প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Rio de Janeiro military police outside favela
Rio de Janeiro military police outside favela

Rafael Soares has spent years investigating killings and abuse of power by the police in Rio de Janeiro's poor communities. Image: Shutterstock

লেখাপত্র

বিষয়

রাফায়েল সোয়ারিস যেভাবে রিওতে পুলিশি হত্যাকাণ্ড অনুসন্ধান করেন

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

Rio de Janeiro military police outside favela

ব্রাজিলের প্রতিবেদক রাফায়েল সোয়ারিসের মূল মনোযোগ রিও ডি জেনিরোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর পুলিশি বর্বরতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারে। ছবি: শাটারস্টক

ব্রাজিলের রিপোর্টার রাফায়েল সোয়ারিসের মতে, তাঁর জন্মস্থান রিও ডি জেনিরো এমন এক শহর যেখানে “স্বর্গ ও নরক মিলেমিশে যায়।” শহরটিকে তিনি ভালোবাসেন, – “বিশ্বের সেরা জায়গা” – তবে একই সঙ্গে এই মহানগরের পদে পদে আছে সহিংস অপরাধ আর নিরাপত্তাহীনতা৷

তিনি যে বিটে কাজে করেন, সেখানে তিনি সামরিক বাহিনী ও পুলিশি বর্বরতা অনুসন্ধান করেন। আপাতদৃষ্টিতে অপরাধের হার কমিয়ে আনতে গিয়ে তারা এসব বর্বরতা ঘটিয়ে থাকেন। তিনি বলেছেন, গত বছর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হাতে রিও প্রদেশে ১৩০০ জন নিহত হয়েছে। অংকটি গোটা যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত পুলিশি হত্যাকাণ্ডের চেয়ে বেশি, যেখানে পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে বড় আকারের বিক্ষোভও হয়েছে। সোয়ারিস বলেছেন, “পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা সমাজকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তো যুদ্ধে জড়াইনি।”

Rafael Soares profile picture

রাফায়েল সোয়ারিস। ছবি: সোয়ারিসের সৌজন্যে

গ্লোবো নিউজ গ্রুপের অংশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা এক্সট্রাতে প্রথমবারের মত নবীন রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন সোয়ারিস। তখন তাঁকে সামরিক পুলিশ বিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অপরাধ বিষয়ক ডেস্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এর ফলে তিনি প্রতিভাবান অনুসন্ধানী প্রতিবেদকদের একটি দলের কাছ থেকে শিখেছিলেন। তিনি স্টোরির জন্য পাবলিক ডেটার খোঁজে নেমে পড়েন, কিন্তু পর্যাপ্ত ডেটা না পেয়ে ঘাটতি পূরণে অন্যান্য সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে নিজস্ব ডেটাবেস গড়ে তোলেন। বর্তমানে তিনি এই নিউজ গ্রুপের নামকরা পত্রিকা গ্লোবোতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন, আইন প্রয়োগ সংশ্লিষ্ট সহিংসতার অন্ধকারাচ্ছন্ন জটিল জগত উন্মোচনে প্রায় এক দশক কাটিয়েছেন।

তিনি যেসব ঘটনা নিয়ে কাজ করেন, সেগুলোতে প্রায়ই দাবি করা হয় যে জড়িত কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমন দাবি সামনে আনা হয়, অনুসন্ধানী নজর এড়াতে। তাই সোয়ারিস আগে সাক্ষীর খোঁজ করেন; তিনি ফরেনসিক রিপোর্টও খতিয়ে দেখেন যে তাতে পুলিশী অপকর্মের প্রমাণ মেলে কিনা।

সোয়ারিস বলেন, “এই ঘটনাগুলো এমন জায়গায় হয়ে থাকে যার নাম হয়তো আপনি কখনো শোনেননি – যেমন; দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাস যেখানে, যাদের নিয়ে তেমন একটা সংবাদ হয় না।” তিনি বলেন, “আমি ব্রাজিলের প্রথম সারির একটি পত্রিকায় কাজ করি। হয়ত আজও রিওতে পুলিশের হাতে তিনজন নিহত হবে। অথচ ঘটনাগুলো আগামীকালের পত্রিকায় আসবে না, আর তা নিয়ে কোথাও কোনো কথা হবে না। ব্যাপারটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আর অন্যান্য পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে অপরাধের সংবাদে নিয়োজিত সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলেই যান না।”

২০১৯ সালের জুলাই মাসে রিওতে এক মাসের রেকর্ড-সংখ্যক পুলিশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোয়ারিসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন — রিও ডি জেনিরোতে নিরপরাধ মানুষ যেভাবে মারা যায়ডেটা সাংবাদিকতার জন্য অনুসন্ধানী বিভাগে ২০২০ ক্লডিও ওয়েবার আব্রামো পুরস্কার জিতেছে।

