স্টোরি প্লেবুক: ছাঁচে ঢেলে দিন শব্দ, হয়ে যাবে গল্প
এফটির স্টোরি প্লেবুক ব্যবহারের একটি উদাহরণ।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বিশ্বের সবচেয়ে বড় পত্রিকাগুলোর একটি। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড়শটি খবর ছাপে তারা, আর কত খবর যে কাভার করে তার হিসেব নেই। বিষয়বস্তুর দিক থেকেও আছে বৈচিত্র্য। ব্যাংক ঋণ থেকে শুরু করে জাপানে সম্রাট নারুহিতোর অভিষেক – পত্রিকার পাতায় বাদ পড়ে না কিছুই।
প্রতিদিন এতো খবর, এতো রকমের বিষয় – তবু লেখাগুলোকে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা চাই। এজন্য পরিস্থিতির দাবি বুঝে তারা তথ্য উপস্থাপন করেন স্পষ্ট ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে : তা সে দীর্ঘদিন ধরে চলা কোনো কাহিনীর হালনাগাদ চিত্রই হোক, অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রোফাইল।
এই ডিজিটাল ফরম্যাটগুলো আমাদের কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেই থাকে। যেকোনো রিপোর্টার বা সম্পাদক সহজেই তা ব্যবহার করতে পারেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের মত বড় আকারের নিউজরুমের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ ছিল, প্রতিবেদন লেখার এমন ছাঁচ তৈরি করা যা প্রয়োজনের সাথে মিলিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করা যাবে। একারণে রিপোর্টের ধরণ ভুলে গিয়ে, আমাদেরকে বেশি ভাবতে হয়েছে লেখার প্রক্রিয়া নিয়ে।
ফলাফল, এক সেট টেম্পলেট বা ছাঁচ। ছয় মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে, এই টেমপ্লেটগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের নাম দেয়া হয়েছে এফটির স্টোরি প্লেবুক।
গল্প বলার সহজ এই ডিজিটাল ফরম্যাটগুলো পাওয়া যায়, আমাদের কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেই। সেখানে গিয়ে যে কোনো রিপোর্টার বা সম্পাদক, যখন তখন এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্লেবুক (এফটির) নিউজরুমের সংস্কৃতিকেও বদলে দিয়েছে অনেকটাই। আমাদের কাগজের পত্রিকায়, কিছু শব্দ বেশ প্রচলিত। যেমন: দ্য বেইজমেন্ট (৩৫০ শব্দের মজার কোনো প্রতিবেদন যেটি প্রথম পৃষ্ঠার ঠিক ভাঁজের নিচে থাকে), অথবা পেইজ থ্রি (৯০০ থেকে ১২০০ শব্দে দিনের সবচেয়ে বিশ্লেষণধর্মী লেখা, যা তৃতীয় পৃষ্ঠার একেবারে উপরে থাকে)। এফটির সাংবাদিকদেরকে ক্যাটফ্ল্যাপ, বার্ডকেইজ ও স্কাইলাইন – এমন শব্দের মানে আলাদা করে বোঝাতে হয় না।
ঠিক ছাপা সংষ্করণের মতোই, অনলাইন স্টোরির জন্যেও নতুন কিছু শব্দ তৈরি করেছে এই প্লেবুক। শব্দগুলো শুনেই নিউজরুমের সবাই বুঝতে পারবেন কোন ধরণের স্টোরি নিয়ে কথা হচ্ছে।
পরিচিত হোন প্লেবুক টেমপ্লেটের সাথে
প্লেবুকে এখন পর্যন্ত ৫টি টেমপ্লেট আছে। আমাদের গিটহাব অ্যাকাউন্ট থেকে নামিয়ে, যে কেউ সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে আরো মিলবে ভিজ্যুয়াল ভোকাবুলারি এবং প্রজেক্ট টুলকিটের মত, আমাদের অন্যসব ওপেন সোর্স রিসোর্সও।
প্রোফাইল কার্ড
পাঠকের কাছে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বিষয়ের পরিচিতি (প্রোফাইল) তুলে ধরতে এই কাঠামো ব্যবহার করা হয়। যেমন:
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে মার্ক কার্নির জায়গা কে নিচ্ছেন? নটরডেমের গুপ্তধন ও প্রত্নসম্পদ জার্মান ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন যে আট ব্যক্তি
চার্টিকেল
চার্ট বা গ্রাফের মাধ্যমে কোনো প্রবণতা বা পরিবর্তন ব্যাখ্যা করা হয় যেসব প্রতিবেদনে। যেমন:
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমানা সঙ্কট নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, চার্টে ৫টি চার্টে মার্কিনীদের গড় আয়ুর বিশাল বৈষম্য এশিয় শতকের যাত্রা শুরু
টাইমলাইন স্টোরি
যে খবর নিয়মিত আপডেট করতে হয় এবং যার মাধ্যমে পাঠক সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখে নিতে পারেন।
গোলান হাইটসে ইসরায়েল – একটি টাইমলাইন ডেবেনহ্যামসের নিয়ন্ত্রণ: একটি টাইমলাইন টাইমলাইন: নূরসুলতান নজরবায়েভ -শাসন ক্ষমতার তিন যুগ
পাঠক প্রতিক্রিয়া
কোনো বড় ঘটনা নিয়ে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া; সেটি হতে পারে তাদের কাছ থেকে আহবান করে পাওয়া অথবা কোনো প্রতিবেদনে তাদের নিজেদের করা মন্তব্য।
ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ কতটা যৌক্তিক? এফটি পাঠকদের প্রতিক্রিয়া কীভাবে শিল্পনির্ভর কর্মসংস্থান ফেরাতে পারে আমেরিকা ? এফটি পাঠকদের প্রতিক্রিয়া যাত্রীদের মালামাল হারানোর গোলকধাঁধা: এফটি পাঠকদের প্রতিক্রিয়া
ছবির গল্প
যে প্রতিবেদনের মাধ্যমে, কী ঘটেছিল তা দেখতে পান পাঠক। যেমন:
বন্ধ হয়ে গেল টোকিওর কিংবদন্তিতুল্য সুকিজি মাছ বাজার ইউক্রেন: ইউরোপের বিস্মৃত এক যুদ্ধক্ষেত্র মিডলসবোরোতে ব্রেক্সিট দিবস: “মানুষ সরকারের ওপর বিরক্ত”
প্লেবুকের উপকরণ
এই প্রতিবেদনগুলোর ফরম্যাট একটি টেম্পলেট আকারে আমাদের কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে রাখা থাকে, যেন যে কোনো রিপোর্টার অথবা সম্পাদক “পাঠক প্রতিক্রিয়া” প্রতিবেদন বা “টাইমলাইন স্টোরি” তৈরি করতে পারেন, স্রেফ শূন্যস্থান পূরণ করেই।
তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ফরম্যাটগুলোতে বেশ কিছু নির্দেশনা আর বেস্ট প্র্যাকটিসের নমুনা থাকে। টেমপ্লেটে প্রবেশ করলেই উদাহরণগুলো দেখা যায়।
স্টোরি প্লেবুক আর্টিকেল লেখার জন্য নির্দেশনা যেভাবে থাকে।
গিটহাবে আমরা যে “চিট শিট” গাইড প্রকাশ করেছি, সেখানেও এই নির্দেশনা ও বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো আছে। সেখান থেকে আরো যেসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে:
এটা কোথায় খুঁজে পাব? এটা কোন কাজের জন্য ভাল? কোন কাজের জন্য ভাল নয়? আগের ভাল উদাহরণ কোনগুলো? এরকম একটা জিনিস তৈরিতে কত সময় লাগবে? কাদের সাথে কথা বলা প্রয়োজন হতে পারে? আমাকে কী করতে হবে?
সবাইকে প্লেবুক ব্যবহার শিখিয়েছেন যারা
বার্তাকক্ষের ভেতরে ডিজিটাল ও ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং উন্নত করার জন্য যে বড় ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয়, তারই অংশ হিসেবে এসেছে স্টোরি প্লেবুক। সম্প্রতি আমরা ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারদের (ডিজিটাল এডিটররা আমাদের মূল নিউজ ডেস্কের সঙ্গেই যুক্ত থাকেন) একটি দল তৈরি করেছি। আমি এর নেতৃত্ব দিই। আমাদের মূল চেষ্টা ছিল, প্রতিবেদনটি “কত শব্দের হবে,” এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, “এই গল্পটা বলার সেরা উপায় কী?” তাতেই মনোযোগ দেয়া।
আমরা খুব দ্রুতই বুঝতে পারি, একজন ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারের পক্ষে, একাই সব স্টোরিতে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ভালো প্রতিবেদন তৈরির জন্য এমন টুল থাকা দরকার, যা সব সম্পাদকই ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে প্রতিটি স্টোরির জন্য আর আলাদা প্রোডিউসার দরকার হবে না।
৬০০-৮০০ শব্দের প্রতিবেদনের বিকল্প কাঠামো হিসেবে আমরা এসব টেমপ্লেট গড়ে তুলেছি, যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার উপযোগী।
সৌভাগ্যবশত, প্লেবুক টেমপ্লেট তৈরির জন্য যা যা প্রয়োজন তার প্রায় সব কিছুই আমাদের হাতের কাছে ছিল। দুই বছর আগে আমাদের ‘প্রোডাক্ট টিম’ কয়েকটি লেআউট তৈরি করেছিল। সেগুলো জোড়া দিয়ে অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ স্টোরি দাঁড় করানো সম্ভব ছিল। কিন্তু এর বেশিরভাগই ব্যবহার করা হয়নি। কারণ তখন সম্পাদক বা রিপোর্টাররা জানতেনই না, এগুলো দিয়ে কী করা যায়।
প্লেবুকের ব্যবহার শেখানোর ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসাররা। তারা নতুন নতুন টেমপ্লেট পরীক্ষা করে দেখেছেন। সম্পাদকরা কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করছেন, সেটা পর্যবেক্ষণ করেছেন। কীভাবে আরো ভালো করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন।
টেমপ্লেটগুলো যেন সঠিক সময়ে উপস্থাপন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ছিলাম। নতুন টেমপ্লেট গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্টোরিতে অন্তত একবার ব্যবহার করার পরই কেবল আমরা সেটা উপস্থাপন করতাম সম্পাদকদের সাপ্তাহিক বৈঠকে। ফলে কোনো ছাঁচটি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তার একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরণ সবার সামনে তুলে ধরা যেত। এটাও পরিস্কার হতো, আমরা হাওয়া থেকে এই টেমপ্লেটগুলো বানাচ্ছি না।
পাঠকের জন্য ডিজাইন
প্রথাগত ৬০০-৮০০ শব্দের প্রতিবেদনের বিকল্প হিসেবে আমরা এসব টেমপ্লেট বানিয়েছি। নিজেদের মতো গড়েপিটে নিয়েছি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যবহারের উপযোগী করে।
৮০০ শব্দের প্রতিবেদনও একটা বৈচিত্র্যপূর্ণ ফরম্যাট। কিন্তু এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে: ৮০০ শব্দের একটি প্রতিবেদনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মূল তথ্যটি চট করে খুঁজে বের করা পাঠকের জন্য কঠিন হতে পারে। আর কোনো পাঠক যদি প্রতিবেদনে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেন, তাহলে তিনি সেখান থেকে কী জানার প্রত্যাশা করতে পারেন, তেমন কোনো নির্দেশনাও প্রায়শ থাকে না।
পাঠক কী চায়, সেটা চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমরা শুরু করি। নিজেদের জিজ্ঞাসা করি: “একটা আর্টিকেল খোলার পর পাঠকের মনে কী কী প্রশ্ন বা চিন্তা আসতে পারে?” তাদের প্রশ্নগুলো হতে পারে এমন:
কী ঘটেছে? মানুষগুলো কারা? এই পর্যন্ত আমরা কীভাবে এলাম? বাহ! এটা তো বিস্ময়কর! এটি কীভাবে কাজ করে? কেন আমি গুরুত্ব দিব? আমার কী জানা প্রয়োজন? বিষয়টি নিয়ে আর কোন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে? অন্য পাঠকরা কী ভাবছে?
এসব প্রশ্ন মাথায় নেওয়ার পরই আমরা ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট নিয়ে ভাবার চেষ্টা করি, আর সেটা পাঠকের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজাতে থাকি।
সব কিছুর জন্যই নতুন ফরম্যাটের প্রয়োজন হয় না। “কী হয়েছে”- এই প্রশ্নের জবাব এখনো সবচেয়ে ভালোভাবে পাওয়া যায় প্রথাগত নিউজ আর্টিকেল ফরম্যাটে। আবার “আমি কেন গুরুত্ব দেব”- এর জবাব সব স্টোরিতেই থাকার কথা। কিন্তু অারো কিছু প্রশ্ন আছে, যার উত্তর সাজিয়ে দেওয়ার জন্য দরকার হয় টেমপ্লেট। যেমন, “ব্যক্তিটি কে”- এই প্রশ্নের জন্য আসে প্রোফাইল কার্ড। “আমরা কীভাবে এই পর্যন্ত এলাম”- এই প্রশ্নের উত্তর সাজানো হয় টাইমলাইন স্টোরির মাধ্যমে।
সফলতা যাচাই
স্টোরি প্লেবুকের সফলতা যাচাইয়ের সময় আমরা দুটি প্রশ্ন বিবেচনা করি:
স্টোরি প্লেবুক টেমপ্লেটগুলো কি নিয়মিতভাবে ও বিচক্ষণতার সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে? প্রথাগত প্রতিবেদনের চেয়ে কি এগুলোই বেশি তথ্যবহুল বা পাঠকের জন্য উপকারী হচ্ছে?
উত্তর পেতে আমরা সংখ্যা ও গুণগত; দুই পদ্ধতিই ব্যবহার করেছি। প্রাথমিক লক্ষণগুলো ইতিবাচক। এখন প্রতি সপ্তাহে বেশ কিছু স্টোরি প্লেবুক আর্টিকেল তৈরি হচ্ছে। সেগুলো বেশি বেশি করে উঠে আসছে আমাদের ওয়েবসাইটের হোমপেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর স্টোরি প্লেবুক আর্টিকেলগুলোতে পাঠক আটকে থাকছে। এগুলো পড়ার প্রবণতাও বেশি দেখা যাচ্ছে।
ভিজ্যুয়াল জার্নালিজম নিয়ে একটা মূল্যায়ন পাওয়ার জন্য আমরা চার হাজার পাঠকের ওপর একটা জরিপ চালিয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, তুলনামূলক কমবয়সী এবং খুব বেশি মনোযোগী না; দুই ধরণের পাঠকই ভিজ্যুয়াল জার্নালিজমকে বেশি মূল্যবান মনে করছে। যা থেকে বোঝা যায়, এফটির জন্য নতুন পাঠকগোষ্ঠী তৈরিতে প্লেবুকের কার্যকরিতা আছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
পাঠক ও অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমরা বিদ্যমান টেমপ্লেটগুলোকে আরো উন্নত করছি। এরই মধ্যে ভিন্নধর্মী কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। যেমন, কাউকে স্মরণ বা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা ব্যবহার করছি রিডার্স রেসপন্স টেমপ্লেট।
পাশাপাশি নতুন আরো ফরম্যাট নিয়ে আসার সুযোগও খুঁজছি আমরা। বিশেষ করে যেখানে কনটেন্টগুলোকে ডায়নামিক বা ইন্টারঅ্যাকটিভ কায়দায় উপস্থাপন করা যায়। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এক্ষেত্রে আমরা বিবিসি নিউজ ল্যাবসের ত্রিস্তান ফার্নের তৈরি করা কাঠামো দিয়ে প্রভাবিত হয়েছি।
নতুন কিছু উদ্ভাবন এবং তা পরীক্ষা করা – দুই ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি প্রয়োজন। প্রচারের জন্য এখনো সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে আমাদের হোমপেইজটি। এখানে অবশ্য বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের চেয়ে টাটকা খবরকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমাদের বিশ্লেষণ বলছে আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। মূল্যবান কিছু করছি।
আমরা আপনাদের কাছ থেকেও শুনতে চাই, নতুন ফরম্যাট চালু করার সময় কোন বিষয়গুলো কাজ করে, আর কোনগুলো করে না। আপনি যদি এই টেমপ্লেটগুলো আপনার নিউজরুমে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন robin.kwong@ft.com এই ঠিকানায়।
আর্টিকেলটি সোর্সে প্রথম প্রকাশিত হয়। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হল।
রবিন কং এফটির ডিজিটাল ডেলিভারি বিভাগের প্রধান। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কীভাবে স্টোরিটেলিংয়ে নতুন দিগন্ত রচনা করা যায় তা নিয়ে পরীক্ষা চালান তিনি। কাজ করেন কীভাবে নিউজরুমজুড়ে প্রজেক্ট প্ল্যানিং রুটিন তৈরি করা যায়, তা নিয়েও।