Image: Shutterstock
বিজ্ঞাপন যেভাবে মিডিয়া দখলের অস্ত্র হলো ভারতে
“মিডিয়া ক্যাপচার: হাউ মানি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড গভর্নমেন্টস কন্ট্রোল দ্য নিউজ” বইয়ে রাজু নারিসেট্টির লেখা অধ্যায়ের সারাংশ বলা যেতে পারে এই লেখাকে। এখানে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীলতা গণমাধ্যম দখলের একটি স্বরূপ মাত্র; যেখানে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীরা তাদের রাজনৈতিক এবং কখনো কখনো আর্থিক স্বার্থ হাসিলের জন্য গণমাধ্যম কেনে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। আর এই বাস্তবতা তুলে ধরতে গিয়ে এখানে ভারতের উদাহরণ টেনে আনা হয়েছে। নারিসেট্টি এখানে ব্যাখ্যা করেছেন, গণমাধ্যম দখল একটি বৈশ্বিক সমস্যা হলেও ভারতের ক্ষেত্রে সমস্যার মাত্রা অন্য সবার চেয়ে কেন আলাদা। নারিসেট্টি দেখিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের ওপর গণমাধ্যমের নির্ভরতা কীভাবে স্বাধীন এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য চূড়ান্ত রকমের ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভারতে সাংবাদিকতার সামগ্রিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। এই অধ্যায়টি আমার সম্পাদনা করা একটি সংগ্রহের অংশ। আমরা মিডিয়া ক্যাপচার যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রূপ নিয়েছে এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা আজ যে হুমকির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন, তা নিয়ে এখানে আমরা আলোচনা করেছি। – আনিয়া শিফরিন
ভারতে ক্রমবর্ধমান গণমাধ্যম দখলের আজকের অবস্থার গভীরে রয়েছে, ১৮৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তম মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বেনেট কোলম্যান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিসিএল) কয়েক দশক ধরে চলে আসা আপাতনিরীহ ব্যবসায়িক চর্চা। দেশটির প্রধান ও সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বাজারের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক পত্রিকা ইকোনমিক টাইমস এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছে।
দাম-সচেতন মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবারগুলোই যে ব্যবসা সাফল্যের চাবিকাঠি, সেটি সবার আগে বুঝতে পেরেছিল বিসিসিএল। এর ধারাবাহিকতায় তারা “ইনভাইটেশন প্রাইস” কৌশল গ্রহণ করে, যার মাধ্যমে নতুন সংবাদপত্র পাঠকদের কাছে ব্যাপক ছাড়ে তাদের পত্রিকা বিক্রি করা হতে থাকে। শুরুটা হয় দিল্লিতে, ১৯৯৪ সালে। এটি ছিল তাদের ফ্ল্যাগশিপ পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উচ্চাভিলাষী কৌশলের একটি অংশমাত্র।
আর সেই ”শিকারি মূল্য” আজ স্থায়ী হয়ে গেছে; অনেক বিভাগ নিয়ে ছত্রিশ থেকে আটচল্লিশ পাতার, পুরোপুরি রঙিন একেকটি ব্রডশিট দৈনিক পত্রিকা তারা বিক্রি করছে মাত্র সাড়ে চার রুপিতে (ছয় সেন্ট)।
যখন একই মিডিয়া হাউস থেকে আঞ্চলিক ভাষা বা ব্যবসায়িক সংবাদপত্রের সঙ্গে এই পত্রিকাটি জুড়ে দিয়ে (টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে হিন্দি ভাষার নবভারত টাইমস বা অর্থনৈতিক টাইমসের সঙ্গে একত্রিত করে) বান্ডল হিসেবে বিক্রি করা হয়, তবুও তাদের দাম সাত রুপি বা ১০ মার্কিন সেন্ট ছাড়ায় না। এখানেই শেষ নয়। এত কম দামের পরও হোম ডেলিভারিতে আরও ছাড় দেওয়া হয়, এবং ছয় মাসের ফ্রি ডিলের মতো বাণিজ্যিক স্কিম, গ্রাহকের জন্য নবায়নের প্রকৃত খরচকে আরও কমিয়ে আনে।
