূল্যায়ন হয়।

তাই, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা মানেই ফাঁস হওয়া একগুচ্ছ নথি প্রকাশ নয়। এর সাথে অতিরিক্ত তথ্য ও সোর্স যোগ করা জরুরী। তবে অনুসন্ধানের শুরুটা হতে পারে ফাঁস হওয়া নথি থেকেই। পরবর্তীতে অতিরিক্ত তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে যা আরো পোক্ত হয়। অতিরিক্ত ওইসব তথ্য-প্রমাণের মধ্যে সরকারি রেকর্ড যেমন আদালতের নথি, সম্পত্তির নথি, কোম্পানির নথি, নিষেধাজ্ঞার তালিকা এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত।

সময়ের সাথে সাথে আরো স্পষ্ট হয়েছে যে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা মানেই কেবল দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নয়, যা শেষ করতে মাসের পর মাস বা বছর লেগে যায়। বরং কম সময়ের মধ্যেও এ ধরনের প্রতিবেদন করা যেতে পারে। মাত্র কয়েক দিনেই দারুণ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ শেষ করা সম্ভব, কারণ ততটুকুই যথেষ্ট। একাধিক গল্পের একটি সিরিজ প্রতিবেদন আকারেও করা যেতে পারে। হতে পারে ব্রেকিং নিউজ ইনভেস্টিগেশন (এখন এ ধরনের অনুসন্ধানের জন্য পুরস্কার দেয় আইআরএ)। যেমন, কয়েক দিনের মধ্যেই কোনো ভবন বা সেতু ধসে পড়ার কারণ উদঘাটন। আবার “স্বল্পমেয়াদী অনুসন্ধানও” হতে পারে, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে হয়।

নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে অংশীদারত্বমূলক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। যেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদক বা কনসোর্টিয়ামের অংশ হিসেবে সাংবাদিকরা একসাথে কাজ করেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বা বৈশ্বিক পরিসরে অনুসন্ধান চালান এবং কর্পোরেট বা সংগঠিত অপরাধী চক্রের জাল উন্মোচন করেন।

অনুসন্ধানের বিষয়ও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন মানি লন্ডারিং, কর্পোরেট অপরাধ, সংঘবদ্ধ অপরাধ, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং অন্যান্য।

তবে, প্রতিটি অনুসন্ধানে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ, তথ্য-উপাত্ত ও অবশ্যই প্রমাণ সংগ্রহ করা এবং সঠিকতা ও ন্যায্যতার প্রয়োজনীয়তা থাকে। এর জন্য শক্তিশালী ও বিস্তারিত পরিকল্পনা, পদ্ধতি এবং রিপোর্টিং অভ্যাস বা চর্চা থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘদিনের খ্যাতিমান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জেমস স্টিল “ডকুমেন্টস স্টেট অব মাইন্ড” বা “তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের মানসিকতা” সম্পর্কে আগেই বলেছেন। এর অর্থ, আপনি মনে মনে সবসময় ভাবতে থাকুন সরকারি কর্মকর্তা বা ব্যবসায়িক নেতাদের কথা ও কাজের বিপরীতে অবশ্যই তথ্য-প্রমাণ (বর্তমানে ডেটার কথাও ভাবতে হবে) পাওয়া সম্ভব।

প্রতিবেদন তৈরির সময় কীভাবে অনুসন্ধানের কাজগুলো করবেন—সময়ের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবেই ঠিক করা হয়েছে তাও। যদিও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে বেশ বৈচিত্র চোখে পড়ে। প্রথমবারের মতো ১৯৭০-এর দশকে বিস্তারিতভাবে এগুলো ব্যাখ্যা করা হয়। ধাপগুলো এভাবে ভাগ করা যায়—নিচে দেখুন।

