প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Image: Screenshot (AFP)

রিসোর্স

বিষয়

বিশ্বব্যাপী মিসইনফরমেশন অনুসন্ধান থেকে গৃহীত শিক্ষা

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

Gaelle Faure, AFP Fact-checking editor

ছবি: স্ক্রিনশট (এএফপি)

গেইল ফো, ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের ডিজিটাল ভেরিফিকেশন দলে, যা গড়ে উঠেছে বিশ্বজুড়ে একশর বেশি সাংবাদিক নিয়ে। দলটি অনলাইনে বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে থাকা মিসইনফরমেশন বা মিথ্যা তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ফো, এএফপি’র আফ্রিকা দপ্তরের ডিজিটাল ভেরিফিকেশন রিপোর্টারদের লেখা প্রতিবেদন সম্পাদনা করেন এবং গোটা বিশ্বের সাংবাদিকদের জন্য তথ্য যাচাইয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ করেন। বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গত বছর এই ভিডিও কোর্স তৈরি করেছেন। কোর্সটিতে সাংবাদিকদের ফ্যাক্ট চেকিং ও ডিজিটাল ভেরিফিকেশনের মৌলিক বিষয়াদি শেখানো হয়। এই সাক্ষাৎকারে তিনি এএফপিতে তাঁর কাজ ও বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জন্য মিথ্যা তথ্যের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন।

রাক্ষা কুমার: এখনো অধিকাংশ বার্তাকক্ষে তথ্য যাচাইকারীর উপস্থিতি বিরল। আপনার এই কোর্স কীভাবে একজন সাংবাদিককে নিজ স্টোরির তথ্য যাচাইয়ে সহায়তা করে?

গেইল ফো: এই কোর্স মূলত সাংবাদিকদের নিজেদের স্টোরির তথ্য যাচাই করা শেখায় না। এটি বরং তাঁদের – নতুন অর্থে ফ্যাক্টচেকিং – অর্থাৎ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কন্টেন্ট যাচাই ও খুঁজে পাওয়া মিথ্যা দাবি উন্মোচন করতে শেখায়। এএফপিতে আমরা একে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন বলি, তবে অন্য বার্তাকক্ষে আলাদা পরিভাষা-ও ব্যবহৃত হয়।

আরকে: আপনার কোর্স কীভাবে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সামলাতে বা মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে লিখতে সাহায্য করে?

জিএফ: শুধুমাত্র মিসইনফরমেশনে বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নয়, বরং আমরা চেয়েছি, এই কোর্সটি যেন, যে কোনো ভূমিকায় থাকা, সব সাংবাদিকদের জন্য সহায়ক হয়। অনলাইন মিসইনফরমেশনের প্রভাব সবখানেই রয়েছে, এবং  বৈষম্য থেকে শারীরিক সহিংসতা পর্যন্ত – সব ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক মিথ্যা তথ্যের কারণে স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। তাই সাংবাদিকেরা যেন সমাজে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতিকর মিথ্যা দাবি উন্মোচন করতে পারেন, আমরা তেমন কিছু টুল শেয়ার করতে চেয়েছি।

প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক পুরনো ছবি শেয়ার করা থেকে শুরু করে সন্দেহজনক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল উপায়ে সতর্ক করা টুইট পর্যন্ত – সচরাচর চোখে পড়ে, এমন কয়েক ধরনের মিসইনফরমেশনের কথা উল্লেখ করে এই কোর্স শুরু হয়। তারপর উদাহরণ ও চর্চার মধ্য দিয়ে কোর্সটি তুলে ধরেছে: আপনি কোনো দাবির সত্যতা যাচাইয়ে ওয়েব ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অ্যাডভান্স সার্চ থেকে শুরু করে মৌলিক টুল ও কৌশল কীভাবে ব্যবহার করবেন।

তারপর এটি শেখায় কীভাবে রিভার্স ইমেজ সার্চ ও জিওলোকেশন ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও সোর্স খুঁজে পেতে হয়। এই কৌশলে ছবিতে সূত্র খোঁজা হয় এবং ওপেন সোর্স তথ্য ব্যবহার করে অনলাইন ম্যাপ ও স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে ট্র্যাক করে জানা যায়, কোথায়-কখন ছবিটি তোলা হয়েছিল। এটি ব্যাখ্যা করে, কীভাবে একটি ইমেজ ফাইলের মেটাডেটা সংগ্রহ করা যায় এবং কীভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, এটি কোথায়-কখন তোলা হয়েছিল। এছাড়া আমরা ওয়েব্যাক মেশিনের মতো অনলাইন আর্কাইভ নিয়েও কথা বলি, যা ওয়েব পেজের পুরনো সংস্করণ বা মুছে ফেলা বা পরিবর্তিত পোস্ট দেখার সুযোগ করে দেয়।

