প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

525 posts

মাত্র ১৫ সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থীকে অনুসন্ধানী সাংবাদিক বানাবেন যেভাবে

চিলির সান্টিয়াগোতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পড়ান পলেট দেজোর্মো। কোর্সের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়, “নিজে নিজে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। বিষয় হতে হবে সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক। জোর দিতে হবে সরকারের নীতি; অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা বিচারিক ক্ষমতা; বা সংগঠিত অপরাধে।” শুনে মনে হতে পারে, উচ্চাভিলাষী। কিন্তু দেজোর্মো মনে করেন, শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে পুরোপুরি নিয়োজিত করতে হলে, চিন্তার সীমারেখা একটু উঁচু হওয়া প্রয়োজন।

ভুয়া তথ্য ছড়ানোর নেপথ্যে কারা – অনুসন্ধান করবেন কীভাবে?

একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সর্বপ্রথম যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে নজর দিন। সেটি প্রোফাইল পিকচারও হতে পারে। দেখুন সেই ছবিতে কোনো লাইক আছে কিনা। কেউ যখন প্রথম কোনো পেইজ খোলে তখন অনেক সময় নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে তাতে লাইক দেয়।

জিআইজেসি১৯: চার দিনের সম্মেলনে যত কিছু হল

শেষ হলো ১১তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স। গত চার দিনে ১৩০টি দেশ থেকে ১৭০০-র বেশি সাংবাদিক এসেছিলেন জার্মানির হামবুর্গে। তারা সেখানে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ বক্তাদের কাছ থেকে শিখেছেন, সমমনা মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, পরবর্তী অনুসন্ধানের জন্য নতুন বন্ধুর সঙ্গে জোট বেধেছেন। ব্যস্ত এই সম্মেলনে এত ঘটনা ছিল যে এটার সারমর্ম করা খুবই কঠিন। তারপরও আমরা এখানে একটা চেষ্টা করেছি।

সত্যের জন্য লড়াই, সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা এবং আমাদের ভবিতব্য – যা বললেন মারিয়া রেসা

হলভর্তি সাংবাদিকের ভালোবাসায় অভিভূত মারিয়া রেসা, বক্তৃতা শুরু করার আগেই হয়ে পড়েছিলেন অশ্রুসিক্ত। আদালত থেকে জামিন নিয়ে, নগদ টাকায় মুচলেকা দিয়ে, হামবুর্গ সম্মেলনে আসতে হয়েছে ফিলিপাইনের এই অনুসন্ধানী সাংবাদিককে। “একজনের ওপর হামলা মানে আমাদের সবার ওপর হামলা,” ১১তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সের স্মারক বক্তৃতায় এটাই ছিল রেসার মূল বার্তা।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ভাষার বিড়ম্বনা: ইংরেজি যেভাবে বদলে দিচ্ছে বিশ্ব সংবাদের ন্যারেটিভ

ইংরেজি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভাষা। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি ইত্যাদি তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে ইংরেজি আদল গড়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদেরও। ইংরেজিতে দক্ষতা-অদক্ষতার বিবেচনায় নির্ধারিত হচ্ছে অনেক কিছু। এই সর্বগ্রাসী প্রভাবকে সামাল দেয়ার জন্য আমাদের কী করার আছে? লিখছেন জিআইজেএন-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তানিয়া প্যাম্পালোনি।

সম্মেলন শুরু: “সাংবাদিকরাও তৈরি হচ্ছে”

#GIJC19 যাত্রা শুরু: পুরো বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি-হামলা বেড়েই চলেছে। এর বিপরীতে নতুন ভাবনা-প্রযুক্তিতে নিজেদের সমৃদ্ধ করে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান এসেছে ১১তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স থেকে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই আন্তর্জাতিক মিলনমেলার উদ্বোধনী অধিবেশনে রিপোর্টার, এডিটর ও গবেষকরা এটা শুনেছেন যে, অনেক স্বৈরতান্ত্রিক দমনপীড়ণ ও কঠোরতার মধ্যেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পরিসর আসলে বেড়েছে।

ঘরে বসেই অংশ নিন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় সম্মেলনে

১১তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে (#GIJC19) (২৬-২৯ সেপ্টেম্বর) অংশ নেওয়ার জন্য হামবুর্গে যেতে পারেননি? আফসোসের কিছু নেই। ঘরে বসেই নানা উপায়ে আপনি পেতে পারেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় সম্মেলনের খবরাখবর। পুরো বিশ্ব থেকে দেড় হাজারেরও বেশি সাংবাদিক অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে। যেখানে তারা মতবিনিময় করবেন তাদের কাজ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে।

পরামর্শ ও টুল

আপনি কি অনুসন্ধানী সাংবাদিক? জেনে নিন কিভাবে বসকে খুশি রাখবেন

রগচটা হিসেবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটু দুর্নাম  আছে – তা সে নিউজরুমের ভেতরেই হোক বা বাইরে। এই ভাবমূর্তি কখনো কখনো তাদের কাজেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। একারণে “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: টিকে থাকার গাইড” নামের বইয়ে, বসের সঙ্গে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সম্পর্ক নিয়ে পুরোদস্তুর একটি অধ্যায় রেখেছেন ডেভিড লেই। এখানে আছে কয়েকটি বিচক্ষণ পরামর্শ, যা কিনা বসদের সঙ্গে মানিয়ে চলার পাশাপাশি, প্রতিবেদন প্রকাশের পথ তৈরিতেও সাহায্য করবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের।

প্রজেক্ট মিরোস্লাভা: সহকর্মীর হত্যাকাণ্ড যেভাবে একজোট করেছে মেক্সিকোর সাংবাদিকদের

উত্তর মেক্সিকোতে মাদকের কারবারী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরে অনুসন্ধান করছিলেন মিরোস্লাভা ব্রিচ। সেটি শেষ হবার আগেই চিহুয়াহুয়া শহরে নিজ বাড়ির সামনে আটবার গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। দিনটি ছিল ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ। সময়, সকাল ৬টা ৫০ মিনিট। কিন্তু এই মৃত্যু চুপ করাতে পারেনি তাঁর সহকর্মীদের। হত্যাকাণ্ডের দুই বছরেরও বেশি সময় পর তারা এই হত্যা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রজেক্ট মিরোস্লাভা নামের সেই অনুসন্ধানে তারা দেখিয়ে দেন, এই হত্যাকাণ্ডের সরকারি তদন্তে কতটা দুর্বলতা আছে।

যদি হতে চান সাংবাদিকতার “সোনার হরিণ!”

সাংবাদিকতার জগতে এখন তারাই সোনার হরিণ, যারা কোডিং জানেন। এদের বলা হয় জার্নোকোডার। এরা সেই বিরল প্রজাতির সাংবাদিক যাদের রিপোর্টিং দক্ষতা আছে, আবার প্রোগ্রামিং এবং ডেটা বিশ্লেষণেও পটু। এই বিশেষ গুণের মিশেলে, তারা হয়ে ওঠেন যে কোনো নিউজরুমের জন্যেই আরাধ্য। আপনি কি ডেটা ইউনিট গঠন করতে চান? আপনার জন্য দুঃসংবাদ হলো, এই “সোনার হরিণ” আপনি যতটা ভাবছেন তার চেয়ে বিরল ও দুষ্প্রাপ্য।

তুরস্কে গণমাধ্যম দখলের ফল যেভাবে উল্টে দিল ছোট ছোট ডিজিটাল মিডিয়া

তুরস্কে কয়েক বছর ধরেই নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চলছে। প্রথাগত বড় বড় গণমাধ্যমগুলো পুরোপুরি চলে গেছে রাষ্ট্রের দখলে। এত কিছুর পরও সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল। আর অবাধ তথ্যের যোগান এবং বিজয়ী বিরোধী দলের পক্ষে জনমত গঠনের শক্তিশালী ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে স্থানীয় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন হল, ছোট ছোট এসব ডিজিটাল মিডিয়া কীভাবে রাতারাতি এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে?

পরামর্শ ও টুল

আমার প্রিয় অনুসন্ধানী টুল: ফ্যাবিওলা তোরেস

ফ্যাবিওলা তোরেস। পেরুর এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক কাজ করেছেন ইমপ্ল্যান্ট ফাইলস, পানামা পেপার্সসহ বেশকিছু সাড়াজাগানো অনুসন্ধানে। তিনি অনুসন্ধানী গণমাধ্যম ওহোপুবলিকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এখন গড়ে তুলেছেন স্বাস্থ্যখাতের ভুয়া খবর যাচাইয়ের নেটওয়ার্ক স্যালুদ কন লুপা। তাঁর আগ্রহের জায়গাও মূলত স্বাস্থ্য ও ডেটা। সাংবাদিকতার বহুমাত্রিক কাজের জন্য তাঁর পছন্দের কিছু টুল আছে। সেগুলোর কথাই বলেছেন, “আমার প্রিয় টুল” সিরিজে।

অপারেশন কার ওয়াশ: যে অনুসন্ধান বদলে দিয়েছে লাতিন আমেরিকার সাংবাদিকতা

বলা হয়, লাভা হাতো কেলেঙ্কারি বিশ্বের সবচে বড় দুর্নীতির ঘটনা। এটি উন্মোচন করেছেন সাংবাদিকরাই। জোটবদ্ধ এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অন্তত ১০জন সাবেক প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, গভর্নর, মন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম, যারা কোটি কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চেহারাই শুধু পাল্টে দেননি; ভবিষ্যতে আরো অনেক আন্তঃসীমান্ত রিপোর্টিং প্রকল্পের ভিতও রচনা করেছেন।

স্টোরি প্লেবুক: ছাঁচে ঢেলে দিন শব্দ, হয়ে যাবে গল্প

প্রতিদিন শত শত স্টোরি প্রকাশ করতে হয় ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে। নানা রকমের বিষয় ও তথ্যকে সহজে গল্পে বদলে ফেলতে তারা তৈরি করেছে স্টোরি প্লেবুক। এখানে পাঁচটি টেমপ্লেট আছে। সেই ছাঁচই রিপোর্টারকে বলে দেয় ষ্টোরির কোন অংশে কোন তথ্য বসাতে হবে, কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। এভাবে সহজেই লেখা হয়ে যায় গল্প। তাদের এই টেমপ্লেট সবার জন্য উন্মুক্ত। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আপনিও।

আন্ডারকভার রিপোর্টিং: আমি যেভাবে কসাই হলাম

প্যাট্রিক সেপানিয়াক। অ্যাসাইনমেন্টের প্রয়োজনে ছদ্মবেশ ধারণ করা তার জন্য নতুন নয়। নেদারল্যান্ডে অস্থায়ী শ্রমিক সেজে কাজ করতে গিয়ে মার খেয়েছেন। উবার ড্রাইভার সেজে গাড়ী চালিয়ে প্রমাণ করেছেন কোম্পানিটি কীভাবে করফাঁকি দেয়। স্ট্রিপ ক্লাবে ঘুরে ঘুরে বের করেছেন কীভাবে বিদেশী পর্যটকদের সবকিছু লুটে নেয়া হয়। শেষবার তিনি কসাইয়ের ছদ্মবেশে গিয়েছেন পোল্যান্ডের এক কসাইখানায়। চলুন জেনে নেয়া যাক, আন্ডারকভার তথা ছদ্মবেশে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিনি কী শিখেছেন।

২০১৯ গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ড: চূড়ান্ত দৌঁড়ে যে ১২টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অষ্টম গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত দৌঁড়ে জায়গা করে নিয়েছে ১১টি দেশের মোট ১২টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। বিচারকরা বলেছেন: “গ্লোবাল শাইনিং লাইট অ্যাওয়ার্ডে এবার জমা পড়া চমকপ্রদ প্রতিবেদনগুলো এটাই প্রমাণ করে, চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বেশ দাপটের সাথেই টিকে আছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা: যস্মিন দেশে যদাচার!

আপনি যদি ডিজিটাল নিরাপত্তার উপর কোনো কর্মশালায় কখনো অংশগ্রহণ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জেনেছেন – কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বানাতে হয়, কীভাবে একটা ফোল্ডার বা এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভকে এনক্রিপ্ট করতে হয়, এবং কীভাবে আপনার অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসগুলোকে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের আওতায় আনতে হয়। সবই দরকারি, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য সবসময় যথেষ্ট নয়। আপনার দরকার, নিজের পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে খাপ খায় এমন টুল বা চর্চা বাছাই করতে শেখা।

২০১৯ সালের সেরা ১০টি ডিজিটাল স্টোরি (এখন পর্যন্ত)

সাংবাদিকতা এখন আর নিছক লেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল যুগে এসে তার উপস্থাপনায় এসেছে অভিনবত্ব। এভাবে ডিজিটাল স্টোরি সাংবাদিকতায় এনেছে নতুন বৈচিত্র্য। এখন লেখার পাশাপাশি ইন্টারঅ্যাকটিভ, স্ক্রল, অ্যানিমেশন, এমনকি গেইমও হয়ে গেছে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যম। দেখুন, ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রকাশ হওয়া সেরা ১০ ডিজিটাল স্টোরি।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখার ৭টি কাঠামো, যা আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন

গল্প হোক বা উপন্যাস – সেখানে নায়ক থাকে, খলনায়ক থাকে; থাকে আবেগ, ট্র্যাজেডি, কমেডি। এভাবেই গল্প এগোয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নিয়েও আপনি তেমন করে ভাবতে পারেন। কাল্পনিক গল্প বা উপন্যাস লেখার ৭টি জনপ্রিয় কাঠামো আছে। জেনে নিন, সেই কাঠামো আপনি অনুসন্ধানী রিপোর্ট লেখায় কীভাবে ব্যবহার করবেন।

আফ্রিকার লুটেরা শাসক ও তাদের “মানি ম্যান” 