  • গল্পের ধারণা তৈরি করা: কোনো সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য, নথি বা অন্য কোনো প্রতিবেদন পড়ে, কিংবা ডেটার বিশ্লেষণ থেকে প্রতিবেদন তৈরির ধারণা পেতে পারেন। এরপর আপনাকে একটি অনুমান বা হাইপোথিসিসের ওপর নির্ভর করে অগ্রসর হতে হবে—যেমন, প্রতিবেদনের পিচ হতে পারে এমন যে যথাযথ নিয়মকানুনের অনুপস্থিতিতে তৈরি হচ্ছে নড়বড়ে ভবন, বা ধরুন অনুসন্ধানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নের উত্তর আপনি খুঁজতে চান সে বিষয়টি।  এটি “প্রতিবেদনের পিচ” বলে পরিচিত। তবে স্টোরি পিচ করা মানে কেবলই চমৎকার একটি ধারণা তুলে ধরা নয়; বরং যেখানে উল্লেখ থাকবে অনুসন্ধানের মূল বিষয় কী, গল্পের জন্য কী ধরনের নথি পেতে হবে, বা কার কার সঙ্গে কথা বলতে হবে, এবং কোন কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করা হবে এর সবই উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়া “ন্যূনতম গল্পটি” (মিনিমাম স্টোরি) কী হতে পারে—বিবেচনা করতে হবে তাও। অর্থাৎ প্রাথমিক অনুমানগুলো যদি প্রমাণ করা সম্ভব না হয় বা পুরো অনুসন্ধানের কাজ যদি শেষ না হয়, প্রতিবেদনটি তখনও কী প্রকাশ বা সম্প্রচারযোগ্য কি না তারও উল্লেখ থাকতে হবে। আর “সম্পূর্ণ গল্পটি” (ম্যাক্সিমাম স্টোরি) যাবতীয় তথ্য প্রমাণসহ অনুমিত ধারণাগুলোকে প্রমাণ করার পাশাপাশি সিস্টেমের মধ্যে বড় ধরনের অন্যায় বা ত্রুটিগুলো সামনে নিয়ে আসে। যে অন্যায় বা ‍ভুলগুলোর কথা কেউ কখনও ধারণাও করতে পারেনি।
  • গল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা। এখানে আপানাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি করার জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা, সোর্স, সক্ষমতা এবং সময় আছে কিনা। পাশাপাশি ঝুঁকি মূল্যায়ন করা জরুরি। রিপোর্টিংয়ের সময় কিংবা প্রতিবেদনটি প্রকাশ বা সম্প্রচার হওয়ার পর সাংবাদিকদের শারীরিক ঝুঁকি বা আইনি কী ধরনের হুমকি আসতে পারে, সেগুলো আগে থেকে শনাক্ত করা। হুমকি ও ঝুঁকি মূল্যায়নের পর প্রস্তাবিত গল্পটিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
  • প্রমাণের ভিত্তি তৈরির জন্য গবেষণা করা, যার মধ্যে তিনটি স্তম্ভ রয়েছে: নথি, সাক্ষাৎকার এবং পর্যবেক্ষণ।
  • রিপোর্টিংয়ের ধাপগুলো নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা ও সময়সূচী তৈরি করা। “স্টোরি বোর্ড” আকারে করা যেতে পারে, যা মূলত অনুসন্ধানের রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে।
  • রিপোর্টিং চালিয়ে যাওয়া এবং সংগৃহীত তথ্য সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা।
  • সারা সাপ্তাহ জুড়ে আপনি যে মেমো তৈরি করেছেন বা লিখিত নোটা নিয়েছেন কিংবা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আপনি যে তথ্যগুলো খুঁজে পেয়েছেন সেগুলো নিয়ম করে পর্যালোচনা করা। পাশাপাশি আপনার মনোযোগ (ফোকাস) পরিবর্তন করার প্রয়োজন কিনা তা মূল্যায়ন করা।
  • প্রথম খসড়া কপি ও প্রতিবেদনের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করা।
  • পুনঃলিখন, নিখুঁত সম্পাদনা এবংপ্রতিটি লাইন ধরে ধরেপ্রতিবেদনটি যাচাই করা, প্রত্যেকটি লাইন এবং গল্পের প্রতিটি অংশ পরীক্ষিত সোর্সের পাশাপাশি একাধিক স্বাধীন সোর্স ও ক্রস-রেফারেন্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া।
  • মূল প্রতিবেদন প্রকাশ ও তৈরি কিংবা গল্পের সাথে এমন একটি পরিকল্পনা, যা পাঠকের কাছ থেকে আসা প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ গ্রহণ করে আরও নতুন প্রতিবেদন তৈরির দিকে পরিচালিত করে।

