প্রবেশগম্যতা সেটিংস

ইমেজ: জিআইজেএন

লেখাপত্র

বিষয়

জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টার: ২০২৫ সালের সেরা গাইড ও টিপশিট

এই বছর জিআইজেএনের রিসোর্স সেন্টার দলের কর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তন অনুসন্ধান থেকে শুরু করে এআই নিয়ে প্রতিবেদন, চীনা কোম্পানির কার্যক্রম খতিয়ে দেখা, যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বিশ্লেষণ, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা উন্মোচন, ভূমি সংঘাতের দিকে নজর দেওয়ার মতো নানা বিষয়ে বিস্তৃত গাইড (নির্দেশনা) তৈরি করেছে।


জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন জিওফ ডেমবিকি, লরেন্স কার্টার, অ্যামি ওয়েস্টারভেল্ট, মেগান ডার্বি, জোসেফিন মোল্ডস এবং ফার্মিন কুপ

Guide to Investigating Fossil Fuels

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন নজজাদং বুনপ্রাসার্ট                                                          

জীবাশ্ম জ্বালানি বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের প্রায় ৯০ শতাংশের জন্য দায়ী। বিষয়টি বিবেচনা করে জিআইজেএন পাঁচজন শীর্ষ জলবায়ু সাংবাদিককে যুক্ত করেছে। কীভাবে বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির ওপর আরও কার্যকর অনুসন্ধান করা যায়, জলবায়ু নীতিকে প্রভাবিত করা লবিংগুলো কীভাবে উন্মোচন করা যায়, এবং শিল্পখাতের ভেতরে থাকা গ্রিনওয়াশিং ও ভ্রান্ত তথ্য কীভাবে প্রকাশ করা যায়—এসব বিষয়ে যেন তারা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন।

এই গাইডে আরও আলোচনা করা হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতকে প্রভাবিত করা সরকারি বিধিবিধান ও নীতিমালা কীভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের পক্ষ থেকে জলবায়ু বিষয়ক সমস্যা সমাধানের যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়, সেগুলো নিয়ে কীভাবে প্রতিবেদন করা যায়।


কঠিন বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে মিথেন গ্যাস নির্গমন সমাধান নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির গাইড: লিখেছেন টবি ম্যাকিনটশ

GIJN reporting guide for landfill methane emissions

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন লুইজা কারাজিওর্জিউ

জলবায়ু বিষয়ক আধুনিক গাইড সিরিজটি এগিয়ে নিতে গিয়ে জিআইজেএনের উপদেষ্টা টবি ম্যাকিনটশ কঠিন বর্জ্য (আবর্জনা, প্লাস্টিক, ধাতব বস্তু, খাদ্য বর্জ্য, নির্মাণ সামগ্রী, ইত্যাদি— যা গৃহস্থালি, শিল্প, বাণিজ্যিক, কৃষি বা নির্মাণ কাজ থেকে উৎপন্ন হয়) ফেলার স্থান (ল্যান্ডফিল) থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস অনুসন্ধানের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছেন। এই গাইডটি বর্জ্য ফেলার স্থান থেকে থেকে নির্গত মিথেন গ্যাসের জলবায়ু ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন করতে আগ্রহী সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়। এ ধরনের ল্যান্ডফিলগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের বড় উৎস হলেও প্রায়ই উপেক্ষিত থেকে যায়।

স্যাটেলাইট ডেটা ও মাঠপর্যায়ের রিপোর্টিং ব্যবহার করে কীভাবে গ্যাস নির্গমন শনাক্ত করা যায়— এখানে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে; নির্গমন কমানোর উদ্যোগগুলো মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে; এবং বায়োগ্যাস সংগ্রহ থেকে কম্পোস্টিং পর্যন্ত বাস্তবসম্মত সমাধান ও বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। এই রিসোর্সটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং স্থানীয় পর্যায়ের রিপোর্টিংকে আরও জোরদার করতে সাংবাদিকদের সহায়তা করে।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন থিন লেই উইন ও দেবোরা নেলসন

GIJN Food Insecurity Reporting Guide
জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন এমিল হাসনাইন

বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট প্রতিবেদন ২০২৫ অনুযায়ী, গত এক দশকে তীব্র ও জীবনসংকটাপন্ন ক্ষুধার মুখে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে ৫৩টি দেশে ২৯৫ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এর প্রধান কারণ ছিল সংঘাত। এরপর অর্থনৈতিক ধাক্কা ও বৈরি আবহাওয়া। তবু খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে অনুসন্ধান করা এখনো সাংবাদিকদের জন্য একটি কঠিন বিষয়।

তাদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক থিন লেই উইন ও দেবোরা নেলসন সাংবাদিকদের জন্য একটি রিপোর্টিং গাইড তৈরি করেছেন, যা খাদ্য বৈষম্য, দুর্ভিক্ষ ও অনাহারের কারণ বুঝতে সহায়তা করে। গাইডটিতে সাংবাদিকদের জন্য কারিগরি শব্দগুলো শ্রেণিবিন্যাস ও সহজ করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি কোথায় ডেটা পাওয়া যাবে সে বিষয়ক রিসোর্সের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং আরও কোন কোন ক্ষেত্র সাংবাদিকরা গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে পারেন, তা চিহ্নিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভূমি সংঘাত অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন কুমার সাম্ভব শ্রীবাস্তব

Land Conflict Guide in South Asia

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন সিদ্ধেশ গৌতম

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ভূমির স্বল্পতা স্বাভাবিকভাবেই ভূমি ও এর প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার ও মালিকানা নিয়ে স্থানীয় সম্প্রদায়, ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, রাজনৈতিক শ্রেণি ও সরকারের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জন্ম দেয়। এসব সংঘাত প্রায়ই এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, যা বিশেষভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে, আদালতের ওপর চাপ বাড়ায় এবং বড় বিনিয়োগ কার্যক্রমের গতি থামিয়ে দেয়।

এই গাইডটি সাংবাদিকদের কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে সহায়তা করে। যেমন,ভূমি সম্পদ বিষয়ক সংঘাতের কারণ কী, এর প্রভাব কতটা, কারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারা এই সংঘাতে জড়িত এবং তাদের উদ্দেশ্যগুলো কীভাবে সংঘাতকে রূপ দেয়। পাশাপাশি, বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের বসতিপূর্ণ এই অঞ্চলের ভূমি সংঘাতের ওপর প্রতিবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় টুল ও রিসোর্সও গাইডটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

বিদেশি লবিং অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন অ্যান্ড্রু লেহরেন  নিকোলিয়া অ্যাপোস্টলো

GIJN Guide to Investigating Foreign Lobbying

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন লুইজা কারাজিওর্জিউ                                                            

জিআইজেএনের এই গাইডটি বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের বিদেশি বিভিন্ন পক্ষের নীতিনির্ধারণে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা উন্মোচন ও তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করে। এতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে লাতিন আমেরিকা ও অন্যান্য অঞ্চলের আন্তর্জাতিক লবিং আইন ও ডেটাবেসের একটি  পর্যালোচনা রয়েছে। পাশাপাশি প্রকাশ্য নথি ব্যবহার করে কীভাবে তথ্য প্রকাশের রেকর্ড খুঁজে বের করতে হয়, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর গতিবিধি আঁচ করা যায়, প্রভাব বিস্তারের কৌশল বিশ্লেষণ করা যায় এবং পাবলিক রেকর্ড কাজে লাগানো যায়—সে বিষয়ে ব্যবহারিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গাইডটিতে তুলে ধরা হয়েছে আজারবাইজানের ‘ক্যাভিয়ার ডিপ্লোমেসি’ এবং কাতারের পক্ষে গোপন লবিংয়ের মতো সাম্প্রতিক উদাহরণ। একই সঙ্গে, আড়ালে থাকা লবিং নেটওয়ার্ক উন্মোচন এবং ক্ষমতাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও উপায় বলে দিয়ে অনুসন্ধানের জন্য প্রস্তুত করে এই গাইডটি।

বর্ণপ্রথা অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন সাগর চৌধুরী

Caste Guide illustration main

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন সিদ্ধেশ গৌতম

ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশে বর্ণপ্রথা একটি স্পর্শকাতর ও প্রায়ই ট্যাবু বা নিষিদ্ধ বিষয়। তবে এই গাইডটি বর্ণপ্রথা ব্যবস্থার জটিলতা সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং বর্ণভিত্তিক বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে কার্যকর প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, সে বিষয়ক ব্যবহারিক পরামর্শ তুলে ধরে। বিশেষ করে ভারতে বর্ণপ্রথা কীভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য গড়ে তোলে, তার পটভূমি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এছাড়া গাইডটিতে নথিপত্র সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার নেওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষপাত শনাক্ত করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে। ডেটা সংগ্রহ ও নৈতিক ঝুঁকি সামাল দেওয়ার বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শের মাধ্যমে এই গাইড সাংবাদিকদের বর্ণপ্রথার গতিবিধি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম করে।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালগরিদম অনুসন্ধানের গাইড: লিখেছেন লাম থুই ভো