ভারতীয় পরিবারগুলোতে দৈনিক পত্রিকা পড়ার পর সেগুলো ঘরে জমিয়ে রাখার চল আছে। সেই পুরোনো পত্রিকা বাড়ির দরজায় দরজায় ঘোরা ফেরিওয়ালারা রিসাইকেলের জন্য কিনে নেন। এসব পত্রিকা সাধারণত প্রতি কেজি ১০ থেকে ১২ রুপিতে বিক্রি হয় এবং এক মাসের পত্রিকার ওজন দাঁড়ায় আট থেকে ১০ কেজি। সংক্ষেপে বলতে গেলে, কম-বেশি এক মাসের পুরোনো পত্রিকা বিক্রি করে একেকটি পরিবার যে টাকা পান, তা সংবাদপত্রের ছাড়যুক্ত মাসিক সাবস্ক্রিপশন ব্যয়ের একটি বড় অংশের সমান। এর ফলে পরিবারটিতে পত্রিকার সাবস্ক্রিপশন আসলে একরকম “ফ্রি” হয়ে যায়। এখান থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়, ভারতে একেকটি ঘরে একাধিক পত্রিকা রাখা হয় কেন এবং পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়তে থাকার কারণ কী।
এভাবে দাম নির্ধারণের ফলে বিসিসিএলের পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন ও কাটতি নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে। এতে বাজারে কোম্পানিটির নেতৃত্বও পাকাপোক্ত হয়; আর বেশি খরচের সামর্থ্য নেই, এমন প্রতিদ্বন্দ্বীরাও চিরতরে ধরাশায়ী হতে থাকেন। বিসিসিএলের দাম নির্ধারণ কৌশলের কারণে ভারতের সব সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান কাগজের দাম কমিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ, কয়েক দশক ধরে ভারতে সংবাদপত্রের দামে তেমন কোনো অর্থবহ বৃদ্ধি দেখা যায়নি; যদিও নিউজপ্রিন্ট, কালি এবং কর্মীদের পেছনে খরচ বাড়া অব্যাহত ছিল।
হিসেবে দেখা যায়, শুধু কালি, নিউজপ্রিন্ট (ভারত সংবাদপত্র বিতরণকারীদের বেশিরভাগই কাগজ আমদানি করে) এবং বিতরণ ব্যয় মিলে একটি দৈনিক পত্রিকা পিছনে যে খরচ দাঁড়ায়, তা ভারতের যে কোনো সংবাদপত্রের কভার মূল্যের চেয়ে ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ বেশি।
আজ, ভারতের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে রাস্তার পাশের বিক্রেতার কাছ এক কাপ চা কিনতে যে টাকা খরচ হয়, একটি পত্রিকার দাম তার চেয়ে কম। এক শলাকা জনপ্রিয় উইলস রেড সিগারেট ১০ রুপিতে কিনতে হয়, যা কিনা একই জায়গায় বিক্রি হওয়া একটি জাতীয় পত্রিকার দামের চেয়ে ২৫০ শতাংশ বেশি।
সংবাদপত্রের সাবস্ক্রিপশন মূল্যের ওপর চেপে বসা এই লাগামের কারণে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রতিটি গণমাধ্যম বিজ্ঞাপনের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যা চরম অস্বাস্থ্যকরও বটে।
এর ফলে বিজ্ঞাপনী সংস্থা, কর্পোরেট বিজ্ঞাপনদাতা, এবং ব্যাংক-বীমা, পর্যটন বোর্ড, রেলওয়ে, এবং রাষ্ট্রীয় শিল্পসহ বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও ভারতের গণমাধ্যমগুলোর এক দীর্ঘ সখ্যতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরা সবাই পত্রিকার প্রধান বিজ্ঞাপনদাতা। এই “বাণিজ্যিক” বিজ্ঞাপনদাতারা সাংবাদিকতাকে বন্দি করে রাখেন। কোনো স্টোরি নিয়ে একজন শীর্ষ নির্বাহীর আপত্তি থাকলে বা সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে “নেতিবাচক” কাভারেজ হয়েছে বলে তিনি মনে করলে – তাদের বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
