Image: Shutterstock
নিউ ইয়র্কে যেভাবে পুলিশ সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার মানচিত্র তৈরি করলেন কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
১৫,২৮০টি সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা থেকে ছবি নিয়ে ব্যক্তিগোপনীয়তা পরিপন্থী এবং বৈষম্যমূলক ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ম্যানহাটান, ব্রুকলিন ও ব্রঙ্কসের অধিবাসীদের ট্র্যাক করতে পারে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক একটি অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পুরো বিশ্ব থেকে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই অনুসন্ধানে অংশ নেন। তাঁরা ম্যানহাটান (৩,৫৯০), ব্রুকলিন (৮,২২০) ও ব্রঙ্কসের (৩,৪৭০) চৌরাস্তাগুলোতে মোট ১৫,২৮০টি সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা ট্যাগ করেন। নিউ ইয়র্ক নগরীতে যত চৌরাস্তা আছে, সেগুলোর অর্ধেকই (৪৭%) এই তিনটি বোরোতে। এ থেকেই বোঝা যায়, নজরদারির ব্যাপ্তি কত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে।
নজরদারির নগরী
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানবাধিকার গবেষক ম্যাট মাহমুদি বলেছেন, “পুলিশ চাইলে ক্যামেরার এই বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে অনুপ্রবেশমূলক ফেশিয়াল রিকগনিশনের কাজে ব্যবহার করতে পারে এবং এটি নিউ ইয়র্ককে একটি অরওয়েলিয়ান নজরদারি নগরীতে পরিণত করার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।”
“আপনার পরিচয় আর কখনোই গোপন থাকবে না। আপনি কোন প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন, কোন নির্দিষ্ট পাড়ায় হাঁটছেন, কিংবা নিছক কেনাকাটা করছেন—নিউ ইয়র্কজুড়ে কয়েক হাজার ক্যামেরা পয়েন্টের ছবি ব্যবহার করে আপনার চেহারাকে ট্র্যাক করা যাবে।”
যেখানে নজরদারি বেশি
সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ব্রুকলিনের ইস্ট নিউ ইয়র্ক এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে ৫৪.৪% কালো, ৩০% হিস্পানিক এবং ৮.৪% সাদা। তিনটি বোরোতে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, এখানেই ক্যামেরার সংখ্যা সবচেয়ে এবং উদ্বেগজনক রকমের বেশি; ৫৭৭টি।
এনওয়াইপিডি ২০১৭ সালের পর থেকে ২২,০০০ বার ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি (এফআরটি) ব্যবহার করেছে, যার অর্ধেকই ঘটেছে ২০১৯ সালে। যখন ক্যামেরার ছবি এফআরটিতে চালানো হয়, তখন পুলিশ নিউ ইয়র্ক নগরীজুড়ে চলাফেরা করা প্রত্যেক মানুষের মুখ ট্র্যাক করতে পারে।
এফআরটির কাজ হলো তাদের ডেটাবেসে সঞ্চিত কয়েক মিলিয়ন মুখের ছবির সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি মিলিয়ে দেখা। এর বড় অংশই ইউজারদের অজ্ঞাতে বা সম্মতি ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। প্রযুক্তিটি বর্ণগতভাবে বৈষম্যমূলক পুলিশিংয়ের পথকে আরও প্রশস্ত করে বলে মনে করা হয় এবং এটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও গোপনীয়তার স্বাধীনতার অধিকারকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।
