ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার দুটি গণমাধ্যমকে যেভাবে সহায়তা করেছে জিআইজেএন অ্যাডভাইজরি সার্ভিস
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
সম্পাদকের নোট: এটি ইনসাইড জিআইজেএন নামে জিআইজেএনের একটি অনিয়মিত কলামের প্রথম পোস্ট। বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদার করতে আমাদের দলের প্রচেষ্টার, পর্দার পেছনের খবর মিলবে এই কলামে।
ক্রমক্ষয়িষ্ণু বাজার ও নিপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থায় টিকে থাকতে ছোট ও মাঝারি স্বাধীন-গণমাধ্যমের প্রচুর সমর্থন দরকার হয়। অনেক সময় তারা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির চাপের মুখে পড়ে। এতে, বিশেষ করে ওয়াচডগ রিপোর্টিং করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আয় করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
রাজনৈতিক চাপ না থাকলেও স্বাধীন, টেকসই অনুসন্ধানী গণমাধ্যম সংস্থা চালাতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। সাংবাদিকেরাও সবসময়, সবচেয়ে কৌশলী ব্যবস্থাপক হতে পারেন না। ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকতা, ডিজিটাল ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা আয়ত্ত করতে পারে না।
বিশ্বজুড়ে ওয়াচডগ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সংকটে পড়া বা নতুন অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন জোগানোর নতুন নতুন উপায় খুঁজে যাচ্ছে জিআইজেএন। গত বছর, তহবিল সংগ্রহের পরামর্শ থেকে শুরু করে ডেটা সাংবাদিকতার টিউটোরিয়াল ও অর্থের গতিপথ অনুসরণের মত বিষয় নিয়ে আমাদের হেল্প ডেস্ক আড়াই হাজারের বেশি সাহায্যের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে। আমাদের বহুল ব্যবহৃত রিসোর্স সেন্টার একটি অলাভজনক রিপোর্টিং কেন্দ্র চালু করা থেকে শুরু করে সুরক্ষার উত্তম-চর্চা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিনামূল্যে শত শত টিপ শিট ও নির্দেশিকা যোগান দিয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
গত ২০ বছরে স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর কষ্ট করে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে, তার প্রতি হুমকি হয়ে আসে মহামারি। তাই ২০২১ সালে আমরা জিআইজেএন অ্যাডভাইজরি সার্ভিস নামের একটি বহুমুখী কর্মসূচি চালু করি, যা ওয়াচডগ বার্তাকক্ষগুলোকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে সহায়তা দিয়ে থাকে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমরা আমাদের আমরা হেল্প ডেস্কের সক্ষমতা বাড়িয়েছি; অংশীদার ও পরামর্শকদের যুক্ত করেছি। মিডিয়া ডিফেন্স, ট্রাস্ট ল ও ভ্যান্স সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস আইনি বিষয়ে; মানসিক আঘাত ও চাপের ক্ষেত্রে ডার্ট সেন্টার; সাংবাদিকদের সুরক্ষায় অ্যাকোস অ্যালায়েন্স; এবং ব্যবসা ও বার্তাকক্ষ পরিচালনায় মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড তাদের বিশেষ দক্ষতা নিয়ে পাশে থাকার প্রস্তাব দিয়েছে।
জিআইজেএন অ্যাডভাইজরি সার্ভিস থেকে চালু হয়েছে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (আইজে-ম্যাপ)। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা তৈরিতে ফোর্ড ফাউন্ডেশন যে অর্গানাইজেশনাল ম্যাপিং টুল ব্যবহার করে, আমরা সেটিকে কিছুটা বদলে নিয়ে এখানে কাজে লাগিয়েছি। আইজে-ম্যাপের মাধ্যমে আমরা বিনামূল্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নিবিড় মূল্যায়ন করতে পারি, এবং ফলোআপ হিসেবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, ডেটা সাংবাদিকতা, রাজস্ব বৃদ্ধি ও ডিজিটাল পাঠক বাড়ানোর মতো অগ্রাধিকার খাতে গণমাধ্যম পরামর্শকদের সহায়তা নিতে পারি।
