প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

বায়ু দূষণের পেছনে থাকে দুর্নীতি, অনুসন্ধানে তথ্য দেবে ওপেন সোর্স টুলস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর আনুমানিক ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। ইউরোপীয় এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার-এর গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং অকাল মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতি বছর অবৈধভাবে জমিতে আগুন দেওয়ার ফলে মৌসুমি ধোঁয়া দেখা দেয়। যা পুরো অঞ্চলজুড়ে জনস্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টি করে। যেমন ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার অগ্নিকাণ্ড। অন্যদিকে, চীন ও ভারতে শিল্প-কারখানা সৃষ্ট বায়ুদূষণ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করছে। লাতিন আমেরিকাতেও বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অবৈধভাবে বর্জ্য পোড়ানো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শুধু মেক্সিকোতেই বায়ুদূষণের কারণে ২০১৯ সালে ৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে

ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হওয়ার পরও বায়ুদূষণের কারণগুলো খুঁজে বের করাটা চ্যালেঞ্জিং। অনেক সময় সরকার নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ করে না। কলকারখানাগুলো বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গমনের তথ্য গোপন রাখে। আর দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের ফাঁক-ফোকরকে কাজে লাগায়। এখানে তাই অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরাই পরিবেশ বিষয়ক দুর্নীতির তথ্যগুলো উন্মোচন করেন। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করতে পারে ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স (ওএসআইএনটি) টুলস।

নিচে কয়েকটি ওএসআইএনটি টুলের তালিকা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা যা বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ, এর উৎস চিহ্নিত এবং জড়িত করপোরেট নেটওয়ার্ক উন্মোচনে ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু পরিবেশ বিষয়ক চ্যালেঞ্জ প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তাই স্যাটেলাইট ইমেজ, বায়ুমানের তথ্য এবং করপোরেট রেজিস্ট্রির মতো উৎস কাজে লাগিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাটা জরুরি।

তবে এই টুলগুলো ব্যবহার করার সময় বায়ুদূষণ নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত:

  • বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি কোন এলাকায় হচ্ছে এবং বর্তমান দূষণের মাত্রা কত?
    • কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে দূষণের উৎসগুলো কী?
    • এই দূষণের জন্য কে দায়ী—করপোরেশন, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, না কি অবৈধ কার্যকলাপ?
    • বায়ুদূষণ কীভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে, এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা কী?
    • বায়ুদূষণ কীভাবে জনস্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত?

তাৎক্ষণিক বায়ু দূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ

() আইকিউএয়ার

আইকিউএয়ার একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম যা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বাতাসের মান সম্পর্কিত তাৎক্ষণিক (রিয়েল-টাইম) তথ্য ও ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্র সরবরাহ করে। এটি সাংবাদিকদের দূষণের মূল হটস্পট শনাক্ত করতে সহায়তা করে এবং বাতাসে থাকা PM2.5, PM10, NO2, ও CO2-এর মতো ক্ষতিকর কণা ও গ্যাসের তথ্য দেয়। হঠাৎ করে বাতাসের মান পরিবর্তন হলে, তার পেছনে বড় কোনো শিল্প থেকে কার্বন নির্গমন, দাবানল বা পরিবেশগত দুর্যোগের ইঙ্গিত রয়েছে কিনা আইকিউএয়ার সেগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।

প্রবেশাধিকার: প্রাথমিক কাজে ব্যবহারের জন্য কোনো অর্থ লাগবে না; তবে গভীর বিশ্লেষণের জন্য পেইড ফিচার রয়েছে
জটিলতার ধরন: সহজ তথ্যচিত্র ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; বিশেষ করে এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের জন্য

IQAir screenshot Wuhan China air quality

চীনের উহানে বাতাসের মানের লাইভ রিডিং। ছবি: স্ক্রিনশট, আইকিউএয়ার

() ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (ডব্লিউএকিউআই)

ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ((ডব্লিউএকিউআই) ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে বাতাসের তাৎক্ষণিক মান বিষয়ক তথ্য সরবরাহ করে। এতে সরকারি পর্যবেক্ষণ এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্কের সরবরহকৃত তথ্য থাকে। এটি বায়ুদূষণের হটস্পটগুলোর ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্র তুলে ধরে। ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট অঞ্চলের দূষণের মাত্রা ও পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সাংবাদিকদের জন্য  রয়েছে একটি বিশেষ টুল—এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস)। সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদন লেখার সময় টুলটি ব্যবহার করে খুব সহজে বায়ু দূষণের তথ্য নিতে পারেন।

