পরামর্শ ও টুল
গণতন্ত্রের জন্য ৫টি আসন্ন হুমকি এবং তা উন্মোচনের কৌশল
বিশ্বজুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় পাঁচটি হুমকি এবং সাংবাদিকরা কীভাবে এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা।
বিশ্বজুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় পাঁচটি হুমকি এবং সাংবাদিকরা কীভাবে এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা।
গত এক দশকে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্রুতগতির বিবর্তন সমাজের ওপর সুদূরপ্রসারী ও গুরুতর প্রভাব বিস্তার করেছে। এসব প্রভাব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের অবশ্যই কোম্পানিগুলোর জটিল ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বুঝতে হবে এবং প্রতিবেদনের অভিনব অ্যাঙ্গেল নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালের একটি আলোচনায় এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পড়ুন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অনুসন্ধানের এমন কিছু ভাবনা।
২০১৫ সালে, ব্রাজিলের বড় এক সংবাদমাধ্যমের চাকরি ছেড়ে নিজেই একটি অনুসন্ধানী ও ফ্যাক্ট চেকিং সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাই নালন। এখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০ জনের একটি পুরস্কারজয়ী দলকে। এই লেখায় তিনি জিআইজেএন-কে জানিয়েছেন, ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কাজে তাঁরা কোন ধরনের টুলগুলো বেশি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সুপরিচিত অনেক টুল যেমন আছে, তেমনি আছে তাদের নিজেদের বানানো কিছু টুল।
টুইটারের মালিকানা বদল এবং নতুন কিছু নিয়মনীতি প্রণয়ন; সংবাদ শিল্প থেকে ফেসবুকের গুটিয়ে যাওয়া… এমন কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকেরা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক কেমন হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালের একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তারা হাজির করেছেন কিছু জরুরি ভাবনা। পড়ুন এই লেখায়।
টুইটারে কোনো টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করা তথ্য প্রচারের একটি পরিচিত পন্থা। কিন্তু অনেক সময়ই মিথ্যা তথ্য প্রচারের লক্ষ্যে তৈরি করা নকল টুইটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেটে, চট করে যেগুলোর সত্য-মিথ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই লেখায় পড়ুন: কীভাবে এসব নকল স্ক্রিনশট তৈরি হয় এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের কিছু সহজ উপায়।
গত বছর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে দেখা যায় কিছু “সেলফি” ভিডিও, যেগুলোতে চীনের উইঘুর জনগোষ্ঠীর মানুষদের গণহারে আটক করার কথা অস্বীকার করা হয়। বিস্তারিত অনুসন্ধানে দেখা যায়: এগুলো আসলে রাষ্ট্রীয় প্রভাবে পরিচালিত, সমন্বিত মিথ্যা প্রচারণা। এই লেখায় অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প বলেছেন সাংবাদিকেরা। এবং দিয়েছেন এ ধরনের অনুসন্ধানের জন্য কিছু উপকারী পরামর্শ।
একটা সময় সাংবাদিকদের শুধু সত্য প্রকাশ করলেই চলত। কিন্তু এখন, অনেক কিছু কেন মিথ্যা— সেটি জানানোও সাংবাদিকদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইনে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের রমরমার মধ্যে, কেন তথ্য যাচাইয়ের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ, সেসবের উপায়-কৌশল ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন এএফপির ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সম্পাদক গেইল ফো।
১ নভেম্বর, জিআইজেসি২১-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে পাঁচ অনুসন্ধানী সম্পাদকের তারকাখচিত প্যানেলের সদস্যরা বলেছেন, এই যুদ্ধক্ষেত্র হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের টিকে থাকার লড়াইয়ের। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইনে। পাঁচ দিনের এই ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৪৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৮০০ সম্পাদক, রিপোর্টার ও সিভিল সোসাইটি সদস্য।
ইন্টারনেট মিম অনেকের কাছেই শুধু হাস্যরসের বিষয়। আবার অনেকের কাছে তা চরমপন্থী গ্রুপে নতুন সদস্য আমদানির কৌশল। ইন্টারনেট মিমের প্রভাবে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কিভাবে এক উচ্চশিক্ষিত নারীর চিন্তাভাবনায় নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে, তা উঠে এসেছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক ভিজ্যুয়াল প্রতিবেদনে। এই লেখায় পড়ুন সেই অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন তৈরির নেপথ্যের গল্প।
অনলাইনে এখন সত্যের বস্তুনিষ্ঠতা হামলার সম্মুখীন, একইভাবে সাংবাদিকরাও। হুমকি, ডক্সিং, হ্যাকিং, প্রাইভেসি লঙ্ঘন, ব্যক্তিগত ছবির বিদ্বেষপূর্ণ বিকৃতি – এসব বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবতে হচ্ছে রিপোর্টারদের, যা আগে অনেক দূরের ব্যাপার বলে মনে হতো। এধরনের হামলার কারণে রিপোর্টাররা সত্যিকারের জীবন-মরণ সঙ্কটে পড়ে যেতে পারেন। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হতে পারে, এমনকি তারা পেশা ছাড়তেও বাধ্য হতে পারেন। বদলে যাওয়া সময়ে, এই লেখাটি নিজের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে নিতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে আপনাকে।