সব তথ্য ও নথিপত্র গুছিয়ে রাখা

উপরে যেমনটা বলা হয়েছে, গবেষণা ও রিপোর্টিং করার সময় প্রাপ্ত তথ্যের উৎসগুলো শনাক্ত করা ও গুছিয়ে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। ডেটা, নথি নাকি মানব সোর্সের মাধ্যমে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা টুকে রাখা। স্প্রেডশিট, টাইমলাইন, আর কাগজপত্রের ওপর নোট কিংবা ফুটনোটের সাহায্যে তথ্যগুলো বিভিন্ন উপায়ে গুছিয়ে রাখা যেতে পারে। যা পরবর্তীতে ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের সময় ভীষণ কাজে লাগে। যেমন কোন তথ্যগুলো নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং তা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। আবার কোন তথ্যগুলো নিয়ে আরো যাচাই-বাছাই করতে হবে।

এখানে একটি টেবিল ফরম্যাটের উদাহরণ দেয়া হলো যা এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে:

102550100 entries per page

Search:

Lead
Finding
Source
Link to source
Reference date (date of interview or document)
Next steps
Notes
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data
Example Data

Showing 1 to 3 of 3 entries

দলিলপত্র এবং ব্যক্তিদের অনুসরণ করতে হলে আমাদের মনে রাখতে হবে:

  • আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো নিয়ে প্রাথমিক গবেষণার মাধ্যমে কার কার সঙ্গে কথা বলবেন ঠিক করুন, এবং নথি কোথায় পাওয়া যায়  খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
  • মানুষ থেকে মানুষের মাধ্যমে ক্রমশ আপনি তথ্যের কাছে যেতে পারেন। (যা “পিপল ট্রেইল” নামে পরিচিত। তবে মানব সোর্সদের জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না যে তাঁরা কি এমন কারো খোঁজ জানেন, যাদের সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারেন। সোর্স যদি এমন কোনো তথ্যের কথা উল্লেখ করে যা কাগজে বা ফাইল আকারে থাকতে পারে, তবে তাদের কাছ থেকে তা জেনে নিন। যেমন—তাদের কাছে এমন কোনো নথি আছে কিনা। যা তাদের তথ্যের সত্যটা নিশ্চিত বা আস্থা বাড়াতে পারে। অথবা তাঁরা কী এমন কোনো ফাইলের কথা জানেন, যা নির্দিষ্ট তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদনকে আরো আকর্ষণীয় করবে।
  • নথি এবং সরকারি তথ্য আপনাকে বিভিন্ন তথ্য (যাপেপার ট্রেইলনামে পরিচিত) আর মানব সোর্সের সন্ধান দিতে পারে। একাডেমিক পেপার, প্রেস রিলিজ, পাবলিক ডেটাবেস এবং রেকর্ড এমন সব মানুষের খোঁজ দিতে পারে যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এবং সম্ভাব্য সোর্স হতে পারেন। পাশাপাশি এমন কিছু নথি-পত্রের কথাও আপনাকে জানাতে পারেন যেগুলো মূল্যবান হতে পারে। ফুটনোট চেক করার কথা মনে রাখবেন। কারণ ওগুলোতে অতিরিক্ত মানব সোর্স এবং নথির কথা উল্লেখ থাকতে পারে যা নিয়ে আপনি আগ্রহী হতে পারেন!
  • সম্ভব হলে আগেভাগেই তথ্য অধিকার আইনে (ফ্রিডম অব ইনফরমেশন) অনুরোধগুলো করুন। অনুরোধের বিপরীতে সাড়া পেতে প্রায়ই দেরি হয়। অনেক সময় প্রতিবেদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি যথাসময়ে পাওয়ার ক্ষেত্রে যা বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

Open source research methods, such as the use of social media or satellite imagery, have increasingly been used as part

