প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Gulf Guide Bahrain
Gulf Guide Bahrain

Illustration: Marcelle Louw for GIJN

রিসোর্স

» গাইড

অধ্যায় ১০: বাহরাইনের জন্য রিপোর্টিং গাইড

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

গণমাধ্যম পরিস্থিতি

বাহরাইনের সংবিধান মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়– শুধু ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস ও “জনতার ঐক্য”-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং “সাম্প্রদায়িক বিবাদ” উসকে দেয়–এমন বিষয় বাদে। অবশ্য ২০০২ সালের প্রেস, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং আইনটিকে বাক্‌স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই আইনে ১৭ ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ৩টিতে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাহরাইনের দণ্ডবিধির অনেক ধারা দিয়েই মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যেমন ধারা ২১৬। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে “ক্ষুব্ধ” করে তোলার অভিযোগে যে কাউকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব এই ধারার মাধ্যমে। বাহরাইন নতুন আরেকটি প্রেস ও মিডিয়া আইন অনুমোদন করেছে। বাহরাইনি প্রেস অ্যাসোসিয়েশন আইনটি সংশোধনের জোরালো দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এতে এমন কিছু ধারা আছে, যা দিয়ে “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে”। ২০২১ সালের এপ্রিলে, বাহরাইনের মন্ত্রিসভা এই কালো আইনের কিছু সংস্কারও করেছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার মতো ধারাগুলো।

২০১১ সালের “আরব বসন্তে” অনুপ্রাণিত বাহরাইনিরা যখন প্রতিবাদে নামে, মূলত তখন থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিবেশে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসতে শুরু করে । বাহরাইনের শাসকগোষ্ঠীও জবাব দিতে থাকে সাংবাদিক ও সমালোচকদের শাস্তি দিয়ে। যেসব সমালোচক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এবং বিরোধিতা করেছেন, তাঁদেরই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০১৭ সালে যে ব্যক্তিই চেম্বার অব কমার্স, সংসদ, তথ্য মন্ত্রণালয়, কাউন্সিল অব রিপ্রেজেন্টেটিভস, আইনের শাসন, ঐতিহাসিক ধর্মীয় চরিত্র এবং বাহরাইনের রাজার সমালোচনা করেছেন– বাহরাইনের শাসকগোষ্ঠী তাঁকেই গ্রেপ্তার করেছে কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২০ সালে বাহরাইনের সরকার আবার ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। এবার দেশটির সংসদ সদস্যরাও বাদ যাননি। সবাইকেই এমন কোনো সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, যা “দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে”। ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করায়, ২০২০ সালে অনেক অ্যাকটিভিস্টকেও জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

২০১৭ সালে, আরবি ভাষার দৈনিক আল ওয়াসাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে বাহরাইনে আর কোনো স্বাধীন দৈনিক সংবাদপত্র নেই। বর্তমানে সব সংবাদপত্র, রেডিও এবং টেলিভিশন সরকারি মতবাদ প্রচার করে বা সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সেলফ-সেন্সরশিপের চর্চা করে। টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসহ খুবই অল্প কিছু জায়গায় বাহরাইনের ঘটনা ও নীতি নিয়ে স্বাধীন এবং সমালোচনামূলক মতামত খুঁজে পাবেন।

গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা বিদেশি সাংবাদিকদের অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হয় এবং সেটা প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়। “অতিরঞ্জন, বানোয়াট,  প্রতারণামূলক বা মিথ্যা” তথ্যের উপস্থিতি আছে, এমন সংবাদ প্রচার করলে অনুমতিপত্র প্রত্যাহার করা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রতিনিধি যদি বাহরাইনে কাজ করতে চান, তাহলে তাঁকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে একটি মিডিয়া ভিসা নিতে হবে। মিডিয়া ভিসা বা প্রেস পারমিট নিয়ে যাঁরা সেখানে কাজ করতে যান, সরকারি নজরদারির কারণে তাঁদেরকে অবশ্যই সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।  

Bahrain World Press Freedom Index Ranking

২০২১ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬৮তম অবস্থানে আছে বাহরাইন। ছবি: স্ক্রিনশট

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে ২০২১ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬৮তম অবস্থানে আছে বাহরাইন। মেনা অঞ্চলে, ইয়েমেন (১৬৯) ও সৌদি আরব (১৭০) বাদে তারাই এই সূচকের সবচেয়ে নিচে।

অভিবাসন ইস্যুতে রিপোর্টিং

বাহরাইনে মানব পাচার নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে আপনি সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেন কি না, তা আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। এটি নির্ভর করবে স্টোরি দেখার সময় কর্মকর্তার মানসিক অবস্থার ওপর। উচ্চপদস্থ কারও বিরুদ্ধে না গেলে অরাজনৈতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বেশ উদার।

তবু অনুসন্ধান শুরু করার আগে আপনার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা, পালানোর রাস্তা, তথ্য ও ছবি সংরক্ষণ, সোর্স খোঁজা, সাক্ষাৎকার নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আরও কিছু পরামর্শ থাকছে এখানে:

  • নজরদারির সম্ভাবনা কতটুকু, নিশ্চিত হয়ে নিন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে আপনি দেখা করবেন এবং যাঁদের সঙ্গে আপনি ফাইল লেনদেন করবেন, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে যোগাযোগ করবেন, তার পরিকল্পনা করুন।
  • আপনি যে বিষয়ে লিখতে চান, বাহরাইনের গণমাধ্যমগুলো কীভাবে সেসব বিষয় কাভার করে, তা লক্ষ করুন। অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে যে সাংবাদিকেরা আগে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ চান।
  • আন্দোলন ও প্রতিবাদ বাহরাইনের দৈনন্দিন ঘটনা। রাজনৈতিক ঘটনা এড়িয়ে যান; কারণ, এর আগে চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিকেরা আক্রমণ, আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন। যন্ত্রপাতিও জব্দ করা হয়েছে।

কোথায় পাবেন খবর?

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, এমন অভিবাসন শ্রমিকদের বিভিন্ন পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

সামাজিক ক্লাব ও চার্চ

বাহরাইনে এমন বেশ কিছু সোশ্যাল ক্লাব আছে, যেগুলো অভিবাসী কমিউনিটির সদস্যরাই চালান। সাংবাদিকেরা এখানে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। চার্চ হলো এমন আরেক জায়গা, যেখানে অভিবাসী শ্রমিকেরা আসেন। কখনো কখনো এখানে গৃহস্থালি শ্রমিকেরা দেখা-সাক্ষাৎ ও গল্পগুজব করেন। তাঁদের প্রার্থনার জায়গাটিতে সম্মান দেখাতে ভুলবেন না। এবং এটি মাথায় রাখুন যে এই শ্রমিকেরা এখানে প্রার্থনা বা অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁরা হয়তো এই জায়গাতে কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করতে আগ্রহী না-ও হতে পারেন।  

এনজিও

বাহরাইনে মাঠপর্যায়ে অভিবাসীদের বাস্তব পরিস্থিতি কেমন, তা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা।

সরকার

 উৎস দেশগুলোর দূতাবাস
 অন্যান্য পরামর্শ
  • শুক্রবারে বাব এল-বাহরাইন সুক এলাকায় যান। রাজধানীর এই বাজারে ছুটির দিনে অনেক অভিবাসী শ্রমিক আসেন।
  • আল হিদ ও সিটরা-র মতো শিল্পায়িত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করতে পারেন। এখানে অনেক শ্রমশিবির আছে। 
  • গুদাইবিয়ার মতো বহুজাতিক এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীরা বসবাস করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য পরিচালনা করেন।  
  • আদালতে যে আইনজীবীরা অভিবাসী শ্রমিকদের পক্ষে শ্রমবিষয়ক বিবাদ নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা বেশ সহায়ক হতে পারেন। বাহরাইনে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে আইনজীবীদের যোগাযোগের তথ্যসহ একটি তালিকা পাওয়া যায়। ওপরে যেসব এনজিওর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো শ্রমসংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। অভিবাসী শ্রমিকেরা কী ধরনের আইনি ইস্যু ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন এসব জায়গা থেকে। 

বৈঠক ও সাক্ষাৎকার

সরকার

বাহরাইনে, এমন কোনো আইন নেই, যা আপনাকে তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে। ফলে উন্মুক্ত সরকারি ডেটা বেশ দুষ্প্রাপ্য। কখনো কখনো সরাসরি কোনো সরকারি কর্মকর্তার কাছে সেই তথ্য জানতে চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো উপায় বলে কোনো কিছু নেই। তবে বিভাগীয় পদমর্যাদার কাঠামোটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে সঠিক মানুষের মাধ্যমে আগানো উচিত।

আপনাকে ফ্যাক্স বা ইমেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে বলা হবে।  এ ছাড়া সাক্ষাতের কারণ, আপনার কাজের ধরন এবং আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। চেষ্টা করুন অন্তত তিন মাস আগে সাক্ষাতের সময় ঠিক করতে। ধরে নিন, আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ফিরতি বার্তা এবং সাক্ষাতের নিশ্চয়তা পেতে দেরি হবে। সময় নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকুন। কখনো কখনো সাক্ষাৎকারের আগেই আপনার কাছে প্রশ্ন চাওয়া হতে পারে, যেন তারা দেখা করার বদলে ইমেইলে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এটিই স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। 

আপনি সঠিক ঠিকানায় বার্তা পাঠালেও জবাব আসতে পারে, “আমরা আপনার ইমেইল বা ফ্যাক্স পাইনি”। এটি বহুল প্রচলিত অজুহাত। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না, এই কারণে সেই বিভাগে ফোন করে আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সঠিক মাধ্যম জিজ্ঞেস করে নিন। আপনার পাঠানো বার্তাটি তারা পেয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

মনে রাখুন, কর্মকর্তারা সাধারণত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হন তখনই, যখন তাঁরা ভাবেন, স্টোরিতে তাঁদের বিভাগের অর্জনগুলোকে তুলে ধরা যাবে। তাঁরা যদি টের পান যে প্রতিবেদনটি সরকারের সমালোচনামূলক হবে, তাহলে হয়তো আপনি সাক্ষাতের আবেদনের জবাবে “ইনশাল্লাহ” – “যদি সৃষ্টিকর্তা চান” –শুনতে পাবেন। এটা আপনার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার একটি কূটনৈতিক উপায় হতে পারে।

সাক্ষাতের দিনক্ষণ যদি নির্ধারিত হয়, তাহলে যথাসময় উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। তবে তাঁরা দেরি করতে পারেন। সাক্ষাতের সময় স্বাক্ষর বা ফোন কলের জন্য কর্মচারীদের আনাগোনাও দেখতে পারেন। এতে হতাশ হবেন না; কারণ, এটি আপনাকে অসম্মান করার জন্য নয়। বাহরাইন এমনিতে অনেক শিথিল, সহজ এবং সময়ানুবর্তিতার ব্যাপারে বেশ উদার।

বাহরাইনে ২০২০ সালে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা সরকারের কোনো নীতির সমালোচনা করতে পারবেন না। তাই, এ ধরনের কোনো উদ্ধৃতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।  

অভিবাসী শ্রমিক

অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই পরামর্শগুলো কাজে লাগবে:

  • নেতৃস্থানীয় কারও মাধ্যমে সাক্ষাৎকারদাতা বাছাই করুন।
  • একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিন বা চারজন শ্রমিকের সঙ্গে বসুন। বেশি মানুষের সঙ্গে বসলে অন্যরা কৌতূহলী হয়ে উঠতে পারেন।
  • সব সময় আপনার সোর্সের পরিচয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করুন
  • স্থানীয় সাংবাদিক হলে স্পর্শকাতর রিপোর্ট প্রকাশের সময় আপনার নাম গোপন রাখুন
  • অভিবাসী শ্রমিকদের যাতায়াত আছে এমন কোনো স্থানীয় কফি শপ সাক্ষাতের স্থান হতে পারে (যেমন মানামা সুক-এর ইন্ডিয়ান ডেলি)। পরিচয় গোপন রাখার জন্য জাঁকজমকপূর্ণ জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • শ্রমিক ক্যাম্পে যথাসম্ভব কম সময় ব্যয় করুন। কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, কেউ ভয় পেয়ে গেলে বা কোনো নিরাপত্তাকর্মী আপনার উপস্থিতি টের পেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি নারী সাংবাদিক হন, তাহলে আপনার উপস্থিতির সময় আরও কমাতে হবে, কারণ, এটি অনেক বেশি কৌতূহল তৈরি করবে। আপনি যদি ক্যাম্পে ক্যামেরা ব্যবহার করতে চান, তাহলে কিসের ছবি তুলবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করুন এবং সময় নষ্ট না করে সরাসরি গিয়ে সেগুলোর ছবি তুলে আসুন।

দরকারি পাঠ

জোর করে শ্রম এবং মানব পাচার 
ফ্রি ভিসা
শ্রমিক ক্যাম্প
আর্কাইভ
বই

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

অনুসন্ধান পদ্ধতি শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘হাব’ যেভাবে একটি প্রজন্মের রিপোর্টারদের তৈরি করেছে

মেক্সিকো সীমান্তে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য তাঁদের পেশাটা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। কেন্দ্রে যাঁরা সাংবাদিকতা করেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব তো ছিলই, ছিল সার্বক্ষণিকি নিরাপত্তাহীনতাও। সাংবাদিকেরা একজোট হয়ে এই দূরত্ব ঘুঁচিয়ে আনতে গড়ে তোলেন একটি সংগঠন। প্রয়োজনীয়ল প্রশিক্ষণ শেষে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁরা অনুসন্ধান করে তুলে আনেন বেশ কিছু প্রতিবেদন।

অনুসন্ধান পদ্ধতি গবেষণা

ডেনমার্কের কল্যাণ সংস্থার অ্যালগরিদমপদ্ধতি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধান

কল্যাণ সহায়তা বণ্টন পদ্ধতিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে অ্যালগরিদমভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করছিল ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে দেখা গেল, বৈষম্য বিলোপে নেওয়া এই উদ্যোগে উল্টো বাড়ছে বৈষম্য।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

২০২৪ ডাবল এক্সপোজার ফেস্টিভ্যাল: সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব না পাওয়া কিংবা অন্যায্যতার মতো ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধান

জিআইজেএন সদস্য ও অলাভজনক অনুসন্ধানী বার্তাসংস্থা 100Reporters আয়োজিত চার দিনের ২০২৪ ডাবল এক্সপোজার চলচ্চিত্র উৎসব ও সিম্পোজিয়ামে (৭-১০ নভেম্বর) ২৩টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়ে গেল। দেখে নিন কী কী বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন নির্মাতারা।

পরামর্শ ও টুল

দেখুন, ওয়েবসাইট কনটেন্ট ও মেটাডেটা বিশ্লেষণে ওপেন সোর্স টুল ‘ইনফরমেশন লন্ড্রোম্যাট’ কীভাবে কাজ করে

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্যকার যোগসূত্র, মালিকানা চিহ্নিত করা এবং কনটেন্টের ধরন ও বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের জন্য সবচেয়ে নতুন ও মজার টুলগুলোর মধ্যে ইনফরমেশন লন্ড্রোম্যাট একটি। কোনো পয়সাকড়ি খরচা না করেই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। জর্জ মার্শালের অর্থায়নে টুলটি বানিয়েছে অ্যালায়েন্স ফর সিকিউরিং ডেমোক্রেসি (এএসডি)।