ডিজিটাল ফরেনসিক কৌশল নিয়ে বেলিংক্যাটের লোগান উইলিয়ামসের ১০ পরামর্শ
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
লোগান উইলিয়ামস বেলিংক্যাটের অনুসন্ধানী প্রযুক্তি দলের একজন ডেটা সায়েন্টিস্ট। ইতালির পেরুজিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২২ আর্ন্তজাতিক সাংবাদিকতা উৎসবে তিনি ডিজিটাল ফরেনসিক রিপোর্টিং ল্যাব নিয়ে কথা বলেছেন। জিআইজেএন এই প্যানেলে উপস্থিত ছিল এবং পরে তার সঙ্গে দেখা করে রিপোর্টিংয়ে ডিজিটাল ফরেনসিক কৌশল ব্যবহারের এই পরামর্শগুলো নিয়েছে।
১. সংরক্ষণ জরুরি
লোগান উইলিয়ামস: একজন অনভিজ্ঞ সাংবাদিকের কাছে ডিজিটাল ডেটা বা ডিজিটাল ফরেনসিক নিয়ে কাজ করার বিষয়টি ভীতিকর শোনাতে পারে। তবে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও সহজ কিছু বিষয় আছে যা বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। একটি হলো ডিজিটাল ডেটা সংরক্ষণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন সাংবাদিক যখন হোয়াটসঅ্যাপে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভিডিওর সন্ধান পান, সঙ্গে সঙ্গে সেটি সেইভ ও আর্কাইভ করা জরুরি। কারণ, সামাজিক মাধ্যমের এই সোর্সগুলো ক্ষণস্থায়ী এবং তথ্যগুলো সেখানে আজীবন থাকে না। সংরক্ষণের কাজটি খুব সহজ, অনেকটা চট করে গুগল ড্রাইভে আপলোড করে নেওয়ার মতোই। অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে কন্টেন্ট জালিয়াতি বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর সমন্বিত চেষ্টার লক্ষণ সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হয়।
২. মেটাডেটা সংরক্ষণ ও যাচাই করুন
এলডব্লিউ: বেশ কিছু দুর্দান্ত টুল আছে যা সাংবাদিকেরা এখনই ব্যবহার করতে পারেন। আমার প্রিয় টুলগুলোর একটি হলো ইনভিড, যার সাহায্যে মেটাডেটা খতিয়ে দেখা যায়। যেমন, একটি ছবি যে সময়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আসলেই সে সময়ে তোলা কিনা, তার লক্ষণগুলো অনুসন্ধান করতে আপনি অন্য সাক্ষ্য-প্রমাণের সঙ্গে মেটাডেটাও মিলিয়ে দেখতে পারেন। ছবিটি ফটোশপের মাধ্যমে জালিয়াতি করা হয়েছে কি না এর সাহায্যে তা-ও খোঁজা যায়, এবং সব কিছু মেলে এই একটি ব্রাউজার প্লাগ-ইনে। যাদের খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই, তারাও খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
@কুইজটাইম নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে, যা আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করি। ওপেন সোর্স নিয়ে অনুসন্ধানের দৃষ্টিকোণ থেকে ছবি বা সামাজিক মাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ নিয়ে এটি নিয়মিত কুইজ টুইট করে। তাই এ ধরনের ডেটা নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা গড়ে তোলার… এটি বেশ ভালো উপায়।
https://twitter.com/dondude/status/1520044404760846336
আমি মনে করি, [মেটাডেটার ক্ষেত্রে] গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি নিরীক্ষা যোগ্য। অর্থ্যাৎ, তাতে আপলোডের সময় এবং এ জাতীয় তথ্য পাওয়া যায়; পাঠকের কাছে প্রমাণ করা যায় আপনি যা দেখানোর কথা বলছেন সেটিই দেখাচ্ছেন এবং গুগল ড্রাইভের মতো বেশিরভাগ টুলই আপনাকে এই সুবিধা করে দেবে। প্রচুর পরিমাণ তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুগল শিটসকেও একটি দারুণ টুল বলে মনে করি আমি, বিশেষ করে যখন অনেকে – হতে পারে সেটি সাধারণ মানুষও – আপনার ডেটা সংগ্রহ প্রকল্পে ডেটা দিয়ে সহযোগিতা করছে।