একটি অংশে স্বাস্থ্য বিষয়ক দাবির সত্যতা যাচাইয়ের মৌলিক বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি দেখা হয়। এই মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কীভাবে কাজ করে ও নির্ভরযোগ্য সোর্স চিহ্নিতকরণের বোঝাপড়াও অর্ন্তভুক্ত। পরিশেষে, কীভাবে আপনার সংগৃহীত সব প্রমাণ নেয়া যায় এবং তা থেকে পাঠকের জন্য একটি জোরালো, স্বচ্ছ ফ্যাক্ট-চেক প্রবন্ধ লেখা যায়, সে বিষয়ে আমরা কিছু পরামর্শ শেয়ার করি।

আরকে: আফ্রিকার স্টোরি নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু স্বতন্ত্র ফ্যাক্ট চেকিং সমস্যা সম্পর্কে বলুন।

জিএফ: আমরা অনেক মিথ্যা দাবি দেখতে পাই যা মাত্রার বিচারে বৈশ্বিক। যেমন, আমরা দেখেছি, প্রতিটি মহাদেশে কোভিড-১৯ এর নিরাময় নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু দাবি প্রচার হচ্ছে। এদের অনেকগুলোই আবার কিছু দেশ বা অঞ্চলের জন্য নির্দিষ্ট। শ্বেতাঙ্গ ডাক্তারদের অতীত কেলেঙ্কারির কারণে, আফ্রিকায় পশ্চিমা চিকিৎসা গবেষণা নিয়ে ঐতিহাসিক অবিশ্বাস রয়েছে, যা কিছুটা হলেও ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোয় ইন্ধন যুগিয়েছে। 

AFP Fact-check on Ivermectin usage in Africa

এএফপি ফ্যাক্ট-চেকের একটি মিথ্যা দাবি উন্মোচন। দাবিটি ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আইভারমেক্টিন ওষুধ অনুমোদন পেয়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট

কিছু মিথ্যা দাবি আবার নির্দিষ্ট ধরনের সহিংসতা ও যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা দাবি চিহ্নিত করতেই নয়, বরং সেগুলোর উৎপত্তিস্থল ও প্রভাব ব্যাখ্যা করতেও প্রতিটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানাবোঝা জরুরি। আফ্রিকায় এএফপির বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ডিজিটাল ভেরিফিকেশন রিপোর্টারেরা স্থানীয় প্রেক্ষাপট বোঝেন এবং বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। অনেক ভাষার প্রচলন – একটি চ্যালেঞ্জ। এতে মিথ্যা দাবি চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আরকে: অনলাইনে প্রচুর মিসইনফরমেশন থাকায় বার্তাকক্ষের ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মপদ্ধতি কীভাবে নির্ধারণ করা উচিত?

জিএফ: আমি মনে করি, এটি অনেকভাবেই করা যায়: বড় বার্তাকক্ষের জন্য এর অর্থ হতে পারে সব সাংবাদিককে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া। তবে এর সঙ্গে সাংবাদিকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদ তৈরি করাও জরুরী, যে পদের অধিকারী বা পুরো দল মিসইনফরমেশন নিয়ে লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকবে। অন্যদিকে ছোট বার্তাকক্ষে, সব রিপোর্টারের জন্য এই বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেন তাঁরা সমাজের অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মতো মিসইনেফরমেশন নিয়েও স্টোরি বের করতে ও লিখতে পারেন।

আমি বরং বলি, যত মানুষকে যুক্ত করা যায় তত ভালো। এএফপির মতো একটি বৈশ্বিক বার্তাকক্ষে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বড় বিশেষায়িত দল নিয়েও, বিশ্বের নানা ভাষায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মিসইনফরমেশনের খুব সামান্য অংশ নিয়েই আমরা কাজ করতে পারি। এটি তুলনামূলক নতুন ক্ষেত্র। পরিসর বাড়তে থাকায় এখনো এই খাতের অনেক কিছুই অনুদঘাটিত। উন্নততর পদ্ধতির ব্যবহার, সূক্ষ্মতর ভেরিফিকেশন টুল উদ্ভাবন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও জোরালো সহাযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন, সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের সাথে আরও কার্যকর অংশীদারিত্ব নির্মাণ – এই সবকিছু বা তার চেয়ে বেশি করার পরও এগুলো পাঠক-শ্রোতার কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা তা আমি নিশ্চিত নই। তবে আমরা অবশ্যই, আমাদের মতো করে কাজ করে যাচ্ছি ।

আরকে: মিসইনফরমেশন বনাম ডিসইনফরমেশন মোকাবিলায় পার্থক্য কোথায়?

জিএফ: মিসইনফরমেশন বলতে এমন দাবি বুঝায়, যা মিথ্যা কিন্তু বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। এগুলো মোকাবিলা করা তুলনামূলক সহজ: এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা থাকা চাই – সেটি কেন ভুল এবং তার প্রমাণ কী।

অন্যদিকে ডিসইনফরমেশন, বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি করা হয়। একারণে, আর সবকিছুর সঙ্গে এর পিছনে কারা এবং কেন – তা নিয়েও অনুসন্ধান করতে হয়।  অবশ্য সব সময় এই কাজ সম্ভব হয় না, কারণ ডিসইনফরমেশন প্রচারণা সূক্ষ্ম হতে পারে। কিন্তু একটু ঘাঁটাঘাটি করলেই যেমন খুব ভালোভাবে দেখা যায়, কতগুলো নির্দিষ্ট সামাজিক মাধ্যম একাউন্ট থেকে একটি মিথ্যা দাবি, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে। এই প্রচারকারীদের আচরণ ও বৈশিষ্ট্য একই ধরনের, সম্ভবত সবাই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনের সাথে সংশ্লিষ্ট। ক্রাউডট্যাঙ্গেলের মতো কিছু টুল আছে, যেগুলো এই একাউন্টগুলোর কাঠামো অনুসন্ধানে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

আরকে: সাংবাদিকদের কাজ করার কথা, সত্য নিয়ে। তবে অনেকে আজকাল কিছু কিছু স্টোরিকে মিথ্যা প্রমাণের জন্য কাজ করছেন। এর জন্য কি সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন আছে?

জিএফ: কিছু নতুন দক্ষতার প্রয়োজন আছে, তবে এজন্য দক্ষতাকে যে একেবারে ঢেলে সাজাতে হবে, তা আমি মনে করি না। সাংবাদিকতার অনেক মৌলিক দক্ষতাই এখানে কাজে লাগে, বিশেষ করে অনুসন্ধানী দক্ষতা।

এখানে যা দরকার, তা হল দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো। এর অর্থ, প্রথমত, মেনে নিন যে অনলাইনে যা হয় তা বিচ্ছিন্ন কিছু বা অফলাইনে যা হয় তার চেয়ে কম বাস্তব কিছু নয়; এবং প্রকৃতপক্ষে অনলাইনে সরাসরি এমন অনেক কিছু ঘটে, যা অফলাইন জগৎকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ, মিসইনফরমেশনকে আপনি এই ভেবে অবজ্ঞা করতে পারবেন না যে, এটি নিজ থেকে মিলিয়ে যাবে – যতই আশা করুন না কেন!

প্রথাগত রিপোর্টিংয়ের চেয়ে এই ধরনের লেখালেখির প্রক্রিয়ায় আপনাকে আরও বেশি প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। এটি পীড়াদায়ক হতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার পাঠক-শ্রোতারা হয়তো মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করছেন, এবং আপনার দায়িত্ব শুধু ভুল দেখিয়ে দেওয়া নয়, বরং সেটিকে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণ করা। আদর্শভাবে, আপনি আপনার পরিকল্পনা এতটাই স্বচ্ছভাবে সাজাতে চাইবেন যেন আপনার পাঠক নিজে নিজেই কাজটি করতে পারেন। 

আরকে: আপনি জানেন, পাঠকদের অনেকের কনফার্মেশন বায়াস আছে – অর্থাৎ কোনো নতুন তথ্যকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করার প্রবণতা যা কারো পূর্বের বিশ্বাসকে নিশ্চিত বা সমর্থন করে। একজন সাংবাদিক হিসেবে পাঠকদের এমন পক্ষপাত কীভাবে মোকাবিলা করেন?

Global Study of Fact-Checking Effectiveness

ফ্যাক্ট চেকিং নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা পাওয়া যায়, যা মিসইনফরমেশন মোকাবিলার কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে। ছবি: স্ক্রিনশট

জিএফ: কনফার্মেশন বায়াস একটি কঠিন শত্রু। যেমন, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ক্ষেত্রে ফ্যাক্ট-চেকিং খুব কমই কাজে আসে। সব প্রমাণ যখন অস্বীকার করা হয়, তখন কিছু মানুষ অবিচ্ছেদ্য ইকো চেম্বারের ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। অবশ্য বেশ কিছু গবেষণার ফলাফল বলছে, ফ্যাক্ট চেকিং কাজে দেয়, এবং বিশেষ করে, যদি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার আগেই মিথ্যা দাবি দ্রুত সংশোধন করা যায়।

আবেগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে কনফার্মেশন বায়াস বেশ কার্যকর। আমরা প্রতিবেদন থেকে আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করি এবং অবশ্যই এমন ভাষা ব্যবহার করি না, যা মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করা কারও কাছে নিন্দনীয় বলে মনে হতে পারে। যেমন; আমরা লিখতে পারি না যে, এটি কাউকে “বোকা” বানিয়েছে। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় মিথ্যা দাবির ফাঁদে পড়েছেন, বিশেষ করে যখন এটি তাদের দৃঢ় বিশ্বাসের পক্ষে গিয়েছে।

আমার আশা, লড়াইকে আরও বেগবান করার জন্য রিভার্স ইমেজ সার্চের মতো সাধারণ কিছু টুল ও কৌশল শেয়ারের মাধ্যমে আমরা পাঠকদের প্রতিক্রিয়াকে শাণিত করতে সাহায্য করতে পারব, যেন তারা – নিজস্ব পক্ষপাতকে সমর্থন করে – এমন যে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে দ্রুত যাচাই করে নেন। 

মূল লেখা প্রকাশিত হয় রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজমে। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হল।

আরও পড়ুন

এক্সপার্ট টিপস ফর ডিগিং আউট দ্য রুটস অব ডিসইনফরমেশন

অনলাইনে ভুয়া তথ্য, ভুয়া খবর ও ভুয়া পণ্যের বেচাকেনা যে টুল দিয়ে অনুসন্ধান করেন ক্রেইগ সিলভারম্যান

ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নেপথ্যে কারা – অনুসন্ধান করবেন কীভাবে?


Raksha Kumar profile pic

 

রাক্ষা কুমার একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি মূলত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন। ২০১১ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, বিবিস, গার্ডিয়ান, টাইম, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, ও হিন্দু সহ বিশ্বের ১২টি দেশের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের হয়ে রিপোর্ট করেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

Studio, headphones, microphone, podcast

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ঘুরে আসুন ২০২৩ সালের বাছাই করা অনুসন্ধানী পডকাস্টের জগত থেকে

নানাবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী পডকাস্ট। এখানে তেমনই কিছু বাছাই করা পডকাস্ট তুলে এনেছে জিআইজেএনের বৈশ্বিক দল।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চিংড়ি চোরাচালান, হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, তামাক শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাব: চীন, হংকং ও তাইওয়ানের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনেক বাধাবিপত্তি ও চ্যালেঞ্জের মুখেও চীন, হংকং ও তাইওয়ান থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রভাব তৈরির মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমনই কিছু প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

InterNation international journalism network

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ইন্টারনেশন: (সম্ভবত) বিশ্বের প্রথম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নেটওয়ার্ক

প্রায় ৪০ বছর আগে, গড়ে উঠেছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের (সম্ভবত) প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেশন। পড়ুন, এটির নেপথ্যের কাহিনী।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

যে বার্তাকক্ষ ‘চাঁদ ছুঁতে’ চেয়েছিল: বাজফিড নিউজের অনুসন্ধানী দলের উত্থান-পতন নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

বাজফিড নিউজের অনুসন্ধানী দল পৌঁছাতে চেয়েছিল সাফল্যের চূড়ায়। অল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় সব অনুসন্ধান পরিচালনা করে তারা সেই সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল জগতের গতিবিধি পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় শেষপর্যন্ত সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বাজফিড নিউজের কার্যক্রম। এই লেখায় অনুসন্ধানী দলটির কর্মকাণ্ড এবং উত্থান-পতনের গল্প বলেছেন টম ওয়ারেন।