প্রবেশগম্যতা সেটিংস

দ্য এম্পটি গ্রেভ অব কমরেড বিশপ-এর পডকাস্ট গ্রাফিক্স। ইলাস্ট্রেশন: লুসি নালান্ড/ওয়াশিংটন পোস্ট; পিটার মরিস/ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া/গেটি ইমেজেস; পিট লেবো/এপি; এপি; আইএসজিএস; জাবিন বটসফোর্ড/ওয়াশিংটন পোস্ট; জর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশ ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস; এলেইন/এপি; ওয়াশিংটন পোস্ট

লেখাপত্র

বিষয়

এক্সক্লুসিভ: গ্রানাডার নেতার ৪০ বছর পুরোনো অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধান যেভাবে হলো

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

সম্পাদকের নোট: ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন ক্যারিবীয় দ্বীপ গ্রানাডা আক্রমণ করে, তার ঠিক ছয়দিন আগে দেশটির জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মরিস বিশপ খুন হন এবং তার মরদেহ গায়েব করে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে দুই বছর ধরে অনুসন্ধান করেন ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ও উপস্থাপক মার্টিন পাওয়ারস। এরই ফলাফল দ্য এম্পটি গ্রেভ অব কমরেড বিশপ নামের ছয় পর্বের একটি পডকাস্ট। মরিসের দেহাবশেষের কী হয়েছিল এবং এই রহস্যের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী ছিল – এখানে এমন কিছু প্রশ্নের নতুন উত্তর হাজির করেছেন তিনি। এই অনুসন্ধান নিয়ে জিআইজেএনকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জেফ লিন, যিনি গত বিশ বছর ধরে ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পডকাস্টের পাশাপাশি তিনি কথা বলেছেন অফিসের কোনো সাংবাদিক বা প্রদায়কের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে কিভাবে পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব, তা নিয়েও।

জিআইজেএন: এ অনুসন্ধানে আপনারা নতুন কী খুঁজে পেলেন?

জেফ লিন: এটি আসলেই রহস্যময় একটি ঘটনা, যা গত কয়েক দশক ধরেই ক্যারিবীয় অঞ্চল জুড়ে অনুরণিত হচ্ছে — এবং এর পেছনে স্নায়ুযুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। হত্যার পরে যা ঘটেছিল, তা মার্কিন আক্রমণের কারণে অনেকটাই চাপা পড়ে যায়। তবে মরিস বিশপ আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন; তার নাম ও উত্তরাধিকার আজও দ্বীপজুড়ে আলোচিত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সময়কাল নিয়ে গর্ব করা হয়।

Martine Powers, Washington Post podcast

অন্তর্ধান রহস্যের অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়াশিংটন পোস্টের মার্টিন পাওয়ারস; তার মা গ্রানাডায় থাকেন। ছবি: মারভিন জোসেফ, ওয়াশিংটন পোস্ট

ব্যক্তি রিপোর্টারদের আবেগ থেকেই সেরা সব অনুসন্ধান জন্ম নেয়, যে কোনো ভাবেই হোক না কেন তারা তথ্য বের করে আনেন। মার্টিন পাওয়ারস সেই রিপোর্টারদের একজন। সাত বছর আগে মার্টিনের মা [গ্রানাডায়] ফিরে যান। মার্টিন লক্ষ্য করেন রহস্যময় ওই ঘটনা তখনও সবার মুখে মুখে ফিরছে।

মার্টিন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নন; তিনি পোস্ট রিপোর্টে একজন প্রতিভাবান কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করতেন। তাই, গ্রানাডা পডকাস্টটি মূলত অনুসন্ধান ও অডিওর মধ্যকার সমন্বয়। সহকর্মীদের মধ্যে আরও কাজ করছেন তথ্য অধিকার আইন (এফওআইএ) শাখার পূর্ণকালীন পরিচালক নেট জোন্স। ‍তিনি একজন বিশেষজ্ঞ ও অ্যাটর্নি এবং তার কাজই হলো তথ্য চেয়ে আবেদন ফাইল করা।

এ অনুসন্ধানের জন্য মার্টিনকে ৫০টি এফওআইএ আবেদন দাখিল করতে সাহায্য করেছেন নেট। মার্টিন প্রায় ১০০জন সোর্সের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের অভিজ্ঞ অনুসন্ধানী দলের সম্পাদক সারাহ চাইল্ড্রেসের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন এবং কাজটি কীভাবে করতে হবে তা বুঝে নিয়েছেন। পডকাস্টটি ৪০ বছর ধরে চলে আসা এই রহস্যের এমন কিছু দিক উন্মোচন করবে, যা আগে কেউ করতে পারেনি। আমি এখানে সবকিছু বলে ফেলতে চাই না, আবার এও বলতে চাই না যে, আমরা পুরোপুরি সবকিছু সমাধান করে ফেলেছি। তবে আমাদের অনুসন্ধান আগের যেকোনো প্রচেষ্টার চেয়ে অনেক বেশি অন্তর্দৃষ্টি ও তথ্য তুলে ধরবে। আমরা বিশ্বাস করি ছয় পর্বের এ পডকাস্ট থেকে আরও অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে; এ সম্পর্কে আরো তথ্য দিতে পারে এমন লোকেরাও কথা বলতে শুরু করবেন।

জিআইজেএন: প্রথম দিকের পর্বগুলো আশির দশকের পশ্চিমা পরাশক্তির চিত্র তুলে ধরে, যা কোনো না কোনোভাবে ছোট একটি দ্বীপের কালো বিপ্লবীদের আতঙ্কিত করে তুলেছিল। শ্রোতাদের জন্য ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটগুলোকে কীভাবে তুলে ধরা হয়েছে?

জেএল: নিউইয়র্কে মরিস বিশপের সফরের বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপ্লবী চিন্তাধারার লোকেদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন, এটি সবকিছু ঘিরে এমন একটি জট পাকিয়ে তোলে, যা ছাড়ানো কঠিন। এটি একটি বৈদেশিক অমীমাংসিত রহস্য ছিল। মরিসের দেহাবশেষ কোথায়? কারা তা গায়েব করেছিল? সেগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?

স্নায়ূযুদ্ধ ঘিরে নানা রকমের জটিলতা ছিল; কারণ তার সঙ্গে আবার [তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড] রিগান প্রশাসন এবং কিউবার দুঃসাহসিকতা যোগ হয়েছিল। তারপর হলো গ্রানাডায় বিমানবন্দরের ওই ভবন, যা রিগান প্রশাসনের জন্য বড় মাথাব্যাথার কারণ ছিল; তাদের উদ্বেগ ছিল যে বিশপ উপহাস করছেন। এর আগেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই মরিস বিশপকে কারা হত্যা করেছে তা খানিকটা পরিষ্কার— যা ছিল এক ধরনের নৈরাজ্য। (ট্র্যাজেডি বা দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, বিপ্লবগুলো কীভাবে নিজেরাই নিজেদের গ্রাস করেছে, এ ঘটনাটি তার আরেকটি উদাহরণ।) কিন্তু এরপর আাবার মার্কিন আক্রমণটি শুরু হলো।

জিআইজেএন: এফওআইএ নথি চেয়ে অনুরোধের বিপরীতে সাড়া না পাওয়া নিয়ে আপনি রিপোর্ট করেছেন। এই অনুসন্ধানে আর কোন কোন রিপোর্টিং কৌশল চ্যালেঞ্জ ছিল?

জেএল: মরিস বিশপের অনুসন্ধানে সাক্ষী ও পুরোনো রেকর্ডগুলো বের করার চেষ্টা চালান মার্টিন। বেদনাদায়ক ইতিহাস সম্পর্কে লোকেদের কথা বলতে রাজি করান। তিনি এটির নাম দিয়েছিলেন ‘আন্টিদের নেটওয়ার্ক’, তাদেরকে তিনি কাজে লাগান৷ এই কমিউনিটির লোকেরা জেনেছিলেন যে একজন পুলিশ অফিসার আছেন যিনি বিশপের এক কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি অবহিত করেছিলেন — এরপর ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার কাজটা ছিল চ্যালেঞ্জের। কেননা তিনি অন্য একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপে চলে গিয়েছিলেন। তার হদিস পেতে কয়েক মাস লেগে যায়।

জেআইজেএন: ২০১৩ সালে জেফ বেজোস অধিগ্রহণ করার পর থেকে ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী ল্যান্ডস্কেপ কতটা বদলেছে?

জেএল: বেজোস যুগে পোস্টের দুর্দান্ত বিষয়টি হচ্ছে, সংখ্যাগতভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের চমৎকার বৃদ্ধি ঘটেছে। আগে, আমাদের সাতজন অনুসন্ধানী রিপোর্টারের একটি দল ছিল, এখন নিউজরুম জুড়ে সার্বক্ষণিক অনুসন্ধানী রিপোর্টারের সংখ্যা প্রায় ৫০ জন, আর অনুসন্ধানী সম্পাদক রয়েছেন ২০ জন। আমার বিভাগে আমার সঙ্গে কাজ করেন ৬ জন উপ-সম্পাদক এবং ২৫ জন রিপোর্টারের একটি দল। এছাড়া আমাদের আলাদা একটি অনুসন্ধানী দলও আছে, তাদের সঙ্গেও আমরা কাজ করি, যেমন ভিজ্যুয়াল ফরেনসিক টিম। কিন্তু পোস্টে নতুন সৃজনশীল যে আলোড়নটি ঘটেছে, তা হচ্ছে কর্মীদের অভ্যন্তরীণ সহযোগিতা। আমরা শিখেছি প্রতিযোগিতামূলক হতে হলে আমাদের পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই আমরা অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্স দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজগুলো করি; আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া, ডেটা এবং ডিজাইন টিম রয়েছে। এখন, একজন প্রতিবেদক যখন বাইরে যান, তখন তার সঙ্গে একজন ফটোগ্রাফার, একজন ভিডিওগ্রাফার, একজন অডিও সাংবাদিক থাকেন। একটি ডিজাইন টিম আছে যারা নান্দনিকভাবে সবকিছু উপস্থাপনের কাজটি করে। আমাদের গ্রাফিক্স দলটি থ্রি-ডি ইন্টারেক্টিভ গ্রাফিক্স তৈরিতে সক্ষম। দ্য আফগানিস্তান পেপারস নামে আমরা একটি প্রজেক্ট করেছিলাম, যেখানে ৭০ জনের একটি দল কাজ করেছিল। এছাড়া ওপিঅয়েড ফাইলস নিয়ে কাজের সময় আমরা ৮০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করেছি। আমার ইউনিটে, আমরা দ্রুত, মধ্যম, দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে যেতে পারি; আমরা স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারি। অনুসন্ধানী প্রজেক্টটি যথেষ্ট ভাল হলে, আমরা সে সূত্র ধরে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় যাওয়ার সক্ষমতা রাখি।

আমাদের এখন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী দল রয়েছে, যেটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটার ফিন। দলটি টেনিস ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ওপর অনুসন্ধান চালিয়েছে এবং কাজটি সত্যিই দারুন ছিল।

আমরা আমাদের গোটা নিউজরুম জুড়েই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির ধারণাটি বুনে দিয়েছি। তাই স্টাফদের প্রত্যেকেই এ ধরনের গল্প খুঁজে ফেরেন। যখন তারা কোনো গল্প খুঁজে পান, তখন আমাদের জানান এবং আমরা তাদের নিয়ে একটি দল গঠন করি। গল্প নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হলো: আমরা এর মাধ্যমে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারি? পরিধি এবং ক্ষতির মাত্রা কেমন?

জিআইজেএন: পডকাস্টের জন্য করা অনুসন্ধানে এমন কী আছে যা অন্য মাধ্যমে পাওয়া যায় না? এটি কি বিকল্প হিসেবে পত্রিকায় ছাপা ছোট আকারেরন্যূনতম প্রতিবেদনএর চেয়ে ভালো?

জেএল: আমি মনে করি পডকাস্টে সবচেয়ে ভালো কাজ করে রহস্য, একজন রিপোর্টার এককভাবে কোনো একটি রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছেন, সমগ্র জাতি যার সমাধান দেখতে অপেক্ষা করছে।

তাছাড়া আমি মনে করি পডকাস্ট আপনাকে ঘনিষ্ঠতা, আবেগ আর সাবলীল অনুভূতিতে আটকে ফেলতে পারে, যা আপনি শুধুমাত্র কোনো একজন মানুষের কণ্ঠস্বর থেকেই পেতে পারেন। আমাদের প্রথম অনুসন্ধানী পডকাস্টটির নাম ছিল ক্যানারি, যার বিষয় ছিল যৌন নির্যাতনের একটি ঘটনায় একজন বিচারকের সংশ্লিষ্টতা। মনে আছে, এখানে আমি একজন নারীর কন্ঠস্বর শুনেছিলাম, তার কথাগুলো এতোটাই বিশ্বাসযোগ্য লেগেছিল যে আমি ভীষণভাবে তাড়িতবোধ করি; পত্রিকায় কখনোই এমনটা করতে পারবেন না। তাই আমি পডকাস্ট করতে রাজি হয়ে যাই। এরইমধ্যে আমরা তিনটি প্রতিবেদন তৈরি করেছি।

কখনও কখনও, নিছক পারিপার্শ্বিক প্রমাণ দিয়েই আবেদনময় গল্প বলে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তবু বরাবরই আশা থাকে যে এর চেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে।

Washington Post reporter Martine Powers interviews workers at a construction site near where it is believer Maurice Bishop may have been temporarily buried, in St George's, Grenada

২০২৩ সালের জুনে ওয়াশিংটন পোস্টের মার্টিন পাওয়ারস গ্রানাডার সেন্ট জর্জের একটি নির্মাণ সাইটে কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেন, বিশ্বাস করা হয় মরিস বিশপকে এখানে অস্থায়ীভাবে সমাহিত করা হয়েছে। ছবি: জাবিন বটসফোর্ড, ওয়াশিংটন পোস্ট

জিআইজেএন: পোস্টের অনুসন্ধানী দলের বাইরের কর্মীর সূত্র ধরে হওয়া আর কোনো দীর্ঘমেয়াদী অনুসন্ধানের সাম্প্রতিক নজির কী আছে? 

জেএল: আমরা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্র স্মিথসোনিয়ানের জাতিগত মস্তিষ্ক সংগ্রহ প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছি। এর সঙ্গে আমাদের ১০০ জনের একটি দল জড়িত ছিল। এটি ছিল আমাদের আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী প্রকল্প। এর জন্য আমাদের ফিলিপাইনে যেতে হয়, কেননা এর সঙ্গে ফিলিপিনো আদিবাসীদের সম্পর্ক ছিল। ১৯০৪ সালে ওয়ার্ল্ড ফেয়ার উপলক্ষে তাদের সেন্ট লুইসে নিয়ে আসা হয়েছিল। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যতের গবেষণা ও অধ্যয়নের জন্য একজন নৃবিজ্ঞানী ওই আদিবাসীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন, যিনি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তা নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় তিনি গোটা বিশ্ব থেকে আদিবাসীদের মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন। কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মস্তিষ্কগুলো সংগ্রহ করা হয়, ওই আদিবাসীরা আর কখনো ফিরে আসেননি।

ধারণাটির সূত্রপাত করেন আমাদের ইউনিটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কপি এডিটর ক্লেয়ার হিলি, যিনি অন্যান্য বিভাগগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতেন। তিনি শুধু বলেছিলেন: “আমি আবিষ্কার করেছি স্মিথসোনিয়ানের মেরিল্যাল্ড সেন্টারে ২৪০টি মানব মস্তিষ্কের সংগ্রহ রয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের রেট্রোপলিসের মেট্রো বিভাগের কলামের জন্য এটি একটি ভাল ফিচার হতে পারে। তিনি আমার ডেপুটির কাছে জানতে চান এফওআইএ কাজে লাগিয়ে আমি কীভাবে স্মিথসোনিয়ানের তথ্য পেতে পারি?” উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “এটি ফিচার নয়, এটি একটি অনুসন্ধানী প্রকল্প”। কারণ এটি আদিবাসী সম্প্রদায়, ক্ষমতাচ্যুত মানুষ, ঐতিহাসিক বর্ণবাদ আর এমন একটি সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা এখনও অতীতের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারেনি।

এরপর তিনি তার সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন এবং আমরা তাকে আমাদের একজন সাংবাদিকের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিই, রাতারাতি এক ডজন লোকের একটি দল তৈরি হয়। ক্লেয়ার শুরু করেন মামুলি পর্যায়ের তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ দিয়ে। আমি মনে করি স্মিথসোনিয়ান তাকে তথ্যগুলো দিয়েছে কারণ তারা বুঝতেই পারেনি যে, এগুলো কোনো অনুসন্ধানে ব্যাবহার হতে পারে। ওই মুহুর্তে, ক্লেয়ার তাদের কাছে কেবল তার রেট্রোপলিস গল্পের জন্য তথ্য চেয়েছিলেন। আমি মনে করি, আপনি যতক্ষণ না আইন লঙ্ঘন করছেন বা লোকেদের বিভ্রান্ত করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তথ্য প্রাপ্তির এটি একটি দরকারী কৌশল। তারা যখন বুঝতে পারে যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানী প্রকল্প, তখন তাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় ছিল— এবং তারা আমাদের সহযোগিতার পাশাপাশি সমস্যাটি সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

রাষ্ট্রের নির্বাহী শাখা অফিসগুলোর মতো এফওআইএ-র অধীন নয় স্মিথসোনিয়ান, কিন্তু তারা রেকর্ডগুলো উন্মুক্ত রাখার ধারণা অনুসরণের চেতনায় চলতে পছন্দ করে। তাই তারা তাদের রেকর্ডগুলো আমাদের দেয় — কিন্তু ওই “মস্তিষ্কগুলো কাদের?” এ ধরনের কোনো তথ্য তারা আমাদের দেয়নি। তাই বিষয়টি ঘিরে আমাদের অনুসন্ধানী কার্যক্রম চালাতে হয়।

জিআইজেএন: দারুণ! আপনি চাইলে কিন্তু অন্য কোনো উদাহরণও দিতে পারেন?

জেএল: নিশ্চয়ই। যেমন আমাদের ওপিঅয়েড অনুসন্ধান— এটি নিয়ে পাঁচ বছর ধরে আমরা অনুসন্ধান চালাই। শুরুটা হয়েছিল আমাদের স্বাস্থ্য বিটের একজন রিপোর্টারের নেওয়া একটি সাক্ষাৎকার থেকে। চাকরি হারানো প্রাক্তন এক ডিইএ (ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিকে, সব কোম্পানীই ওপিঅয়েড ওষুধ তৈরি করত, যদিও তারা জানত যে এগুলো বিপজ্জনক ও আসক্ত করে তোলে। সেখানে একজন ডিইএ প্রতিনিধি ছিলেন যিনি এটি বন্ধ করার প্রচারণা চালান, কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে [কোম্পানীগুলোর] এত ভালো যোগাযোগ ছিল যে [ডিইএ] দায়িত্ব থেকেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আমি এ ঘটনার দিকে আর মনোযোগ দেইনি— সত্যি বলতে কেউই তা করেনি। কারণ, তদন্তের পর যখন ডিইএর পক্ষ থেকে কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করা হয়, তখন তারা দেওয়ানী মামলাতে জরিমানা দিয়ে অভিযোগ মুক্ত হয়, আর ওই নথিপত্রগুলোও সিল করা হয়। ছয় মাস পর, আমাদের জাতীয় কর্মীদলের মধ্য থেকে স্বাস্থ্য প্রতিবেদক লেনি বার্নস্টেইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোকেদের আয়ু কেন কমে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করার। তিনি নানাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ডিইএ প্রতিনিধি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তার সঙ্গে দেখা করতে যান। ডিইএ প্রতিনিধি তাকে জানান, এমন বিপর্যয় আসার ব্যাপারটি তিনি আগেই আঁচ করতে পেয়েছিলেন। ওই আলাপচারিতার জের ধরে লেনি একটি সংক্ষিপ্ত স্মারক লিখেছিলেন। লেখাটি পড়ার পর আমার মনে হলো “নাহ– বিষয়টি আঙ্গুর ফল টকের মতো মনে হচ্ছে; এই লোকটি নিশ্চয়ই খানিকটা অতিরঞ্জন করে ফেলেছেন; আমি এটি নিয়ে আর কোনো অনুসন্ধানে নামতে চাই না।”

