প্রবেশগম্যতা সেটিংস

ভেনেজুয়েলার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওয়েবসাইট আরমান্ডোডটইনফো খুঁজে পেয়েছে যে, মায়ামি ও দক্ষিণ ফ্লোরিডার বিভিন্ন অঞ্চল ভেনিজুয়েলার সাবেক উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নিবন্ধিত কোম্পানি ও সম্পদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ছবি: শাটারস্টক

লেখাপত্র

বিষয়

ভেনেজুয়েলার শত শত সরকারি কর্মকর্তার ফ্লোরিডায় থাকা গোপন সম্পদের তথ্য যেভাবে উন্মোচন করেছে আরমান্ডোডটইনফো

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

আরমান্ডোডটইনফোর দলটি যখন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ ও বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার সরকারের যোগসূত্র খুঁজে বের করার কাজে নামে, তখন তারা ভুলেও ভাবেনি শুধুমাত্র অর্থের উৎস অনুসরণের মাধ্যমে কী ধরনের বিস্ময়কর তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে আসতে পারে।

আরমান্ডোডটইনফো ভেনেজুয়েলার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাবিষয়ক ওয়েবসাইট ও গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (জিআইজেএন) এর সদস্য। ২০২২ সালের শেষের দিকে মায়ামি হেরাল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে তারা মায়ামি নস্ট্রো শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী সিরিজ প্রকাশ করে।

এতে শত শত কোম্পানি এবং সম্পদের মালিকদের নাম পাওয়া যায়, যেগুলো হুগো শ্যাভেজের সমাজতান্ত্রিক সরকারের আমলে দেশটিতে কর্মরত সাবেক কর্মকর্তা বা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নামের সঙ্গে মিলে যায়। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে নিকোলাস মাদুরো ক্ষমতায় আসার পর এমন কিছু কর্মকর্তার নামও পাওয়া গেছে যারা চাকরিরত অবস্থায়ই বিনিয়োগগুলো সম্পন্ন করেছেন।

ভেনেজুয়েলার বামপন্থী পপুলিস্ট রাজনৈতিক দর্শনের অনুসারী এই চাভিস্তাসদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এর পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিরোধিতা করলেও গোপনে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় সম্পদ স্থানান্তর ও বিনিয়োগ করেছেন কিংবা ব্যবসা খুলেছেন।

মায়ামিতে বিপ্লবের সমাপ্তি

মায়ামি নস্ট্রো নামের ধারাবাহিকটি সাংবাদিক ও সফটওয়্যার প্রোগ্রামারদের কয়েক মাসের যৌথ অনুসন্ধানের ফসল। প্রোগ্রামারেরা অনুসন্ধানের প্রযুক্তিগত দিকগুলো সামলেছেন। তারা একটি বট (স্বয়ংক্রিয় সফটওয়ার অ্যাপ্লিকেশন) তৈরি করেন, যা ভেনেজুয়েলার পাবলিক রেকর্ড থেকে রাষ্ট্রীয় পদবি ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে একটি ডেটাবেসে নিয়ে আসে।

এর সাহায্যে তারা হুগো শ্যাভেজের শাসনামলের একটা বড় সময়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার অফিসিয়াল গেজেটের ৩০৫০টি সংস্করণ (যেখানে সরকারি ডিক্রির রেকর্ড থাকে) থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। রিপোর্টারেরা এরপর ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের কর্পোরেশন ডিভিশন থেকে পাওয়া ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সরকারি সূচকের রেকর্ডসহ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের হাজারো তথ্যের সঙ্গে প্রাপ্ত ডেটাসেটের তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখেন।

তারা দেখতে পান, শুধু মায়ামিতে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেস (স্প্যানিশ ভাষায় ন্যাশনাল বলিভিয়ান আর্মড ফোর্স ” এফএএনবি”) বা ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত ২৩২ জন সদস্য কোম্পানি বা ব্যবসা নিবন্ধন করেছেন। এসব ব্যবসার বেশিরভাগ এখনও সক্রিয়। তারা আরও খুঁজে পান মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, অফিসের পরিচালক, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকসহ মোট ৭২৪ জন সাবেক কর্মকর্তা ফ্লোরিডাতে কোম্পানি গঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ছবি: স্ক্রিনশট, আরমান্ডোডটইনফো

“অনুসন্ধান থেকে আমরা যে দ্বৈত অবস্থানটি খুঁজে পেয়েছি, তা বুঝতে চাচ্ছিলাম…[যেখানে] সরকার সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী জনসমক্ষে বহু বছর ধরে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও বিপ্লবী স্লোগানের পুনরাবৃত্তি করে মায়ামিতে এসে সবকিছুর যবনিকা টেনেছেন,” বলেন, আরমান্ডোডটইনফোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও অনুসন্ধান সমন্বয়কারী জোসেফ পলিসজুক।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তারা বের করতে সক্ষম হন যে, উক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই প্রশাসনের শীর্ষে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন— যারা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে অংশ নিয়ে অর্থ-সম্পদ, ব্যবসা স্থানান্তরের পাশাপাশি শেষপর্যন্ত নিজেরাও যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।