ওপেন সোর্স গবেষণা পদ্ধতি:

সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ওপেন সোর্স রিসার্চ পদ্ধতির যেমন সোশ্যাল মিডিয়া বা স্যাটেলাইট চিত্রের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ২০২৩ সালের দিকে ফাইনান্সিয়াল টাইমস “ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে পরিচিত ২ হাজার ৩১২টি মসজিদের ছবি বিশ্লেষণ করে। এতে উঠে আসে ২০১৮ সাল থেকে চীন জুড়ে তিন-চতুর্থাংশ মসজিদের স্থাপত্যে পরিবর্তন এসেছে বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।” যুদ্ধাপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করার জন্যও স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

আনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি যদি অনেক বেশি ডেটা নির্ভর হয়, সেক্ষেত্রে আপনার হাতে থাকা তথ্যগুলো কী ডেটাসেটের অংশ না পুরো ডেটাসেট—তা নিশ্চিত হতে ডেটার উৎস জানাটা জরুরি। পাশাপাশি ডেটার গঠন ও কোডগুলো বোঝা এবং ত্রুটি খুঁজে বের করে ডেটাগুলো নির্ভুল কিনা তা মূল্যায়ন করতে হবে। এছাড়া ডেটা যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ এবং ডেটা নিয়ে কাজের সময় কিংবা পরবর্তীতে অতিরিক্ত রিপোর্টিংয়ের জন্য সময় বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এভাবে মানব সোর্স ও বিশেষায়িত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলা বা তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার মাধ্যমে আপনি ডেটার নির্ভুলতা যাচাই করতে পারবেন।

প্রতিবেদন, সম্পাদনা আর তথ্য যাচাইয়ের বিষয়গুলো পুরোপুরি মেনে চলুন। কী ধরনের নতুন সোর্সকে অনুসরণ করাটা জরুরি  তা নিশ্চিত করুন। গল্পটি কীভাবে উপস্থাপন করা হবে, যেমন ভিজ্যুয়াল বা ইন্টারঅ্যাকটিভ পদ্ধতিতে—তা আগে থেকে পরিকল্পনা করুন।

গল্প তৈরি করুন

উপরের বিবরণ অনুযায়ী, একটি অনুসন্ধানের বিভিন্ন ধাপে সম্পাদকীয় প্রক্রিয়া মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি নতুন কিনা, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিনা, এবং অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় উৎস ও সম্পদ কতটা সহজলভ্য তা মূল্যায়ন করা জরুরি। গবেষণা ও রিপোর্টিংয়ের সময়, পুরো প্রক্রিয়ার নোট রাখা এবং কোন সোর্স থেকে কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তা মূল্যায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে, তথ্যগুলো কীভাবে গল্পের সঙ্গে যুক্ত তা বিশ্লেষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৩ সালের গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম সম্মেলনে সম্পাদকদের একটি প্যানেলে অ্যাসোসিয়েটস প্রেসের রন নিক্সন, কোয়ান্তো এলেমেন্তো ল্যাবের আলেহান্দ্রা জানিক, দ্য ক্যারাভ্যানের বিনোদ জোসি এবং ওসিসিআরপির ড্রু সুলিভান অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করেন এমন সম্পাদকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরেন

১. গল্প নির্ধারণ
২. চমৎকার একটি অনুসন্ধান পরিকল্পনা তৈরি
৩. অনুসন্ধানের ফোকাস ঠিক রাখা
৪. সংগঠিত হওয়া
৫. জীবন্ত দলিল তৈরি
৬. লাইন সম্পাদনা
৭. কখন থামাতে হবে তা জানা
৮. রিপোর্টারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা

প্রতিবেদন নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ঝুঁকির মূল্যায়ন এবং সম্ভাব্য হুমকি ও নিরাপত্তা প্রোটোকলগুলো বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রোটোকলগুলোর মধ্যে রয়েছে: তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে? প্রতিবেদক কীভাবে একজন সোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? কীভাবে অন্যান্য প্রতিবেদক বা সম্পাদকদের সাথে তথ্য ভাগ করা হবে? এনক্রিপশন ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে কিনা? আইনি ঝুঁকিগুলো কী কী?

অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যাচাইপর্ব। এই ধাপের জন্য সময় নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিছু অনুসন্ধানী দল এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট সাংবাদিকদের দায়িত্ব দেয়, তবে অনেক সময় প্রতিবেদন তৈরির কাজটি সাংবাদিক বা রিপোর্টার হিসেবে যিনি কাজ করছেন তিনিই করে থাকেন। প্রতিটি গল্পে প্রতিটি তথ্যের উৎস, যেমন দলিল, ব্যক্তি কিংবা পর্যবেক্ষণের সাথে টিকাযুক্ত রেফারেন্স থাকা উচিত। এই রেফারেন্সগুলো ফুটনোট আকারে যুক্ত করলে যাচাই প্রক্রিয়াটি সহজ হয়। পাশাপাশি, যেকোনো তথ্য বিশ্লেষণ বা গণনা পুনরায় পর্যালোচনা এবং যাচাই করা প্রয়োজন।

গল্পে উল্লেখিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধির মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা উচিত (অথবা কোনো মন্তব্য না থাকলে তাও উল্লেখ করা উচিত), যাতে তাঁরা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, আত্মরক্ষার সুযোগ পায়, অথবা অনুসন্ধানের মাধ্যমে যে তথ্য বা ডেটা পাওয়া গেছে তার ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ পায়। প্রায়ই, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরও মূল্যবান তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

বিভিন্ন দেশ ভেদে আইন এবং নিয়মাবলী আলাদা। তাই আইনি পর্যালোচনা অনুসন্ধানের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

প্রকাশনার জন্য প্রস্তুত? এ পর্যায়ে অতিরিক্ত যে বিষয়টি যোগ করতে হবে তা হলো প্রতিবেদনটিকে কীভাবে তুলে ধরবেন, তা ঠিক করা। গল্পটি কোন ফরম্যাটে প্রকাশিত হবে তার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধাপে পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা করা যেতে পারে। কিছু প্রকাশনা বর্ণনামূলক গল্প, ইন্টারঅ্যাকটিভ উপাদান, মাল্টিমিডিয়া, ভিডিও এবং ডেটাবেস নির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অনুসন্ধানী অন্যান্য সংস্থাগুলো পডকাস্ট কিংবা মঞ্চ নাটকের আদলে গল্পগুলো উপস্থাপন করে।  দলিল, ছবি, ডেটার মাধ্যমে, ভিডিও নাকি সাক্ষ্য আকারে— কীভাবে উপস্থাপন করলে অনুসন্ধানের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যগুলো পাঠক-দর্শক সহজে বুঝতে পারবে বা সংযোগ স্থাপন করতে পারবে— প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এসব নিয়ে ভাবুন।

এ পর্যায়ে শেষ একটি পরামর্শ দিবো। তা হচ্ছে: ঠিক কখন দৌঁড়ঝাপ বন্ধ করে হাতে আসা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন— তা কিন্তু আপনাকেই জানতে হবে।

কেস স্টাডি
অবৈধ বিমানবন্দর তৈরির মাধ্যমে ব্রাজিলের আদিবাসীদের ভূমিতে ক্ষতিকর খনন কাজের বিস্তার

গত বছর ব্রাজিলের আমাজন বনাঞ্চলে ১ হাজার ২৬৯টি অবৈধ বিমানঘাঁটি চিহ্নিত করে নিউইয়র্ক টাইমস। এর মধ্যে অনেকগুলো অবৈধ খনি শিল্পের ক্ষতিকর সারঞ্জাম সরবরাহের সাথে যুক্ত। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর শাসনামলে  যা ব্যাপকতা লাভ করে। সহযোগিতামূলক এই অনুসন্ধানী প্রকল্পে টাইমস ম্যাগাজিনের রিপোর্টাদের সাথে যোগ দেয় ওয়াশিংটন-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা পুলিৎজার সেন্টারের রিপোর্টিং প্রকল্প রেইনফরেস্ট ইনভেস্টিগেশনস নেটওয়ার্ক এবং দি ইন্টারসেপ্ট ব্রাজিলের রিপোর্টার ও পুলিৎজার সেন্টারের ফেলো হিউরি পটার। তাঁরা অবৈধ বিমানঘাঁটির সম্ভাব্য অবস্থানগুলো চিহ্নিত করেন। অন্যান্য তথ্যগুলো বিভিন্ন ক্রাউডসোর্স ডেটাবেস, স্যাটেলাইট ছবি, এবং জিওস্পেশিয়াল বিশ্লেষকদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

ফিনসেন ফাইলস
ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের সাথে মিলে বাজফিড নিউজ এবং ৮৮টি দেশের ১০৮টি মিডিয়া পার্টনার “ফিনসেন ফাইলস” নামে পরিচিত নথিগুলো যাচাইবাছাই ও বিশ্লেষণে ১৬ মাস সময় ব্যয় করেছে। আইসিআইজে এবং এর সহযোগীরা বিভিন্ন সোর্স থেকে অতিরিক্ত লিক হওয়া নথি সংগ্রহ করেছে,  আদালত এবং আর্কাইভের অসংখ্য রেকর্ড পড়েছে এবং সাক্ষাৎকার নিয়েছে শতাধিক লোকের—যাঁর মধ্যে ছিল অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিরাও। এই প্রকাশনায় গল্পের মাধ্যমে বর্ণনা, ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর পাশাপাশি একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ম্যাপ জুড়ে দেয়া হয়। যেটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা ১৮ হাজারের বেশি সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য খুঁজে পেতে পাঠকদের সহায়তা করে।

কড়া নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্যামরুনের অবৈধ কাঠ পাচারকারীরা কীভাবে পালায়
ইনফোকঙ্গো এবং লে মন্দের মধ্যে একটি সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উৎস (ডেটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণসহ) ব্যবহার করে ক্যামেরুনের কঙ্গো বেসিন রেইনফরেস্টে অবৈধ কাঠ পাচারের ওপর একটি অনুসন্ধান চালানো হয়। উঠে আসে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা। এতে জড়িত ছিলেন উচ্চপদস্থ  কিছু সামরিক কর্মকর্তাও। পুলিৎজার সেন্টারের সহযোগিতায় অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদন তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছেন জোসিয়ান কোয়াগহিউ এবং মাদেলিন নেগুংগা। ক্যামেরুনে  সাংবাদিকরা এমন গল্প নিয়ে কাজ করার সময় চরম ঝুঁকির মুখোমুখি হন। তাই এখানে রিপোর্টিং করার সময় সতর্ক থাকা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন। ১২ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে তৈরি প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ক্যামরুন সরকার খাতটি ঘিরে কঠোর নিয়ন্ত্রণ জারির আহ্বান জানায়।


ব্রান্ট হিউস্টন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের নাইট চেয়ার। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটরস-এর নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। তাঁর হাত ধরে সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ৪ হাজারে উন্নীত হন। পুরস্কারপ্রাপ্ত  রিপোর্টার এবং ডেটাবেস এডিটর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। কানসাস সিটি স্টার পত্রিকার স্টাফ সদস্য ছিলেন। হোটেল ভবন ধস প্রতিবেদনের মাধ্যমে পত্রিকাটি পুলিৎজার জিতে নেয়। ওই দুর্ঘটনায় ১১৪ জন মানুষ নিহত হয়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রথম সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখিয়েদের মধ্যে তিনি একজন।

এমিলিয়া ডিয়াজ-স্ট্রাক গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক। তিনি আগে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর ডেটা ও গবেষণা সম্পাদক এবং লাতিন আমেরিকা বিষয়ক সমন্বয়ক ছিলেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আইসিআইজে ২০টিরও বেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত সহযোগিতামূলক অনুসন্ধানী প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে: অফশোর লিকস, ইমপ্লান্ট ফাইলস, ফিনসেন ফাইলস, প্যান্ডোরা পেপার্স, এবং পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া পনামা পেপার্স। নিজ ভূমি ভেনেজুয়েলায় ডেটা সাংবাদিকতা এবং সহযোগিতামূলক অনুসন্ধানী প্রকল্পের পথপ্রদর্শক তিনি। লাতিন আমেরিকার শত শত রিপোর্টারের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন সেমিনারে ডেটা সাংবাদিকতা এবং ইনভেস্টিগেটিভ ক্রস-বর্ডার সহযোগিতা নিয়ে পড়িয়েছেন। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব ভেনেজুয়েলার শিক্ষক ছিলেন। কন্ট্রিবিউটার হিসেবে কাজ করেছেন ওয়াশিংটন পোস্ট, ম্যাগাজিন পোদের ই নেগোসিওস, ভেনেজুয়েলান মিডিয়া এল উনিভার্সাল, এল মুন্দোতে। তিনি আরমান্দোডটইনফোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

 

 

 

 

 

 

 

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

পদ্ধতি

স্বল্প সময়ে সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তি সম্পর্কে ব্যাকগ্রাউন্ড তথ্য অনুসন্ধানের টিপস

অনুসন্ধানী কাজকে প্রায়ই ম্যারাথনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদেরও কখনো কখনো দৌড়াতে হয় গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। কখনো কখনো তাদেরও খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার প্রয়োজন হতে পারে। ওপেন সোর্স অনুসন্ধান এবং অন্যান্য প্রথাগত রিপোর্টিং কৌশল ব্যবহার করে কীভাবে কাজটি করা যায়— তা নিয়ে কার্যকরী কিছু পরামর্শ পড়ুন এখানে।

পদ্ধতি

যে ৮টি উপায়ে বিনা খরচে একাডেমিক গবেষণা পেতে পারেন সাংবাদিকেরা 

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের সময় সাংবাদিকদের প্রায়ই খোঁজ করতে হয় সে সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণাপত্র। কিন্তু অনেক জার্নালে পেওয়ালের বাধ্যবাধকতা থাকে, যেগুলোর সাবস্ক্রিপশন কেনা ব্যয়বহুল হতে পারে বার্তাকক্ষ ও ব্যক্তি-সাংবাদিকদের জন্য। কীভাবে বিনামূল্যে বিভিন্ন গবেষণাপত্রে প্রবেশাধিকার পেতে পারেন— তা নিয়ে আটটি উপকারী পরামর্শ পাবেন এখানে।

পদ্ধতি

যেভাবে অ্যালগরিদমের ক্ষতিকর প্রভাব অনুসন্ধান করবেন এবং এআই নিয়ে অতি-কথন এড়াবেন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোনো টুল কীভাবে পরিচালিত হবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে সেটিকে কী ধরনের ডেটাসেটের সাহায্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে—তার ওপর। বর্তমানে যেভাবে এআইয়ের অ্যালগরিদমগুলো গড়ে উঠছে, তাতে সুস্পষ্ট জাতিগত পক্ষপাতের নজির দেখতে পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। এবং এগুলো সমাজ ও জনজীবনে ফেলতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। কীভাবে অ্যালগরিদমের এসব ক্ষতির প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান করা যায়— তা নিয়ে কিছু উপকারী পরামর্শ পাবেন এখানে।

পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল সংবাদ ও বিশ্লেষণ

আপনার পরবর্তী অনুসন্ধানকে গেমিফাই করবেন যেভাবে

একজন উবার ড্রাইভার বা শরণার্থীর অভিজ্ঞতা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন পড়লে আপনি হয়তো সে সম্পর্কে শুধু জানতেই পারবেন। কিন্তু প্রতিবেদনটি যদি কোনো গেমের মতো করে সাজানো হয়, যেখানে আপনাকে খেলতে হবে সেই ড্রাইভার বা শরণার্থীর ভূমিকায়? তাহলে আপনি নিশ্চিতভাবেই তাদের পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন। পাঠক-দর্শককে এভাবে স্টোরির সঙ্গে একাত্ম করে তোলার জন্য অনেক নিউজরুম তাদের অনুসন্ধানকে দিয়েছে গেমের আদল। পড়ুন, এ সংক্রান্ত কিছু কেস স্টাডি ও পরামর্শ।