প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ইম্প্যাক্ট বা প্রভাব বাড়াতে যা করবেন

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

Tips Increasing impact investigations

সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই সাড়া জাগানো স্কুপ প্রকাশ করে এবং তারপর আশায় বসে থাকে যে কখন সেটি কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বা স্থানীয় কমিউনিটির নজরে পড়বে এবং তারা স্টোরিতে উঠে আসা সমস্যা সামাধানের উদ্যোগ নেবেন।  

তবে ইম্প্যাক্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলগুলোকে অন্য গণমাধ্যম বা যারা পরিবর্তন আনবেন তাদের নজরে আনার – এমনকি তাদেরকে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করারও – কিছু উপায় আছে। “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রভাব বৃদ্ধি ও পরিমাপ,” নিয়ে জিআইজেএনের সাম্প্রতিক একটি ওয়েবিনারে তিনজন সম্পাদকের একটি প্যানেল ও একজন ইম্প্যাক্ট কৌশলবিদ এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন: 

  • কোনো ঘটনা উন্মোচনের পর সেটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে একটি সহজ ভিডিও বানান।
  • পরিবর্তনের উপযুক্ত মুহুর্তকে মাথায় রেখে স্টোরি প্রকাশের সময় ঠিক করুন।
  • সহযোগী অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ প্রচারণা চালান।
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ট্যাগ করুন, এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর দর্শকশ্রোতার কাছে পৌঁছে দিন।
  • বাস্তব জীবনে স্টোরির প্রভাব সবাইকে জানাতে এবং প্রভাব ট্র্যাক করতে এই ফ্রি টুলগুলো ব্যবহারের কথা বিবেচনা করুন৷
  • কমিউনিটি ভিত্তিক ফলো-আপে “জোর দিন৷”
  • কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতির প্রয়োজন না হলেও অন্তত তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা চালিয়ে যান।

প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন দ্য ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (টিবিআইজে) এর ভারপ্রাপ্ত ইম্প্যাক্ট এডিটর গ্রেস মারে; ইন্দোনেশিয়ার ইনফো মিডিয়া ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী ওয়াহিউ ধ্যাত্মিকা; ইম্প্যাক্ট আর্কিটেক্টের প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে গ্রিন-বারবার; এবং ওয়াচডগ ইতিহাসের বই “গ্লোবাল মাকর‌্যাকিং” এর সম্পাদক আনিয়া শিফ্রিন

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কর্মসূচির পরিচালক শিফ্রিন প্রশ্ন রাখেন, “আমরা সবাই জানি যে অপকর্ম উন্মোচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, এবং জবাবদিহিতার প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে ওয়াচডগ রিপোর্টিং সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, তাহলে [সেই প্রভাব] আমরা কীভাবে পরিমাপ করব এবং সন্দেহপ্রবণ জনসাধারণকে কীভাবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের গুরুত্ব বোঝাব? যেমন, একজন সরকারি কর্মকর্তা পদত্যাগ করলে, বা কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে গেলে প্রভাব সুস্পষ্টভাবে সামনে আসে যা সংরক্ষিত ডলারের পরিমাণ, বা বাজেয়াপ্ত সম্পদের পরিমাণ, বা আইন-কানুন সংস্কারের মতো মেট্রিক্সে তুলে ধরা যায়। কিন্তু সবসময় তা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় না।”

গ্রিন-বারবার বলেছেন, কোনো স্টোরির ফলে “বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন” প্রভাবের মধ্যে আসতে পারে, অন্যদিকে মারের মতে, অনুসন্ধানকালীন ভাবনা-চিন্তা বা গল্প নির্বাচনকালীন পর্যায়ে “তাতে কি?” এর মত বিরক্তিকর প্রশ্নের উত্তর থেকেও সম্ভাব্য প্রভাব অনুমান করা যেতে পারে।

যেমন, প্রাক্তন অপরাধী কোনো পাবলিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হতে পারবেন না – এই আইনটি যদি কোনো কর্পোরেট নির্বাহী লঙ্ঘন করেন তাহলে সেটি হয়তো ব্যবসায় বিটের সাংবাদিকদের জন্য একটি গরম খবর, কিন্তু সেটি নিয়ে হয়তো পাঠক বা নীতিনির্ধারকেরা খুব একটা মাথা ঘামাবেন না। কিন্তু অনুসন্ধানটি যদি হয় কোন সাহসী আইনজীবীর বিরুদ্ধে চলমান মিথ্যা প্রচারণা নিয়ে – দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগের ঘটনায় সাংবাদিকেরা যেমন অনুসন্ধান করেছিলেন –তা হয়তো জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, এবং এর ফলে সাংবাদিকতার ওপর জনসাধারণের আস্থাও বাড়াতে পারে।

মারে বলেছেন, ‘কী ধরনের প্রভাব ফেলা যাবে, এই স্টোরিটি কী পরিবর্তন আনবে, আমাদের অনুসন্ধানে কি কোন পদ্ধতিগত সমস্যা বেরিয়ে আসছে? ‘আমরা কেন এটি করছি? এ বিষয়ে কি পর্যাপ্ত রিপোর্ট হয়নি? এতে কি সত্যিই তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে?’ এসব প্রশ্ন করার মত বিরক্তিকর ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করুন।”

প্রভাবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করুন 

স্বাস্থ্য সুরক্ষার সঙ্গে প্রোটিন বা আমিষের ইতিবাচক সম্পর্ক আছে। টিবিআইজে যখন বিশ্বে বন উজাড়ের পেছনে কোলাজেন বাজারের অজানা ভূমিকা নিয়ে ডেটা সংগ্রহ করল, তখন তারা বুঝতে পারল যে তাদের অনুসন্ধানের ফলাফল এই ইতিবাচক ধারণার বিপরীতে যাচ্ছে এবং এটি তাদের রিপোর্টের প্রভাবকে সীমিত করবে। 

তাই, জনপরিসরে এই পরিবেশগত সংকট নিয়ে আলোচনা উস্কে দিতে, টিবিআইজের দলটি স্টোরির অ্যাঙ্গেল নির্ধারণ ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার সময় কোলাজেন শব্দটির সঙ্গে কাঠ, গরুর মাংস, সয়া ও স্বর্ণের মতো অন্যান্য সুপরিচিত শব্দ জুড়ে দেন যা বন উজাড়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এভাবে তারা প্রভাব তৈরির একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ঠিক করে নেন৷

মারে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেন এভাবে: “আমরা চেয়েছিলাম পণ্য ও বন উজাড় বিষয়ক আলোচনার মানচিত্রে কোলাজেনকে জুড়ে দিতে, এবং আমরা তা শুরু হতে দেখেছি। প্রকাশের আগে আমরা যখন কোম্পানিগুলোর কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য প্রশ্ন পাঠাই, তখন একটি কোম্পানির মেমো আমাদের চোখে পড়ে যেখানে প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহকারীদের নির্দেশনা দিয়েছিল যেন তারা অবিলম্বে অ্যামাজন অঞ্চল থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ বন্ধ করে।”

কোলাজেন নিয়ে স্টোরিটি লক্ষ্য নির্ধারণ সম্পর্কে  আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয়: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দ্রুততম ও প্রত্যক্ষ প্রভাবগুলো বেশিরভাগ সময় এমন সব ক্ষতিকর দিক সামনে আনে, যা আসলে কোম্পানি বা সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে অজানা এবং তাদের ব্র্যান্ডের জন্য ভয়াবহ বা হুমকিস্বরূপ৷ যেমন, নিউইয়র্ক টাইমসের ভিজ্যুয়াল অনুসন্ধানী রিপোর্টার ম্যালাকি ব্রাউন জিআইজেএনকে জানিয়েছেন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত “অক্ষতিকর” গুড়ো মরিচের অস্ত্রগুলো যে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের পুলিশ বিভাগের জানা-ই ছিল না। রেস্তোরাঁ-মালিক ডেভিড ম্যাকাটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাঁর অনুসন্ধানের জের ধরে বিভাগটি এই অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা পর্যালোচনা করতে বাধ্য হয়েছে।

একইভাবে, সাধারণ ল্যাব পরীক্ষায় যদি আপনি খেলনাতে ব্যবহৃত রঙে সীসার বিষাক্ত মাত্রার উপস্থিতি টের পান, তবে হয়ত বড় খুচরা বিক্রেতারা তাদের তাক থেকে খেলনাগুলো সরিয়ে রাখবে। এই উদাহরণ থেকে মারে আরেকটি প্রভাব বিষয়ক পরামর্শ দেন: “সত্যিই আবেগাপ্লুত করার” মতো আরও আবেগীয় স্টোরির দৃষ্টিকোণ বেছে নিলে বড় বড় সমস্যাগুলোতে ইম্প্যাক্ট রাখা যায়। আপনি কোনো প্রযুক্তি-কোম্পানির অফিসের দেয়ালে রঙের সীসার মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন, তবে বাচ্চাদের খেলনার রং পরীক্ষা করলে বাজার থেকে পণ্য তুলে নেওয়া বা নীতিমালা পরিবর্তনের মতো প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

অনুসন্ধানের ফলাফল ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল 

সর্বোপরি, অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমে একটি “ইম্প্যাক্ট সংস্কৃতি” গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন গ্রিন-বারবার ও মারে – যেখানে প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিদিনকার আলোচনা থেকে শুরু করে তার আধেয়, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার কৌশল এবং ফলোআপ সাক্ষাৎকার পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে, দলের প্রতিটি ব্যক্তি, পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা ও ফলাফল নিয়ে ভাববেন।

গ্রিন-বারবারের মতে, “প্রভাবের মাত্রাকে ট্র্যাক ও পরিমাপ করতে পারলে আপনি তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন, সংগঠন গড়ে তুলতে পারবেন এবং আস্থা অর্জন করতে পারবেন৷ সাংবাদিকেরা বলে থাকেন, ‘এটি আমাদের কাজ নয়’; তবে অনেকেই এখন বুঝতে পারছেন যে এটি তাঁদের দক্ষতা অর্জনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এটি যদি কর্মপ্রক্রিয়ার অংশ হয়, তাহলে হয়তো আপনি সম্পাদকীয় সভায়, মাসে অন্তত একবার ১০ মিনিটের জন্যে হলেও, ইম্প্যাক্ট বা প্রভাব নিয়ে কথা বলার সময় পাবেন।

বাজেট ও সময়ের সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলা সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য মারে অতিরিক্ত ইম্প্যাক্ট সহায়ক চারটি সম্পাদকীয় কৌশল জানিয়েছেন।

  • কর্মকর্তাদেরকে আপনার অনুসন্ধানের ফলাফল জানাতে সাবজেক্ট লাইনে “আপনার মতামত জানতে চাই” লিখে ইমেইল পাঠাতে থাকুন। মারে বলেছেন, “‘আজকে আমাদের এই স্টোরি আছে’ জানিয়ে বার্তা দেওয়ার চেয়ে মানুষের মন্তব্য জানতে চাওয়ার মাধ্যমে পাঠকের মাঝে স্টোরিটি দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যায়। স্টোরিতে যাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে স্টোরিটি পাঠান। তবে আমি জোর দিতে চাই যে বেসরকারি সংস্থা, রাজনীতিবিদ, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতের মানুষের কাছে আপনার স্টোরি নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া নিঃসন্দেহে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনের স্টোরি তৈরির খোরাক জোগাতে পারে।”
  • ফলোআপ স্টোরি নিয়ে ভাবুন, এবং মাসের পর মাস ধরে সেগুলো নিয়ে কাজ করুন। মারে ব্যাখ্যা করে বলেন, “কোলাজেন নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে আমরা পাঁচ দিনের কন্টেন্ট পরিকল্পনা সাজাই, যেখানে ছিল স্টোরির প্রতিক্রিয়া নিয়ে ফলোআপ, আদিবাসীদের ওপর আলোকপাত করে একটি লেখা, প্রথম বা উত্তম-পুরুষে লেখা একটি নিউজলেটার, এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য বিভিন্ন উপকরণ — দুটি ভিডিও ও একটি অ্যানিমেশন। “আপনার ঢোল আপনাকেই বাজাতে হবে।”
  • কন্টেন্টে আপনার অনুসন্ধানের ফলাফলের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরুন। মারে আরও বলেন, “মূল বার্তা প্রমাণ করাটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক করুন, স্টোরি থেকে কোন তিনটি বিষয় আপনি মানুষকে জানাতে চান?”
  • কৌশলী ট্যাগিং, দলগত আলোচনা, এমনকি ফলাফলের সারসংক্ষেপ নিয়ে রিপোর্টারের বয়ানে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ তৈরি করুন এবং এর মাধ্যমে আপনার অনুসন্ধানী ফলাফল সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন৷ মারের মতে, “আপনার স্টোরি প্রচারের এবং স্টোরিটি যাদের দেখাতে চান, তাদেরকে ট্যাগ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সস্তা মাধ্যম হলো সামাজিক মাধ্যম। আর প্রতিবেদক হিসেবে আপনার সক্ষমতাকে মোটেও ছোট করে দেখবেন না, ক্যামেরার মাধ্যমে কেবল আপনার গল্প মানুষকে বলুন। আবেদন তৈরিতে এটি বেশ কার্যকর, আর আপনি যদি ‘আপনি কি জানেন হ্যাকিং কীভাবে হয়?’ এমন আকর্ষণীয় প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলে তা মানুষের মনে আগ্রহ জাগাতে পারে।”

জিআইজেএনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড এনগেজমেন্ট এডিটর হলি প্যাট সম্প্রতি তুলে ধরেছেন:  মার্কিন কংগ্রেস নির্বাচনে এক প্রার্থীর মিথ্যাচার নিয়ে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, কিন্তু সেটি সেই ব্যক্তির নির্বাচনে কোনো বাধা হতে পারেনি; এর আংশিক কারণ ছিল ছোট সংবাদমাধ্যমটি তাদের সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের শক্তিশালী অনুসন্ধানের প্রচারণা ভালোভাবে চালাতে পারেনি। (আর, নিঃসন্দেহে আরেকটি কারণ ছিল, নির্বাচনের পরও স্টোরিটি বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর চোখ এড়িয়ে গেছে।)

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীন টেম্পো ম্যাগাজিনের প্রাক্তন নির্বাহী সম্পাদক ধ্যাত্মিকা বলেছেন, ব্যবহারকারী, রিচ ও এনগেজমেন্ট নিরূপণে পরিমাণগত বিশ্লেষণী টুলগুলো কার্যকর, তবে বাস্তবসম্মত পরিবর্তন পরিমাপে অন্যান্য উপায়গুলোও জরুরি৷

তিনি বলেন, পরিবর্তনকে আরও গভীরে পৌঁছে দিতে ও ম্যাগাজিনের মূল দর্শকগণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে টেম্পো সক্রিয়ভাবে স্টোরির ডাউনস্ট্রিম ইম্প্যাক্টের খোঁজ করে ও প্রতিবেদন চালিয়ে যায়, এবং পাঠকগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।

ছবি: স্ক্রিনশট, টেম্পো ম্যাগাজিন

ধ্যাত্মিকা আরও বলেছেন, “পাঠক ও সংবাদমাধ্যমের মধ্যে কথোপকথন এগিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করি৷ পাঠকশ্রোতাদের নাড়া দেয়, এমন ছোট ছোট বিষয় থেকে শুরু করে, আরও তথ্য পেতে আগ্রহী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আহ্বান, বা সংসদে শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ – সব কিছুতে নজর রাখতে হবে। আমরা সেই প্রতিক্রিয়াগুলো তুলে ধরি এবং অনলাইনে স্টোরিটি চালিয়ে যাই।”

গ্রীন-বারবার তাঁর সংগঠন, ইম্প্যাক্ট আর্কিটেক্টসের তৈরি করা ফ্রি টুল ইম্প্যাক্ট ট্র্যাকার  সম্পর্কে বলেছেন, সম্পাদকীয় কর্মীদের ডেটা ইনপুটের ভিত্তিতে এটি স্টোরি থেকে উদ্ভূত পরিবর্তনের প্রবণতা ও ভিজ্যুয়ালাইজেশন তৈরি করতে পারে।

“আমাদের লোগোতে ‘পরিবর্তনের সূচনার’ ইঙ্গিত আছে, আর এই ‘সূচনা’ শব্দটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা সাংবাদিকেরা প্রকাশ্যে অপকর্ম তুলে ধরি, এবং মানুষের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করি, তবে আমরা নিজেদের পরিবর্তন আনতে পারি না,” মারে বলেছেন। “অন্যরা যেন ব্যবহার করতে পারে, আমরা সেই সাক্ষ্যপ্রমাণ সরবরাহ করতে চাই।”

জিআইজেএনের পুরো ওয়েবিনারটি দেখুন নিচের লিঙ্কে:

আরও পড়ুন

মাস্টারিং দ্য রোলআউট: ইনক্রিজিং দ্য ইম্প্যাক্ট অব ইওর ইনভেস্টিগেটিভ স্টোরি

ইনভেস্টিগেটিভ ইম্প্যাক্ট 

জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টার — ইম্প্যাক্ট: এসেনশিয়াল রিডিং


Rowan Philp, senior reporter GIJNরোয়ান ফিলিপ জিআইজেএনের প্রতিবেদক। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমস পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। বিদেশ প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ২৪টির বেশি দেশে সংবাদ, রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন।

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

CORRECTIVE Secret Master Plan Against Germany investigation

পদ্ধতি

আন্ডারকভার রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলের গোপন বৈঠকের তথ্য উন্মোচন

ছদ্মবেশে জার্মানির চরম ডানপন্থী দলগুলোর গোপন বৈঠকে ঢুকে পড়েছিলেন কারেক্টিভের রিপোর্টার। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন: কীভাবে জার্মানি থেকে লাখ লাখ মানুষকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। পড়ুন, অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প।

পরামর্শ ও টুল

ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া একাডেমিক গবেষণা নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন

একাডেমিক গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত। ফলে ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া গবেষণা অনেক সময় তৈরি করতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। পড়ুন, কীভাবে এমন ত্রুটিপূর্ণ গবেষণা নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারেন।

গাইড পরামর্শ ও টুল

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনুসন্ধানের রিপোর্টিং গাইড: সংক্ষিপ্ত সংস্করণ

জাতিসংঘের মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা হচ্ছেন বৃহত্তম বিভক্ত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। কার্যত প্রতিটি রিপোর্টিং বীটেই প্রতিবন্ধী বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা বা কাজ করার সুযোগ রয়েছে।