প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

নারী সাংবাদিকদের ভাষ্যে ভারতের কোভিড-১৯ মহামারির গল্প

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

ভারতের রাজস্থানের একটি সরকারী হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের চিত্র। অক্সিজেন ও বিছানা স্বল্পতার মধ্যেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ছবি: শাটারস্টক, সুমিত সরস্বত

বোনের সদ্যোজাত শিশু যেন কোভিডে আক্রান্ত না হয়ে পড়ে, সে জন্য সিকিমের নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন সাংবাদিক দিচেন ওংমু। বড় চুল কেটে ফেলেছিলেন, যেন প্রতি রাতে বাসায় ফিরে নিজেকে ভালোমতো জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া যায়। এবং তিনি সরকারের কোডিড-১৯ প্রণোদনা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন; কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, বেশ কয়েকজন সহকর্মী সেগুলো অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করছেন। 

রাজধানী দিল্লির আরেক সাংবাদিক প্রিয়জনকে অনলাইনে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন। পিতামহীর স্বাস্থ্য হুট করে খারাপ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া সত্ত্বেও তিনি সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁকে সময়মতো প্রতিবেদন জমা দিতে হয়েছে। তাঁর পরিবারও জানত যে, তিনি নিজের কাজ ফেলে আসবেন না। যদিও তিনি অনেক দিন ধরেই চাচ্ছিলেন শেষ মুহূর্তে দাদির কাছে গিয়ে থাকতে। 

এসব অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে নারী সাংবাদিকদের একটি অনলাইন মতবিনিময় সিরিজে। এ বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়, ৩০টি রাজ্য থেকে ৪০ জন নারী সাংবাদিক অংশ নেন এসব সেশনে। তাঁদের আলাপচারিতায় উঠে আসে নারী সাংবাদিকদের অসাধারণ পেশাগত নৈতিকতা ও অঙ্গীকারের নিদর্শন। শ্বাসকষ্টে ছটফট করতে থাকা রোগীদের পরিবার নিয়ে রিপোর্টিং করার জন্য তাঁরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও হাসপাতালে গিয়েছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখতে পেয়েছেন অজ্ঞতা, এবং চিকিৎসাসেবা ও পরিবহনব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে মানুষ কীভাবে মারা যাচ্ছে। শ্মশানে লাশ গুনতে গিয়ে কেউ কেউ হুমকি ও হেনস্তার মুখে পড়েছেন।

কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও, নিজেদের যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে অন্যদের সাহায্য করারও চেষ্টা করেছেন কিছু সাংবাদিক। সারা রাত জেগে তাঁরা বিভিন্ন আমলা ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে গেছেন, কিন্তু পরে হয়তো দেখা গেছে, এসবের কিছুই কাজে আসেনি। কিছু করতে না পারার ব্যর্থতায় তাঁরা পরে অপরাধবোধেও ভুগেছেন।  

ভারতের নারী সাংবাদিকদের জবানিতে কোভিডকালের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা থেকে দিল্লিভিত্তিক নারীবাদী গ্রুপ গ্যাদার সিস্টার্স যখন “দ্য মোমেন্ট, অ্যাজ শি নোজ ইট” নামের এই প্রকল্প শুরু করে, তখন অনেকেই অনুষ্ঠানটি দেখতে শুরু করেন পরিচিত বাইলাইন স্টোরি শোনার আশায়। কিন্তু দ্রুতই বাড়তে শুরু করে দর্শক। প্রতি সপ্তাহান্তে, সন্ধ্যা সাতটায় আরও অনেকেই এই অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। কারণ, তাঁদের আকর্ষণীয় গল্পগুলো শোনার সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চায়নি।

গ্যাদার সিস্টার্স প্রকল্পে মহামারি নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা আলাচনা করেছেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। ছবি: স্ক্রিনশট

সিরিজটিতে প্রধানত মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে। কিন্তু গ্যাদার সিস্টার্সের সংগঠক তিথিয়া শর্মা ও অন্য দর্শকদের প্রশ্নের ফলে, অনুষ্ঠানটিতে আক্ষরিক অর্থেই নারীদের সব ধরনের ইস্যু উঠে এসেছে। 

সিরিজটি থেকে স্পষ্ট হয়েছে, এই তরুণ সাংবাদিকেরা এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘটনাকে দেখতে শুরু করেছেন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে। মহামারি মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা যেভাবে অবহেলার শিকার হয়েছেন, তা বারবার উঠে এসেছে এসব নারী সাংবাদিকের ভাষ্যে। 

দ্য ট্রিবিউনের রিপোর্টার রুচিকা এম. খান্না কাজ করেন পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পাঞ্জাব অঞ্চলে। তিনি বর্ণনা করেছেন: মহামারি ও লকডাউনের মিলিত প্রভাব নারীদের ওপর দ্বিগুণ চাপ তৈরি করেছে কীভাবে। তাঁরা শুধু সংসারেরই খেয়াল রাখছেন না, বেকার হয়ে পড়া স্বামীকে তাঁদেরই সামলাতে হচ্ছে। ভারতে চলমান কৃষক বিদ্রোহের ফলে কীভাবে নারীরা তাঁদের পরিবার ও জমিজমার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, তা-ও উঠে এসেছে রুচিকার ভাষ্যে। 

দ্য প্রিন্টের রিপোর্টার জ্যোতি যাদবের যে প্রতিবেদনটি, মহামারির চিত্র সবচেয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিল, সেটি ছিল এক গর্ভবতী অভিবাসী শ্রমিককে নিয়ে। তাঁর স্বামী তাঁকে যেকোনো মূল্যে বাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। স্ত্রী রাস্তাতেই সন্তান প্রসব করে ফেলবেন কি না, তা নিয়েও খুব একটা চিন্তা করেননি। নারীটি যেন হাসপাতালেই সন্তান প্রসব করতে পারেন, তা নিশ্চিত করেছিলেন যাদব। তিনি ভেবেছিলেন, নিরাপদে প্রসবের পর মা ও সন্তান, দুজনেরই সুস্থ থাকার খবর শুনে সেই নারীর স্বামী খুশি হবেন। কিন্তু উল্টো তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কারণ, সদ্য জাতক সন্তানটি ছিল মেয়ে। এই দম্পতির পঞ্চম কন্যাসন্তান।

২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে দেওয়ার মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। সেখানে তখন থেকেই চলছে সেনাবাহিনীর লকডাউন, যা নারীদের সমস্যা আগের চেয়ে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কিন্তু কোভিড মহামারিতে এই পরিস্থিতি কতটা শোচনীয় হয়ে উঠেছে, তা বর্ণনা করেছেন কাশ্মীরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক কুররাতুল আইন রেভার। গণপরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে যেতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে নারীদের। কারণ, তাঁরা অপরিচিত কারও বাহনে উঠতে ভয় পান। কাশ্মীরে, স্থানীয় কোনো পুলিশ স্টেশনে যাওয়াও বেশ ঝুঁকির ব্যাপার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে (রাজ্যের নারী কমিশন ভেঙে দেওয়ার পর) ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের সামনে আর কোনো যাওয়ার জায়গাও নেই।

অনলাইন মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এই নারীদের অনেকেরই পেশাগত ক্যারিয়ার শুরুর ১০ বছরও পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে তাঁরা কাভার করেছেন অনেক প্রান্তিক কমিউনিটির জীবনযাত্রা। যেমন নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টার কৃতিকা শ্রীনিবাসন বলেছেন: তামিলনাড়ুর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের কলেজে ভর্তি হতে কতটা সমস্যায় পড়তে হয়। ঝাড়খন্ডের ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার ছন্দশ্রী ঠাকুর এই অনুষ্ঠানে এসে কথা বলেছেন “উইচ হান্ট” বা “ডাইনি শিকার” নিয়ে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, এসব নারীর সম্পত্তি দখল করার জন্য কীভাবে তাঁদের হত্যা করে পুরুষেরা। তাঁর কাছ থেকেই এসেছিল এই স্লোগান: হাম সাব ডায়েন হ্যায়  (“আমরা সবাই ডাইনি”)।

ছত্তিশগড়ের প্রখর সমাচার পত্রিকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রিপোর্টার পুষ্প রোকড়ে জানিয়েছেন, কীভাবে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী, বাস্তার জেলার আদিবাসী মানুষদের ওপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে, এবং অন্যান্য কর্মকর্তা কীভাবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নারীদের সঙ্গে ঘৃণাভরা আচরণ করছে। 

বিহারে, পুরোপুরি ভিন্ন এক জগতের কথা তুলে এনেছেন দুই সিনিয়র সাংবাদিক। তাঁরা বর্ণনা করেছেন, কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের হুট করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় অপরিচিত কোনো মানুষের সঙ্গে, যে হয়তো পরে ওই মেয়েটিকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে। তিনি আরও তুলে আনেন, কীভাবে অল্প বয়সী ছেলেদের অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় যৌতুক এড়ানোর জন্য। খুব তিক্ততা নিয়ে তিনি বলেছেন, “একজন বিহারির জীবন সবচেয়ে সস্তা।”

যে লড়াইয়ের কথা জানতে হবে

শুধু মহামারির সময়েই নয়, তারও আগে থেকে ভারতের বিভিন্ন অংশে রিপোর্টিং করতে গিয়ে নারী রিপোর্টাররা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তা-ও আলোচিত হয়েছে মতবিনিময় সিরিজে। 

সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পুরুষ আমলা ও রাজনীতিবিদের অবজ্ঞার শিকার হওয়া, নারী সাংবাদিকদের জন্য একটি পেশাগত বিপত্তি। “ছোটখাটো এসব প্রশ্ন দিয়ে আমাকে বিরক্ত করবেন না” এবং “আপনি বুঝবেন না, ছেড়ে দিন”—প্রায়ই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই জাতীয় প্রতিক্রিয়া পেয়ে থাকেন নারী রিপোর্টাররা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ইরাম সিদ্দিকী, তাঁর নিজ শহর মুম্বাইয়ে রিপোর্টিংয়ের স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে মধ্যপ্রদেশে গিয়েছিলেন বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে। রাজ্যটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। সেখানে এক জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ জিজ্ঞেস করেছিলেন: তাঁর বয়স কত? এবং রাজ্য নিয়ে তাঁর জ্ঞান দেখে পরিহাসও করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনগুলোতে একমাত্র নারী হিসেবে নিজের কণ্ঠটি শোনানো কত কঠিন, তা বর্ণনা করেছেন দীপ্তি বাথিনী ও দ্য প্রিন্টের রিশিকা সাদাম। বিহারে তরুণ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছেন জ্যোতি যাদব। অন্যদিকে রাজনৈতিক র‌্যালি কাভার করার সময়, প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়েছিল বাথিনীর দিকে। 

বড় শহরের তরুণ নারী সাংবাদিকেরা কত সুযোগ-সুবিধা পান, তা ভালোমতো বুঝিয়েছেন বিহারের সাংবাদিকেরা। তাঁদের শুধু সংসার আর কর্মস্থলের ভারসাম্যই করতে হয় না, একই সঙ্গে লড়তে হয় অনিরাপদ গণপরিবহনেও। পুরুষ সহকর্মীরা বলেন যে, নারীদের লেখা প্রতিবেদনগুলো নতুন করে লিখতে হয়। সন্ধ্যার পর দেরি করে অফিসে থাকলে পুরুষ সহকর্মীরা বিরক্তি প্রকাশ করেন (কারণ, “এই সময়ে আমাদের বাড়িতে থাকার কথা,” বলেছেন এক নারী সাংবাদিক)। ফলে রাজনৈতিক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য বিপুল চাপ থাকে নারী সাংবাদিকদের ওপর। 

ভারতের সংবাদ সংস্থা, ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনবি)-র রিপোর্টার রজনী শঙ্কর বলেছেন, এত কিছু সত্ত্বেও নারী সাংবাদিকেরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। জ্যোতি যাদব এর চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ সামলেছেন, যখন তিনি জিনসের প্যান্ট পরে, মোবাইল হাতে সেসব মানুষেরই সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন, যাঁরা নারীদের জন্য জিনস ও মোবাইল নিষিদ্ধ করেছিলেন।

এই অনুষ্ঠানের একজন নিয়মিত শ্রোতা ছিলেন ইসলামাবাদের অভিজ্ঞ মানবাধিকারকর্মী তাহিরা আবদুল্লাহ। তিনিও বিষয়গুলোর সঙ্গে নিজের সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন। “দুঃখজনকভাবে, পুরুষতান্ত্রিক আচরণ, যৌন হয়রানি ইত্যাদি বিষয় এত পরিচিত যে, মনে হচ্ছিল: আমার নিজ দেশের কথাই বলা হচ্ছে। সীমানার বাধা পেরিয়েও আমি এই সিস্টারহুডের সঙ্গে একাত্ম বোধ করছিলাম।”

গ্যাদার সিস্টার্স যখন এই সিরিজ চালু করে, তখন ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সংক্রমণ শিখরে ছিল। নাগরিকদের যে মিথ্যা বলা হচ্ছে, এবং জবাবদিহি করার মতো কেউ নেই, তা উপলব্ধি করতে পেরে গ্রুপটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল: এমন মানুষদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা শোনার, যাঁদের তারা বিশ্বাস করতে পারে। বিস্তৃত নেটওয়ার্কের কারণে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বৈচিত্র্যময় রিপোর্টারদের খুঁজে পেতে তাঁদের বেশি বেগ পেতে হয়নি। বাছাইয়ের একমাত্র শর্ত ছিল: তাঁদের রিপোর্টার হতে হবে এবং “কর্তৃপক্ষের ভাষ্যকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অন্তর্দৃষ্টি ও সাহস থাকতে হবে”। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য কাউকেই অর্থ প্রদান করা হয়নি। 

সিরিজটি আয়োজনের পর এর অন্যতম সংগঠক তিথিয়া শর্মার উপলব্ধি হয়েছে: “নারী রিপোর্টারদের কাজ করার জন্য সময়টি বিপজ্জনক।”

প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল নিউজলন্ড্রি-তে। অনুমতি নিয়ে সেটি সম্পাদনা ও পুনঃপ্রকাশ করা হলো। আদি লেখাটি পড়তে পারবেন এখানে। নিউজলন্ড্রির বিজ্ঞাপন-মুক্ত, স্বাধীন সাংবাদিকতাকে সমর্থন জানাতে পারেন এখানে। 

আরও পড়ুন

জিআইজেএন গাইড: রিসোর্সেস ফর ওমেন জার্নালিস্টস

তাঁরা যে আগুন ছড়িয়ে দিলেন সবখানে

ভারতে মহামারিতে মৃত্যুর সত্যিকারের চিত্র যেভাবে উন্মোচন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা


জ্যোতি পুনওয়ানি একজন মুম্বাই-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ওয়েবসাইটে। যার মধ্যে আছে: টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু, ডেকান হেরাল্ড, রেডিফ ডট কম, স্ক্রল ও আর্টিকেল ১৪। তিনি সাম্প্রদায়িকতা, মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যম বিষয়ে লেখালেখি করেন। 

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

Studio, headphones, microphone, podcast

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ঘুরে আসুন ২০২৩ সালের বাছাই করা অনুসন্ধানী পডকাস্টের জগত থেকে

নানাবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী পডকাস্ট। এখানে তেমনই কিছু বাছাই করা পডকাস্ট তুলে এনেছে জিআইজেএনের বৈশ্বিক দল।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চিংড়ি চোরাচালান, হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, তামাক শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাব: চীন, হংকং ও তাইওয়ানের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনেক বাধাবিপত্তি ও চ্যালেঞ্জের মুখেও চীন, হংকং ও তাইওয়ান থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রভাব তৈরির মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমনই কিছু প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা অনুসন্ধান: ভুয়া বিশেষজ্ঞের লেখা, টেলিগ্রামে ব্ল্যাকমেইল, সেচপাম্প মালিকদের আর্থিক নিষ্পেষণ

২০২৩ সালে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রকাশিত ৮টি প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে। যেখানে উঠে এসেছে ভুয়া লেখক-বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ছড়ানো অপতথ্য; টেলিগ্রামে ব্ল্যাকমেইল; বিদেশে রাজনীতিবিদের সম্পদের খোঁজ— এমন নানা বিষয়।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

ভারতের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: স্পাইওয়্যার বেচাকেনা, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখলদারিত্ব ও বিষাক্ত কফ সিরাপ

নানাবিধ বাধাবিপত্তি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ২০২৩ সালে ভারত থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, যেগুলো উন্মোচন করেছে ধোঁয়াশাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় চুক্তি, শ্রম পরিস্থিতি, ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ, সীমান্ত দ্বন্দ্বের মতো বিষয়।