Ilustración: Nodjadong Boonprasert para GIJN

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন নজজাদং বুনপ্রাসার্ট

সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম নিয়ে প্রতিবেদন করা যেতে পারে বিভিন্নভাবে। অ্যালগরিদমগুলো কেবল জটিলই নয়, এগুলো কীভাবে কাজ করে বা এগুলো কীভাবে তৈরি করা হয়েছে কোম্পানিগুলোও সাধারণত তা প্রকাশ করে না। এই গাইডটি সাংবাদিকদের বুঝতে সাহায্য করে অস্বচ্ছ প্ল্যাটফর্ম নীতি কীভাবে ভুল তথ্য, ঘৃণাসূচক বক্তব্য এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

এতে অ্যালগরিদমের মৌলিক বিষয় আর মিডিয়া ইকোসিস্টেমের গতিশীলতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কন্টেন্ট অনুসরণ ও পরীক্ষার মতো ব্যবহারিক পদ্ধতির মাধ্যমেদেখানো হয়েছে নেতিবাচক প্রভাব উন্মোচনের উপায়। গাইডটি কীভাবে  সাংবাদিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি এবং অদৃশ্য অ্যালগরিদমিক প্রভাব প্রকাশ করতে সক্ষম করে বৈশ্বিক উদাহরণের মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্ট কনটেন্ট শনাক্তের গাইড: লিখেছেন হেঙ্ক ফন এস

AI Detection Reporting Guide

জিআইজেএনের জন্য এই অলঙ্করণটি করেছেন নজজাদং বুনপ্রাসার্ট

আমরা এমন একটি বিন্দুর দিকে অগ্রসর হচ্ছি, যেখানে তথ্য বনাম ভুল তথ্যের অনুপাত প্রায় সমান হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সত্য তথ্য যে গতিতে ছড়াচ্ছে, ভুল তথ্যও প্রায় তত দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে কোনটা সত্য কোনটা ভুল বোঝা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এই গাইডে খ্যাতনামা প্রশিক্ষক হেঙ্ক ফন এস সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেছেন বার্তাকক্ষে সময়সীমার (ডেডলাইন) চাপের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সৃষ্ট কনটেন্টগুলো কীভাবে শনাক্ত করা যায়। তিনি সাতটি আধুনিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি তুলে ধরেছেন, যা প্রতিটি অনলাইন প্রতিবেদকের জানা জরুরী।

এটি ছিল জিআইজেএনের ২০২৫ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় গাইড।

চীনা কোম্পানি নিয়ে অনুসন্ধানের ওপেন সোর্স গাইড: লিখেছেন চু ইয়াং

Asia Focus Investigating Chinese Companies resource guide

অলঙ্করণ জিআইজেএন

১৪০ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। চীনা কর্পোরেট কর্মকাণ্ড, সরকারি নীতি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সরাসরি বিভিন্ন প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রাপ্তির চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং পরিবেশও আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।

এই গাইডটি চীন সংক্রান্ত যেকোনো অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় উন্মুক্ত ডেটার (ওপেন ডেটা) সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দেয়—পাবলিক ডেটাবেস থেকে শুরু করে সরকারি উৎস, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিজেদের প্রকাশিত তথ্য আর আইন ও বিচারসংক্রান্ত নথি পর্যন্ত। পাশাপাশি, চীনের অভ্যন্তরীন তথ্য–ইকোসিস্টেম কীভাবে বুঝে নিতে ও সেখানে কাজ করতে হয়, সে বিষয়ে এই গাইডে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত তিনটি অধ্যায়সহ যুদ্ধাপরাধ রিপোর্টিং গাইড: লিখেছেন ভিভিয়ান এনজি, আইয়ান ওভারটন, এবং ম্যাগি মাইকেল

People gather to receive meals from the organization Rafah Charitable Kitchen, as Palestinians face famine in Khan Yunis, in the southern Gaza Strip, on January 2, 2025

