

Illustration: Marcelle Louw for GIJN
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
ভূমিকা: আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন নিয়ে রিপোর্টিংয়ের জিআইজেএন গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১: উত্তম চর্চা ও কোভিড যুগের উপযোগী বিষয়বস্তু
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ২ : কোভিড-১৯ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের অভিবাসী শ্রমিক
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৩: পরিসংখ্যান ও গবেষণা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৪: দরকারি পাঠ
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৫: বিশেষজ্ঞ গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৬: মানব পাচারের কেস স্টাডি
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৮: গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ৯: পাচার ও বলপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত পরিভাষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১০: বাহরাইনের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১১: কুয়েতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১২: ওমানের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৩: কাতারের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৪: সৌদি আরবের জন্য রিপোর্টিং গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
অধ্যায় ১৫: সংযুক্ত আরব আমিরাতের জন্য রিপোর্টিং গাইড
গণমাধ্যম পরিস্থিতি
বাহরাইনের সংবিধান মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়– শুধু ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস ও “জনতার ঐক্য”-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং “সাম্প্রদায়িক বিবাদ” উসকে দেয়–এমন বিষয় বাদে। অবশ্য ২০০২ সালের প্রেস, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং আইনটিকে বাক্স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই আইনে ১৭ ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ৩টিতে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাহরাইনের দণ্ডবিধির অনেক ধারা দিয়েই মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যেমন ধারা ২১৬। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে “ক্ষুব্ধ” করে তোলার অভিযোগে যে কাউকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব এই ধারার মাধ্যমে। বাহরাইন নতুন আরেকটি প্রেস ও মিডিয়া আইন অনুমোদন করেছে। বাহরাইনি প্রেস অ্যাসোসিয়েশন আইনটি সংশোধনের জোরালো দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এতে এমন কিছু ধারা আছে, যা দিয়ে “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর চরম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে”। ২০২১ সালের এপ্রিলে, বাহরাইনের মন্ত্রিসভা এই কালো আইনের কিছু সংস্কারও করেছে। বাদ দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার মতো ধারাগুলো।
২০১১ সালের “আরব বসন্তে” অনুপ্রাণিত বাহরাইনিরা যখন প্রতিবাদে নামে, মূলত তখন থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিবেশে লক্ষণীয় পরিবর্তন আসতে শুরু করে । বাহরাইনের শাসকগোষ্ঠীও জবাব দিতে থাকে সাংবাদিক ও সমালোচকদের শাস্তি দিয়ে। যেসব সমালোচক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন এবং বিরোধিতা করেছেন, তাঁদেরই শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০১৭ সালে যে ব্যক্তিই চেম্বার অব কমার্স, সংসদ, তথ্য মন্ত্রণালয়, কাউন্সিল অব রিপ্রেজেন্টেটিভস, আইনের শাসন, ঐতিহাসিক ধর্মীয় চরিত্র এবং বাহরাইনের রাজার সমালোচনা করেছেন– বাহরাইনের শাসকগোষ্ঠী তাঁকেই গ্রেপ্তার করেছে কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২০ সালে বাহরাইনের সরকার আবার ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। এবার দেশটির সংসদ সদস্যরাও বাদ যাননি। সবাইকেই এমন কোনো সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, যা “দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে”। ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করায়, ২০২০ সালে অনেক অ্যাকটিভিস্টকেও জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০১৭ সালে, আরবি ভাষার দৈনিক আল ওয়াসাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে বাহরাইনে আর কোনো স্বাধীন দৈনিক সংবাদপত্র নেই। বর্তমানে সব সংবাদপত্র, রেডিও এবং টেলিভিশন সরকারি মতবাদ প্রচার করে বা সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সেলফ-সেন্সরশিপের চর্চা করে। টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসহ খুবই অল্প কিছু জায়গায় বাহরাইনের ঘটনা ও নীতি নিয়ে স্বাধীন এবং সমালোচনামূলক মতামত খুঁজে পাবেন।
গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা বিদেশি সাংবাদিকদের অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হয় এবং সেটা প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়। “অতিরঞ্জন, বানোয়াট, প্রতারণামূলক বা মিথ্যা” তথ্যের উপস্থিতি আছে, এমন সংবাদ প্রচার করলে অনুমতিপত্র প্রত্যাহার করা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কোনো প্রতিনিধি যদি বাহরাইনে কাজ করতে চান, তাহলে তাঁকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে একটি মিডিয়া ভিসা নিতে হবে। মিডিয়া ভিসা বা প্রেস পারমিট নিয়ে যাঁরা সেখানে কাজ করতে যান, সরকারি নজরদারির কারণে তাঁদেরকে অবশ্যই সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।

২০২১ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬৮তম অবস্থানে আছে বাহরাইন। ছবি: স্ক্রিনশট
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে ২০২১ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬৮তম অবস্থানে আছে বাহরাইন। মেনা অঞ্চলে, ইয়েমেন (১৬৯) ও সৌদি আরব (১৭০) বাদে তারাই এই সূচকের সবচেয়ে নিচে।
অভিবাসন ইস্যুতে রিপোর্টিং
বাহরাইনে মানব পাচার নিয়ে রিপোর্ট করার কারণে আপনি সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবেন কি না, তা আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। এটি নির্ভর করবে স্টোরি দেখার সময় কর্মকর্তার মানসিক অবস্থার ওপর। উচ্চপদস্থ কারও বিরুদ্ধে না গেলে অরাজনৈতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বেশ উদার।
তবু অনুসন্ধান শুরু করার আগে আপনার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা, পালানোর রাস্তা, তথ্য ও ছবি সংরক্ষণ, সোর্স খোঁজা, সাক্ষাৎকার নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আরও কিছু পরামর্শ থাকছে এখানে:
- নজরদারির সম্ভাবনা কতটুকু, নিশ্চিত হয়ে নিন। যে মানুষগুলোর সঙ্গে আপনি দেখা করবেন এবং যাঁদের সঙ্গে আপনি ফাইল লেনদেন করবেন, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে যোগাযোগ করবেন, তার পরিকল্পনা করুন।
- আপনি যে বিষয়ে লিখতে চান, বাহরাইনের গণমাধ্যমগুলো কীভাবে সেসব বিষয় কাভার করে, তা লক্ষ করুন। অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে যে সাংবাদিকেরা আগে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ চান।
- আন্দোলন ও প্রতিবাদ বাহরাইনের দৈনন্দিন ঘটনা। রাজনৈতিক ঘটনা এড়িয়ে যান; কারণ, এর আগে চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিকেরা আক্রমণ, আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন। যন্ত্রপাতিও জব্দ করা হয়েছে।
কোথায় পাবেন খবর?
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, এমন অভিবাসন শ্রমিকদের বিভিন্ন পদ্ধতিতে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
সামাজিক ক্লাব ও চার্চ
বাহরাইনে এমন বেশ কিছু সোশ্যাল ক্লাব আছে, যেগুলো অভিবাসী কমিউনিটির সদস্যরাই চালান। সাংবাদিকেরা এখানে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। চার্চ হলো এমন আরেক জায়গা, যেখানে অভিবাসী শ্রমিকেরা আসেন। কখনো কখনো এখানে গৃহস্থালি শ্রমিকেরা দেখা-সাক্ষাৎ ও গল্পগুজব করেন। তাঁদের প্রার্থনার জায়গাটিতে সম্মান দেখাতে ভুলবেন না। এবং এটি মাথায় রাখুন যে এই শ্রমিকেরা এখানে প্রার্থনা বা অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁরা হয়তো এই জায়গাতে কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ করতে আগ্রহী না-ও হতে পারেন।
এনজিও
বাহরাইনে মাঠপর্যায়ে অভিবাসীদের বাস্তব পরিস্থিতি কেমন, তা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা।
- মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স প্রোটেকশন সোসাইটি
- জেনারেল ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স ট্রেড ইউনিয়নস ইন বাহরাইন
- ইন্ডিয়া রিলিফ কমিউনিটি ফান্ড
- বাহরাইন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস
সরকার
- লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটি ও তাদের সামাজিক মাধ্যম।
- এক্সপ্যাট প্রোটেকশন সেন্টার ও ন্যাশনাল কমিটি অন কমব্যাটিং ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কমিটির সদস্যদের নিয়োগ দেন। কমিটির দুজন সদস্য বাহরাইনের সুশীল সমাজ থেকে নির্বাচিত হন এবং তাঁদের সঙ্গে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার থেকে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
- মিনিস্ট্রি অব লেবার অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট।
- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পুলিশ বিভাগ। মাথায় রাখুন: অনুমোদিত কোনো গণমাধ্যম বা তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস পারমিট ছাড়া কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
- মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস অ্যান্ড ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স।
- পাবলিক প্রসিকিউটর’স অফিস।
- দার আল আমান শেল্টার অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন সেন্টার।
- “তাওয়াসুল” অ্যাপ। এটি বাহরাইনের জাতীয় পরামর্শ ও অভিযোগসংক্রান্ত ব্যবস্থা। কোনো নির্দিষ্ট পলিসি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হলে এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
উৎস দেশগুলোর দূতাবাস
অন্যান্য পরামর্শ
- শুক্রবারে বাব এল-বাহরাইন সুক এলাকায় যান। রাজধানীর এই বাজারে ছুটির দিনে অনেক অভিবাসী শ্রমিক আসেন।
- আল হিদ ও সিটরা-র মতো শিল্পায়িত অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করতে পারেন। এখানে অনেক শ্রমশিবির আছে।
- গুদাইবিয়ার মতো বহুজাতিক এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীরা বসবাস করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য পরিচালনা করেন।
- আদালতে যে আইনজীবীরা অভিবাসী শ্রমিকদের পক্ষে শ্রমবিষয়ক বিবাদ নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা বেশ সহায়ক হতে পারেন। বাহরাইনে মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে আইনজীবীদের যোগাযোগের তথ্যসহ একটি তালিকা পাওয়া যায়। ওপরে যেসব এনজিওর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো শ্রমসংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। অভিবাসী শ্রমিকেরা কী ধরনের আইনি ইস্যু ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন এসব জায়গা থেকে।
বৈঠক ও সাক্ষাৎকার
সরকার
বাহরাইনে, এমন কোনো আইন নেই, যা আপনাকে তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে। ফলে উন্মুক্ত সরকারি ডেটা বেশ দুষ্প্রাপ্য। কখনো কখনো সরাসরি কোনো সরকারি কর্মকর্তার কাছে সেই তথ্য জানতে চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো উপায় বলে কোনো কিছু নেই। তবে বিভাগীয় পদমর্যাদার কাঠামোটি ভালোভাবে বুঝে নিয়ে সঠিক মানুষের মাধ্যমে আগানো উচিত।
আপনাকে ফ্যাক্স বা ইমেইলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে বলা হবে। এ ছাড়া সাক্ষাতের কারণ, আপনার কাজের ধরন এবং আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। চেষ্টা করুন অন্তত তিন মাস আগে সাক্ষাতের সময় ঠিক করতে। ধরে নিন, আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কারণে ফিরতি বার্তা এবং সাক্ষাতের নিশ্চয়তা পেতে দেরি হবে। সময় নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রমাগত যোগাযোগ করতে থাকুন। কখনো কখনো সাক্ষাৎকারের আগেই আপনার কাছে প্রশ্ন চাওয়া হতে পারে, যেন তারা দেখা করার বদলে ইমেইলে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে এটিই স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
আপনি সঠিক ঠিকানায় বার্তা পাঠালেও জবাব আসতে পারে, “আমরা আপনার ইমেইল বা ফ্যাক্স পাইনি”। এটি বহুল প্রচলিত অজুহাত। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না, এই কারণে সেই বিভাগে ফোন করে আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সঠিক মাধ্যম জিজ্ঞেস করে নিন। আপনার পাঠানো বার্তাটি তারা পেয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
মনে রাখুন, কর্মকর্তারা সাধারণত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হন তখনই, যখন তাঁরা ভাবেন, স্টোরিতে তাঁদের বিভাগের অর্জনগুলোকে তুলে ধরা যাবে। তাঁরা যদি টের পান যে প্রতিবেদনটি সরকারের সমালোচনামূলক হবে, তাহলে হয়তো আপনি সাক্ষাতের আবেদনের জবাবে “ইনশাল্লাহ” – “যদি সৃষ্টিকর্তা চান” –শুনতে পাবেন। এটা আপনার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার একটি কূটনৈতিক উপায় হতে পারে।
