নাগরিক অনুসন্ধান: সরকারি নথিপত্র নিয়ে অনুসন্ধান
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান গাইড: ভূমিকা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: অনুসন্ধান পরিকল্পনা ও পরিচালনা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: নৈতিকতা ও সুরক্ষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: ইন্টারনেটে খোঁজ
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: ব্যক্তি নিয়ে গবেষণা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: কর্পোরেশনের মালিক কারা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: সরকারি নথিপত্র নিয়ে অনুসন্ধান
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনুসন্ধান
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: সম্পত্তির মালিকানার খোঁজ-খবর
সরকার নিয়ে অনুসন্ধান
সরকার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি করার জন্য কিছু টুল ব্যবহার করা যায়। তবে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলাই হবে এই কাজ শুরুর সবচেয়ে ভালো ধাপ। জানতে হবে: কীভাবে জিনিসগুলো তত্ত্ব ও বাস্তবে কাজ করে। অনুসন্ধানের লক্ষ্য যা-ই হোক না কেন, সরকার কীভাবে কাজ করে– এই মৌলিক জ্ঞানটি আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেবে। সরকারি কর্মকাণ্ডের মৌলিক ভিত্তিগুলো সম্পর্কে হয়তো আপনি স্কুলে জেনেছেন। কিন্তু বাস্তব দুনিয়ায় বিষয়গুলো অন্যভাবেও পরিচালিত হতে পারে। ফলে আপনার আগ্রহের বিষয় সম্পর্কে লেখাপত্র পড়ুন এবং সে বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহায়তা নিন।
চিন্তা করার কিছু মৌলিক জায়গা হতে পারে এগুলো:
- আপনার বিষয় সম্পর্কিত আইন ও রীতিনীতি;
- পেছনের ইতিহাস;
- আমলাতান্ত্রিক কাঠামো;
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া
- ভেতরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা;
- বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত বাইরের মানুষজন;
- রেকর্ড সংক্রান্ত প্রকাশনা
- আনুষ্ঠানিক নথিপত্র, যেমন বাজেট, প্রোকিউরমেন্ট, আর্থিক বিবরণ, এবং আরও অনেক কিছু।
যদি অনেক বেশি জিনিস মনে হয়, তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বেছে নিন। কিন্তু এই ধরনের সাধারণ জ্ঞান আপনাকে সাহায্য করবে সরকারি পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝতে।
ভারতে নথিপত্র পেতে আরটিআই ব্যবহার করছেন অধিকার-কর্মীরা
ভারতে, তথাকথিত আরটিআই অ্যাক্টিভিস্টরা তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে হরেক রকমের জিনিস আবিস্কার করেছেন। শাকিল আহমেদ শেখ এই তথ্য পেয়েছিলেন যে, মাথার ওপর দিয়ে চলা ট্রেনের তারের কারণে কত মানুষ মারা গেছেন। নিরাজ শর্মা দেখেছিলেন: সরকার, জনসংযোগের পেছনে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি খরচ করছে। ভিমাপ্পা গাদাদ উন্মোচন করেছিলেন: ৫১ একর সরকারি জমি কীভাবে ব্যক্তিমালিকানায় চলে গেছে।
কারা জড়িত?
আপনি যে জায়গাটি নিয়ে কাজ করছেন, সেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তি কারা?
শুধু নির্বাচিত কর্মকর্তারাই নন, সমীকরণে অন্য আরও কারা কারা জড়িত থাকতে পারেন, তা-ও ভাবুন। যেমন,
- আমলা;
- বিশেষ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপের প্রতিনিধি;
- নাগরিক নেতৃবৃন্দ;
- ব্যবসায়িক কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ;
- বিষয়টি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ;
- একাডেমিকস, ইত্যাদি
এভরিপলিটিশিয়ান ডট অর্গ চেষ্টা করেছে বিশ্বের সব নির্বাচিত রাজনীতিবিদের তালিকা তৈরি করতে। তবে স্থানীয় পর্যায় থেকে পাওয়া তথ্যই সম্ভবত আরও পূর্ণাঙ্গ হবে।
আপনার অনুসন্ধানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্তৃপক্ষ, তাদের কর্মকাণ্ড, নেতৃবৃন্দ ইত্যাদি সম্পর্কে খবরগুলো পড়ুন। কোন নামগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে– তা খেয়াল করুন। তথ্যের জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন– তা নির্ধারণ করার জন্য এটি জানা জরুরি যে, বিষয়টি নিয়ে কারা মতামত দিয়েছে।
এছাড়াও নিজেকে করুন এই প্রশ্নগুলো:
- কারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
- কারা সবচেয়ে বেশি যত্নশীল ছিল?
- আমার অনুসন্ধানের বিষয়টি নিয়ে আরও কারা কারা আগ্রহী হতে পারে?
এই ধরনের তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ফেললে সেটি হয়ে যাবে একটি মূল্যবান “ম্যাপ”। যা আপনাকে এই অনুসন্ধানে সাহায্য করবে।
অনলাইন ও অফলাইন
অনলাইন সার্চিংকে নিশ্চিতভাবে একটি শুরুর জায়গা হিসেবে ধরে নেওয়া হলেও, দেখা যায় এটি পর্যাপ্ত হয় না।
আধুনিককালে ইন্টারনেটে গবেষণা এবং সরকারের স্বচ্ছতার ওপর অনেক জোর দেওয়া হলেও, আপনি যা খুঁজছেন- তা হয়তো অনলাইনে পাবেন না।
সরকারি সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে খোঁজ চালানো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখান থেকেও আপনি হয়তো খুব বেশি আলো পাবেন না।
এ ধরনের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তি ধরে যোগাযোগ এখনও মূখ্য ভূমিকা পালন করে।
বিভিন্ন সভায় অংশ নিন। কারা সেগুলোতে অংশ নিচ্ছে এবং কীভাবে তারা কাজ করে- এসব বিষয় খেয়াল করার ফল আপনি পেয়ে যেতে পারেন অপ্রত্যাশিতভাবে।
আপনার অনুসন্ধানের বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কে জানেন- সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করুন। একদম নিচের সারিতে কাজ করা কোনো বিশেষজ্ঞকে খুঁজে বের করুন। শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করুন। সরকারি যোগাযোগ কর্মকর্তারা হয়তো সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের একটি সাজানো উত্তরই দেবেন। কিন্তু চেষ্টা করে দেখতে তো ক্ষতি নেই।
সরকারের বাইরে, প্রায়ই এমন কিছু গ্রুপ পাওয়া যায়, যারা আপনার আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে তথ্য শেয়ার করে।
পরামর্শের জন্য সব সময় উন্মুক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। যেমন, “আমি আর কী পড়তে পারি? বা “আমি আর কার সঙ্গে কথা বলতে পারি?”
