

জিআইজেসি২৫: যে কারণে বিশেষজ্ঞদের আলোচনা সাংবাদিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
মালয়েশিয়াতে ১৪তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স শুরু চলতি বছরের ২০ নভেম্বর। চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের আয়োজনে ৩০০-এর বেশি শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক, ডেটা গুরু এবং বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞরা-বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনই আয়োজক মহাদেশ এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই ভৌগোলিক বৈচিত্র্য আর বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান-অভিজ্ঞতার মিশেলে জিআইজেসি হতে যাচ্ছে একটি অনন্য আয়োজন।
যারা এরই মধ্যে নিবন্ধন করেছেন এবং যারা করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য কনফারেন্সের ১৫টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় (ট্র্যাক) এবং ১৫০টিরও বেশি সেশনের মধ্যে থেকে কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এখানে থাকছে যুগান্তকারী নতুন কিছু প্যানেল এবং কর্মশালার পরিকল্পনা।
ডেটা সেশন
- সূত্র মিলানো: সীমিত ডেটা পরিস্থিতিতে অনুসন্ধান
যেসব সাংবাদিকের খুব বেশি ডেটা প্রাপ্তির সুযোগ নেই তারা বিশেষ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। এর কারণ হলো সরকারি তথ্য পাওয়ার সীমাবদ্ধতা এবং পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব। কোড ফর আফ্রিকার প্রধান ডেটা কর্মকর্তা ও ইতালির সাংবাদিক ইয়াকোপো ওত্তাভিয়ানি এই প্যানেলটি পরিচালনা করবেন। এখানে তুলে ধরা হবে কীভাবে মাঠপর্যায়ের ঘাম ঝরানো কাজকে ওপেন সোর্স রিসার্চের সঙ্গে মিলিয়ে লুকানো গল্প উন্মোচন করা যায়। বক্তা হিসেবে থাকবেন কেনিয়ান ডেটা সাংবাদিক পিউরিটি মুরিকামি। আরব রিপোর্টারস ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিমের (এআরআইজে) নির্বাহী সম্পাদক ইথার আলআজেম, এবং বিবিসি সার্বিয়ার তেওদোরা কারসিক। তারা কিছু কৌশল আর বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরবেন। দেখাবেন, কীভাবে সীমিত পরিবেশে তথ্য সংগ্রহ করা যায়, স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণকে মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা যায়, এবং খণ্ডিত তথ্য থেকে শক্তিশালী অনুসন্ধান তৈরি করা যায়। বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা শিখবেন ডেটা সংগ্রহের উদ্ভাবনী কৌশল, অপ্রাতিষ্ঠানিক সূত্র যাচাইয়ের পদ্ধতি, এবং কীভাবে সীমিত সম্পদ নিয়েও কার্যকরভাবে কাজ শেষ করা যায়।
প্রযুক্তি সেশন
- ‘ব্ল্যাক বক্স’ ভেঙ্গে অ্যালগরিদম অনুসন্ধান
আমাদের ব্যবহৃত অনেক সাধারণ ও সহায়ক অ্যাপের নেপথ্যে কাজ করে অ্যালগরিদম, কিন্তু একই সঙ্গে সেগুলো অনেক বড় ক্ষতির কারণও হতে পারে, যেমন ব্যবস্থাগত পক্ষপাত এবং অন্যায় দাবি প্রত্যাখ্যান। তবে এদের কাজের প্রক্রিয়াগুলো বেশিরভাগ সময়ই পর্দার আড়ালের ঘটনা হিসেবে থেকে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এই প্যানেলে সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন পুলিৎজার সেন্টারের কারোল ইলাগান। বক্তা হিসেবে অংশ নিবেন রিপোর্টসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল গেইগার। তারা তুলে ধরবেন— কীভাবে এসব প্রযুক্তি এবং সমাজে এর ব্যবহার নিয়ে অনুসন্ধান করা যায়, এআই সাপ্লাই চেইন ট্র্যাক করার কৌশল, এবং এসব প্রযুক্তির কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান ক্ষতির দিকগুলো শনাক্ত করার উপায়গুলোই বা কী— বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতে।
পরিবেশ সেশন
- স্থানীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈশ্বিক পানি সংকট অনুসন্ধান
বৈশ্বিক পানি সংকট কোনো ভবিষ্যৎ হুমকি নয়—বর্তমানে বহু সম্প্রদায়ই এ সংকটের কারণে বিপর্যয়ের সম্মুখীন। শক্তিশালী কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরার মাধ্যমে জর্ডানের হিবার (7iber) নির্বাহী সম্পাদক লিনা এজেলিয়াত, আর্জেন্টিনার রুইদো-এর সম্পাদকীয় পরিচালক এদগার্দো লিটভিনফ, এবং মিশরের ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার ইমান মুনির দেখাবেন জটিল পানি সংকটের গল্প অনুসন্ধানের পদ্ধতি এবং কীভাবে ক্ষমতাশালী পক্ষকে দায়বদ্ধ করা যায়। এতে থাকছে সংবেদনশীল পরিবেশে তথ্যপ্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার কৌশল এবং স্থানীয় সমস্যা থেকে পরিবর্তনের গল্প তৈরি করার উপায়। সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন কলম্বিয়ান সাংবাদিক আন্দ্রেস বারমুদেজ লিয়েভানো। তিনি এল ক্লিপেতে পরিবেশ সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত । এই প্যানেলে কর্পোরেট জবাবদিহিতা, সরকারি ব্যর্থতা এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিয়ে প্রভাবশালী স্টোরিটেলিংয়ের বাস্তব কৌশলগুলোও তুলে ধরা হবে।
অলাভজনক ও নতুন মডেল নিয়ে সেশন
- আস্থা পুনর্গঠন: স্থানীয় ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন
সাংবাদিকতা ঘিরে আস্থা ক্ষয়ের এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই প্যানেলটি খুঁজবে সংবাদমাধ্যম কীভাবে নতুন করে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে পারে। সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন পুলিৎজার সেন্টারের রোজিনা ব্রিন। বক্তা হিসেবে যোগ দিবেন নাইজেরিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ওলুগবেনগা আদানিকিন, কোস্টারিকার লা ভোজ দে গুয়ানাকাস্তের সম্পাদক নোয়েলিয়া এসকিভেল, এবং কাজাখ সাংবাদিক লুকপান আহমেদিয়ারভ। তারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখা কৌশলগুলো তুলে ধরবেন। যেমন সরকারি খরচ ও চুক্তি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার পর্যবেক্ষণে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার ব্যবহারিক কৌশল এবং ঝুঁকি মোকাবিলার উপায়। বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা শিখবেন কীভাবে সহযোগিতামূলক সাংবাদিকতা স্থানীয় প্রভাব বৃদ্ধি করে ও পাঠকের আস্থা গড়ে তোলে, এবং এমন টেকসই জবাবদিহির কাঠামো তৈরি করে যা সংবাদকক্ষ ও সম্প্রদায়ের উভয়ের জন্য লাভজনক।
মানবাধিকার সেশন
- ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও অঞ্চলের যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান
সুদান থেকে শুরু করে ফিলিস্তিন পর্যন্ত সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সব জায়গাতেই একই ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। এই সেশনের সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন ড্যানিশ তথ্যচিত্র নির্মাতা হেনরিক গ্রুননেট। আলোচনায় থাকবে কিছু সাধারণ প্রশ্ন: কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে সাংবাদিক সূত্র, প্রমাণ সংরক্ষণের ধারাবাহিকতাকে (চেইন-অব-কাস্টডিকে) নিরাপদ রাখাতে পারে? সাংবাদিকরা কীভাবে বাধা এড়িয়ে তথ্য ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করবেন, বা দূর থেকে রিপোর্ট করবেন? আন্ডারকভার কৌশল ব্যবহার করে বা ভিন্ন পরিচয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনা নৈতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি সরাসরি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই সাংবাদিকরা যুদ্ধাপরাধীদের দায়ী করার পরীক্ষিত পদ্ধতিগুলো নিয়ে বলবেন। এতে অংশ নিবেন দ্য কিইভ ইন্ডিপেনডেন্ট-এর যুদ্ধাপরাধ অনুসন্ধান ইউনিটের প্রধান ইয়েভহেনিয়া মটোরেভস্কা, মিয়ানমার নাউ-এর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সু চে, এবং ম্নেমোনিক-এর সিরিয়ান আর্কাইভ প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হাদি আল খাতিব।
অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়ক সেশন
- ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত গল্প উন্মোচন
ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো প্রায়ই গোপনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও ধর্মীয় ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এই ধরনের ঘটনা অনুসন্ধানে নেমে সাংবাদিককে প্রথমে ভুক্তভোগী, যাদের বেশিরভাগই মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের আস্থা অর্জন করতে হয়। জটিল তথ্যকে সঠিকভাবে সাজাতে হয়। প্যানেল সঞ্চালক হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরি নক্সুমালো ফাউন্ডেশনের অ্যান্টন হারবার। আলোচক হিসেবে থাকবেন কলম্বিয়ার রিপোর্টার হুয়ান বাররিয়েন্তোস, রেডিও নিউজিল্যান্ডের আনুশা ব্র্যাডলি, এবং পেরুর অনুসন্ধানী সাংবাদিক পাউলা উগাজ। কীভাবে সূত্রের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক বাধা মোকাবিলা করা যায়, এবং সংবেদনশীল সাক্ষ্য থেকে প্রভাবশালী গল্প তৈরি করা যায়—তা নিয়ে আলোচনা করবেন। বক্তারা নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরবেন। যেমন আইনি হয়রানি ও নিপীড়ন এবং কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
ব্যবসা-বাণিজ্য
- ওষুধ শিল্পের অলিগোপলি অনুসন্ধান
এই কর্মশালাতে থাকবেন সালুদ কন লুপা-এর পরিচালক ফাবিওলা টরেস এবং দ্য এক্সামিনেশন-এর অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক উইল ফিটজগিবন। তারা সাংবাদিকদের ওষুধ শিল্পের অলিগোপলি—যেখানে কিছু সংখ্যক বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠান বাজার নিয়ন্ত্রণ করে এবং পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে ও বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহকে সীমিত করে—অনুসন্ধান নিয়ে শেখাবেন। অংশগ্রহণকারীরা বাজার মূল্য নির্ধারণের কৌশল উন্মোচন, পেটেন্টের সময়সীমা বৃদ্ধি ও লবিংয়ের কৌশল প্রকাশ, স্বার্থের সংঘাত, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দখলদারিত্ব, এবং জেনেরিক প্রতিযোগিতা ঠেকানোর প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়েও জানতে পারবেন। এই সেশনে ব্যবহারিক পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। যা সাংবাদিকদের জটিল বাজার কাঠামো অনুসন্ধান, ওষুধ কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহি করা এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সহজলভ্য ও সাশ্রয়যোগ্য নীতি আলোচনায় ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।
নিরাপত্তা ও সুরক্ষা
প্রযুক্তি বিষয়ক ঝুঁকি মোকাবিলা: ডিভাইস অনুসন্ধান ও জব্দ হলে কী করনীয়
ডিজিটাল নজরদারি বৃদ্ধি আর কর্তৃত্ববাদী শাসনের দমনপীড়নের মধ্যে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ম নতুন নতুন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। সীমান্ত পেরোনো, বিক্ষোভ কভার করা, বা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করার সময় তাদের ভয় দেখানোর হাতিয়ার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস অনুসন্ধান ও জব্দের ঘটনা। বাস্তব কেস স্টাডি ও হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দ্য টর প্রজেক্ট-এর রায়া শারবাইন এবং সিটিজেন ল্যাব-এর বিল মারজাক শিখাবেন— কীভাবে আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ডিভাইস জব্দের সময় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়, এবং জব্দ হওয়া ডিভাইসের ভেতরে কী ঘটে: কীভাবে তা আনলক করা হয়, কোন তথ্য বের করা হয়, এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কী হতে পারে।
সাধারণ আলোচনা
- ক্রস বর্ডার প্রতিবেদন তৈরিতে সেরা সম্পাদকীয় নেতৃত্ব অনুশীলন
আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতামূলক সাংবাদিকতা প্রকল্পগুলো অনেক সময় এমন গল্প উন্মোচন করে, যা একক কোনো বার্তাকক্ষের পক্ষে একা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প সফল করার জন্য প্রয়োজন দক্ষ সম্পাদকীয় নেতৃত্ব—যে জটিল কার্যক্রম পরিচালনা, সাংস্কৃতিক ও পেশাগত চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেন। এই মর্যাদাপূর্ণ প্যানেলটির সঞ্চালনা করবেন কারেক্টিভের প্রধান সম্পাদক জাস্টাস ফন ড্যানিয়েলস। বক্তাদের মধ্যে থাকবেন এরিনা ফর জার্নালিজম ইন ইউরোপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রিগিট আলফটার, আইসিআইজের নির্বাহী পরিচালক জেরার্ড রাইল, এল ক্লিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া তেরেসা রনদেরোস, এবং সেনোজোর সমন্বয়ক আর্নোদ উয়েদ্রাওগো। তারা আলোচনা করবেন দল গঠন, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে—যা একক প্রতিবেদনকে শক্তিশালী সমষ্টিগত স্টোরিটেলিংয়ে রূপ দেয়।
কর্মশালা
জিআইজেসি২৫ সম্মেলনে থাকছে হাতে-কলমে শেখার মতো ডজনখানেক কার্যকরী সেশন, যেখানে মূলত ডেটা ও রিপোর্টিং সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ফোকাস করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- অনুসন্ধানে ডোমেইন ও আইপি ডেটা ব্যবহার
• মাদক ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এয়ারক্রাফট ট্র্যাকিং
• ম্যাপিংয়ের জন্য কিউজিআইএস ব্যবহার
• ডেটা ম্যাজিক: সংখ্যার হিসাব করার সহজ তিনটি উপায়
• ভ্রান্ত তথ্য ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসন্ধানের কৌশল
• নো-কোড ডেটা স্ক্র্যাপিং টুল কিট
• নতুন ডেটা সাংবাদিকদের জন্য মৌলিক শিক্ষা
• অনুসন্ধানে স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার — হাতে-কলমে ক্লাস
• পিক্সেল লজিক: এআই ডিপফেক অনুসন্ধান
• এআই দিয়ে ডেটাসেট ঠিক করা ও সংগঠিত করা