নিউ ইয়র্কের সিসিটিভি নেটওয়ার্ক নজরদারির পরিসর যে কতটা বিস্তৃত, তারই একটি মডেল দাঁড় করিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই গবেষণা। যেমন: চায়না টাউনের সীমানায়, ঠিক যেখানটায় গ্র্যান্ড স্ট্রিট এবং এলরিজ স্ট্রিট মিশে গেছে, সেই জায়গা ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভের মূল অবস্থানের খুব কাছে। আমাদের অনুসন্ধানে এলাকাটির চারপাশে ৩টি এনওয়াইপিডি-মালিকানাধীন আরগাস ক্যামেরা, ৪টি পাবলিক ক্যামেরা এবং ১৭০টির বেশি ব্যক্তিগত নজরদারি ক্যামেরা পাওয়া গেছে। আমাদের মডেলিং অনুযায়ী, এসব ক্যামেরা দিয়ে তারা ২০০ মিটার (৬৫০ ফুট, বা দুই ব্লক) দূরত্বে থাকা মানুষের মুখও ট্র্যাক করতে সক্ষম।
লোয়ার ইস্ট সাইডের এনওয়াইপিডি আরগাস ক্যামেরা দিয়ে সম্ভাব্য যে এলাকা নজরদারি করা হয়েছে, সেটি ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সাইটের কাছে। এলাকাটিতে নিউ ইয়র্ক সিটি ট্রান্সপোর্ট বিভাগের মালিকানাধীন চারটি ট্রাফিক ক্যামেরা এবং আরও শতাধিক ব্যক্তিগত ক্যামেরা শনাক্ত করেছে অ্যামনেস্টি। ভিডিও: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
যেভাবে বেগবান হয় বর্ণবাদী পুলিশিং
২০২০ সালের গ্রীষ্মে, ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ডেরিক “ডোরেক” ইনগ্রামকে শনাক্ত এবং ট্র্যাক করার কাজে ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ডেরেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার কানের সামনে চিৎকার দিয়েছিলেন। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালাতে গিয়ে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বিক্ষোভকারীরা আলোচনা করছেন—ফেশিয়াল রিকগনিশন নজরদারি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে কীভাবে তাঁদের শনাক্ত এবং ট্র্যাক করেছিল এনওয়াইপিডি। ভিডিও: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
ডেরিকের মামলার আলোকে, ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহারের পরিমাণ সম্পর্কে আরও তথ্য চেয়ে ফ্রিডম অব ইনফরমেশন আইনে (এফওআই) এনওয়াইপিডির কাছে অসংখ্য অনুরোধ পাঠিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ব্যান দ্য স্ক্যান ক্যাম্পেইনের সদস্যরা। কিন্তু আবেদনগুলোর কিছু আপিলে যায়, কিছু মামলা পর্যন্ত গড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত সবই বাতিল হয়।
মাহমুদী বলেন, “এনওয়াইপিডির ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহার নিয়ে চারদিকে তথ্যের নজিরবিহীন অভাব দেখা যাচ্ছে—নিউ ইয়র্কারদের পক্ষে জানা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, নগরজুড়ে কখন তাদের মুখের সন্ধান করা হচ্ছে।”
মাহমুদী আরও বলেন, “এনওয়াইপিডিতে পদ্ধতিগত বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের ঘটনাগুলো বেশ ভালোভাবে নথিবদ্ধ—নারী ও অশ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের ক্ষেত্রেও একই। নগরীজুড়ে হাজার হাজার ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে এফআরটি ব্যবহার করার প্রবণতা—বর্ণবাদী পুলিশিং, বিক্ষোভকারীদের হয়রানি এবং এমনকি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের ঝুঁকির দিকেও নিয়ে যেতে পারে।”
“কেউ ফৌজদারি অন্যায় করেছে—এমন যুক্তিসংগত সন্দেহ ছাড়াই রাজ্যগুলো ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করে জাতিসত্তা, বর্ণ ও জেন্ডার বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে এবং বানাচ্ছেও।”
বৈশ্বিক প্রচেষ্টা
অ্যামনেস্টি ডিকোডার্স প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ৪ মে শুরু হয় এই অনুসন্ধান। এতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। প্রকল্পটি নিউ ইয়র্কের বাকি দুটি বোরোর ডেটা সংগ্রহ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবীরা নগরীজুড়ে ৩৮,৮৩১টি অবস্থান বিশ্লেষণ করেছেন।
এটি বিশ্বব্যাপী এক প্রচেষ্টা ছিল। ১৪৪টি দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নেন এবং তাঁদের সবচেয়ে বড় দলটি ছিল (২৬%) যুক্তরাষ্ট্রে। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা ঘাম ঝরানো ১৮,৮৪১ কর্মঘণ্টা ব্যয় করেছেন, যা কিনা একজন গবেষকের ১০ বছরের বেশি কাজের সমান। তাঁদেরকে নিউ ইয়র্ক নগরীর আশপাশের জায়গাগুলোর গুগল স্ট্রিট ভিউ ইমেজ দেওয়া হয়। একেকটি চৌরাস্তা বিশ্লেষণ ও ক্যামেরা ট্যাগ করার কাজে তিনজন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত ছিলেন। চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে সরকারি এবং বেসরকারি—দুই ধরনের ক্যামেরাই আছে। দুটো ধরনই এফআরটিতে ব্যবহার করা যায়।
গবেষণা পদ্ধতি
ডেটা সংগ্রহ
ডিকোড সার্ভেইল্যান্স এনওয়াইসির ডেটাগুলো তৈরি করেছেন কয়েক হাজার ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক। স্বেচ্ছাসেবীরা এই উদ্যোগে অংশ নেন অ্যামনেস্টি ডিকোডার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। বৃহত্তর কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের গবেষকেরা এই ধরনের মাইক্রোটাস্কিং ব্যবহার করেন।
ডিকোড সার্ভেইল্যান্স এনওয়াইসির জন্য একটি চৌরাস্তার গুগল স্ট্রিট ভিউ প্যানোরামা ছবি দেখিয়ে, সেখান থেকে নজরদারি ক্যামেরা খুঁজতে বলা হয় স্বেচ্ছাসেবীদের। এ ছাড়া কী ধরনের ক্যামেরা সংযুক্ত ছিল, তা-ও রেকর্ড করতে বলা হয়। তাদের জন্য তিনটি বিকল্প ছিল: ১. স্ট্রিট লাইট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা খুঁটি; ২. ভবন; ৩. অন্য কিছু। যদি তারা “স্ট্রিট লাইট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা খুঁটি” বাছাই করে থাকেন, তাহলে ক্যামেরার ধরন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করতে বলা হয়: ১. ডোম বা পিটিজেড; ২. বুলেট; ৩. অন্যান্য বা অজানা।
স্বেচ্ছাসেবীদের একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও, ভিজ্যুয়াল হেল্প গাইড এবং মডারেডেট ফোরামের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হয়। একেকটি চৌরাস্তা বিশ্লেষণ করতে একেকজন গড়ে দেড় মিনিট সময় নেন।
তথ্য বিশ্লেষণ
ক্যামেরাটি কিসের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল এবং এর ধরন কী—এই তথ্যগুলো বুঝতে সাহায্য করেছে ক্যামেরাটি কি পাবলিক, না ব্যক্তিগত মালিকানার প্রক্সি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। গবেষণার শুরুতে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরাগুলো সম্ভবত ব্যক্তিগত মালিকানার; ডোম ক্যামেরা যেমন স্ট্রিট লাইট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা রাস্তার ধারের খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরাগুলো সম্ভবত কোনো সরকারি সংস্থার, যাদের সেটি বসানো এবং ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে।
প্রতিটি চৌরাস্তা মূল্যায়ন করেছেন তিনজন স্বেচ্ছাসেবী। ২০২১ সালের ৩ জুন যে ডেটা প্রকাশিত হয়, তা মূলত একেকটি চৌরাস্তার এই তিনটি মূল্যায়নের মধ্যক (মিডিয়ান) ক্যামেরা গণনা। আমরা নির্দেশক হিসেবে “মধ্যক” বেছে নিয়েছি; কারণ, এতে ভুলের সুযোগ কম এবং এতে ভালোভাবে “জনতালব্ধ জ্ঞান” কাজে লাগানো যায়। এলাকাভিত্তিক ফল পেতে একেকটি প্রশাসনিক ইউনিটে চৌরাস্তার মোট সংখ্যা দিয়ে মোট গণনা দাঁড় করানো হয়।