আপনার অনুসন্ধানের বিষয়বস্তুই আপনাকে গবেষণার দিকনির্দেশ করবে।
আপনি যদি কোনো কানাগলিতে আটকে যান, তাহলে বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ আর দৃঢ়সংকল্পই বেশি কাজে আসবে। তবে কিছু আইনি টুলও আছে, যা সরকারি কোনো তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে।
ওয়াচডগ হয়ে উঠলেন নিউ ইয়র্কের এক নাগরিক
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা অ্যারন কারের “শুরুটা কোনো ভাড়াটিয়া অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে হয় নি”, বলা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে। কিন্তু ভাড়াটিয়াদের দুর্দশার কথা উপলব্ধি করে তিনি একটি “বটম আপ এনফোর্সমেন্ট অ্যাপ্রোচ” নিয়েছেন পাবলিক রেকর্ড খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে। এবং ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন একটি ছোট কিন্তু কার্যকরী ওয়াচডগ গ্রুপ।
তথ্য অধিকার আইন
নাগরিকদের সরকারি নথিপত্র দেখার অধিকার দিয়ে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে ১২৫টিরও বেশি দেশে। এই আইনের মাধ্যমে নথিপত্র দেখার অনুরোধ জানানোর এবং নথি দিতে অস্বীকার করলে আপিল করার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই পথটি দীর্ঘ ও হতাশাজনক হতে পারে, কিন্তু শেষপর্যন্ত এটি কার্যকরী। তথ্য অধিকার আইন শুধু সাংবাদিকদের জন্যই- এমন ভুল ধারণা চালু থাকলেও, নাগরিকেরাই এই আইনের প্রধান ব্যবহারকারী।
জিআইজেএনের তথ্য অধিকার আইন সংক্রান্ত রিসোর্স সেন্টারে অনেক বাস্তবিক পরামর্শ ও দেশ ধরে ধরে তথ্য আছে।
তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে এক ডজনেরও বেশি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পর্যালোচনা করে আমরা এই টিপসগুলো এক জায়গায় করেছি।
জিআইজেএনের সেরা ৮ পরামর্শ
১. আগেভাগে পরিকল্পনা করুন: স্থির করুন যে কী জানতে চান। অভিজ্ঞ সকলেই আগেভাগে গবেষণা সেরে ফেলার গুরুত্বের দিকে জোর দিয়েছেন।
২. অন্যান্য পথগুলোও পরখ করে দেখুন। আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্যের জন্য আবেদন জানানোর আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে তথ্যটি পাওয়া যায় কিনা, খোঁজ করুন। বিকল্প সূত্রের সন্ধান করুন।
৩. প্লট: তথ্যটি কোথায় আছে– তা ভালোমতো বুঝে নিন। শুধু কোন তথ্য খুঁজছেন- সেটিই নয়, সরকারের কোন সংস্থায় এটি পাওয়া যাবে, তা জানাও জরুরি।
৪. প্রস্তুতি নিন: আইন সম্পর্কে জানুন। তথ্য পাওয়ার জন্য যে আইনটি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন, সেটি ভালোমতো পড়ে নিন। কী ধরনের ফি দিতে হবে পারে? জবাব দেওয়ার সময়সীমা কত দিন? আপনার কী কী অধিকার আছে?
৫. (সঠিক জায়গায়) নির্দিষ্ট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। সব অভিজ্ঞ তথ্য আবেদনকারীই গুরুত্ব দিয়েছেন স্পষ্টভাবে প্রশ্ন জানতে চাওয়ার দিকে। অস্পষ্টতা আপনার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট প্রশ্ন করার মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ একটি বড় প্রশ্নের পরিবর্তে বেশ কিছু ছোট ছোট প্রশ্নের আবেদন করতে পছন্দ করেন। “যা আছে, সব কিছু দিন”- এমন প্রশ্ন করার অন্য জায়গা আছে। কিন্তু এই ধরনের তথ্যের জন্য এগুলো কার্যকরী নয়। “কেন” ধরনের প্রশ্ন কাজ করবে না। আপনার আগ্রহের জায়গাটি নিয়ে খুব সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করুন। “পরিচালক কী কাজ করেন?”- এমন প্রশ্নের বদলে বলুন: “দয়া করে পরিচালকের কাজের বিবরণ প্রদান করুন।”
৬. হাল ছাড়বেন না: ফলোআপ সবসময়ই কাজে দেয়। তথ্য চেয়ে একটা আবেদন পাঠিয়ে শুধুই বসে অপেক্ষা করবেন না। সেই তথ্যের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, সম্ভব হলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখুন। ধৈর্য্য ও ধারাবাহিকতা খুবই জরুরি। দরকার হলে আলাপ-আলোচনা, এমনকি দরকষাকষিও চালিয়ে যান।
৭. আপিল করুন। তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রবণতা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এজন্য তৈরি থাকুন। আইনি পথে না গেলেও (বা না যেতে পারলেও) আপিল করুন।
৮. প্রকাশ করুন: সংকোচের কিছু নেই। তথ্য চেয়ে আবেদন করার পর থেকে শেষপর্যন্ত কী হলো, সব কিছু লিখে রাখুন। হার-জিত, যা-ই হোক; তথ্য পেলে ভালো, কিন্তু না পেলেও সেটি নিয়ে রিপোর্ট করুন।
উন্মুক্ত ডেটা
ক্রমেই বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের ডেটাগুলো আরও বেশি করে “উন্মুক্ত” করছে।
যার অর্থ: আপনি হয়তো দূষণ, গ্রেপ্তার, জমিজমা, নীতিমালা লঙ্ঘন, সরকারি বেতন, স্কুলে উপস্থিতি; ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ডেটাবেজে সার্চ করতে পারবেন।
কাজটি সহজ করার জন্য, সার্চযোগ্য ডেটাবেজও তৈরি করেছে কিছু এনজিও। তবে এই কাজে হয়তো আপনার কোনো জ্ঞানী বন্ধুর সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে।
ডেটা যদি এরই মধ্যে অনলাইনে পোস্ট করা না হয়, তাহলে সেটি পাবার অনুরোধ জানান। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে ডেটা পাওয়ার অনুরোধও করা যায়।
টাকার খোঁজ
আপনি যা জানতে চান, তার একটি বড় অংশ হতে পারে: কীভাবে সরকার অর্থ খরচ করে। কিন্তু অনেক দেশেই এই তথ্যটি পাওয়া কঠিন হতে পারে।
একটি প্রাথমিক ধাপ হতে পারে: বাজেট সংক্রান্ত নথিপত্রে খোঁজ করা। যেখানে সরকার তার খরচের পরিকল্পনা প্রকাশ করে এবং সেই ধরনের নথিপত্র, যেখানে সত্যিকারের খরচের হিসেব থাকে।
এগুলো হয়তো পর্যাপ্ত বিস্তারিত অবস্থায় পাওয়া নাও যেতে পারে। ধরে নিন: আরও অনেক কিছু খুঁজে পাওয়ার আছে। তথ্য অধিকার আইনে আবেদন এক্ষেত্রে জরুরি হতে পারে।
নথিপত্রের পথ অনুসরণ করে আপনি সরকারি চুক্তি ও কেনাকাটার খোঁজ চালাতে পারেন। সরকার বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনে এবং কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। এবং উপরে যেমনটি বলা হয়েছে, এমন অনেক গ্রুপ থাকতে পারে, যারা এসব তথ্য সংগ্রহ করে। যেমন, এলভিস, পূর্ব ইউরোপের চুক্তি সংক্রান্ত নথিপত্র এক জায়গায় করে।
তথ্য কতখানি প্রকাশ করা হয়, তা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হতে পারে। এখন অবশ্য চুক্তি সংক্রান্ত নথিপত্র উন্মুক্ত করার জন্য সরকারগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এখানেও হয়তো এক পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হতে পারে।
অডিট বা সরকারি খরচ নিয়ে অনুসন্ধানে জড়িত থাকতে পারেন কিছু কর্মকর্তা। তাদের প্রতিবেদনগুলোও আপনি হাতে পেতে পারেন।
নিজস্ব ডেটাবেজ তৈরি
সরকার, কোথায় এবং কীভাবে অর্থ খরচ করছে- তা জানার জন্য বিভিন্ন নাগরিক গ্রুপ ক্রমেই মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যেমন, কেউ হয়তো পর্যবেক্ষণ করছে যে, কতগুলো নতুন স্কুলের বই সত্যিই কেনা হয়েছে।
এভাবে সক্রিয় তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া হয়তো সবচেয়ে কার্যকরী কিছু ফলাফল বয়ে আনবে।