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে অবস্থিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রাফাহ চ্যারিটেবল কিচেন থেকে খাবার গ্রহণের জন্য জড়ো হয়েছেন ফিলিস্তিনের অনাহারী জনগণ, জানুয়ারি ২০২৫। ছবি: শাটারস্টক

জিআইজেএনের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক গাইডটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। এখন এতে সময়োপযোগী তিনটি নতুন অধ্যায় যোগ করা হয়েছে: অস্ত্র বাণিজ্য, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, এবং অনাহার। কোনো অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ কখন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হতে পারে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি কখন আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে বিচারের আওতায় আনা যায়, এবং কখন খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়— এই অধ্যায়গুলো সাংবাদিকদের এসব বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানে সহায়তা করবে। এই গাইডটি একাধিক অনলাইন বুকস্টোরে ই–বুক হিসেবেও পাওয়া যাচ্ছে

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের স্কলারশিপের তালিকা: লিখেছেন এমিলি স্যুলিভান

Scholarships grants academic study journalism

ছবি: শাটারস্টক

জিআইজেএনের ১৪ জন আঞ্চলিক সম্পাদক নেটওয়ার্কের সহযোগীতায় রিসোর্স সেন্টারের গবেষক এমিলি ও’স্যুলিভান বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের স্কলারশিপের একটি তালিকা তৈরি করেছেন। অর্থায়নের এই সুযোগগুলো অনুসন্ধানী বা ডেটা সাংবাদিকতার কোর্সের জন্য প্রযোজ্য। পাশাপাশি সাংবাদিকতা বিষয়ক যেসব ডিগ্রি প্রোগ্রামে অনুসন্ধানী বা ডেটা মডিউল রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


আমেল ঘানি  পাকিস্তানভিত্তিক একজন সাংবাদিক এবং জিআইজেএনের রিসোর্স সেন্টারের গবেষক উর্দু সম্পাদক। তিনি দেশে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান, পরিবেশ, শ্রম অধিকার এবং প্রযুক্তি ডিজিটাল অধিকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেন। তিনি একজন ফুলব্রাইট ফেলো এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ।

Nikolia Apostolou, GIJN Resource Center Directorনিকোলিয়া অ্যাপোস্টলো  জিআইজেএনের রিসোর্স সেন্টারের পরিচালক। গত ১৮ বছর ধরে গ্রিস, সাইপ্রাস এবং তুরস্ক থেকে বিভিন্ন তথ্যচিত্র নির্মাণ লেখালেখি করছেন। তিনি বিবিসি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এজে+, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউ হিউমেনিটারিয়ান, পিবিএস, ইউএসএ টুডে, ডয়েচে ভেলে, আলজাজিরাসহ ১০০এর বেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে শুরু হওয়া গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট এবং ইউরোপীয় শরণার্থী সমস্যা নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন করেছেন। তার তৈরি তথ্যচিত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে দেখানো হয়েছে। জয় করে নিয়েছে একাধিক পুরস্কার। নিকোলিয়া কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব জার্নালিজম থেকে ডিজিটাল মিডিয়ার ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন গ্রিসের এথেন্সের প্যান্টিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টারের ২০২৪ সালের সেরা গাইড ও টিপশিট

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সাংবাদিকদের। তথ্য সংগ্রহ, অংশীদারত্বমূলক কাজ, প্রকল্পের অর্থ যোগান , পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা জ্বালানী বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার রসদ পেতে বেশ কিছু গাইড প্রকাশ করেছে জিআইজেএন। দেখুন এই প্রতিবেদন।

পরামর্শ ও টুল সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

জিআইজেএনের ২০২৪ সালের সেরা অনুসন্ধানী টুল

কৌতূহল, সাহস ও অংশিদারত্ব বছরজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নিয়েছে। এই সাংবাদিকতাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে দারুন কিছু টুল। একনজরে দেখে নিন চলতি বছরের সাড়া জাগানো অনুসন্ধানে ব্যবহৃত টুল ছিল কোনগুলো।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চীন-পন্থী প্রচারণা, গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম, সবুজ বিভ্রম: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনলাইনে প্রচারণা, ভুয়া তথ্য, নারী অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর সাইবার হামলা, অবৈধভাবে খনন বা গাছ কাটা বিষয়ে পরিচালিত কয়েকটি অনুসন্ধান জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

ব্যক্তিগত বন্দিশালা, ওয়াটার মাফিয়া, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ: ২০২৩ সালে পাকিস্তানের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ২০২৩ সালে পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমন ৮টি প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।