ডেটায় কোনো সিস্টেমিক ভুল বা পক্ষপাত আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে আমাদের ডেটা সায়েন্স বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট চৌরাস্তার উপসেটে গিয়ে তার কোয়ালিটেটিভ (গুণগত) পর্যালোচনা করেছেন। যেমন: এনওয়াইপিডি আরগাস বক্সে দুটি ক্যামেরার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকেরা ভুল করে একটিকে ট্যাগ করেছেন কি না।
এই প্রাথমিক বিশ্লেষণ শুরুতেই একধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং ব্যাপকতার মাত্রা নির্ধারণেও কাজে আসে। আমরা যথার্থতা এবং সম্ভাব্যতার মাপকাঠিসহ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ অচিরেই তুলে ধরব। যথার্থতার মতো গুণগত মানের মানদণ্ডগুলোকেও মূল্যায়ন করব। এবং ডিকোডারদের জোগাড় করা তথ্যের সঙ্গে চৌরাস্তার উপসেটে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের পাওয়া মতামতকেও মিলিয়ে দেখব।
থ্রিডি মডেলিং
একটি এনওয়াইপিডি আরগাস ক্যামেরা কত দূর থেকে ভিডিও ফুটেজ তোলে, তারপর সেটিকে ফেশিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রসেস করতে পারে, তা দেখানোর জন্য আমরা থ্রিডি মডেলিং ব্যবহার করেছি।
এনওয়াইপিডি আরগাস ক্যামেরার কারিগরি স্পেসিফিকেশন কোথাও পাওয়া যায়নি। এ জন্য আমরা বাণিজ্যিক মডেলগুলো নিয়ে গবেষণা করেছি। গুগল স্ট্রিট ভিউর হিস্টোরিক্যাল ইমেজ অনুযায়ী, আমরা যে ক্যামেরাটি মডেল হিসেবে নিয়েছি, তা নভেম্বর ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ সময়ের মধ্যে ইনস্টল করা হয়েছিল। সেই সময়ে পাওয়া বাণিজ্যিক ক্যামেরাগুলোর ডেটা থেকে বোঝা যায় যে এটি প্যান, টিল্ট এবং জুম (পিটিজেড) মডেল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি; এবং এতে ৬ থেকে ১৩৪ মিমি ক্ষমতার ভেরিফোকাল লেন্স আছে, যা ফোর-কে অথবা ৮ মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনে ভিডিও করতে সক্ষম।
আমাদের থ্রিডি মডেলে দেখা যায়, ক্যামেরাটির আশপাশের রাস্তা পর্যবেক্ষণ এবং হাই ডেফিনিশনে মুখের ছবি ধারণের ক্ষমতা আছে; এবং তা-ও অল্প কয়েক মিটার থেকে ২০০ মিটার (দুই ব্লক) দূরত্ব পর্যন্ত।
প্রকল্প সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, ডিকোড সার্ভেইল্যান্স এনওয়াইসি-তে লগইন করুন। এখানে একটি সহায়তা গাইড পাবেন। ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন পরিচালিত হাঁটা-জরিপের মতো বিগত ক্যামেরা ম্যাপিংয়ের কথা মাথায় রেখে ঠিক করা হয় ডিকোড সার্ভেইল্যান্স এনওয়াইসি কতটা বিস্তৃত হবে এবং এর নকশা কেমন হবে।
“সার্ভেইল্যান্স সিটি: ১৫,০০০-এর বেশি ক্যামেরা ও ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করে ম্যানহাটান, ব্রঙ্কস ও ব্রুকলিনের মানুষদের ট্র্যাক করতে পারে এনওয়াইপিডি ” শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
আরও পড়ুন
জিআইজেএন টুলবক্স: স্যাটেলাইট ডেটা, ট্র্যাকিং ইউজারনেমস, অ্যান্ড ফেশিয়াল রিকগনিশন
নজরদারির ক্রমবর্ধমান হুমকির সঙ্গে যেভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন সাংবাদিকেরা
ইনভেস্টিগেটিং দ্য পুলিশ: রিপোর্টিং টিপস অ্যান্ড টুলস
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি লন্ডনভিত্তিক বৈশ্বিক মানবাধিকার সংগঠন। বিশ্বজুড়ে সরকারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তারা তুলে ধরে।