প্রবেশাধিকার: বিনামূল্যে; তবে এপিআই ব্যবহারের জন্য অনুমতি লাগবে
চ্যালেঞ্জ: কিছু সরকারি তথ্য হয়তো পুরোপুরি স্বচ্ছ নাও হতে পারে
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলের জন্য কার্যকর

() ওপেনএকিউ

ওপেনএকিউ একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম। যা ব্যবহারের জন্য কোনো অর্থ দিতে হবে না। এটি বিশ্বব্যাপী সরকারি পর্যবেক্ষণ স্টেশন এবং নাগরিক পর্যায়ে ব্যবহৃত সেন্সর (সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে এমন সেন্সর বা যন্ত্রের মাধ্যমে বাতাসের মান বা পরিবেশগত তথ্য পরিমাপ করা বোঝায়) থেকে তাৎক্ষণিক বায়ুমানের তথ্য সংগ্রহ করে। এটি পুরানো এবং তাৎক্ষণিক পাওয়া তথ্য প্রদর্শন করে। তা থেকে সাংবাদিকরা দূষণের ধরণ ও ব্যতিক্রমধর্মী পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করতে পারেন।

জটিলতার ধরন: মাঝারি; ডেটাসেট বিশ্লেষণ করতে হলে ডেটা বিশ্লেষণ দক্ষতা প্রয়োজন
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চল কভার করে

দূষণের উৎস শনাক্ত করা

() গুগল আর্থ ইঞ্জিন

গুগল আর্থ ইঞ্জিন একটি ক্লাউড-ভিত্তিক অনলাইন টুল। যা ব্যবহারকারীদের স্যাটেলাইট ছবি ও পরিবেশসংক্রান্ত বিপুল পরিমাণ তথ্য দেখতে ও বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।

  • ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন, শহর সম্প্রসারণ এবং বন নিধন চিহ্নিত করতে সহায়তা করে
    • শিল্প দূষণের উৎস ও কার্বন নির্গমন ভিজ্যুয়ালাইজ করতে সাহায্য করে
    • পুরনো ছবির মাধ্যমে পরিবেশগত অবনতির তথ্য তুলে ধরে

প্রবেশাধিকার: অ-ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য কোনো অর্থ দিতে হবে না

চ্যালেঞ্জ: বিশ্লেষণের জন্য কিছু কোডিং বা জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন; বড় ডেটাসেট বিশ্লেষণ জটিল হতে পারে
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; স্থলভাগ এবং বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকর

() প্ল্যানেট

প্ল্যানেট একটি স্যাটেলাইট ইমেজিং সার্ভিস, যা পরিবেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি সরবরাহ করে।

  • শিল্প দূষণ, বন নিধন এবং ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন চিহ্নিত করতে সহায়তা করে
    • পুরানো ও নতুন ছবি দেখে সাংবাদিকরা দূষণের অভিযোগগুলো যাচাই করতে পারেন
    • তেল ছড়িয়ে পড়া, দাবানলের ধোঁয়া এবং বায়ুদূষণের ধোঁয়ার স্তর পর্যবেক্ষণেও এটি ব্যবহার করা যায়

প্রবেশাধিকার: কোনো অর্থ না দিয়েই গবেষক ও সাংবাদিকরা সীমিতভাবে টুলটি ব্যবহার করতে পারেন; তবে উচ্চ রেজোলিউশনের ছবির জন্য সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন
চ্যালেঞ্জ: স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের দক্ষতা থাকা দরকার
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; শহর ও শিল্প এলাকাগুলোর উচ্চ রেজোলিউশন ছবি রয়েছে।

() গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ

ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের তৈরি এই ওপেন ডেটা প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বব্যাপী বন উজাড় ও বনভূমি হ্রাসের পরিমান পর্যবেক্ষণ করে।

  • অবৈধ কাঠ কাটা ও অগ্নিকাণ্ড শনাক্ত করে, যা বায়ুদূষণে ভূমিকা রাখে
    • বন নিধনের সঙ্গে শিল্প দূষণের সংযোগ তুলে ধরে
    • ভূমির উপরিভাগ পরিবর্তন সংক্রান্ত সংকেত প্রদান করে

প্রবেশাধিকার: সম্পূর্ণ ফ্রি
চ্যালেঞ্জ: ভূস্থানিক (জিআইএস) তথ্য বিশ্লেষণে কিছুটা দক্ষতা প্রয়োজন
 আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; বিশেষ করে উষ্ণমণ্ডলীয় বনাঞ্চলে

Global Forest Watch amazon deforestation alerts

ছবি: স্ক্রিনশট, গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ

দূষণকারীদের শনাক্ত করা

() ভেসেলফাইন্ডার এবং ফ্লাইটরাডার২৪

ভেসেলফাইন্ডার ও ফ্লাইটরাডার২৪ হলো এমন দুটি প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো জাহাজ ও বিমানের গতিবিধি শনাক্তে ব্যবহার করা হয়। পরিবহন সংক্রান্ত দূষণ নজরদারির জন্য এই টুলগুলো বেশ কার্যকর।

  • বিপজ্জনক পদার্থ বা অবৈধ বর্জ্য বহনকারী জাহাজ শনাক্ত করতে সহায়তা করে
    • বায়ুদূষণকারী বিমান ও জাহাজ চলাচলের রুট চিহ্নিত করতে সাহায্য করে
    • জাহাজ মালিক ও দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যকার সংযোগ বের করা যায়

প্রবেশাধিকার: রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিংয়ের জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না। তবে পুরানো তথ্য পেতে অর্থ দিতে হবে
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; সমুদ্র ও আকাশপথের অনেকাংশ কভার করে

VesselFinder Black Sea

ছবি: স্ক্রিনশট, ভেসেলফাইন্ডার

() ওপেন কর্পোরেটস
ওপেন কর্পোরেটস হলো কোম্পানির মালিকানার তথ্য সমৃদ্ধ সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত ডেটাবেস, যা দূষণের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর যোগসূত্র খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের সাহায্য করে।

  • দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প ও মূল কোম্পানি চিহ্নিত করে
    • কর্পোরেট সংযোগ খুঁজে বের করে, যাতে প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়
    • নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে

প্রবেশাধিকার: সাধারণ অনুসন্ধানের জন্য অর্থ লাগবে না। কিন্তু গভীর অনুসন্ধানের জন্য অর্থ খরচ করতে হবে।
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক, প্রচুর সংখ্যক কোম্পানির তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে

[আরও পড়ুন: সাংবাদিকরা কীভাবে ভালো-মানের স্যাটেলাইট ছবি পাবেন]

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুদূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ

() এয়ারকাস্টিং

এয়ারকাস্টিং হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা মানুষকে মোবাইল সেন্সর ব্যবহার করে বাতাসের মান পরিমাপ এবং সে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

  • ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বাতাসের মান পরিমাপের বিষয়টিকে সহজ করে
    • ক্রাউডসোর্সড তথ্যের মাধ্যমে সাংবাদিকরা নির্দিষ্ট এলাকায় দূষণের ধরণ শনাক্ত করতে পারেন
    • বিভিন্ন দূষণের উৎস তুলনা করার জন্য ভিজ্যুয়ালাইজেশন প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে

প্রবেশাধিকার: বিনামূল্যে; তথ্য সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত সেন্সর প্রয়োজন
চ্যালেঞ্জ: বাতাসের মান বুঝতে কিছু মৌলিক ধারণা থাকা প্রয়োজন
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক; তবে নির্দিষ্ট কোনো স্থানের তথ্য পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে সেই জায়গায় ব্যবহারকারীরা অংশ নিচ্ছেন কিনা তার ওপর।

(১০) নাসার জোভান্নি

নাসার একটি অনলাইন টুল জোভান্নি। যা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা পরিবেশ ও বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়।

  • বিশ্বজুড়ে বায়ু দূষণের তথ্য দেয়, যেমন: ধূলিকণার পরিমাণ ও তাপমাত্রার তারতম্য
    • সাংবাদিকরা এর মাধ্যমে আগের বছরের বাতাসের মান বিশ্লেষণ করতে পারেন
    • অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে জলবায়ু ও বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার করা যায়

প্রবেশাধিকার: সম্পূর্ণ ফ্রি

চ্যালেঞ্জ: রিমোট সেন্সিং ও ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হয়; বড় ডেটাসেট বোঝা কঠিন হতে পারে
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক, এবং এতে বিস্তৃত বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য রয়েছে

(১১) ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল হাব

সেন্টিনেল হাব হলো একটি স্যাটেলাইট ইমেজিং প্ল্যাটফর্ম, যা সেন্টিনেল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে—ঐতিহাসিক ও বাস্তব সময়ের তথ্য দেয়।