সেই অনুসন্ধানে “পুলিশ-ডাকাত সংঘর্ষের” মোট ১২টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে আসলে ভুলত্রুটির গুরুতর প্রমাণ পাওয়া যায়। সোয়ারিস জানান, “এসবের ফলে নিরাপরাধ মানুষ হত্যার জবাবদিহিতা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে বাস্তবতা আড়ালের সুযোগ তৈরি হয়।”

তিনি থমসন ফাউন্ডেশনের ২০২১ কার্ট শর্ক অ্যাওয়ার্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজমে স্থানীয় রিপোর্টার বিভাগে পুরস্কারও জিতেছেন। পুরস্কার পর্ষদের বিচারকেরা তাঁর “নির্ভুল গবেষণা, সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সাংবাদিকতা” এবং “লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের” প্রয়াসকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। 

আমরা সোয়ারিসের কাছে তাঁর প্রিয় পদ্ধতি ও টুল সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। এগুলোকে তিনটি সাধারণ ভাগে ভাগ করা হয়েছে: বড় আকারের ডেটাবেস গড়তে উন্মুক্ত তথ্য খোঁজা; পুলিশের ফরেনসিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখা; এবং প্রথাগত মাঠ-রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে ডেটাকে মিলিয়ে রিপোর্ট করা।

১. বড় ডেটাবেস গড়তে উন্মুক্ত তথ্য খোঁজা

জন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ডেটা থেকে শুরু করে খুন ও অপরাধের পরিসংখ্যান, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্র্যাক করার সক্ষমতা হলো সোয়ারিসের কর্মজীবনের মূল দিক। সোয়ারিস বলেছেন, “আমি রিওতে সংঘটিত অপরাধের সরকারি ডেটায় চোখ রাখি, যা প্রতি মাসে প্রকাশ করা হয়। অপরাধের এই সূচক স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করা হয়, তবে তাতে কাঙ্খিত তথ্য সবসময় পাওয়া যায় না।” তিনি বলেন, “ব্রাজিলে অপরাধ নিয়ে যারা কাজ করছেন – আর আমার সঙ্গে কর্মরত তরুণ সাংবাদিকদেরকে আমি বলি – আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা হয়ত সরকারের কাছে নাও থাকতে পারে৷ তাই আপনাকেই নিজের ডেটা তৈরি করতে হবে।”

যেসব ডেটা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, সেসব ক্ষেত্রে সোয়ারিস রিপোর্ট ও অনুসন্ধানের স্বার্থে তথ্য অধিকার আইনের (এফওআইএ) মাধ্যমে আবেদন করেন, যা তাঁর প্রতিবেদন তৈরিতে কাজে আসে। তিনি বলেন, “২০১১ সাল থেকে ব্রাজিলে তথ্য অধিকার আইন বলবৎ থাকলেও রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলে এখনও স্বচ্ছতার বালাই নেই। বিশেষ করে প্রদেশ ও পৌরসভাগুলো এখনো বেশ অস্বচ্ছ।” সম্প্রতি, তিনি একটি নির্দিষ্ট ঘটনার অবস্থান, তারিখ, সময় ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশে অপরাধ বিষয়ক মাইক্রোডেটা ব্যবহারের জন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছেন। তবে অনেক সময় তাও যথেষ্ট নয় বলে সোয়ারিস মনে করেন। তিনি বলেন, “সোর্স, সামাজিক মাধ্যম ও আদালতের মামলা থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে আমি ডেটা ঘাটতি পূরণ করি।”

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারোর আগ্নেয়াস্ত্র নীতি যেভাবে সংগঠিত অপরাধ চক্র ও মাদক কারবারিদের লাভবান করেছিল – এটি নিয়েই ছিল তাঁর সর্বশেষ অনুসন্ধান। এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “অস্ত্রের স্টোরিগুলোতে আমি ঠিক এমনটাই করেছি। আদালতের মামলাগুলো নিয়ে আমি জানুয়ারিতে ডেটাবেস বানানো শুরু করেছি। আমি আদালতের আদেশ, এবং ৩০টি বন্দুক ও প্রচুর গোলাবারুদ রাখার দায়ে শিকারী ও ক্রীড়া শুটারদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোতে নজর দিয়েছি। এই বন্দুক, এই মানুষগুলো যেভাবে ব্যাঙ্ক ডাকাতির উদ্দেশ্যে অপরাধী চক্রগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল, তা তুলে ধরতেই আমি এই মামলাগুলো নিয়ে কাজ শুরু করি।”

