Illustration: Marcelle Louw for GIJN
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
ভূমিকা: আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জিআইজেএন গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১: উত্তম চর্চা ও কোভিড যুগের উপযোগী বিষয়বস্তু
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ২ : কোভিড-১৯ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের অভিবাসী শ্রমিক
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৩: পরিসংখ্যান ও গবেষণা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৪: দরকারি পাঠ
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৫: বিশেষজ্ঞ গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৬: মানব পাচারের কেস স্টাডি
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৮: গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৯: পাচার ও বলপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১০: বাহরাইনের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১১: কুয়েতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১২: ওমানের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৩: কাতারের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৪: সৌদি আরবের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৫: সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
এই পরামর্শগুলো দিয়েছেন সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করা একজন গবেষক।
গণমাধ্যম পরিস্থিতি
সৌদি আরবের গণমাধ্যম পরিবেশ বেশ দমনমূলক। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিসরও সীমিত। ফ্রিডম হাউস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আমেরিকানস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ইন বাহরাইনসহ আরও অনেক সংগঠন বারবার কঠোর সমালোচনা করেছে দেশটির। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ২০২১ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে সৌদি আরবের অবস্থান ছিল ১৭০। বিশ্বে সৌদি আরবের অবস্থান ছিল নিচের সারির ১০টি দেশের মধ্যে এবং জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর নিচে।
সৌদি আরবের মূল আইনের ৩৯ নম্বর ধারা দিয়ে সংবাদমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের মতো বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কর্তৃপক্ষ এমন যেকোনো কিছুর প্রকাশনা বন্ধ করে দিতে পারে, যেটি “রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা তার ভাবমূর্তি” ক্ষুণ্নের কারণ হয়। দেশটিতে এখনো কোনো তথ্য অধিকার আইন নেই। যদিও দেশটির শুরা কাউন্সিলে আইনটির একটি খসড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল।
ব্লগারদের নিবন্ধিত হতে হয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। এবং সেখানে শাসক পরিবার ও ইসলামের সমালোচনা করা নিষিদ্ধ। শাসক পরিবার বা তাদের কাছের মানুষজন, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বা ধর্মীয় ব্যক্তির সমালোচনা করলে যে কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে হবে, সে ব্যাপারে ভালোই জানেন দেশটিতে কাজ করা সাংবাদিকেরা। এত কিছুর পরও স্থানীয় সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করে চলেছেন। অবশ্য, সমালোচনাটি করা হয় খুবই সতর্কতার সঙ্গে, নিচুস্বরে অথবা পরোক্ষভাবে। সেল্ফ-সেন্সরশিপের চর্চা এখানে প্রবল।
বিদেশি সাংবাদিকদের জন্যও আছে নানা বিধিনিষেধ। পেশাগত দায়িত্ব পালনের অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। দেশটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি সাংবাদিক থাকলেও তাঁদেরকে সহজে দমিয়ে রাখা যায় নানা রকম নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধ দিয়ে।
কোথায় পাবেন খবর
সরকারি সূত্র
আইনিভাবে কোনো নথিপত্র বা তথ্যের জন্য আবেদন করার অধিকার নেই সাংবাদিকদের। সব তথ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে লিপিবদ্ধও করে না। আপনার যে তথ্যটি দরকার, সেটি হয়তো পাওয়া যেতে পারে মৌখিকভাবে। সৌদি আরবে, হয় তথ্যপ্রাপ্তিসংক্রান্ত আইনকানুন নেই, নয়তো সেগুলোতে অনেক অস্পষ্টতা আছে। অথবা এটি নিয়ে দেনদরবারের সুযোগ আছে। এসব সুযোগ ও অস্পষ্টতার ফায়দা নিন।
এখানে থাকছে কিছু উপকারী পরামর্শ:
- সম্ভাব্য সূত্রের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার সময় আপনার পেশাগত পরিচয় আগ বাড়িয়ে বলবেন কি না, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
- সৌদি সরকারের উন্মুক্ত ডেটা ইউনিট বা পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। দুটি ওয়েবসাইটেই সেখানকার সাম্প্রতিক সব সূচক, পরিসংখ্যান ও জরিপের ফলাফল রয়েছে।
- কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। যেমন, মানবসম্পদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অন্য আরও অনেক জায়গায় আপনি এই সুযোগ পাবেন না। যেমন, ন্যাশনাল সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস। তবে সাধারণ কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য সহজেই পাওয়া যায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটগুলো থেকে। প্রায় সব মন্ত্রণালয়েরই অনলাইন উপস্থিতি আছে।
- তথ্য সংগ্রহের জন্য আপনাকে সরাসরি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেতে হতে পারে। যেমন: লেবার হাউস, সেন্টার ফর হাউসমেইডস অ্যাফেয়ার্স, পুলিশ স্টেশন বা পাসপোর্ট অফিস। এসব জায়গায় যাওয়ার সময়, একজন দোভাষী ফিক্সারের সাহায্য নিতে পারেন, যিনি দেশটির ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে ভালো জানেন। অন্ততপক্ষে, এসব জায়গায় যাওয়ার আগে আপনার সহকর্মী বা পরিবারকে জানিয়ে রাখুন। ফিরতে কেমন সময় লাগতে পারে, তার একটি ধারণাও দিয়ে রাখুন। আপনার পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত কাগজপত্র যেন তাঁদের কাছে থাকে, তা নিশ্চিত করুন।
- সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের আরেকটি ভালো উপায় সোশ্যাল মিডিয়া। এর মাধ্যমে আপনি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাপোর্ট টিম বা প্রোগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যেমন @Musaned। তবে মাথায় রাখুন: এই সাপোর্ট টিম বা জনসংযোগ কর্মকর্তারা কাজ করেন মন্ত্রণালয়ের জন্য। সৌদি আরবে টুইটার, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাট খুবই জনপ্রিয়। মাথাপিছু হিসেবে স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবার শীর্ষে সৌদি আরব। মাথাপিছু হিসেবে ইউটিউব দেখার হারও অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। অনেক সরকারি কর্মকর্তারই এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল আছে। এসব চ্যানেল দিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
- অভিবাসী শ্রমিকদের অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে। নানা স্টোরি আইডিয়া এবং সরকারি নীতিমালা বা নির্দিষ্ট কোনো ইস্যুতে শ্রমিকদের বক্তব্য পেতে এসব গ্রুপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হতে পারে।
- অন্য দেশের দূতাবাসগুলো হয়তো আপনাকে আরও বেশি তথ্য দিতে আগ্রহী হবে। এবং তারা আপনার সঙ্গে অন্যান্য সমাজসেবা কর্মী, লেবার অ্যাটাচি বা কমিউনিটি গ্রুপের যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারবে। স্টোরি আইডিয়ার জন্য কমিউনিটি গ্রুপগুলো বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। তবে সোর্সদের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন
সৌদি আরব সম্প্রতি একটি ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম চালু করেছে। দেশটির সরকার কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের (যেমন, আইওএম ও সৌদি মানবাধিকার কমিশন) সঙ্গে মিলে একটি মানব পাচারবিরোধী নীতিমালাও তৈরি করছে। অঞ্চলটিতে মানব পাচারসংক্রান্ত পরিস্থিতি কী, তা জানতে এসব সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা কাজের হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্টে।
তথ্য আটকে দিলে
যদি তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয় এবং দেখেন যে কেউ তথ্য আটকে রাখছে, তাহলে আপনি সেটিও উন্মোচন করে দিতে পারেন যে, কীভাবে আপনাকে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। শাসক পরিবারের কেউ অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ না থাকলে আপনার এই তথ্য আটকে দেওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে যাবে। আপনার যদি সেটি করার মতো পরিস্থিতিও না থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে আপনার কথাগুলো অন্যদের জানান।
আইনি পথগুলো ঘুরে দেখুন
সৌদি আরবে বেশ কিছু আইন আছে, যেগুলো শ্রমব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও প্রাসঙ্গিক অন্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। রিপোর্টিংয়ের সময় ভালোমতো জেনে নিন: কোন আইনগুলোর লঙ্ঘন হয়েছে এবং কোন পথ দিয়ে আপনি নিজের জন্য বা কোনো অভিবাসী শ্রমিকের জন্য ন্যায়বিচার পেতে পারেন।
এখানে থাকছে এমন সব আইন নিয়ে আলোচনা, যেগুলো কাজে আসতে পারে:
- শ্রম আইন। গৃহকর্মী ছাড়া, সৌদি শ্রম আইন, দেশি বা বিদেশি; সব ধরনের শ্রমিকের জন্যই প্রযোজ্য। এর মাধ্যমে বেশ কিছু সুরক্ষাও পাওয়ার কথা। যেমন, শ্রম আইনে বলা আছে: স্পন্সরকে অবশ্যই তার কর্মীকে ইকামা বা রেসিডেন্স পারমিট দিতে হবে। আপনি যে অভিবাসী শ্রমিকের কেস নিয়ে অনুসন্ধান করছেন, সেখানে কি এমন পারমিট দেওয়া হয়েছে?
- গৃহ শ্রম আইন। একদম আদর্শ না হলেও, এই আইন গৃহস্থালি কাজে জড়িত শ্রমিকদের (যেমন ড্রাইভার, গৃহকর্মী, মালি, বাবুর্চি ইত্যাদি) বেশ কিছু অধিকার দিয়েছে। যেমন: আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক গৃহস্থালি কর্মীকে সপ্তাহে এক দিন বিশ্রাম দেওয়ার কথা। খুঁজে দেখুন: এই শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার দেওয়া হচ্ছে নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে।
- মানব পাচার আইন। এই আইন অনুযায়ী, পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক যত্ন, আশ্রয় এবং সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে। অন্য কথায়, যতক্ষণ না তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা ও যত্ন নিশ্চিত করা হবে, ততক্ষণ তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না।
সংবাদমাধ্যমে শ্রম ইস্যু
শ্রম মন্ত্রণালয়
সংবাদমাধ্যমে সরকারের যত সমালোচনা করা হয়, সেগুলোর বেশির ভাগই শ্রম মন্ত্রণালয় নিয়ে। যেমন: আল-জাজিরার (আরবি) এই প্রতিবেদনে, গৃহস্থালি কর্মীদের প্রতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের মনোভাবের সমালোচনা করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বা সংবাদ দেখানোর পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভুল শোধরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন, অভিবাসী শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে।
শ্রমসংক্রান্ত বিষয়
নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, কাফালা ব্যবস্থা, গৃহকর্মীদের অধিকার, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, অভিবাসী শ্রমিকদের অপরাধ, মানব পাচার ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিয়মিত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ আলোচনা হয় গণমাধ্যমে। আরও একটি লক্ষ্য করার মতো বিষয়: দেশটির বিদেশি ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলো তুলনামূলকভাবে অভিবাসীদের পক্ষে বেশি থাকে। সম্প্রতি স্থানীয় আরবি ভাষার গণমাধ্যমগুলো নতুন একটি পরিভাষাগত নীতিমালা গ্রহণ করেছে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য। সেখানে গৃহস্থালি কর্মীদের “চাকর” হিসেবে উল্লেখ করার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সাধারণ রিপোর্টিং পরামর্শ
অভিবাসী শ্রমিকদের হয়রানি, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা বা অপরাধ-সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সৌদি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো শেষ হয় এই একটি লাইন দিয়ে: “পুলিশি তদন্ত এখনো চলমান আছে।”
এই মনোভাবের উৎস হলো, গণমাধ্যমগুলোর ফলোআপ না করার প্রবণতা। কিন্তু এসব প্রতিবেদন থেকেও অনেক তথ্য পাওয়ার সুযোগ আছে। এখানে রইল কিছু পরামর্শ:
- পুলিশের সঙ্গে কথা বলুন তাদের তদন্তের হালনাগাদ অবস্থা নিয়ে।
- সম্ভব হলে কথা বলুন শ্রমিকদের সঙ্গে।
- ঘটনাটি যদি গৃহকর্মীদের নিয়ে হয়, তাহলে কথা বলুন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে।
- স্পন্সরের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের দিকটিও প্রতিবেদনে তুলে আনুন।
- অভিবাসী শ্রমিকেরা যে দেশগুলো থেকে এসেছেন, সেসব দেশের দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলুন।
- কেউ যদি আপনার তথ্য পাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, তাহলে তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন।
- মেনা (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) অঞ্চলে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অভিবাসী শ্রমিক যান। ফলে উৎস দেশের এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনগুলো সৌদি আরবের অভিবাসী পরিস্থিতির দিকে অনেক বেশি মনোযোগ দেয়। শ্রমিকদের বক্তব্য সংগ্রহ এবং তাঁদের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করার জন্য এসব সংগঠন খুবই উপকারী হয়ে উঠতে পারে।
অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি মানুষের মনোভাব কী রকম, সেটিও এখানে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের অভিবাসী শ্রমিক সৌদি গণমাধ্যমে কী প্রচারিত হচ্ছে, তা দেখে না। তাই আপনার সম্ভাব্য পাঠক বা দর্শক হলো সৌদি অধিবাসীরা। ফলে রিপোর্টিংয়ের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারেন:
- অভিবাসী শ্রমিকদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ভাবে, তা বোঝার চেষ্টা করুন। এমনকি যদি এটি খুব ভুল বা গঁৎবাধা কোনো ধারণাও হয়, তা-ও। বোঝার চেষ্টা করুন: কোনো গৃহকর্মী বা ড্রাইভার খুঁজে পাওয়া এবং নিয়োগ দেওয়ার সময় তাঁদের কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
- পাঠকের মনে আঘাত না করে কীভাবে আপনার বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া যায়, তার পথ বের করুন। মনে রাখুন: এই ধরনের পাঠক যেকোনো সমালোচনা বা আত্মসমালোচনা এড়ানোর চেষ্টা করে।
- নিশ্চিত করুন যে, আপনি অভিবাসী শ্রমিকদের কণ্ঠ হয়ে কথা বলছেন। বেশির ভাগ গণমাধ্যম অভিবাসন-সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা বা প্রস্তাবিত সংস্কার নিয়ে রিপোর্ট করার সময় দেখে, সৌদি সমাজের ওপর এর কী প্রভাব পড়বে। আপনি বরং আপনার গল্পগুলো বলার চেষ্টা করতে পারেন অভিবাসী শ্রমিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে।