অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা মাসের পর মাস ধরে একটা দারুণ স্টোরি তৈরি করার পর মাত্র কয়েক মিনিটে সেটি উপস্থাপন করেন। তারা নিজেদের বড় অনুসন্ধানী প্রকল্প নিয়ে কাজ করার সময়, বরাবরই একজন দক্ষ ফটো-সাংবাদিককে (তার সাথে ডিজাইনার আর গ্রাফিক আর্টিস্ট) দলে রাখেন। কারণ একজন ভালো ফটোগ্রাফার একটি অনুসন্ধানী স্টোরিকে জীবন্ত করে তুলতে পারেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় ফটোগ্রাফির ব্যবহার নিয়ে একটি হ্যান্ডবুক আছে। ইনভেস্টিগেটিভ ফটোগ্রাফি: সাপোর্টিং আ স্টোরি উইথ পিকচার্স, নামের নির্দেশিকাটি লিখেছেন সিজে ক্লার্ক, ডেমিয়েন স্প্লিটার্স এবং জুলিয়েট ফার্গুসন। এটি তৈরি হয়েছে লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটি ভিত্তিক ইউকে’স সেন্টার ফর ইনভস্টিগেটিভ জার্নালিজম এর দারুণ কিছু মানুষের হাতে। ২০১৩ সালে সিআইজে অ্যানুয়াল সামার স্কুলে এর মোড়ক উন্মোচন হয়।
হ্যান্ডবুটটি থেকে নিচের এই অংশটুকু প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সিআইজের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এখানে ডকুমেন্টের ছবি তোলা, ছবি সংরক্ষণ এবং হারানো তথ্য পুনরুদ্ধারের মত বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাবেন। গাইডটির মধ্যে একটি লম্বা অধ্যায় আছে, যেখানে সংঘাত বা সংঘাত-পরবর্তী এলাকায় সাংবাদিকরা সাক্ষ্য হিসেবে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি তুলেবেন, সে কথাও বলা হয়েছে।
লেখকরা বলছেন, “সাংবাদিক, এনজিও-কর্মী এবং যাদের কাজে ছবি সহায়ক হতে পারে, তাদের জন্যই এই ম্যানুয়ালটি লেখা হয়েছে।” “এটি ভালো ছবি তোলার গাইড নয়, বরং ক্যামেরা ব্যবহার করে কীভাবে প্রমাণ যোগাড় করতে হয়, তার গাইড।” আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি ফরেনসিক ফটোগ্রাফির নতুন জগতে। চলুন শুরু করা যাক…
-সম্পাদকবৃন্দ
ডকুমেন্টের ছবি তোলা
ডকুমেন্ট বা নথিপত্রের ছবি তোলার সময় সবচেয়ে জরুরী যে ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয়, তা হচ্ছে শব্দগুলোকে যথাসম্ভব স্পষ্ট এবং পড়ার উপযোগী রাখা। এধরণের কাজে র’ (RAW) ফরম্যাটে ছবি তোলা যায় বা ফিল্ম ব্যবহার করা যায়, এমন ক্যামেরা ব্যবহার করুন। আলো হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত আপনি যখন বইয়ের পৃষ্ঠার মতো অসমান কিছুর ছবি তুলছেন। যথাসম্ভব প্রাকৃতিক আলোয় ছবি তুলুন। পড়তে অসুবিধা সৃষ্টি করে এমন ফ্ল্যাশ, ফ্লুরেসেন্ট আলো এড়িয়ে চলুন।
যদি ছবি তোলার জন্য একটা একটা করে ডকুমেন্ট আলাদা করে নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে ট্রাইপড ব্যবহার করুন, যাতে পা এড়িয়ে সরাসরি ভারসাম্যপূর্ণভাবে ছবি তোলা যায়। ট্রাইপডের দুইটি পা পেছনে ঠেলে তৃতীয়টি সামনে বাড়িয়ে কিছু একটার ওপর ভারসাম্য রেখে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।
আপনি যদি একই রকম একাধিক ডকুমেন্টের ছবি তুলতে চান, তাহলে প্রথম ছবিটা তোলার সময়েই সেটি কতখানি জায়গা নিচ্ছে তা চিহ্নিত করে রাখুন, যাতে পরবর্তীতে সহজেই দ্রুত একটার জায়গায় আরেকটা বসিয়ে ছবি তোলা যায় এবং ফের ফোকাস না করা লাগে। যদি ডকুমেন্টগুলো একসাথে বা বই আকারে থাকে, তাহলে এই পদ্ধতি কাজ করবে না। সেক্ষেত্রেও, আপনি অবস্থান চিহ্নিত করে রাখলে তা নির্দিষ্ট জায়গায় ডকুমেন্টগুলো বা বইটি রাখতে সাহায্য করবে।
আপনার ক্যামেরা যদি সাধারণ মানের হয় এবং ট্রাইপড ব্যবহার করে ছবি তোলার জন্য ডকুমেন্টগুলো আলাদা না করতে পারেন, তাহলে ভাগ ভাগ করে পৃষ্ঠার ছবিগুলো তুলে তা পরবর্তীতে একত্রে জুড়ে দিতে পারেন। ক্যামেরায় সাদা-কালো ছবি তোলার অপশন থাকলেও রঙিন ছবি তুলুন, এতে ছবি বেশি স্পষ্ট আসবে।
ছবি সংরক্ষণ
সব ছবিই ব্যাক-আপ কপি করে সংরক্ষণ করা জরুরী, কারণ হার্ড ডিস্ক যেকোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ফটোগ্রাফারই ব্যাক-আপ হার্ড ডিস্কে ছবি সংরক্ষণ করে। কেউ কেউ এমনকি তিন-চারটি হার্ড ডিস্কে বা ডিভিডিতেও ছবি সংরক্ষণ করে। আপনি যদি ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই র’ (RAW) এবং jpg ফাইল হিসেবে কপি সংরক্ষণ করুন।
সেরা ডিজিটাল ওয়ার্কফ্লো
ফাইল ফরম্যাট
বেশিরভাগ ডিজিটাল ক্যামেরা অনেক ধরণের ফাইল ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় JPG/JPEG ফরম্যাট। কিছু ক্যামেরায় RAW ফরম্যাট ব্যবহৃত হয়। আপনার ক্যামেরায় এই অপশন থাকলে সবসময় RAW ফরম্যাটে ছবি তুলুন, কারণ এতে সবচেয়ে ভালো মানের ছবি পাওয়া যায় (ছবির আকারও বড় হয়)। RAW ফরম্যাটের ছবিতে আপনি যতো খুশি সম্পাদনা করতে পারেন, এতে ছবির গুণগত মানের কোনো পরিবর্তন হয়না। তাই প্রামাণিক দলিল রেকর্ড করার জন্য এই ফরম্যাট বেশ সুবিধাজনক।
অন্য দিকে, সব ধরণের ডিভাইসে দেখার এবং ব্যবহার করার জন্য এই ফরম্যাট থেকে TIFF বা JPG ফরম্যাটে রূপান্তর করতে হয়। এর জন্য দরকার হয় ছবি সম্পাদনার অ্যাপ। দামী ক্যামেরায় RAW এবং JPG ফরম্যাটে একই সাথ ছবি তোলা যায়। যদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনো কারণে কোথাও ছবি পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে এটাই করুন।
সস্তা ক্যামেরা আর স্মার্টফোন ক্যামেরার জন্য JPG একমাত্র অপশন। তাই সবসময় মূল ছবিটি সংরক্ষণ করে কপিকৃত ছবির ওপর কাজ করুন। আপনি যতোবার একটি JPG ফাইলের ওপর কাজ করবেন, তার মান ততোই কমতে থাকবে।
সম্পাদনা, ইমেইল এবং প্রিন্ট করার জন্য আপনার ক্যামেরা থেকে ছবিগুলো কম্পিউটারে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হবে। নিয়মিত এই কাজ করা উচিৎ, যাতে কোনোো ছবি হারিয়ে না যায়। স্পর্শকাতর ছবি থাকলে বা ছবি চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তা প্রথম সুযোগেই ডাউনলোড করে রাখুন।
নাম নির্বাচন
ছবিগুলো যাতে প্রমাণ হিসাবে কাজ করে, সেজন্য মূল ছবিগুলোকে হার্ড ড্রাইভ বা সিডিতে সংরক্ষণ করা, মূল ফাইল ফরম্যাট ঠিক রাখা, ডিজিটাল ফাইলগুলো রিড-অনলি করে রাখা এবং সম্পাদিত ডিজিটাল ফাইলগুলো রিনেইম করে রাখার মাধ্যমে একটি আদর্শ ওয়ার্কফ্লো তৈরি করা উচিৎ। সঠিকভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং ফাইলগুলোর অবস্থান জানার জন্য প্রতি ফাইলের জন্য নির্দিষ্ট নাম ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এমন নাম ব্যবহার করুন যেটি ছবি সম্পর্কিত মূল তথ্যটি খুঁজে পেতে এবং মূল ছবিটি খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। একটি ভালো নামকরণ পদ্ধতি হবে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করলে: তারিখ, প্রোজেক্টের নাম, মূল ফাইলের প্রসঙ্গ এবং ক্রম সংখ্যা।
ছবি সুরক্ষিত রাখা
গোপন তথ্য সংরক্ষণের ঝুঁকিগুলো অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এনক্রিপশন, কিন্তু একদম দূর করেনা। অনেক দেশে এনক্রিপশন করাটাই বেআইনি। এনক্রিপশন সফটওয়্যার ব্যবহার করলে সেই অজুহাতে কর্তৃপক্ষ – আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তদন্ত করতে পারে। আপনি যদি এনক্রিপশনের সাহায্য নিতেই চান, তাহলে ভেরাক্রিপ্টের মত টুল ব্যবহার করুন। এনক্রিপ্ট করা ভলিউমের মধ্যে ‘লুকানো ভলিউম’ তৈরি করার মাধ্যমে কাজ করে এটি।
হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার
ছবি ওভার-রাইট করার বা সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত মেমোরি কার্ড থেকে ছবি পুনরুদ্ধার কর যায়। তাই, আপনাকে যদি ছবি মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয় বা নিরাপত্তার জন্য কখনো করার দরকার হয়, আপনি পরেও সেটি উদ্ধার করতে পারবেন, যদি সেই মেমোরি কার্ড আপনি আর ব্যবহার না করে থাকেন।
ছবি পুনরুদ্ধারের জন্য সফটওয়্যারের প্রয়োজন, যেমন: ডেটা রেসকিউ’স ফটোরেসকিউ, ডেটারিকভারিউইজার্ড বা স্যানডিস্ক’স রেসকিউপ্রো। এই দুইটি সফটওয়্যার তুলনামূলক সস্তায় বা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এগুলো কম্পিউটারের মেমোরিতে ছবি ও তথ্য পুনরুদ্ধার করে সংরক্ষণ করে, যাতে ডিস্ক এর কোনো ক্ষতি না হয়। দ্রষ্টব্য: ডিস্ক ফরম্যাট করে থাকলে সেখান থেকে ছবি পুনরুদ্ধার করা খুব কঠিন। আপনি যদি ফরম্যাট করা ডিস্ক থেকে ছবি উদ্ধার করতে চান, তাহলে আপনার আরো শক্তিশালী সফটওয়্যার দরকার হবে।
ছবি প্রকাশ করা
সাধারণত, আপনি ছবি তোলার পর যতো দ্রুত সম্ভব তা নিউজডেস্ক বা আপনার প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চাইবেন। আপনার ছবি যদি কম রেজুলেশনের jpeg ফাইল হয়, তাহলে আপনি ইমেইল করতে পারেন। RAW ছবির আকার ইমেইল করার জন্য বেশ বড়। এই ফরম্যাটের ছবি পাঠানোর জন্য ইউসেন্ডইট এর মতো অনলাইন ফাইল শেয়ারিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার সবসময়ই নিজের এবং আপনার ছবিগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এনক্রিপ্ট করে ছবি পাঠাবেন কিনা বা আদৌ ছবি পাঠাবেন কিনা, তা নির্ভর করে আপনি যে পরিস্থিতিতে কাজ করছেন, তার ওপর। যদি অনলাইনে ছবি পাঠানো বেশি বিপদজনক হয়, তাহলে মেমোরি কার্ড বা ফিল্ম নিরাপদে রাখুন।
সাবধানে মুছে ফেলা
আগের অংশে বলা হয়েছে, ছবি মুছে ফেললে বা ফরম্যাট করে ফেললেও তা সম্পূর্ণ রূপে মুছে যায়না। এটা বেশ ভালো ব্যাপার। এই কারণে হারানো ছবি ফিরে পাওয়া যায়। তবে, কখনো হয়তো আপনার কার্ড থেকে সম্পূর্ণরূপে ছবি মুছে ফেলা জরুরী হয়ে দাঁড়াতে পারে। এর সহজ উপায় হচ্ছে কার্ড ফরম্যাট করে সেখানে নতুন ছবি রাখা। এর ফলে আগের ছবির ওপর নতুন ছবি ওভাররাইট হয় এবং আগের সবকিছু সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়। স্যানডিস্ক এর মতো সফটওয়্যার দিয়ে মেমোরি কার্ড থেকে সম্পূর্ণরূপে তথ্য মুছে ফেলা যায়। কার্ড সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার প্রক্রিয়াটি জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। একবার মুছে ফেলা বা ওভাররাইট করা হয়ে গেলে আর কোনোকিছুই পুনরুদ্ধার করা যায়না। তাই এই কাজের জন্য একদম নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরী।
কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভের তথ্য মোছার জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। সপূর্ণরূপে তথ্য মুছে ফেলার জন্য আছে সফটওয়্যার: ইরেজার।
যেভাবে তুলবেন আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি
অন্য দেশে সংঘাত বা সংঘাত-পরবর্তী অঞ্চলে থাকা রিপোর্টাররা প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র, গোলাবারুদ, ধ্বংসাবশেষ এবং অস্ত্র কারখানার মুখোমুখি হন। তখন তার প্রমাণ রাখা জরুরী হয়ে পড়ে। সম্পূর্ণরূপে এগুলোর প্রমাণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্পষ্টভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি তুলতে পারলে খুব ভালো।। কিন্তু পুরো স্টোরিটা বোঝানোর জন্য তা যথেষ্ট নাও হতে পারে।
সম্ভব হলে নিরপেক্ষ এবং স্পষ্টভাবে, ঘটনায় কোনো রকম বাধা সৃষ্টি না করে ছবি তুলুন, যা সবাই বুঝতে পারে। মাটিতে রেখে ওপর থেকে ফ্রেমিং করে ছবি তুলবেন না। উচ্চ রেজুলেশনে অস্ত্রের দুই পাশেরই ছবি তুলুন। এতে আপনি পরবর্তীরে জুম করতে পারবেন। অস্বাভাবিক বা বিরল আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে ফ্রেমে তুলনা করার মতো কোনো বস্তু রাখলে ভালো হয়, যাতে পরবর্তীতে অস্ত্রটির আকার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যায়। অস্ত্রের গায়ের যেকোনো চিহ্নের স্পষ্ট ছবি তুলুন, যেমন কারখানার প্রতীক, সিল, সিরিয়াল নাম্বার, ক্যালিবার, বারকোড, প্রমাণ-সংক্রান্ত চিহ্ন ইত্যাদি। অনেক সময় সহজে এগুলো দেখা যায়না (সাইট এবং ব্যারেলের নিচে খুঁজে দেখুন)। এমন চিহ্ন একাধিক থাকতে পারে, তাই সম্ভব হলে সম্পূর্ণ অস্ত্রটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখুন। নির্ধারক চিহ্ন, নিরাপত্তা চিহ্ন এবং সাইটে থাকা চিহ্নের ছবি তোলা জরুরী। অস্ত্রের কোথায় এই চিহ্নগুলো পেয়েছেন, মনে রাখুন। যে হাতটি অস্ত্র ধরে আছে, সেটিসহ ছবি তুলুন। যেমন, কোনো যোদ্ধা অস্ত্র ধরে থাকলে তাকে সহ ছবি তুলুন। তাহলে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
লেখক পরিচিতি
সিজে ক্লার্ক একজন পুরষ্কার-জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক এবং ফটোগ্রাফার। তিনি এর আগে বিভিন্ন এনজিওর হয়ে কাজ করেছেন। তিনি রোমানিয়ায় এইচআইভি এবং শ্রীলঙ্কায় দারিদ্রের মতো বিভিন্ন সমস্যা কাভার করেছেন। তিনি বর্তমানে সেইভ দা চিলড্রেন এ কাজ করেন। গার্ডিয়ান এবং সানডে টাইমসের মতো অসংখ্য প্রকাশনায় তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে।
___ ___ ___
জুলিয়েট ফার্গুসন একজন লন্ডনবাসী ফটোগ্রাফার এবং সাংবাদিক। তিনি ফটোগ্রাফি নিয়ে সেন্ট্রাল সেইন্ট মার্টিনস স্কুল অফ আর্ট থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তিনি এর আগে ভ্রমণ-বিষয়ক ম্যাগাজিনের জন্য প্রবন্ধ লিখেছেন ও ছবি তুলেছেন। বর্তমানে চারুকলা ও বিমূর্ত শিল্প নিয়ে কাজ করছেন।
___ ___ ___
ডেমিয়েন স্প্লিটার্স একজন বেলজিয়াম-ভিত্তিক স্বাধীন সাংবাদিক। সংঘাত বিষয়ক সংবাদ কাভার করার পাশাপাশি তিনি বেলজিয়ামে হালকা অস্ত্রের বিস্তার এবং এবং বেলজিয়ান অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন।