
বিমানের সন্ধানে: জিআইজেএনের নতুন রিপোর্টিং গাইড
দুর্নীতি, সরকারি নজরদারি, সামরিক অভিযান এবং আরো অনেক বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য মূল্যবান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে উড়োজাহাজ ট্র্র্যাকিং। আরো জানতে পড়ুন, জিআইজেএনের এই প্লেনস্পটিং গাইড।
দুর্নীতি, সরকারি নজরদারি, সামরিক অভিযান এবং আরো অনেক বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য মূল্যবান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে উড়োজাহাজ ট্র্র্যাকিং। আরো জানতে পড়ুন, জিআইজেএনের এই প্লেনস্পটিং গাইড।
অনলাইন অনুসন্ধানের গুরু বলে ধরা হয় বিবিসির পল মায়ার্সকে। জিআইজেএনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সম্মেলনগুলোতে তার সেশন দারুন জনপ্রিয়। অনলাইন ঘেঁটে মানুষ সম্পর্কে তথ্য খুঁজে বের করার নানান কৌশল আর টুলের কথা জানতে সবাই সেখানে ভিড় জমান। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি ওয়েবিনার আয়োজন করি আমরা। পড়ুন, সেখানে তিনি কী বলেছেন।
টাকা লেনদেনের আনুষ্ঠানিক পথগুলো নজরদারির কারণে বন্ধ হয়ে পড়ায়, এখন অবৈধ অর্থ বিনিময় এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই কীভাবে অনুসন্ধান করতে হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রার এই অচেনা জগতে। এই প্রতিবেদনে, অনুসন্ধানের সেই পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে ধাপে ধাপে।
স্যাটেলাইট ছবি এখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সত্যানুসন্ধান থেকে শুরু করে কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতির প্রভাব অনুধাবন বা অবস্থার নিখুঁত বিবরণ জানতে, হরহামেশাই এর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। সংঘাতপ্রবণ এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন বা চলমান ঘটনাবলীর প্রকৃত ও সঠিক চিত্র তুলে আনার ক্ষেত্রেও স্যাটেলাইট ছবি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এখানে তেমন কিছু উদাহরণ।
ইউরোপ ও আমেরিকার পাঁচটি গণমাধ্যম। তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু একটি হত্যাকাণ্ড এক করেছিল সবাইকে। তাদের একদিকে দুই জাতিসংঘ কর্মীর লাশ, অন্যদিকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় খোদ জাতিসংঘ। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে কাঁপিয়ে দিলেন সাংবাদিকরা, প্রমাণ করলেন নিজকর্মী খুনের কারণ আড়ালের চেষ্টা, সেই গল্প এখানে।
৩৫ বছর বয়সী দাগী আসামী শাহীন গাইয়েবি নেদারল্যান্ডের একজন “মোস্ট ওয়ান্টেড” অপরাধী। অনেক দিন ধরেই তিনি রীতিমত ইঁদুর-বেড়াল খেলায় মেতে উঠেছিলেন ডাচ পুলিশের সাথে। জেল থেকে পালিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এখানে সেখানে। আর ক’দিন পরপরই পুলিশকে উস্কানি দিয়ে ছবি পোস্ট করছিলেন সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। এই চোর-পুলিশ খেলায় শেষ পর্যন্ত বাদ সাধেন বেলিংক্যাটের সাংবাদিকরা। টুইটারে ৬০ জনের বেশি মানুষের সহায়তা নিয়ে তারা বের করে ফেলেন পলাতক এই আসামীর অবস্থান। জেনে নিন তাকে খুঁজে বের করার অনবদ্য সেই কাহিনী।
কখনো কখনো ছোট ছোট স্থানীয় সংবাদপত্র এমন সব বড় খবরের জন্ম দেয়, যা হেভিওয়েট জাতীয় পত্রিকাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় দুইশ কিলোমিটার দূরে, যশোরের গ্রামের কাগজের ঘটনাও ঠিক একই রকম।
সাধারণ মানুষের ধারণা হুইসেলব্লোয়ার বা গোপন তথ্য ফাঁসকারীদের সাথে রিপোর্টারদের যোগাযোগটা “অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান” চলচ্চিত্রের মত রহস্যময় আর গোপনীয়তায় ভরা – মাটির নিচে অন্ধকার গ্যারেজে তারা সাক্ষাৎ করেন, সাংকেতিক উপায়ে আলাপ সারেন, ফিসফিসিয়ে তথ্য আদান প্রদান করেন। কিন্তু সময় বদলে গেছে। এখনকার সাংবাদিকরা হুইসেলব্লোয়ারদের সাথে যোগাযোগ করেন সিগন্যালে, তথ্য বিনিময় করেন ড্রপবক্সে। তাদেরকে এখন ওয়াশিংটন ডিসির গ্যারেজে যেতে হয় না। একারণে বদলে গেছে সোর্সের সুরক্ষার পদ্ধতিও।
সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় সবাই যখন নিরাপদ আশ্রয় খোঁজেন, তখন সাংবাদিকরা ছোটেন সেই দুর্যোগ কাভার করার জন্য। এটাই নিয়ম। ঝড়ের খবর সবাইকে পৌঁছে দিতে এই পেশাগত ঝুঁকি তাঁরা সবসময়ই নিয়ে থাকেন। কিন্তু এমন সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদেরও কিছু প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, নিজের নিরাপত্তার খাতিরে।
‘টিন্ডারের প্রতারক’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি যারাই খুলেছেন সবাই বাধ্য হয়েছেন শেষপর্যন্ত পড়তে। এখানে ঘটনা ও তার অনুসন্ধান এগিয়েছে মোবাইল ফোনকে ঘিরে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপনও করা হয়েছে, মোবাইল ফোনে পড়ার মত করে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে উপস্থাপনের প্রথাগত ধারণাই পাল্টে দেবে টিন্ডারের প্রতারক।
কয়েক দশক আগেও জলবায়ু পরিবর্তনকে নিতান্তই পরিবেশের বিষয় বলে মনে করা হত। কিন্তু এখন বিষয়টিকে অবধারিত এক বৈশ্বিক ঘটনা হিসেবে দেখা হয় – যা অর্থনীতি, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, জীবনযাপন, খাবারের যোগান, এমনকি রাজনীতি পর্যন্ত – আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককে কোনো না কোনো ভাবে প্রভাবিত করছে। ফলে এটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিষয় হিসেবে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
প্রোপাবলিকা ইলিনয়ের সাংবাদিকরা গত অক্টোবরে কিয়েরনানের নির্দেশনায় “উই উইল কিপ অন ফাইটিং ফর হিম” শিরোনামের একটি অনুসন্ধানী ন্যারেটিভ প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের মূল উপাদান ছিল অদ্ভুত এক ব্যক্তিগত নথি।
শুধু একটি ভিডিওর সূত্র ধরে একটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করেছিল বিবিসি আফ্রিকা আই। অনেক সময় অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ছবিই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন সেই ছবি থেকে তথ্য বের করার উপায় জানা থাকলে অনুসন্ধান আরো কার্যকর ও শক্তিশালী হয়। জেনে নিন সহজ সেই উপায়।
একটি প্রমোদতরী আর একটি বিলাসবহুল ব্যক্তিগত বিমান। এই দুই বাহনকে অনুসরণ করে হাঙ্গেরির শাসকগোষ্ঠীর বিলাসিতার চিত্র উন্মোচন করেছে অনুসন্ধানী নিউজরুম আটলাসজো। দেখিয়েছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রী, তার ঘনিষ্টজন এবং শাসক দলের সদস্যরা – কখনো ফুটবল খেলা দেখতে, কখনো ব্যবসায়িক সভায় অংশ নিতে, কখনোবা ছুটি কাটাতে যেতেন। এই রিপোর্ট তারা কিভাবে করেছেন, সেই গল্পই এখানে।
আপনি যদি আর দশজন মানুষের মতো হন, তাহলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেট জুড়ে। এই ছড়ানো-ছিটানো তথ্যগুলো সাংবাদিকদের “ডক্স” করার জন্য – অর্থাৎ, ক্ষতিকর কারো দ্বারা ফোন নাম্বার ও বাসার ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজে বের করে প্রকাশ করার মতো কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।
১২৫,০০০-শব্দের ননফিকশন বই লিখতে গিয়ে আমি এখন যা করি, ২৭ বছর ধরে ওয়াশিংটন পোস্টে সংবাদ প্রতিবেদন এবং ফিচার লেখার সময় প্রায় একই কাজ করেছি। মৌলিক বিষয়গুলো একইরকম: আপনার গল্পের শুরু যেই এলাকায় সেখানে সশরীরে যাওয়া, যারা ঘটনা সম্পর্কে কমবেশী জানেন তাদের সবার সাথে কথা বলা, সেই বিষয় নিয়ে যতরকম নথি পাওয়া যায় তার খোঁজ করা, এবং বার বার একই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি করা (এবং আবার) যতক্ষণ না আপনি সন্তুষ্ট হচ্ছেন।
চলতি মাসের টুলবক্সে আমরা নজর দিয়েছি অনলাইন গবেষণার রিয়েল-টাইম রেকর্ড সংরক্ষণের ওপর। এজন্য সার্চ ইঞ্জিন ও ভিডিও ভেরিফিকেশন টুলসসহ বেশকিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনাকে পুরনো সার্চ ফলাফল খুঁজে বের করার নানান উপায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।
গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন জমা নেয়া শুরু হয়েছে। উন্নয়নশীল বা উদীয়মান দেশগুলোতে হুমকি, কারাবরণের ঝুঁকি বা প্রবল বিপদের মধ্যে থেকে যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা হয়, তার সম্মানে প্রতি দুই বছর পর পর অনন্য এই পুরষ্কার প্রদান করে গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক।
ফ্রান্সের সবচে জনপ্রিয় অনুসন্ধানী টিভি শো ক্যাশ ইনভেস্টিগেশন। তাদের রিপোর্টারা অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান নির্মাণে বেশ পটু। তারা অনেক জটিল বিষয় দর্শকদের জন্য সহজবোধ্য করে তুলে ধরতে পারেন। এভাবেই গত ছয় বছরে তাদের অনুষ্ঠানটি ফ্রান্সের সাংবাদিকতার জগতে বড় জায়গা দখল করে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আমরা বৈশ্বিক রিসোর্সের এই বিশদ তালিকা প্রকাশ করছি। আমাদের আশা, ওয়াচডগ সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে, বিশ্বের নারী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের যে ধরণের সহায়তা প্রয়োজন, তা খুঁজে পেতে সাহায্য করবে এই রিসোর্স।
এবারের গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স, #জিআইজেসি১৯ (#GIJC19) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৬-২৯ সেপ্টেম্বর, জার্মানীর হামবুর্গে। এটি আমাদের ১১তম আসর। এখানে আমরা ১৩০টি দেশ থেকে এক হাজারের বেশি সাংবাদিকের উপস্থিতি আশা করছি। উন্নয়নশীল এবং উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর সাংবাদিকদের জন্য ট্রাভেল ফেলোশিপের ব্যাবস্থা রয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, প্রযুক্তির কারণে অনলাইনে সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা দিনে দিনে আরো সহজ হয়ে উঠছে। এর উদ্দেশ্য হলো, যারা সত্য বলেন তাদের মুখ বন্ধ করা বা ভয় দেখানো। এই হামলা চলতে পারে ক্রমাগত, আর এই প্রবণতাও বাড়ছে খুব দ্রুত। অনলাইনের এই “কীট” দমন করতে সাংবাদিক, লেখক ও গণমাধ্যমের জন্য ”অনলাইন পেস্ট কন্ট্রোল” ইনফোগ্রাফিক তৈরি করেছে ট্রলবাস্টার্স।
প্রতিবেদনের আইডিয়া আসে আমাদের চারপাশ থেকে। কোথাও অনিয়ম দেখেলে হুইসেলব্লায়ার বা গোপন পরামর্শদাতারা আমাদেরকে জানান আর আমরা সেটা অনুসন্ধান করি। রিপোর্টাররা স্বভাবজাতভাবেই অনুসন্ধিৎসু এবং সন্দেহপ্রবণ। আমরা চারপাশেই স্টোরি দেখতে পাই। কখনো কখনো প্রতিবেদনের বিষয় পড়ে থাকে আমাদের চোখের সামনেই।