সাক্ষাতের দিনক্ষণ যদি নির্ধারিত হয়, তাহলে যথাসময় উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। তবে তাঁরা দেরি করতে পারেন। সাক্ষাতের সময় স্বাক্ষর বা ফোন কলের জন্য কর্মচারীদের আনাগোনাও দেখতে পারেন। এতে হতাশ হবেন না; কারণ, এটি আপনাকে অসম্মান করার জন্য নয়। বাহরাইন এমনিতে অনেক শিথিল, সহজ এবং সময়ানুবর্তিতার ব্যাপারে বেশ উদার।
বাহরাইনে ২০২০ সালে একটি নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তারা সরকারের কোনো নীতির সমালোচনা করতে পারবেন না। তাই, এ ধরনের কোনো উদ্ধৃতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
অভিবাসী শ্রমিক
অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এই পরামর্শগুলো কাজে লাগবে:
- নেতৃস্থানীয় কারও মাধ্যমে সাক্ষাৎকারদাতা বাছাই করুন।
- একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিন বা চারজন শ্রমিকের সঙ্গে বসুন। বেশি মানুষের সঙ্গে বসলে অন্যরা কৌতূহলী হয়ে উঠতে পারেন।
- সব সময় আপনার সোর্সের পরিচয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করুন।
- স্থানীয় সাংবাদিক হলে স্পর্শকাতর রিপোর্ট প্রকাশের সময় আপনার নাম গোপন রাখুন।
- অভিবাসী শ্রমিকদের যাতায়াত আছে এমন কোনো স্থানীয় কফি শপ সাক্ষাতের স্থান হতে পারে (যেমন মানামা সুক-এর ইন্ডিয়ান ডেলি)। পরিচয় গোপন রাখার জন্য জাঁকজমকপূর্ণ জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো।
- শ্রমিক ক্যাম্পে যথাসম্ভব কম সময় ব্যয় করুন। কারণ, অনেক সময় দেখা যায়, কেউ ভয় পেয়ে গেলে বা কোনো নিরাপত্তাকর্মী আপনার উপস্থিতি টের পেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে পারে। আপনি যদি নারী সাংবাদিক হন, তাহলে আপনার উপস্থিতির সময় আরও কমাতে হবে, কারণ, এটি অনেক বেশি কৌতূহল তৈরি করবে। আপনি যদি ক্যাম্পে ক্যামেরা ব্যবহার করতে চান, তাহলে কিসের ছবি তুলবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করুন এবং সময় নষ্ট না করে সরাসরি গিয়ে সেগুলোর ছবি তুলে আসুন।
দরকারি পাঠ
জোর করে শ্রম এবং মানব পাচার
- “আই অ্যাম নট আ বিজনেস লেডি” (ইংরেজি)
- বাহরাইন মাস্ট নট রিটেইন ইটস টায়ার-১ স্ট্যাটাস ইন টিআইপি রিপোর্ট (ইংরেজি/আরবি)
- নন-পেমেন্ট অব ওয়েজ: অ্যান ইস্যু অন দ্য রাইজ ফর লো-ইনকাম মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স ইন বাহরাইন (ইংরেজি/আরবি)
- দ্য ফরগটেন ফার্মার্স অব বাহরাইন (ইংরেজি/আরবি)
- মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার অ্যাবিউজ ইন বাহরাইন অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট রিফর্ম অ্যাজেন্ডা (ইংরেজি)
- বাহরাইনি অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ল ইনক্যাপাবল অব প্রোটেক্টিং ডোমেন্সটিক ওয়ার্কার্স (ইংরেজি)
- লিভিং অ্যাজ কমোডিটিস: হিউম্যান অ্যান্ড সেক্স ট্রাফিকিং ইন দ্য জিসিসি (ইংরেজি)
- বাহরাইনি অফিশিয়ালস ইউজ ফ্রি মার্কেট ইকোনমি টু জাস্টিফাই ল্যাক অব মিনিমাম ওয়েজ (ইংরেজি)
- বাহরাইন’স “থার্ড মিলেনিয়াম স্লেভারি” (ইংরেজি)
- বাহরাইন’স ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (আরবি)
- ওয়েস্টেড রাইটস (আরবি)
ফ্রি ভিসা
- আ ক্লোজার লুক অ্যাট দ্য ফ্লেক্সি-পারমিট টু ইয়ারস অন (ইংরেজি/আরবি)
- দ্য ফ্লেক্সি পারমিট এক্সপেরিমেন্ট: নো কাফালা, বাট পুওর লেবার প্র্যাকটিসেস পারসিস্ট (ইংরেজি/আরবি)
- ওয়ান ইয়ার সিনস লঞ্চ: হ্যাজ বাহরাইন’জ ফ্লেক্সি পারমিট লিভড আপ টু ইটস হাইপ? (ইংরেজি/আরবি)
- ফ্রি ভিসা অ্যাজ আ টুল অব অ্যান্টি-ট্রাফিকিং (আরবি)
শ্রমিক ক্যাম্প
- আন্ডারস্ট্যান্ডিং লেবার ক্যাম্পস ইন দ্য গালফ স্টেটস (ইংরেজি)
- মাইগ্র্যান্টস ইন বাহরাইন ফেস অ্যান ইভিকশন ক্রাইসিস অ্যামিড কোভিড-১৯ প্যানডেমিক (ইংরেজি/আরবি)
আর্কাইভ
বই
- “ট্রানজিট স্টেটস লেবার, মাইগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ ইন দ্য গাল্ফ”। বইটি সম্পাদনা করেছেন আব্দুল্লাহি খালাফ, ওমর আলশেহাবি ও অ্যাডাম হানাহ। উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন ও কাফালা ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা আছে এখানে। বইটিতে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল কাভার করা হলেও বেশির ভাগ অধ্যায়ে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বাহরাইনের দিকে।