কিন্তু সংবাদপত্রগুলো এভাবেই আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্যতা ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছিল। শহরের অংশ বিশেষ এবং ভারতের কেন্দ্র – দুই জায়গাতেই তাদের ব্যাপক প্রসার হচ্ছিল। আর এই কারণে বেশিরভাগ নিউজ-ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে পুরোপুরি জিম্মি না হয়েই তাদের টুক-টাক অনুরোধ রক্ষা করে চলতে পারছিল। অবশ্য এর মধ্যেই বড় পয়সাদাতারা, কখনো রিপোর্ট নমনীয় করে ফেলা বা ফলোআপ স্টোরিগুলো নিঃশব্দে নামিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে সফল হচ্ছিলেন।
ভারতের গণমাধ্যমের আরেকটি কুখ্যাতি হলো, একটি পত্রিকা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকার ব্রেক করা স্টোরি নিয়ে মাথা ঘামায় না বা সেটিকে ফলো করে না। এর ফলে বিজ্ঞাপনদাতারাও দেখতে পেল, কোনো স্টোরিকে গিলে ফেলতে হলে একটি পত্রিকার ওপর চাপ দিলেই চলে। অন্য পত্রিকা সেটি করে ফেলবে, এমন উদ্বেগ থাকে না। এর সঙ্গে যোগ হয় আরেকটি সমস্যা। ভারতে বার্তাকক্ষগুলোর মালিক ও সম্পাদকদের মধ্যে এক ধরনের অলিখিত চুক্তি আছে যে “আমরা একজন আরেকজনকে কাভার করি না।” এই চর্চা বহুদিনের এবং গণমাধ্যম সমালোচকরাও প্রশ্ন তোলেননি, কেন কোনো বড় কোম্পানি বা তাদের সিইওকে নিয়ে একটি স্টোরি হওয়ার পর, বিষয়টি পত্রিকার পাতা থেকে পুরোপুরি হারিয়ে গেল। অবশ্য এখানে কী ঘটে, পাঠকেরা তা ঠিকই নিজের মত করে বুঝে নিতেন।
এই ফাঁকে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারও সংবাদপত্রগুলোর জন্য বড় বিজ্ঞাপনদাতা হয়ে ওঠে। তারা বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে, যার উদ্দেশ্য স্পষ্টতই সরকারী প্রকল্প এবং কল্যাণ কর্মসূচির প্রচারণা। কিন্তু কার্যত এর আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, পত্রিকার পাতা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ছবি দিয়ে ভরে ফেলা এবং ক্ষমতাসীনদের আরও শক্তিশালী করা।
সরকারী তথ্য থেকে দেখা যায় যে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে সরকারের প্রথম মেয়াদের সাড়ে চার বছরে বিজ্ঞাপনের পেছনে বছরে গড়ে ১৭১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা আগের কংগ্রেস সরকারের খরচ করা টাকার তুলনায় নাটকীয় রকমের বেশি। কংগ্রেস সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ৭১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এই পরিসংখ্যানে রাজ্য সরকারগুলোর ব্যয় অন্তর্ভুক্ত নয়। রাজ্যগুলোতে এমন নজিরও আছে যে, কোনো শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধ নিয়ে তাঁর আপত্তির ইঙ্গিত হিসেবে সাময়িকভাবে সেই পত্রিকার বিজ্ঞাপণ আটকে দিয়েছেন। কখনো কখনো, ভারতের বেশিরভাগ গণমাধ্যম কোম্পানি যেখানে অবস্থিত, সেই দিল্লীর মতো রাজ্যেও নির্বাচনী বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সরকারী তহবিল খরচ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি নির্দিষ্ট নিউজ-ব্র্যান্ডকে বেছে নেওয়া হতো।
কংগ্রেস পার্টি এবং নেহেরু-গান্ধী পরিবারের কয়েক দশকের শাসনামলেও শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতারা ছিলেন। এই সব নেতারা জাতীয় পর্যায়ের দলের সঙ্গে সব সময় সুর মিলিয়ে চলতেন না; বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে।
এর ফলে, অনেক সংবাদপত্র ঝামেলা সামাল দিতে পারদর্শী হয়ে ওঠে, তা সে দিল্লিতে হোক বা অন্য কোনো বিশেষ রাজ্যের রাজধানীতে। মিডিয়া মালিকদের সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সংযোগ অথবা মধ্যসত্বভোগীদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন আনা যাবে, এমন আত্মবিশ্বাসও তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে। বেতনভোগী এই মধ্যসত্বভোগীদের মাধ্যমে সাধারণত বড় বড় বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়িত্বে থাকা রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়া হতো।
এটা নিশ্চিত যে, ভারতে মিডিয়া দখলের আকাঙ্ক্ষা জন্ম দেওয়ার জন্য বর্তমান মোদী সরকার দায়ী নয়। স্বাধীন ভারতে বহু দশক ধরে, ওপরের মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং বিশেষ করে কংগ্রেস পার্টির মন্ত্রীরা নির্দিষ্ট গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বজায় রাখতেন। অবশ্য সেই প্রভাব ছিল সংবাদপত্রের মালিক ও শীর্ষ সম্পাদকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে; বিজেপির মতো বিজ্ঞাপন বাজেট কমানোর সুস্পষ্ট হুমকি দিয়ে নয়।
এই লেখককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের সাবেক সম্পাদক ববি ঘোষ বলেছেন, “আপনি যদি মূলধারার বড় বড় ইংরেজি সংবাদপত্রের দিকে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন, গত ১০ থেকে ১৫ বছরে প্রথমে কর্পোরেট বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে এই পচন শুরু হয়। মনস্তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক দিক থেকে, বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা সেই দরজাটা খুলে দেয়। এটি সম্পাদকীয় এবং বিজ্ঞাপনের মধ্যকার সুরক্ষা দেয়াল ধ্বংস করতে শুরু করে। আর সেই খোলা দরজা দিয়ে এখন সব ধরনের দৈত্য ছুটে আসছে।”
এই পোস্টটি আনিয়া শিফরিন সম্পাদিত “মিডিয়া ক্যাপচার: হাউ মানি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস, অ্যান্ড গভর্নমেন্টস কন্ট্রোল নিউজ” বইতে রাজু নারিসেট্টির লেখা “আ লাউড সায়েন্স “অধ্যায় থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। কপিরাইট © ২০২১ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। প্রকাশকের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করে ব্যবহার করতে হবে। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত।
আরও পড়ুন
জিআইজেএন রিসোর্স: সাসটেইনিবিলিটি
কমার্শিয়াল রেভিনিউ: ইসেনশিয়াল রিডিং
জিআইজেএন ওয়েবিনার: ইনভেস্টিগেটিং অটোক্রেসি
হোয়েন অটোক্র্যাটস অ্যাটাক: হাও জার্নালিস্টস অ্যারাউন্ড দ্য গ্লোব আর ফাইটিং ব্যাক
রাজু নারিসেট্টি ভারতের মিন্ট/লাইভমিন্ট সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে তিনি কাজ করেছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউজ কর্প, ইউনিভিশন/গিজমোডো মিডিয়া গ্রুপ, ও কলম্বিয়া জার্নালিজম স্কুলে।