৩. ক্রস-রেফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডেটার সত্যতা নিশ্চিত করুন
এলডব্লিউ: যে কোনো ডেটা-ভিত্তিক স্টোরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ডেটাকে যাচাই করা, এবং আর এটি আসলেই নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ঘটনা বা ডেটা নিয়ে কাজ করছেন তার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বেলিংক্যাটে আমাদের গবেষকদের অনেকেই এখন সামাজিক মাধ্যমের ডেটা বিশ্লেষণ ও ইউক্রেন থেকে আসা ছবি নিয়ে অনেক বেশি মনোযোগী। আপনি যখন এই ডেটা নিয়ে ভাবছেন, তখন আপনি ছবিগুলোকে একই এলাকার অন্য ছবির সঙ্গে ক্রস রেফারেন্সিং করতে পারেন। আগের এবং হয়তো ২০১৪ সালের যুদ্ধের সময় পোস্ট করা ছবি ধরে আপনি খোঁজ করতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন যে কোনো পুরানো ছবি ফের পোস্ট করা হচ্ছে না। তারপরে আপনি স্যাটেলাইট ইমেজারির মতো ডেটার সম্পূর্ণ আলাদা উৎস ব্যবহার করে বিস্ফোরকের কারণে তৈরি হওয়া বড় আকারের গর্ত খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে পারেন, যা কিনা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান। আর এই সব কিছু আপনাকে দেখাতে সাহায্য করবে যে ছবিটিতে যা দাবি করা হচ্ছে, আসলে তাই ঘটেছে কিনা।
৪. আপনার সোর্সের সুরক্ষা দিন
এলডব্লিউ: গোপনীয়তা ও প্রকাশিত ডেটার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনি দর্শকদের কাছে স্বচ্ছভাবে ডেটা উপস্থাপন করতে চান। ইউক্রেন আক্রমণের উদাহরণে ফিরে যাচ্ছি। বেলিংক্যাটে আমরা যেসব প্রকল্পে কাজ করছি তার মধ্যে একটি হল চলমান যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের সকল ঘটনা একটি মানচিত্রে তুলে ধরা। যখন আমরা এই মানচিত্রটি তৈরি করি, তখন আমাদের হাতে অনেক ঘটনা ছিল, কিন্তু তার অনেক কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। যেমন ধরুন, একটি ছবি কারও অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে বা তাদের বাড়ির বাগানে ধারণ করা হয়েছে। শহরটি যদি রাশিয়ানদের দখলে চলে যায়, তখন ছবিটি সম্ভবত বেশ সংবেদনশীল হয়ে পড়বে। কারণ, তারা এই তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পারে। তাই তথ্য কীভাবে প্রকাশ করব, সে ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, কারো জীবন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে।
৫. স্যাটেলাইট ছবি সরবরাহকারীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করুন
এলডব্লিউ: স্যাটেলাইট ছবি হাতে আসতে কত সময় লাগবে, তা অনেক সময় সরবরাহকারীর ওপর নির্ভর করে। ছবিটি ধারণের পর সেটি পেতে পেতে এক থেকে তিনদিন সময় লাগতে পারে। তার আগেও পেতে পারেন, কেবল যদি স্যাটেলাইট ছবি সরবরাহকারীর সঙ্গে আপনার বিশেষ সম্পর্ক থাকে।
৬. আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনের আগে দু’বার ভাবুন
এলডব্লিউ: আমি মনে করি এটি এমন এক প্রশ্ন যা স্থানীয় প্রেক্ষাপট এবং নির্দিষ্ট নিউজরুম বা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করে। এই বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে প্রভাবিত, যেখানে পুলিশ এবং মিডিয়া প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে এবং একটি নির্দিষ্ট ঘটনার অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের প্রতিবেদনগুলো সব সময় বিশ্বাসযোগ্য হয় না। এমন ক্ষেত্রে, পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করা একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সুনাম বা বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি করতে পারে বলে আমি মনে করি।