  • বায়ু দূষণের উৎস যেমন শিল্প কারখানা, অগ্নিকাণ্ড এবং বন ধ্বংস বিষয়ক কর্মকাণ্ডগুলোকে অনুসরণ করে
    • সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূষণের মাত্রায় কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন সময়ের ছবি দেয়
    • পরিবেশ বিষয়ক ক্ষতির স্যাটেলাইট প্রমাণ দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে সাহায্য করে

প্রবেশাধিকার: সাধারণ ব্যবহারের জন্য কোনো অর্থ দিতে হবে না
চ্যালেঞ্জ: জিআইএস ও স্যাটেলাইট বিশ্লেষণের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
আঞ্চলিক প্রাপ্যতা: বৈশ্বিক, শিল্পাঞ্চল ও সাধারণ অঞ্চলের উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি সরবরাহ করে

Sentinel Hub satellite tracking subsidence Netherlands

ইউরোপের সেন্টিনেল হাব স্যাটেলাইট ডেটা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা যায়। ছবি: স্ক্রিনশট, সেন্টিনেল হাব

সম্পাদকের নোট: মূল লেখাটি আইজেনেট-এ প্রকাশিত হয়েছিল। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।


Renjani Sari

রেনজানি সারি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। কাজ করেছেন ফরবস ইন্দোনেশিয়াতে। তার লেখা রয়টার্স, ফরবস এশিয়া, ফিনল্যান্ডের ফ্যাক্টচেকিং সাইট ফ্যাক্টাবারিতে প্রকাশিত হয়েছে।
বেলজিয়ামে মাস্টার্স করার সময় তিনি ব্রাসেলসে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফেডারেশনে ইন্টার্নশিপ করেছেন, যেখানে তিনি বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করতেন।
প্রযুক্তি এবং ওপেন সোর্স বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে আগ্রহী। ব্রাসেলসের প্রোগ্রামিং স্কুল হ্যাকইয়োরফিউচার থেকে পেশাদার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

 

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

অনুসন্ধান পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

টিকটকে ভুল তথ্য: ডকুমেন্টেড কীভাবে বিভিন্ন ভাষার শত শত ভিডিও যাচাই করেছে 

শুধুমাত্র সঠিক তথ্যের অভাবে কত অভিবাসীই না প্রতারিত হন। অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ কখনও কখনও টিকটকের তথ্যের ওপর ভর করে ঘরবাড়ি ছেড়ে অজানা গন্তব্যে পাড়ি জমায়। কোন অ্যাকাউন্টগুলো এসব অপতথ্য ছড়ায়? কীভাবে পাওয়া যাবে তাদের হদিস? অনুসন্ধান পদ্ধতিই বা কি – জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদনটি।

অনুসন্ধান পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

নির্বাসিত লোকেদের ওপর রাষ্ট্রের হামলা: ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী সিরিজ “দমন নীতির দীর্ঘ হাত” থেকে আমরা যা শিখতে পারি

দ্যা ওয়াশিংটন পোস্টের আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী দল রিপ্রেশন’স লং আর্ম ধারাবাহিকে তুলে ধরেছে, কীভাবে নিজ দেশের সীমানার বাইরে থেকেও নিশানা হচ্ছেন ভিন্ন মতাবলম্বীরা।

পরামর্শ ও টুল

অনলাইনে অপতথ্য ঠেকাবে এই পাঁচ ওপেনসোর্স ডিজিটাল টুল

ব্রাজিলের ইনস্টিটিউট ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব জার্নালিজম—সংক্ষেপে প্রোজর। অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে চালু করেছে ইনোভেশন ফান্ড টু কমব্যাট ডিসইনফরমেশন (কোডেসইনফো)-এর দ্বিতীয় ধাপ। এ পর্যায়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অনলাইনে ছড়ানো অপতথ্য মোকাবিলায় ওপেন সোর্স ডিজিটাল টুলের ওপর।

জিআইজেসি২৫ পুরস্কার

গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড: অভিবাসন, সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং যুদ্ধক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ ৭ প্রতিবেদন

গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড (জিএসএলএ)-এর চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ১১টি দেশের ১৩টি সাহসী প্রতিবেদন। নানা হুমকি, চাপ ও অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও উন্নয়নশীল কিংবা রূপান্তরপর্বে থাকা দেশগুলোতে যাঁরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চালিয়ে যান তাদের স্বীকৃতি জানাতে দেওয়া হয় এই পুরস্কার।