
ঐ জমিটার মালিক কে?
সম্পত্তির রেকর্ডের মধ্যে লুকিয়ে থাকে হার রকমের দরকারি তথ্য। রাজনৈতিক দুর্নীতি হোক, পরিবেশগত অবরাধ বা আদিবাসী মানুষের অধিকার হরণ – এমন নানা বিষয়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে জমির মালিক কে, তা জানা।
সম্পত্তির রেকর্ডের মধ্যে লুকিয়ে থাকে হার রকমের দরকারি তথ্য। রাজনৈতিক দুর্নীতি হোক, পরিবেশগত অবরাধ বা আদিবাসী মানুষের অধিকার হরণ – এমন নানা বিষয়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে জমির মালিক কে, তা জানা।
প্রতিদিনকার যোগাযোগে আমরা যেসব সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছি, তাদের বেশিরভাগই অস্বচ্ছ এবং তাদের নিরাপত্তাও অপর্যাপ্ত। হোক তা হোয়াটসঅ্যাপ, জিমেইল, স্কাইপ বা ড্রপবক্সের মত প্রতিদিন ব্যবহার করা অ্যাপ। এই প্রতিবেদন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে, প্রথাগত অ্যাপ্লিকেশনের বদলে আপনি কোন ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম ব্যবহার করবেন এবং কীভাবে।
আপনি একটি রিপোর্ট করার পরে কবে তার ইমপ্যাক্ট হবে, সেই আশায় বসে থাকলে চলবে না। আজকাল প্রতিবেদনের ইমপ্যাক্ট সাংবাদিককেই তৈরি করে নিতে হয়। এবং আপনার প্রতিবেদন সমাজে কী প্রভাব ফেলেছে, তা পরিমাপ করে, সবাইকে জানিয়েও দিতে হয়। এজন্য প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই শুরু করতে হয় প্রচারণা। কিছু কিছু গণমাধ্যম তো ইমপ্যাক্ট প্রডিউসারই নিয়োগ করে। আপনি কীভাবে ইমপ্যাক্ট তৈরি করবেন? এটি কেন জরুরী? জানতে চাইলে পড়ুন।
শুরু চার পৃষ্ঠার এক পরীক্ষামূলক উদ্যোগ দিয়ে, যেন সদ্য লেখাপড়া শিখতে থাকা নারীরা সঠিক তথ্য পেতে পারেন। সেই উদ্যোগই একসময় রূপ নিল সংবাদপত্রে, যা কিনা নারীদের সাথে অসদাচরণ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের ত্রুটি পর্যন্ত সব কিছু উন্মোচন করতে লাগলো একে একে। খবর লহরিয়া নামের সেই পত্রিকার নাম, রাতারাতি ছড়িয়ে পড়লো জাতীয় পর্যায়ে।
ইমেল ঠিকানা, ইউজার নেম, বিভিন্ন সাইটে অ্যাকাউন্ট – এমন তথ্য দিয়ে আপনি যে কারো প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন এবং সেটি কাজে লাগাতে পারেন আরো গভীর অনুসন্ধানের জন্য। কিন্তু কীভাবে খুঁজবেন এসব তথ্য?
আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে। প্রত্যেক পাঠক (সাংবাদিকসহ) প্রতিনিয়ত “ভূয়া সংবাদ” এর মুখোমুখি হচ্ছে এবং দিন দিন তা চিহ্নিত করাও হয়ে উঠছে কঠিন। এই কারণে সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা বেশ জটিল হয়ে গেছে। বেলিংক্যাট ভুয়া খবর ও মিথ্যা তথ্যের এই জোয়ারকে কীভাবে মোকাবেলা করছে, বলেছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়ট হিগিন্স
কয়েকটি বড় বার্তাকক্ষ এবং সংবাদ সংস্থা কিছু দিনের জন্য খেলাধুলা, আবহাওয়া, শেয়ারবাজারের গতিবিধি এবং করপোরেট পারফরম্যান্সের মতো খবরাখবর তৈরির ভার কম্পিউটারের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল। অবাক করা বিষয় হলো, যথার্থতা ও ব্যাপকতার বিচারে মেশিন, কিছু সাংবাদিকের চেয়ে ভালো কাজ করেছে।
দিন দিন গণতন্ত্রের ওপর চাপ এবং গণমাধ্যম-বিরোধী মনোভাব যত প্রবল হচ্ছে, দুর্নীতি এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো বিষয়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তাও ততই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কেমন যাবে, জিআইজেএন থেকে আমরা সেই প্রশ্ন রেখেছিলাম আমাদের গ্লোবাল কমিউনিটির শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে। এখানে তাদের সেই মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
১১তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ২৬-২৯ সেপ্টেম্বর, জার্মানীর হামবু্র্গ শহরের দুই নান্দনিক ভেন্যু – স্পিগেল পাবলিশিং হাউস এবং হাফেনসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্মেলনের যৌথ আয়োজক গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (জিআইজেএন), নেটজোয়ের্ক রিসার্সে (এনআর) এবং ইন্টারলিঙ্ক একাডেমী ফর ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ অ্যান্ড জার্নালিজম।
ঘটনাটি ১৯৯৪ সালের। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে দিনের আলোয় একটি নৃশংস ডাকাতির ঘটনা ঘটে, যেখানে দুজন নিরাপত্তাকর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে আমার ১৮ মাসব্যাপী অনুসন্ধানটি আট পর্বের একটি সিরিজ হিসাবে ২০১৭ সালের মার্চে মুক্তি পায়। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী প্রথম অনুসন্ধানী পডকাস্ট, যা “আদতেই দক্ষিণ আফ্রিকান” বলে প্রশংসিত হয় এবং অনেক আন্তর্জাতিক শ্রোতা টানতেও সক্ষম হয়। ‘অ্যালিবাই’ নামের অনুসন্ধানী পডকাস্ট লেখা, তৈরি ও সম্পাদনা করতে গিয়ে আমি যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি, এখানে তা-ই তুলে ধরছি।
৫০ বছরের বেশী সময় ধরে ‘সুস্বাদু’ একটি ডকুমেন্ট গোপন করে রেখেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। নথিটির শিরোনাম, “শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর পাচকদের জন্য নির্দেশিকা।”
দর্শকদের একটি বড় অংশ এখন কন্টেন্ট দেখেন মোবাইলে। এখানে জনপ্রিয় ৯টি স্টোরিটেলিং ফরম্যাটের কথা বলা হয়েছে, যা মোবাইল উপযোগী এবং বিশ্বের বড় বড় গণমাধ্যমগুলো এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। ফিনল্যান্ডের সর্ববৃহৎ দৈনিক হেলসিংগিন সানোমাটের ভিজ্যুয়াল সাংবাদিক, এমা-লিনা ওভাসকাইনেন, তালিকাটি চূড়ান্ত করেছেন, সাথে বেশ কিছু উদাহরণও দিয়েছেন।
ডকুমেন্ট ব্যবস্থাপনার জন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় টুলগুলোর একটি ডকুমেন্ট ক্লাউড। এর সবচে দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, পিডিএফ থেকে টেক্সট তৈরি এবং আপলোড করা ফাইল থেকে পরিসংখ্যান বের করা। কিন্তু আপনাকে তথ্যের জন্য যখন হাজার হাজার দলিল বা ফাইল ঘাঁটতে হবে, তখন কী করবেন?
আমরা যা-ই ব্যবহার করি তার প্রায় সবকিছুই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন করতে হয়। এটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য খুব ভালো। এর মানে, প্রায় সবকিছুকেই অনুসরণ করে তার উৎস পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। কিন্তু এজন্য জানতে হবে শিপিং জগতের নিজস্ব ভাষা আর ব্যবহার করতে হবে কিছু কৌশল।
অনলাইনে অনুসন্ধানের এমন কোনো টুল নেই, যা আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এটি অনেকটা ধাঁধার মতো। প্রতিটি টুকরা জোড়া দিতে দিতে আপনাকে এগোতে হবে – কোথাও হয়তো একটি নাম পাবেন, অন্য কোথাও তার সঙ্গে কোনো সংযোগ – বিষয়টা এমনই। তবে ভালো খবর হলো, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন অন্তত কয়েক ডজন টুল পাওয়া যায়, যারা সেই ধাঁধার টুকরোগুলোকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
কিলিং পাভেল তৈরি হয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অলাভজনক সংগঠন Slistvo.info এবং ওসিসিআরপি’র নেতৃত্বে। এই অনুসন্ধানের মূলে ছিল ৫০টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে পাওয়া ফুটেজ- যা অনুসন্ধানী দলটিকে হত্যাকান্ডের সময় এবং পরবর্তী দিনগুলোতে ঘটে যাওয়া ঘটনা জোড়া দিতে সাহায্য করেছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পাঁচটি কৌশল থাকছে এখানে।
জিআইজেএনের নতুন আঞ্চলিক ভাষা উদ্যোগ জিআইজেএন বাংলা যাত্রা শুরু করেছে। এটি পরিচালিত হচ্ছে আমাদের সদস্য সংগঠন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) এর সাথে অংশীদারিত্বে। এখানে আমরা প্রতিদিন শেয়ার করা হবে সেরা অনুসন্ধানী টিপস ও টুলস্, সাড়া জাগানো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, অনুদান ও ফেলোশিপ, ডেটা সেট এবং আরও অনেক কিছু।
অনেক বড় বড় অনুসন্ধান শেষ পর্যন্ত কাঠখোট্টা প্রতিবেদনে পরিণত হয়। এই সব গল্প কখনো পাঠকের বিরক্তির কারণ হয়; আবার কখনো তা বুঝাই অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। দুঃখজনকভাবে, এই সব প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া হয় নেহাত সামান্য অথবা একেবারেই শূন্য। ফলে মাসের পর মাস ধরে অনুসন্ধানের যে কষ্ট তা একরকম বৃথা হয়ে দাঁড়ায়। পড়ুন, কীভাবে লিখবেন পাঠকপ্রিয় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
চারিদিকে ব্যক্তিগত ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার যত খবর আসছে, তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে সবারই কমবেশী শংকিত হওয়া উচিত। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশী মনোযোগ দেয়া দরকার। কারণ, তারা গোপন সোর্স আর স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে কাজ করেন। পড়ুন, তথ্যের সুরক্ষায় যে চারটি কৌশল আপনি এখনই নিতে পারেন।
ইনফোগ্রাফ কীভাবে বানাতে হয়, তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। সময় থাকলে ভারি কোনো সফটওয়্যার শিখে নেওয়া যায় বা অর্থের বিনিময়ে পেশাদার কাউকে ভাড়া করা যায়। কিন্তু এই দুটোর কোনোটিই যদি না থাকে? গ্রাফিক্সের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই যদি ইনফোগ্রাফ বানাতে চান, তাহলে জেনে নিতে পারেন এই অনলাইন টুলগুলো সম্পর্কে । শুধু এগুলো দিয়েই জন্ম দেয়া সম্ভব রীতিমত পেশাদার মানের কাজ।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আর দশটা স্টোরির মতই, তবে তাতে অনেক শ্রম দিতে হয়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা নথিপত্র খোঁজাখুঁজি, উৎস যাচাই আর তথ্য বিশ্লেষণে অজস্র সময় ব্যয় করেন – অবশ্য শেষপর্যন্ত যদি সেই তথ্য পাওয়া যায়। একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসাবে, আমাকে অনেক স্টোরি করতে হয়। আর সেইসব স্টোরির উৎস, গল্প বা প্রাথমিক সূত্র খুঁজে বের করতে আমি কিছু টুল সবসময় ব্যবহার করি। তথ্য খুঁজে বের করা, কাজের গতি বাড়ানো এবং অনুসন্ধানের ট্র্যাক রাখার জন্য সেরা তেমন ১০ টি টুলের সাথে এবার আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।