তিনি জানান, “কখনও কখনও আমি একেবারেই শুরু থেকে ডেটাবেস তৈরি করি। যেমন, নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাবারুদ ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধ নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে আমি এ বিষয়ে কোনো উন্মুক্ত ডেটাবেস পাইনি। তাই আমি নিজ থেকেই শুরু করি। শুরু করি আদালতের মামলাগুলো সংগ্রহের মাধ্যমে এবং এর পর যখনই বেহাত হওয়া গোলাবারুদ সংক্রান্ত মামলা পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে তা ডেটাবেসে যুক্ত করেছি।”

২. পুলিশের ফরেনসিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখা

অনেক সময় ফরেনসিক রিপোর্টে এমন সূত্র থাকে যা নিষ্পত্তি হওয়া মামলা বা অপরাধের ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত ফরেনসিক প্রমাণের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যের অমিল নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

সোয়ারিস বলেন, “আমি সাধারণত সোর্সের মাধ্যমে বা আদালতের কার্যক্রম থেকে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন পাই৷ পুলিশি সহিংসতা নিয়ে কাজ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি, কোনটি বন্দুকের গুলির ক্ষত। এখন আমি এই নথিগুলো পড়ে হত্যাকাণ্ডের চিহ্ন শনাক্ত করতে পারি – যেমন “উলকির মতো দাগ” থাকা মানে বন্দুকের নল ভুক্তভোগীর শরীরের কাছাকাছি ছিল। নিঃসন্দেহে আমার ব্যাখ্যা সঠিক কি না তা নিশ্চিত হতে প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করি।”

রিওতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে নিহতের ৩০ দিন নিয়ে তাঁর পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “পুলিশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদনটি এভাবেই করা হয়েছিল।” তিনি সেই অনুসন্ধানে সাক্ষীদের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে কথা বলতে তাদের ট্র্যাক করেছিলেন। কিছু ক্ষেত্রে তারা জানান, পুলিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের যা বলেছে, তা সত্য নয়। তিনি রিপোর্ট করেন যে, সেই মাসে পুলিশের হাতে সংঘটিত ১৯৫টি মৃত্যুর মধ্যে এক ডজনের ক্ষেত্রে “হত্যাকাণ্ডের আলামত” পাওয়া গেছে।

অস্পষ্ট বিষয় খোলাশা করতে বা নতুন সূত্রের খোঁজে সোয়ারিস এ ধরনের রিপোর্ট থেকে স্প্রেডশিট বানানো শিখেছেন। স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, “কর্মজীবনের শুরুতে আমি ব্রাজিলের অনুসন্ধানী সংস্থা আবরাজির সঙ্গে ছিলাম, আর তখন থেকেই গুগলশিট নিয়ে কাজ শুরু করি৷ সেসময় রিওতে পুলিশি অপরাধ নিয়ে কেউই তেমন কাজ করেননি। বছরের পর বছর ধরে আমি এটি গড়ে তুলেছি, যা আমার কাজে এসেছে।”

পুলিশি হত্যাকাণ্ডের সেই মাস নিয়ে স্টোরিতে তিনি এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি, এরপর সারণী করেছি, গুগল শিট বানিয়েছি। এখানে শহর, নিকটবর্তী এলাকা, মৃত্যুর সময়, ভুক্তভোগীর নাম ও হত্যার বৈশিষ্ট্য যোগ করেছি যেন বেশিরভাগ ঘটনার ঘটনাস্থল ও অপরাধের আলামত জানতে আমি একাধিক সূত্র দিয়ে এই ডেটা যাচাই করতে পারি। তারপর আমি রিও প্রদেশের পুলিশ দপ্তরে গিয়েছি। বিভিন্ন শহরে গিয়েছি, আর বেশিরভাগ অনুসন্ধান ও স্থানীয় ফরেনসিক রিপোর্ট ব্যবহার করতে পেরেছি।” এসবের খুঁটিনাটি? সেগুলোও গুগল শিটে জায়গা করে নিয়েছে।

৩.  ডেটা ও মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদন এক সুতোয় গাঁথা

সোয়ারিস বলেন, ডেটা যতই গুরুত্বপূর্ণ ধারা ও সূত্রের খোঁজ দিক, অনুসন্ধানী রিপোর্টারদের কখনোই জুতোর-সুকতলা-ক্ষয়-করা রিপোর্টিংয়ের গুরুত্ব ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটি সাংবাদিকতার মৌলিক অংশ। ডেটা নিয়ে কিছু কাজ আছে যা অনেক কিছুকেই সহজ করে দেয় এবং প্রাথমিক কাজগুলোকে জোরদার করতে পারে, তবে ঘটনাস্থলে যাওয়াটা মৌলিক বিষয়। আমি আরও যা করি: সাক্ষ্যের জন্য স্থানীয়দের কাছে যাই।”