এরপর হঠাৎ মাঝরাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মনে হয়: “এই লোকটি যা বলেছে তার অর্ধেকও যদি সত্য হয় তাহলে আমাদের বছরের সেরা গল্পটি এখানে রয়েছে।” এই অনুসন্ধান থেকে আমরা আর্কোস (অটোমেটেড রিপোর্ট অ্যান্ড কনসোলিডেটেড অর্ডারিং সিস্টেম– এক ধরনের ডেটা সংগ্রহ ব্যবস্থা যেখানে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশকেরা ডিইএকে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকে) পিল ডেটাবেস পেতে পারি, যেখানে আমেরিকার প্রতিটি ব্যথানাশক ওষুধ সম্পর্কে তথ্য থাকবে। এটি হাতে পেয়ে আমরা ওই ডেটাসেটকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেই, পরবর্তীতে ১১০টি মিডিয়া আউটলেট ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে।

জিআইজেএন: পোস্টের অনুসন্ধান পরিচালনার ক্ষেত্রেকম্বাইন্ড আর্মস” পদ্ধতি কীভাবে কাজ করে? আপনি স্টোরি আইডিয়ার সঙ্গে হাল নাগাদ তথ্যের সংযোগ কিভাবে ঘটান?

জেএল: আইআরই (ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটরস)-তে একটি কথা আছে যে, প্রত্যেক রিপোর্টারই একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, সত্য ঘটনা অনুসন্ধানে সবারই খানিকটা কঠিন চেষ্টার মানসিকতা থাকতে হবে। আমরা যারা ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করি তারা ভাগ্যবান যে আমাদের এ ধরনের রিসোর্স রয়েছে এবং আমরা একটি সহযোগিতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে তা আরো জোরদার করতে পারি। কিন্তু আপনি কম্বাইন্ড আর্মস মডেলটি ছোট নিউজরুমগুলোতেও ব্যবহার করতে পারেন, এমনকি শুধুমাত্র একজন রিপোর্টার এবং একজন ফটোগ্রাফার নিয়ে কাজের বেলায়ও। তাছাড়া কোনো ধরনের বিচ্যুতি চোখে পড়লে যে কেউ পরামর্শ দিতে পারেন। এ বছরের শুরুতে আমাদের আরএ-১৫ প্রকল্পের সবচেয়ে সফল সংযোজনের মধ্যে একটি ছিল একটি ইন্টারঅ্যাক্টিভ গ্রাফিক। ওপিঅয়েড অনুসন্ধানের সবচেয়ে সফল দিকটির মধ্যে ছিল আমাদের ইন্টারঅ্যাক্টিভ ডেটাবেস