ওয়াচডগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে প্রত্যেকটিকে আলাদাভাবে সহায়তা দেওয়া জরুরি৷ আমাদের লক্ষ্য হলো যথাসম্ভব আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে কার্যকরভাবে ও তৎপর হয়ে সাহায্য করা এবং তহবিলের বেশিরভাগ যেন সংস্থাগুলোকে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানে সরাসরি সহায়তা করে, তা নিশ্চিত করা।
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষস্থানীয় রেডিও নেটওয়ার্ক কেবিআর ও ভারতের শীর্ষ অনুসন্ধানী পত্রিকা দ্য ক্যারাভান জিআইজেএনের অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের দুটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প ছিল। এশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পোর্টিকাস থেকে পাওয়া অনুদানের ফলে জিআইজেএন দুটি প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সহায়তা দিতে পেরেছে। সময় ও সম্পদের অভাবের কারণে তারা যেসব কৌশলগত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি, আমাদের পরামর্শকেরা সেগুলো বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে।
ইন্দোনেশিয়া — কেবিআর
কেবিআর হলো একটি মাল্টিমিডিয়া নিউজ সার্ভিস, প্রকাশক ও নেটওয়ার্ক। তাদের অনুষ্ঠান ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ৩০০টিরও বেশি রেডিও স্টেশনে পুনঃসম্প্রচারিত হয়। তাদের অগ্রাধিকার ছিল উচ্চ-মানসম্পন্ন একটি ধারাবাহিকের মাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী পডকাস্ট কৌশল দাঁড় করানো।
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে জিআইজেএন কেবিআরের সঙ্গে কাজ করার জন্য একজন প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়। উত্তর আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ অনুসন্ধানী প্রযোজক ও পডকাস্ট এক্সিকিউটিভ সুসান রিবার। তিনি সাড়া জাগানো পডকাস্ট ধারাবাহিক ভেরিফাইড নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে ধারবাহিকটির চতুর্থ সিজন চলছে। এছাড়া তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক অনুসন্ধানী রেডিও শো ও পডকাস্ট, রিভিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ৷
ডিসক্লোজ নামের ব্র্যান্ডের কাছাকাছি ধরনের একটি নতুন অনুসন্ধানী পডকাস্ট কৌশল দাঁড় করাতে রিবার কেবিআরের সম্পাদকীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় বাল্যবিয়ের মহামারি নিয়ে ‘দ্বিপক্ষা কাবিন’ (বিয়েতে বাধ্য করা) নামের ছয়-পর্বের একটি চমৎকার ধারাবাহিক ছিল তাদের প্রথম প্রযোজনা।
এই অ্যাডভাইজরি সার্ভিস বেশ কিছু উদ্যোগে কেবিআর দলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে: একটি অনুসন্ধানী পডকাস্ট মডেল তৈরি করা, অনুসন্ধানী কলাকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ ও সহায়তা, স্টোরি নির্বাচন, স্টোরিটেলিং, দলগত সাক্ষাৎকার, অডিও স্ক্রিপ্ট লেখা ও প্রযোজনা, কর্মী বন্টন ও দল পরিচালনা, বিপণন ও প্রচারণায় সহায়তা এবং অংশীদারিত্ব। এতে দ্রুতই বার্তাকক্ষের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, এবং তাদের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠানগুলোর প্রচারে প্রথমবারের মতো সম্পাদকীয় কর্মীরা বিপণন দলের সঙ্গে একাট্টা হয়ে কাজ করেছিল। কেবিআরের এক কর্মী একে “এক বিস্ময়কর যাত্রা” বলে অভিহিত করেছেন।
ধারাবাহিকটি সর্বসাধারণের বাহবা পেয়েছে এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাল্যবিবাহের সমস্যা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে শোরগোল ফেলেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানটি দেখেছে। সর্বসাকুল্যে, কেবিআরের ইন্দোনেশিয় রেডিও নেটওয়ার্ক জুড়ে ১৫টি প্রদেশের ২৭টি স্থানীয় রেডিও স্টেশন এবং কমিউনিটি রেডিও নেটওয়ার্ক পশ্চিম জাভার ৪৭টি স্টেশন ধারাবাহিকটির ছয়টি পর্বই সম্প্রচার করেছে। ধারাবাহিকটি ছাড়াও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক মাধ্যমের জন্য কাছাকাছি বিষয়ের ৪০ টিরও বেশি কন্টেন্ট বানানো হয়েছিল।
নারী বিষয়ক প্রকাশনা, বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও যুব সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা এবং বাল্যবিবাহ বিষয়ক বিতর্কে বিশিষ্ট ইনফ্লুয়েন্সার সহ সবখানে এই প্রকল্পের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও প্রচার নিয়ে কেবিআরের দলটি গর্বিত ছিল। শ্রোতাদের কাছ থেকে আসা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ জোরালো ও সন্তোষজনক। আর কেকের ওপর লেখা ছিল: ডিসক্লোজের জন্য ২০২২ সালে “ইনোভেশন ইন অডিও অ্যান্ড ভিডিও কন্টেন্ট” বিভাগে ইন্দোনেশিয়ান সাইবার মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (এএমএসআই) পুরস্কার জিতেছে কেবিআর।
যার নেতৃত্বে এই প্রকল্প সফলতার দিকে এগিয়েছে, কেবিআরের সেই প্রধান সম্পাদক চিত্রা দিয়া প্রস্তুতি বলেছেন, “জিআইজেএনের সহায়তায় নিজস্ব অনুসন্ধানী পডকাস্ট বানাতে কেবিআর একটি দারুণ সুযোগ পেয়েছে… এটি আমাদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর যাত্রা। এই প্রকল্প অনেক বাধা ঠেলে পেশাগতভাবে আমার জন্য এবং সাধারণভাবে কেবিআরের জন্য নতুন মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছে… আমরা চমৎকার সব কন্টেন্ট বানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, জিআইজেএন, “সত্যিই আমাদের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পথ তৈরিতে এগিয়ে দিয়েছে!”
কেবিআর দল এখন ডিসক্লোজের পরবর্তী সিজনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
ভারত – দ্য ক্যারাভান
দ্য ক্যারাভান হলো ভারতের একটি মাসিক ম্যাগাজিন। ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত এই ডিজিটাল প্রকাশনা দেশটির শীর্ষস্থানীয় অনুসন্ধানী জার্নাল হিসেবে পরিচিত। বিচারক বিএইচ লোয়ার সন্দেহজনক মৃত্যু ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হিন্দু অতি-জাতীয়তাবাদের প্রভাবের মতো অসংখ্য কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেছে ক্যারাভান। অনুসন্ধানের সঙ্গে লংফর্মের বর্ণনাধর্মী সাংবাদিকতাকেও ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধান সম্পাদক বিনোদ কে, যোশির নেতৃত্বে দলটি শুরু থেকেই একটি বিষয়ে পরিষ্কার ছিল: সদস্য ও সাবস্ক্রিপশন সেবা উন্নত করার মাধ্যমে, তারা তাদের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে চায়।
আমরা দ্য ক্যারাভানের সঙ্গে প্রেমেশ চন্দ্রনের জুটি বেঁধেছিলাম। সে সময় তিনি মালয়েশিয়াকিনির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। সাবস্ক্রিপশন ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ সাবস্ক্রিপশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, পাঠকদের সঙ্গে ক্যারাভানের সেতুবন্ধন তৈরি ও তা চালিয়ে নেওয়া, এবং গ্রাহক সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া – এমন বিষয়ে তাদেরকে কয়েকটি নতুন পথ বাতলে দেন চন্দ্রন। দলটি যেসব স্টোরি তৈরি করে, সেখান থেকে আরও বেশি আয়ের উপায় খুঁজে বের করাই ছিল মূল চেষ্টা। তিনি তাদের সঙ্গে বাজার বিশ্লেষণ, বিপণন কৌশল, কর্মীদের চাহিদা এবং সাবস্ক্রিপশন ব্যবস্থার জন্য একাধিক প্রযুক্তি সুবিধা নিয়ে কাজ করেছেন।
চন্দ্রন, তাদের জন্য একটি অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রযুক্তিগত অবকাঠামো ও কর্মী নিয়োগে যে বিনিয়োগ দরকার তার রূপরেখা তৈরিতেও সাহায্য করেন। এর ফল হিসেবে, অডিয়েন্স ডেভেলপমেন্ট এডিটরের পদ তৈরি করে ক্যারাভান। সেই পদে লোকও নিয়োগ দেয়। এই পদের মূল দায়িত্ব বিদ্যমান গ্রাহকদের পাশাপাশি সম্ভাব্য গ্রাহক ও দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগের উন্নতি করা। ম্যাগাজিনটি সাবস্ক্রিপশন সংখ্যা, গ্রাহক ধরে রাখা, স্বেচ্ছা-অনুদান এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় বৃদ্ধির একটি লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে।
যোশি বলেছেন, পরামর্শগুলোকে “খুবই উপযোগী” এবং ম্যাগাজিনটি “পাঠক ও গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি ও এগিয়ে নিতে একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সম্পদ কীভাবে বন্টন করবো, সেই ধারণায় একটি বড় প্রভাব ফেলেছে এই পরামর্শ প্রক্রিয়া, এবং প্রেমের সঙ্গে মূল্যবান আলোচনা থেকে শ্রোতা বিকাশে অগ্রাধিকার ও পেশাদার সাবস্ক্রিপশন ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সেবার প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে।”
পরবর্তী ধাপ
এই দুটি দারুণ সংস্থার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে জিআইজেএন অনেক কিছু শিখেছে, এবং আমরা অ্যাডভাইজরি সার্ভিস কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছি যেন আরও সহজে, আরও বেশি সহায়তা দিতে পারি। আমরা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও ফিলিপাইনের আরও তিনটি অলাভজনক বার্তাকক্ষকে সহায়তা করছি৷ সামনে আমরা দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের আশা করছি।
বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও এই পরামর্শ কর্মসূচির প্রথম পর্যায় শেষে আমরা বেশ উৎসাহ পাচ্ছি। সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া অলাভজনক ও বাণিজ্যিক, ছোট-মাঝারি ওয়াচডগ সাংবাদিকতা সংস্থা ও স্টার্টআপের সংখ্যা অবাক করার মতো। তারা সফলভাবে জবাবদিহিমূলক সাংবাদিকতা এগিয়ে নিচ্ছে যা বিশ্বজুড়ে নাগরিক ও সমাজের কল্যাণও বয়ে আনছে। এই পরামর্শ প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির এমন কর্মসূচির সম্ভাবনা অনেক।
জিআইজেএন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ: অ্যান কোক, কর্মসূচি পরিচালক (anne.koch@gijn.org)
আরও পড়ুন
ওয়াচডগ গণমাধ্যমের জন্য নতুন অ্যাডভাইজরি সেবা চালু করল জিআইজেএন
জিআইজেএন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস’ জার্নালিস্ট সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট টুল (জেস্যাট)
ফ্রম ট্রাডিশনাল জার্নালিজম টু সাস্টেইনেবল জার্নালিজম
অ্যান কোক দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক হওয়ার আগে ২০ বছরেরও বেশি সময় সম্প্রচার সাংবাদিক ও নির্বাহী হিসেবে কাজ করেছেন, যার সিংহভাগ সময়ই ছিলেন বিবিসিতে। বিবিসির সাংবাদিকতায় তাঁর পুরস্কারজয়ী কর্মজীবনের মধ্যে রয়েছে ইংলিশ ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের উপ পরিচালক, বিবিসির ফ্ল্যাগশিপ রেডিও সংবাদ ও সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ অনুষ্ঠানের নির্বাহী সম্পাদক এবং ওয়ার্ল্ড টুনাইট-এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করা। তিনি শতাধিক তথ্যচিত্র তৈরি বা সম্পাদনা করেছেন এবং বিবিসি রেডিও ফোর-এর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা অনুষ্ঠান ফাইল অন ফোর-এ প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি প্রায় ৫০টি স্বাধীন গণামাধ্যম তদারকি করেছেন।