বট এবং যাচাইকরণ

ভেনেজুয়েলাতে সরকারি তথ্য পাওয়া কঠিন। কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও তা প্রসেস বা প্রক্রিয়াকরণের জন্য যথেষ্ট ব্যবহারকারী-বান্ধব নয়। অনুসন্ধানী দলের জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল, কীভাবে একটি অস্পস্ট পাবলিক রেজিস্ট্রি থেকে অসংখ্য নাম, পদবি এবং তারিখ সংগ্রহ করা যায়?

“আমরা অপটিক্যাল রিকগনিশন সিস্টেমের সঙ্গে একটি বটকে সবগুলো পদ-পদবি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেই,” পলিসজুক বলেন৷ কাজটি করতে আমরা একদল প্রোগ্রামারের সাহায্য নিয়েছি, যারা আরমান্ডোডটইনফোর সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন।

“আমরা সবাই সবকিছু সম্পর্কে জানি না বা করতেও পারি না, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি দল হিসেবে আমরা তা করতে পারি,” পলিসজুক যোগ করেন।

এভাবেই দলটি ভেনেজুয়েলার ১ লাখ ২৮ হাজার ৮২ জন সরকারি কর্মকর্তার নামের হদিস পায়, যারা গত ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে ছিলেন। এ সংখ্যা থেকে ফ্লোরিডায় নিবন্ধিত কোম্পানির সঙ্গে ভেনেজুয়েলার ৭২৪জন সরকারি কর্মকর্তার নামের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

দলটির কাছে দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছিল, সরকারি কর্মকর্তাদের নামের সঙ্গে কোম্পানি বা সম্পত্তির মালিকদের নাম মিলছে কিনা – তা যাচাই করে দেখা। আরমান্ডোডটইনফোর প্রধান সম্পাদক ভ্যালেন্তিনা লারেসের মতে কাজটি একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। কাজটি দ্রুত সম্পাদনের জন্য আরমান্ডোনডটইনফোর সব কর্মীদের মধ্যে তা বন্টন করা হয়। তারা প্রতিটি আলাদা কেস বিশ্লেষণ করেন এবং জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে কর্মকর্তাদের নামগুলো মিলিয়ে দেখেন। “আমরা দেখতে চেয়েছিলাম নামগুলো প্রকৃত কিনা, তারা সত্যিই সরকারী কর্মচারী ছিলেন কিনা, তাদের পরিচয় নথি নম্বর— যেমন, পাসপোর্ট বা ডিএনআই মিলছে কিনা,” লারেস ব্যাখ্যা করেন।

তৃতীয় ধাপে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যে গল্পগুলো তুলে ধরা হবে তা নির্ধারণের জন্য কোন ঘটনাগুলো অনেক বেশি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তা বিশ্লেষণ করা হয়। (তারা নামের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেননি।) পলিসজুক এবং লারেস বলেন, তারা কর্মকর্তাদের দেয়া বিবৃতির সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কার্যক্রমের বড় ধরনের পার্থক্য আছে কিনা তা যাচাই করেছেন এবং প্রতিটি কর্মকর্তার কর্মজীবনের গতিপথ ও ফ্লোরিডায় বিনিয়োগের জন্য অর্থের উৎস সম্পর্কে ব্যাখা করার সক্ষমতা বিবেচনা করেছেন।

ঘটনা নির্বাচন

শত শত নামের মধ্য থেকে আরমান্ডডটইনফো ভেনেজুয়েলার কয়েক ডজন সাবেক উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তার নাম খুঁজে পায়, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের নামে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক একজন মেজর জেনারেল, যিনি ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার্সে গিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে; রয়েছেন ভেনেজুয়েলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন সাবেক কাস্টমস ম্যানেজার যিনি এখন মায়ামিতে একটি কাস্টমস কোম্পানি খুলে রাষ্ট্রীয় ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন; ভেনিজুয়েলার একজন সাবেক কংগ্রেসওম্যান ফ্লোরিডায় একটি স্পা সেন্টার খুলেছিলেন।

তালিকা অনুসারে আরমান্ডডটইনফো ও মায়ামি হেরাল্ড ভেনেজুয়েলার কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাদের নামে প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ ছিল, অথবা যাদেরকে তহবিল অপব্যবহার বা অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে তদন্তের সম্মুখীন হতে হয়েছিল— তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। (উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের অংশ হিসেবেও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়; যদিও সবাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।)

আরমান্ডডটইনফোর মায়ামি নস্ট্রো অনুসন্ধানী সিরিজের প্রতিবেদনগুলোর সংকলন। ছবি: স্ক্রিনশট, আরমান্ডডটইনফো

আরমান্ডডটইনফোর পক্ষ থেকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অনুসন্ধানে পাওয়া ফলাফলের ওপর মন্তব্য করতে বলা হয় তখন বিভাগটি লিখিত এক প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তারা ভিসা বা রেসিডেন্সি পারমিটের জন্য প্রতিটি ব্যক্তির যোগ্যতাকে আলাদা করে বিচার করতে পারেন না।

বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে অনুসন্ধানী দলটি মার্কিন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার নেয়। তারা ইঙ্গিত দেন যে ভেনেজুয়েলার কিছু সাবেক কর্মকর্তা নিজ দেশের দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্যের বিনিময়ে নিজেদের সুযোগ-সুবিধার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করে থাকতে পারেন।

“কিছু কিছু ক্ষেত্রে, আমরা [মার্কিন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের] সাক্ষাৎকার থেকে জানতে পেরেছি, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া এই কর্মকর্তারা যেভাবে মায়ামিতে পৌঁছেছেন তা ব্যাখ্যা করা কঠিন,” বলেছেন পলিসজুক৷

তাদের সোর্সেরা আরও জানায়, সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বিশেষ তথ্য প্রদানের বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দর কষাকষি করেছেন, এবং তাদের মধ্যে হয়তো এমনও কেউ রয়েছেন যারা ভেনেজুয়েলায় সরকারি পদে দায়িত্ব পালনের সময় অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ও শাস্তি থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছিলেন। এদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা আদর্শহীনতার অভাবে দুষ্ট— যারা জনসম্মুখে মার্কিন সরকারের বিরোধিতা করলেও গোপনে সেখানে বিনিয়োগে নিয়োজিত ছিলেন।

মায়ামি নস্ট্রো অনুসন্ধানে নাম উঠে আসা কর্মকর্তাদের কেউই বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারাধীন নয়। তবে উক্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত এক ব্যক্তি – যিনি বর্তমানে ভেনেজুয়েলা থেকে পলাতক রয়েছেন — ২০১৮ সালে অর্থ পাচারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

আরও পড়ুন

ক্যালকুলেটিং করাপশন: পেরু’স ওহো পুবলিকা ক্রিয়েটস টুল টু গেইজ কনট্রাক্টিং রিস্কস

হাও আর্মান্ডো ডট ইনফো’স রিপোর্টারস কিপ রিপোর্টিং অন ভেনেজুয়েলা

ক্যাবট প্রাইজ: এক্সাইলড রিপোর্টারস ট্রাক করাপশন অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজ ইন ভেনেজুয়েলা


আলেসান্দ্রো ডি স্তাসিও একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। অর্থনীতি ও রাজনীতিবিষয়ক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি বর্তমানে স্পেনের মাদ্রিদে বসবাস করছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

CORRECTIVE Secret Master Plan Against Germany investigation

পদ্ধতি

আন্ডারকভার রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলের গোপন বৈঠকের তথ্য উন্মোচন

ছদ্মবেশে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলগুলোর গোপন বৈঠকে ঢুকে পড়েছিলেন কারেক্টিভের রিপোর্টার। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন: কীভাবে জার্মানি থেকে লাখ লাখ মানুষকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। পড়ুন, অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প।

পদ্ধতি

পূর্ব এশিয়াতে যৌন নিপীড়নের ভিডিওর অনলাইন বাণিজ্য নিয়ে অনুসন্ধান

পূর্ব এশিয়ায় কীভাবে যৌন হয়রানির ভিডিও কেনাবেচা হয়— তা নিয়ে বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়ে ২০২৩ সালের জুনে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি আই। এখানে পড়ুন, কাজটির নেপথ্যের গল্পগুলো।

পদ্ধতি

পাইলোস জাহাজডুবি নিয়ে অনুসন্ধানটি যেভাবে হল

২০২৩ সালের ১৪ জুন ভোরে গ্রিসের পাইলোস উপকূলে কয়েকশ অভিবাসীকে বহনকারী একটি ছোট মাছ ধরার ট্রলার ডুবে প্রায় ৬০০ জনের মৃত্যু হয়। কোস্ট গার্ড, ঘটনার পর দায়সারা উদ্ধার অভিযান পরিচালনার অভিযোগে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। তারা দাবি করে যে জাহাজে থাকা অভিবাসীদের সহায়তার প্রস্তাব দিলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষকদের অনুসন্ধানে সত্যটা বেরিয়ে আসে।