এই শাসকরা ক্ষমতায় এসেছেন প্রভাব খাটিয়ে, ভোট কারচুপি করে এবং কখনো কখনো সন্ত্রাস বা ভয় দেখিয়ে। আর্থিক হিসাবনিকাশ তারা অতটা বোঝেন না। একারণে তাদেরকে নানারকম সহযোগী পুষতে হয়। এদের মধ্যে কেউ ব্যাংকার, কেউ আইনজীবী বা হিসাবরক্ষক। তারাই টাকা কামানো বা খাটানোর ব্যবস্থা করে দেন রাজনীতিবিদদের। এই অনুসন্ধানে আমরা খুঁজে বের করতে চেয়েছি শাসকগোষ্ঠীর অনুগত যত সেইসব “মানি ম্যান” বা সম্পদ ব্যবস্থাপকদের।

আমার প্রিয় অনুসন্ধানী টুল: ইমানুয়েল ফ্রয়েডেনথাল

অসাধারণ সব অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্ম দেয়া সাংবাদিক ইমানুয়েল ফ্রয়েডেনথালের প্রিয় টুলের মধ্যে আছে জিপিএস ট্র্যাকস, বিমান খোঁজার এন্টেনা, জিমেইল স্নুজ, ইত্যাদি। কিন্তু কেন এইসব টুল তার এত প্রিয়? কোন অনুসন্ধানে কীভাবে তিনি এসব ব্যবহার করেছেন? উত্তর পাবেন, এই লেখাতে। কে জানে, হয়তো এসব টুল এক দিন আপনার অনুসন্ধানেও কাজে আসতে পারে!

১০০০ অনুসারীই যথেষ্ট: সংখ্যায় নয়, মনোযোগ দিন পাঠকের মানে

“কার্যকর ব্যবসায়িক মডেলের জন্য কত পাঠক লাগে?” ইয়াদিনাকের উত্তরটা ছিল এমন, “সাধারণভাবে যা দেখেছি, ইমেইল তালিকায় এক হাজার পাঠক নিবন্ধন করলেই আমরা সেটা মনিটাইজ করতে পারি।” পড়ুন, সাংবাদিকতার নতুন উদ্যোগ বা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চাইলে নিবেদিত পাঠক তৈরি করা কেন জরুরী।

কেস স্টাডি

চারপাশে ছড়িয়ে থাকা তথ্য দিয়ে যেভাবে “কিলিং খাসোগি” নির্মাণ করল নিউ ইয়র্ক টাইমস

“কিলিং খাসোগি” ভিডিওটি তৈরির জন্য টাইমসের এক ডজনেরও বেশি প্রতিবেদক, প্রযোজক, গবেষক এবং ভিজ্যুয়াল সাংবাদিক কাজ করেছেন। সৌদি ঘাতক দল এবং যুবরাজের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হিসেবে বিপুল পরিমাণ ডেটা জড়ো করেছেন তারা। ছবি নিয়েছেন সিসিটিভি এবং সংবাদ ফুটেজ থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চষে অপরাধীদের পরিচয় বের করেছেন। সেই তথ্য জুড়ে জুড়ে তৈরি করেছেন তথ্যচিত্রটি, যা একটি অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে ভিজ্যুয়াল তথা সচিত্র অনুসন্ধানের।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে মনোযোগ ধরে রাখার ৬টি উপায়

কোনো কোনো সময় আপনি এমন অনুসন্ধানের মুখোমুখি হবেন, যা পদে পদে আপনাকে ভোগাবে। মাসের পর মাস গেলেও মনে হবে, কাজ ততটা এগুচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেন। পুলিৎজার পুরষ্কারের জন্য মনোনীত ”হার্টব্রোকেন” শিরোনামের অনুসন্ধানটি করতে গিয়ে একই সমস্যায় পড়েছিল মার্কিন পত্রিকা টাম্পা বে টাইমস। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা নিজেদের কীভাবে ধরে রেখেছিল – এখানে তা-ই তুলে ধরেছেন তাদের প্রতিবেদক নিল বেদি।

ইউক্রেন থেকে যেভাবে পাচার হল ৪৭০ বিলিয়ন ডলার

আসামীরা টাকা পাচার করেছেন মূলত জমি ক্রয়ের মাধ্যমে। এভাবে তারা ক্লিভল্যান্ড শহরের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট মালিক হয়ে ওঠেন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও কিনে নেন। বিস্তারিত মামলার বিবরণে।

বিমানের সন্ধানে: জিআইজেএনের নতুন রিপোর্টিং গাইড

দুর্নীতি, সরকারি নজরদারি, সামরিক অভিযান এবং আরো অনেক বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য মূল্যবান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে উড়োজাহাজ ট্র্র্যাকিং। আরো জানতে পড়ুন, জিআইজেএনের এই প্লেনস্পটিং গাইড।