যোগাযোগের জন্য, আমরা স্ল্যাক চ্যানেল ব্যবহার করি; এছাড়া যখন যা প্রয়োজন তার সঙ্গে মিলিয়ে গুগল ডকস, সিগন্যালের মতো টুলও ব্যবহার করি। আমাদের ২২ জন অনুসন্ধানী সম্পাদক প্রতিমাসে একবার করে এক ঘন্টার জন্য একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে মিটিং করেন। আমার কর্মী দলটি তিনটি ভাগে বিভক্ত: দীর্ঘমেয়াদী, তাৎক্ষণিক, এবং বিশেষ প্রকল্প নির্ভর। মূলত এ দলটিই কার্টেলআরএক্স অনুসন্ধান কাজটি পরিচালনা করেছিল, দুই জন বিদেশী এবং একজন দেশী কর্মীকে নিয়ে। ওয়াশিংটন পোস্টের এ প্রতিবেদনটি সবার মনোযোগ কেড়ে নেয়। আমাদের অনুসন্ধানটি তুলে ধরে যে “১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল ফেন্টানাইল”, যা নিয়ে সেক্রেটারি অফ স্টেট এবং হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্স থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। আমি স্টোরি আইডিয়ার শক্তি প্রসঙ্গে বলছি। আমাদের একজন সম্পাদক আছেন, যার কাজ হচ্ছে নিউজ কাভারেজ বা প্রকাশের জন্য অলাভজনক সংস্থার স্টোরি-পিচগুলো মূল্যায়ন করা।

জেআইজেএন: বড় হোক বা ছোট, বিশ্বজুড়ে প্রতিটি নিউজরুমের জন্যই সম্ভাব্য সোর্সকে কথা বলতে রাজি করানো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে আপনার পরামর্শগুলো কী?

জেএল: বব উডওয়ার্ড যেভাবে সম্পূর্ণ অপরিচিত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কথা বলতেন, সেটি আমি ভীষণ পছন্দ করি। তিনি বলেন ‘‘আমি বব উডওয়ার্ড, আর আমার আপনার সাহায্য প্রয়োজন।” তিনি কিন্তু বলেন না যে,“আপনি কী ওমুক কিংবা তমুক বলছেন”, কিংবা “আপনি কি আমার সাথে কথা বলবেন?” “আমার আপনার সাহায্য প্রয়োজন” এ কথাগুলো এত সরল ও মানবিক যে আমি দেখেছি, এটি যে কোনো রিপোর্টারের জন্য অপরিচিত লোকেদের সম্পৃক্ত করার খুব ভালো একটি উপায়। আরেকটি কার্যকর গোপন পরামর্শ দিচ্ছি, যে কোনো কিছু খুব মনোযোগ সহকারে শোনা, ও নীরব থাকা। লোকেরা কী বলছে এবং কীভাবে বলছে তা যদি আপনি সত্যিই মনোযোগ সহকারে শোনেন, আপনি যাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, তারা সমস্ত কিছু আপনার কাছে প্রকাশ করবে, শারীরিক ভাষা আর অন্য সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে।

ডেটাবেস ব্যবহার করে আপনি কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেতে পারেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রাউডসোর্সিং; আমরা এখন অনেক ওপেন সোর্স রিপোর্টিং ব্যবহার করি, যেমন যারা ডার্ক ওয়েবে সার্চ করতে পারেন। প্রযুক্তি অনেক কৌশল যুক্ত করেছে। কিন্তু প্রাথমিক কৌশলটি হচ্ছে দরজায় গিয়ে কড়া নাড়া ও শোনা।

Washington Post head of investigations Jeff Been

জেফ লিন, ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী দলের প্রধান। ছবি: বিল ও’লিয়ারি, ওয়াশিংটন পোস্ট

জিআইজেএন: আপনার জায়গা থেকে বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ দেখতে কেমন?