অন্যান্য পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়, বিষয়টা একটু জটিল। যেমন, বেলিংক্যাট ইউরোপোলের সঙ্গে তাদের “অবজেক্ট ট্রেস” চ্যালেঞ্জ নিয়ে বেশ কয়েকবার সহযোগিতা করেছে। একটি ঘটনায় তাদের হাতে কেবল একটি পানির বোতল বা এমন কিছুর ছোট্ট একটি ছবি ছিল, যা শিশু নির্যাতনের একটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করেছিল। সেই পানির বোতলটি কোথায় বিক্রি হয়েছে বা এটি কোথা থেকে এসেছে সেটি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ট্র্যাক করার সূত্র হতে পারে। এই ঘটনায়, যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা অপরাধমূলক কার্যকলাপের খুব স্পষ্ট ধরনের একটি মামলা ট্র্যাক করছে, তাই অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য সেই পুলিশ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা কিছুটা সহজ হতে পারে। তবে আমি মনে করি এমন প্রতিটি ক্ষেত্রে, সম্পাদকীয় চ্যালেঞ্জগুলো যত্নের সঙ্গে চিন্তাভাবনা ও বিবেচনা করা প্রয়োজন।
৭. জালিয়াতি সহজে সনাক্ত করা যায়
এলডব্লিউ: ইউক্রেনে আমরা প্রায়ই যা দেখি সেসব ডিপফেক বা সত্যিকার অর্থে সূক্ষ্মভাবে জালিয়াতি করা ছবি নয়, বরং ২০১৪ সালের এই ছবিটির [প্রদর্শিত] মতো। এই ছবিকে ২০২২ সালের বলে মনে করা হলেও রিভার্স্ড ইমেজারিতে তা ধরা পড়ে যায়।
আমরা এমন অনেক ছবিও দেখি যা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়, ছবিতে যা নেই তা-ই বলা হয়, বিশেষ করে রাশিয়া সরকার এমনটা করে থাকে। আবার একই ধরনের অন্যান্য ঘটনায় যা দাবি করা হচ্ছে সেটি যে সঠিক নয়, আপনিও অনেক সময় সেটি প্রমাণ করে দিতে পারেন, অন্য দৃষ্টান্ত হাজির করে। যেমন, মিসাইল হামলা। ঘটনার বর্ণনা পড়ার চেয়ে আপনি কেবল ছবিতে চোখ বুলাতে পারেন। মিথ্যা তথ্য প্রচারের যেসব কৌশল আমরা যা দেখি, তার ৯০% এগুলোই। এবং ভৌগলিক অবস্থান ও ক্রোনোলোকেশনের [আকাশে সূর্যের অবস্থান বা অবস্থা] মতো সাধারণ যাচাই কৌশল দিয়েই আপনি সহজে সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেন।
৮. যাচাই প্রক্রিয়া শক্তিশালী হলে সোর্সিং জরুরি নয়
প্রায় ক্ষেত্রেই, আমরা ছবির সোর্সকে বিশ্বাস করি না। একটি ছবি যে কেউই পোস্ট করতে পারে, তা সে উগ্র ডানপন্থী আন্দোলনকারী হোক, মার্কিন পুলিশ বিভাগ, [ইউক্রেনের অতি-ডান] আজভ ব্যাটালিয়ন, অথবা বিশ্বাস করা যায় না এমন যে কোনো গোষ্ঠী। এটি প্রকাশের পেছনে তাদের নিজস্ব স্বার্থ থাকতে পারে। তাই প্রেক্ষাপট নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, আপনি যদি শুধু ছবিটাকেই সত্যের উৎস হিসেবে ধরে নেন, তাহলে সেখান থেকে অনেক তথ্য বের করতে পারবেন। এটি আপনার অনুসন্ধানের জন্যও কার্যকর হবে এবং আপনাকেও সোর্সকে বিশ্বাস করা বা না-করা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ছবিটিকে যে সময়ের বলে দাবি করা হচ্ছে, যদি প্রমাণ করতে পারেন যে সেটি সেই সময়ে নেওয়া হয়েছে – অথবা হয়নি – অথবা যদি দেখাতে পারেন, আপনি যে সময় ও স্থানের ওপর নজর রাখছিলেন এটি সে বছর সেখানেই তোলা হয়েছে, যা স্যাটেলাইট ছবি দিয়ে ক্রস-রেফারেন্সও করা যাচ্ছে, তাহলে ছবিটি ছাড়া আর কোনো কিছুতেই আপনার আস্থা রাখার দরকার নেই।