২০১৭ সালের সালগুইরো গণহত্যায় রিও প্রদেশের একটি ছোট শহরে আটজনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁর করা অনুসন্ধানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সাক্ষীর খোঁজে আমি সেখানে না গেলে বেঁচে যাওয়া সেই ব্যক্তিকে কখনই খুঁজে পেতাম না, যিনি শেষ পর্যন্ত গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন।” এই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহরলত তিনটি সাঁজোয়া যান একটি লোকালয়ে ঢোকার সময় ভুক্তভোগীরা গুলিবিদ্ধ হন; অথচ, সোয়ারিসকে জানানো হয়েছিল, “সেই ভোরে কোনো সদস্য বন্দুকের ট্রিগার টানার কথা স্বীকার করেনি।”

Rafael Soares on-the-ground reporting

রাফায়েল সোরারিস বলেন, মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে ডেটা বিশ্লেষণকে এক সুতোয় গাঁথা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার “মৌলিক” বিষয়। ছবি: সোয়ারিসের সৌজন্যে

লম্বা সাক্ষাৎকারের দিন তারিখ আগেই ঠিক করা হয় আর তা বাড়ির ভেতরে নেয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে সোয়ারিস টেপ রেকর্ডার ব্যবহারের চেষ্টা করেন, তবে পথেঘাটে আরও তৎপর হতে তিনি সাধারণত নোটপ্যাডে সাক্ষাৎকারদাতার উদ্ধৃতি টুকে নেন। “এক্ষেত্রে আমি বাড়ি বা অফিসে পৌঁছানো মাত্র সাক্ষাৎকারটি ট্রান্সক্রাইব করি, পাছে কোনো খুঁটিনাটি ভুলে যাই।”

তিনি স্বীকার করেন যে পুলিশি অপরাধ অনুসন্ধান ও কবরস্থান পরিদর্শনে তিনি যে সময় ব্যয় করেছেন, সেজন্য তাঁকে গুরুতর মানসিক চাপ সামলাতে হয়েছে। তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদক না হওয়া পর্যন্ত সম্পাদকদের কাছে বার বার অতিরিক্ত সময়ের জন্য তাঁকে অনুরোধ করতে হয়েছিল, কারণ তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে সেই গল্পের আরও কিছু বাকি আছে। কিন্তু তাঁকে এই বিট ছাড়তে প্ররোচিত করা হয়নি। রিওর ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন করা তাঁর পরিচয়ের একটি অংশ হয়ে গেছে।

“আমি রিওর বাসিন্দা, এই শহরটিকে আমি ভালোবাসি। আমি সাংবাদিকতা শুরু করেছি কারণ যে শহরে আমার বাস, সেই শহরকে আমি ভালোবাসি; এটাই আমার অনুপ্রেরণা,” ব্যাখ্যার সুরে তিনি বলেন। “আমি যা করি, তা ভালোবেসে করি। তাই আমি থামতে চাই না।”

আরও পড়ুন

ভূ-সাংবাদিক গুস্তাভো ফালেইরোসের প্রিয় অনুসন্ধানী টুল

মাই ফেভারিট টুল উইথ ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট থিও অ্যাঙ্গেলবার্ট 

পুলিশের অসদাচরণ অনুসন্ধানের ১০টি টিপস


Laura Dixon GIJN Associate Editor

লরা ডিক্সন জিআইজেএনের সহযোগী সম্পাদক ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ও মেক্সিকো থেকে রিপোর্ট করেছেন, এবং তাঁর কাজ টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ও আটলান্টিক সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স মিডিয়া ফাউন্ডেশন ও পুলিৎজার সেন্টার ফর ক্রাইসিস রিপোর্টিং ফেলোশিপ পেয়েছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

CORRECTIVE Secret Master Plan Against Germany investigation

পদ্ধতি

আন্ডারকভার রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলের গোপন বৈঠকের তথ্য উন্মোচন

ছদ্মবেশে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলগুলোর গোপন বৈঠকে ঢুকে পড়েছিলেন কারেক্টিভের রিপোর্টার। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন: কীভাবে জার্মানি থেকে লাখ লাখ মানুষকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। পড়ুন, অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প।

পরামর্শ ও টুল

ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া একাডেমিক গবেষণা নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন

একাডেমিক গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত। ফলে ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া গবেষণা অনেক সময় তৈরি করতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। পড়ুন, কীভাবে এমন ত্রুটিপূর্ণ গবেষণা নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারেন।

গাইড পরামর্শ ও টুল

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনুসন্ধানের রিপোর্টিং গাইড: সংক্ষিপ্ত সংস্করণ

জাতিসংঘের মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা হচ্ছেন বৃহত্তম বিভক্ত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। কার্যত প্রতিটি রিপোর্টিং বীটেই প্রতিবন্ধী বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা বা কাজ করার সুযোগ রয়েছে।