জেএল: আমি মনে করি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির ধারাটি বিশ্বব্যাপী আগে কখনোই এতোটা শক্তিশালী ছিল না; এজন্য ধন্যবাদ জিআইজেএন, আইআরই, আইসিআইজে, ওসিসিআরপি, প্রো-পাবলিকাসহ অন্যান্য সংস্থাকে। আমার মনে আছে অনেক দেশে একটা সময় খুব অল্প কয়েকজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ছিলেন, কারণ ক্ষমতাধরেরা হয় আপনাকে জেলে পুরবে বা গুলি করবে। আমি আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রথম বা দ্বিতীয় যে প্রশ্নটি পেতাম তা হচ্ছে: “আমি যখন লিখছি তখন আমার সম্পাদককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে আমার কী করা উচিত?” অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তাও অনেক বেশি।

চ্যালেঞ্জ সবসময়ই থাকে— তা আর্থিক ক্ষতির হোক বা শারীরিক হুমকির। তবে সংখ্যাগতভাবে শক্তিশালী হওয়া ও সুরক্ষিত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ: আপনি একা থাকলে তারা আপনাকে বিচ্ছিন্ন ও পরাজিত করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, বিভিন্ন বিভাগ আর নিউজরুম জুড়ে সহযোগিতা বন্টন করেন, সরকারের মিত্রজনদের খুঁজে বের করেন, তাহলে আপনি কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ ও প্রভাব তৈরি করতে পারেন যা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। গত তিন দশক ধরে, আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, আমরা এ জায়গাটায় প্রবেশ করতে চাই। সেজন্য আমরা পেগাসাস প্রজেক্ট এবং উবার ফাইলস প্রজেক্টের মতো অনুসন্ধানে সহযোগিতা করেছি। এখানে আমার কর্মীরা অনুসন্ধানী প্রচেষ্টার কেন্দ্রে ছিলেন, রিপোর্টাররা বাইরে গিয়ে একের পর এক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাতেন, কেননা একই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সবাই একটি জায়গায় মিলিত হয়েছি। এখন আমাদের ধারণাগুলো সর্বত্র ছড়িয়ে যাচ্ছে।


Rowan Philp, senior reporter, GIJNরোয়ান ফিলিপ জিআইজেএনের প্রতিবেদক। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমস পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। বিদেশ প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ২৪টির বেশি দেশে সংবাদ, রাজনীতি, দুর্নীতি সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

পরামর্শ ও টুল

টাকার খোঁজ: নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অনুসন্ধান করবেন যেভাবে

মিরান্ডা প্যাট্রুচিচ, অসংখ্য ক্রসবর্ডার অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। উন্মোচন করেছেন মুদ্রা পাচারের জটিল নেটওয়ার্ক, শত কোটি ডলারের ঘুষ কেলেংকারি এবং মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের শাসক গোষ্ঠীর সন্দেহজনক ব্যবসায়িক লেনদেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে  আজারবাইজানী লন্ড্রোম্যাট, প্রডিগাল ডটার, এবং পানামা পেপারস। এই প্রশ্নোত্তরে মিরান্ডা তুলে ধরেছেন, কীভাবে সাংবাদিকরা টাকার সূত্র ধরে বড় বড় ঘটনা উন্মোচন করতে পারেন।

IDL-Reporteros founder Gustavo Gorriti

সদস্য প্রোফাইল

আইডিএল-রিপোর্টেরস: যে নিউজরুম পেরুর রাজনৈতিক অভিজাতদের চ্যালেঞ্জের সাহস দেখিয়েছে

পেরুর ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ক্রমাগত নানা ধরনের চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম, আইডিএল-রিপোর্টেরস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা গুস্তাভো গোরিতি। পড়ুন, কীভাবে সেগুলো সামলে তারা সাহসিকতার সঙ্গে রিপোর্টিং চালিয়ে যাচ্ছে।

post office boxes, shell companies

পরামর্শ ও টুল

শেল কোম্পানির গোপন মালিকদের যেভাবে খুঁজে বের করবেন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য শেল কোম্পানি ও সেগুলোর প্রকৃত মালিকদের পরিচয় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হতে পারে। তবে শক্তিশালী কিছু টুল রয়েছে যার সাহায্যে জটিল এই ক্ষেত্রে নতুন আসা সাংবাদিকেরাও গোপনে অবৈধ সম্পদ লুকোনো ব্যক্তিদের পদচিহ্ন খুঁজে বের করতে পারেন।

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।