অবশ্য একটি ছবিকে ফটোশপ দিয়ে বিকৃত বা পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, তা ফরেনসিক বিশ্লেষণ কৌশল ব্যবহার করে সনাক্ত করা যায়। এজন্য ছবিতে “নয়েজ” যেভাবে ছড়ানো রয়েছে, সেদিকে নজর দিতে হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিতে ক্যামেরার স্বাভাবিক নয়েজ প্রোপার্টি গ্রেইন থাকে। এই গ্রেইন সরাসরি আপনার চোখে পড়বে না, তবে ফরেনসিক বিশ্লেষণ সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি সহজেই এই পরিবর্তন ধরতে পারবেন এবং ছবিটি বিশ্বাসযোগ্য কি না বা সেটিতে ভৌগলিক অবস্থান আছে কি না – এমন অনেক প্রমাণ আপনি বের করতে পারবেন।
৯. সম্ভাব্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে আপনার কাজের শ্রেণিবিভাজন করুন
এলডব্লিউ: ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা আমাদেরও লক্ষ্য, তবে অনুসন্ধানী গণমাধ্যম হিসেবে আমাদের ভূমিকা কখনো কখনো এর সঙ্গে সাংঘর্ষিকও হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, ইউক্রেনে সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনাগুলো বের করতে আমরা আমাদের কর্মপ্রক্রিয়াকে দুটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছি, এবং এজন্য দলও সম্পূর্ণ আলাদা। একটি দলের কাজ হলো ঘটনা খুঁজে বের করা এবং সেগুলোকে প্রকাশযোগ্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রূপ দেওয়া, যা আমাদের সাইটে প্রকাশিত হতে পারে, আবার সহযোগী গণমাধ্যমেও। আর আমাদের সম্পূর্ণ আলাদা আরেকটি দল, ঘটনার ভৌগলিক অবস্থানসহ সব ধরনের তথ্য নিয়ে সেগুলোকে স্বাধীনভাবে যাচাই করে, স্বাধীনভাবে কাজ করে, স্বাধীনভাবে সংরক্ষণ করে। এতে তারা আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালতের মতো ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে কাজ করা সংগঠনগুলোর সঙ্গে সেই তথ্যগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে; আমাদের গণমাধ্যম সংগঠন থেকে স্বাধীনতা বজায় রেখে। এভাবে বিচারিক প্রক্রিয়া থেকে আমাদের রিপোর্টিংকে স্বাধীন রাখতে পারি।
১০. সত্যের জন্য লড়াই করুন
এলডব্লিউ: বর্তমানে সত্যের ধারণাটাই কিছুটা একঘেঁয়ে হয়ে গেছে, তবে বেলিংক্যাটে, এটিই আমাদের জন্য মূল বিষয়। আমাদের বিশ্বাস, বেশিরভাগ ঘটনায় একটি সত্য থাকে, যা আবিষ্কার করা যায় এবং অজানা সেই সত্য প্রকাশের মাধ্যমে সেটি এককভাবে কাউকে না কাউকে জবাবদিহি করছে। তবে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা হলো প্রয়োজনীয় প্রথম পদক্ষেপ। অনুসন্ধানের মাধ্যমে সেই সত্য প্রকাশ করা যায়, ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, বা কাউকে সেই পদ্ধতি শিখিয়েও প্রকাশ করা যায়। আর এটি তাদের নিজেদের স্থানীয় পরিবেশ বা নিজেদের রিপোর্টিং প্রক্রিয়ায় সত্য উদঘাটনের পথকে উন্মুক্ত করে। জবাবদিহিতা অন্বেষণ – বেলিংক্যাটে আমরা ঠিক এই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন
টিপস ফর আর্কাইভিং টেলিগ্রাম ম্যাসেজেস অন রাশিয়া-ইউক্রেন ওয়ার
বেলিংক্যাট’স গ্রোজেভ অন ইনভেস্টিগেটিং রাশিয়া’স ইনভেশন অব ইউক্রেন
বেলিংক্যাট’স ওপেন সোর্স ডিজিটাল ফরেনসিক টুলস
মার্থে হুবিও জিআইজেএনের ফরাসি ভাষা সম্পাদক। স্পেন ও আর্জেন্টিনায় পাঁচ বছর কাজের পর তিনি বর্তমানে তাঁর জন্মভূমি ফ্রান্সে কাজ করেন। তিনি আর্জেন্টিনার লা নাসিওন পত্রিকায় ডেটা দলে কাজ করেছেন। স্লেট ও লিবারেশন পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করেছেন এবং বুয়েনেস আইরেসে লা ফিগারো এবং মিডিয়াপার্টের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।