ছবি: স্ক্রিনশট, জিআইজেএন, ইউটিউব
আবাসন থেকে ঘোড়দৌড়: বিশ্বব্যাপী গোপন সম্পদ ঘিরে অনুসন্ধান
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য গোপন সম্পদের উৎস খোঁজার দক্ষতা থাকা জরুরী, বিশেষ করে, আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোনো অতি-ধনী ব্যক্তি। অর্থের গতিপথ ধরে খুঁজতে খুঁজতে সাংবাদিকেরা অনেক সময় আবাসন, বিমান, ইয়ট, শিল্পকর্ম, এমনকি ঘোড়দৌড়েও গোপন সম্পদের সন্ধান পান।
১৩তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে (#জিআইজেসি২৩) ইন্টারনিউজের জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপদেষ্টা ওলেগ খোমেনোকের সভাপতিত্বে একটি প্যানেলে ওসিসিআরপি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রিপোর্টার লারা দিহমিস এবং মিন্টজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইয়ান কেসওয়েল পৃথিবীজুড়ে সম্পদ ট্র্যাক করার সর্বোত্তম চর্চাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
রাশিয়ান অ্যাসেট ট্র্যাকার থেকে কেস স্টাডি
রাশিয়া, ইউক্রেনে হামলা করার পর ওসিসিআরপি রাশিয়ান অ্যাসেট ট্র্যাকার চালু করে। লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ও সহযোগীদের বিশ্বজোড়া আর্থিক স্বার্থগুলোকে নথিবদ্ধ করা, যারা কিনা সম্পদ গোপনের কৌশলগুলোকে রীতিমতো নিখুঁত শিল্পে রূপ দিয়েছেন। এটি দেশটির ক্ষমতাধর ও ধনিক শ্রেণীর মালিকানাধীন ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়নের বেশি সম্পদকে এক জায়গায় নথিভুক্ত করেছে।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে, ওসিসিআরপি প্রমাণ করে বেশ ক’টি শোজাম্পিং ঘোড়ার মালিকানা রোমান আব্রামোভিচের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের; বিশেষ করে তার এক মেয়ের। “গোপন সম্পদ নিয়ে আমাদের প্রতিবেদনের প্রথম কিস্তি প্রকাশের পর একটি গোপন পরামর্শের সূত্র ধরে এই ঘোড়া খোঁজা শুরু হয়েছিল,” দিহমিস বলেন। তাতে লেখা ছিল: “সোফিয়া আব্রামোভিচের বেশ কয়েকটি শোজাম্পার ঘোড়া রয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য ৫ লাখ ডলারের বেশি।”
তথ্যটি যাচাই করার জন্য, দিহমিস ও তার দল গুগলে ওপেন সোর্স অনুসন্ধান শুরু করেন। এভাবে তারা অশ্বারোহন সম্পর্কিত একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হদিস পান। ফেডারেশন ইকোয়েস্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই ওয়েবসাইটে ২ লাখ ৭২ হাজার ঘোড়ার তথ্যসমৃদ্ধ একটি ডেটাবেস রয়েছে, যেখানে ঘোড়া বা মালিকের নাম ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালানো যায়। আব্রামোভিচ উপাধি ব্যবহার করে অনুসন্ধানের পর প্রায় ৩০টি শোজাম্পার ঘোড়ার মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, এরপর তা আব্রামোভিচের মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তালিকাভুক্ত ঘোড়ার নামগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
আরেক অনুসন্ধানে, পাবলিক রেকর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এক জ্বালানি তেল টাইকুনের মালিকানাধীন মার্কিন সম্পত্তি ট্র্যাক করে ওসিসিআরপি জানতে পারে যে, এই ব্যক্তি মূলত রোমান আব্রামোভিচের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দলটি নিউইয়র্ক সিটি প্রোপার্টি ডেটাবেসে তার পদবী দিয়ে অনুসন্ধান চালায়। অটোমেটেড সিটি রেজিস্টার ইনফরমেশন সিস্টেমের (এসিআরআইএস) ফলাফলগুলো একই পদবীধারী ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে।
এরপর ছবি দিয়ে সার্চের পর দলটি অনলাইনে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পায়, যেখানে ধনকুবের ওই ব্যক্তির অনুদান সম্পর্কিত তথ্য মেলে। এরপর চেহারা সনাক্তকরণ সার্চ ইঞ্জিন পিমআইসের মাধ্যমে লোকটির পরিচয় যাচাই করা হয়। “আমরা এখান থেকে লোকটির চেহারার ছবি নিয়ে পরবর্তীতে আমাদের নিজস্ব পেইড টুলের মাধ্যমে যাচাই করি… [এবং] তা থেকে আমরা ইঙ্গিত পাই যে, এই লোকটিই আব্রামোভিচের পাশে দাাঁড়িয়ে ছিলেন।”
তবে তিনি ওই কোটিপতির ছেলে কিনা তা যাচাই করতে অনুসন্ধানী দলটি পেইড ডেটাবেস প্রোপার্টিশার্ক ব্যবহার করে। প্রোপার্টিশার্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। এখানে, একটি সম্পত্তির মালিকানা তথ্যে একই শেষ-নামের তৃতীয় আরেক ব্যাক্তির সন্ধান মেলে। এরপর আলেফ সার্চের মাধ্যমে ধনকুবেরের ইয়টে তৃতীয় ওই ব্যক্তির জন্মদিন উদযাপনের আমন্ত্রণপত্র খুঁজে পায় দলটি, যার মাধ্যমে তারা মূলত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্কের যোগসূত্র গাঁথতে সক্ষম হন।
সম্পত্তি ট্র্যাকিংয়ের শুরু যেখান থেকে
“আমি সাধারণত এই দুটি পয়েন্টের মধ্য থেকে যে কোনো একটি দিয়ে শুরু করি: নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তার সহযোগীদের মালিকানাধীন সম্পত্তির খোঁজ করি, অথবা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি যে, নির্দিষ্ট ওই সম্পদের মালিক কে,” দিহমিস বলেন। তদন্তের শুরুতেই তিনি নির্দিষ্ট ব্যক্তির নেটওয়ার্কগুলোকে চিহ্নিত করেন এবং ওই ব্যক্তির পক্ষে সম্পদ ধারণকারীদের মধ্যে কেউ কোনো তথ্য লুকাতে চেষ্টা করছে কিনা তা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করেন।
লুকোনো সম্পদ অনুসন্ধানের সময়, এ তথ্যের উৎসগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:
- পাবলিক রেকর্ড। এর মধ্যে ব্যবসা রেজিস্ট্রি, গেজেট, আদালতের রেকর্ড এবং সম্পত্তির মালিকানাবিষয়ক রেজিস্ট্রি অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি তথ্যের কার্যকারিতা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থার শরনাপন্ন হচ্ছেন, তার ওপর। দিহমিস বলেন, ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ গেজেট রয়েছে, যুক্তরাজ্যে কোম্পানি সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাওয়া যায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতের রেকর্ডগুলো কিছু শর্তাবলী মেনে অনুসন্ধানযোগ্য। বাইরের দেশগুলোতে কীভাবে সর্বজনীন রেকর্ড থেকে তথ্য বের করতে হয় তা জানাটা অপরিহার্য। “আপনি যদি লেবাননের একজন প্রতিবেদক হন, এবং ব্যবসায়ী তার ”এক্স’ সম্পদ কোথায় জমা করেছেন তা খুঁজে বের করতে আগ্রহ বোধ করেন, তাহলে আপনার অনুসন্ধান লেবাননে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ,” বলেন তিনি। “আপনাকে কোম্পানি বা ঠিকানাগুলো সম্ভবত বিভিন্ন অফশোর গন্তেব্যে খুঁজে যেতে হবে এবং আপনি কীভাবে অন্য জায়গার নেটওয়ার্কগুলো অনুসরণ করবেন, জানতে হবে সে সম্পর্কেও।”
- ওপেন সোর্স অনুসন্ধান। সম্পদ ঘিরে অনুসন্ধানের সময় সব ধরনের গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ কিংবা গুগলে ঘাঁটাঘাটির মাধ্যমে অনেক সময়ই চমৎকার সব বিষয়ের ওপর উত্তর পাওয়া যায়, যা যথেষ্টও।
- পেইড ডেটাবেস। পাবলিক রেকর্ড ও অনলাইন অনুসন্ধানের মাধ্যমে যদি কোনো তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে অনেক পেইড ডেটাবেস আছে যেগুলো কোম্পানির রেকর্ড, সম্পত্তি রেজিস্ট্রি এবং ব্যক্তির ডেটাবেসকে সংগ্রহের পাশাপাশি তালিকা আকারে তুলে করে — যেমন সায়ারি।
- মানব উৎস। সতর্কতার সঙ্গে ব্যক্তি-সোর্সের কাছে যাওয়া অনেকসময় ফলপ্রসূ হতে পারে। আব্রামোভিচের মালিকানাধীন ইয়ট মনে করে তা ট্র্যাক করার সময় দিহমিস ও তার দল লিঙ্কডইনের মাধ্যমে একজন প্রাক্তন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন, যিনি নিয়মিত অতিথি ও তাদের পছন্দেরর ভিত্তিতে তৈরি করা একটি ব্রোশিওর দিয়েছিলেন।
ওসিসিআরপি তাদের ইনভেস্টিগেটিভ ডেটাবেসে কোম্পানি, জমি এবং আদালতের রেকর্ডের পাবলিক রেজিস্ট্রির একটি বৈশ্বিক তালিকা রেখেছে। তাদের আলেফ ডেটা প্ল্যাটফর্ম হলো গোটা বিশ্বের পাবলিক রেকর্ডের অনুসন্ধানযোগ্য সংরক্ষণাগার। আইসিআইজের অফশোর লিকস ডেটাবেস ব্যবহার করারও সুপারিশ করেন দিহমিস, যেখানে ৮ লাখ ১০ হাজার অফশোর কোম্পানি, ফাউন্ডেশন ও ট্রাস্টের বিবরণ রয়েছে।
কর্পোরেট সম্পত্তি অনুসরণ থেকে শিক্ষনীয়
ইয়ান কেসওয়েল, কর্পোরেট তদন্ত সংস্থা মিন্টজ গ্রুপের অংশীদার ও বিরোধ বিষয়ক বিভাগের প্রধান। এর আগে, তিনি ইউরোপোলে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি সংগঠিত অপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করতেন। তিনি বলেন, সম্পদ ট্র্যাক করার সময় আপনার প্রথম পদক্ষেপ, আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে জানা।
“ব্যক্তিভেদে… প্রতিটি অনুসন্ধানেই ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে অগ্রসর হতে হয়,” তিনি বলেন। “রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, আপনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ ও রাজস্ব প্রবাহ নিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করবেন; প্রতিষ্ঠানের বেলায় আপনি প্রায়ই শেয়ার কিংবা মেধা সম্পত্তি, বা দেনাদারদের হিসাবগুলো খুঁজবেন; এবং ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই দেখি যে তারা কোনো না কোনো খেলনা কেনে, যেমন ইয়ট, বিমান, আবাসন, শিল্পকলা বা পুরাকীর্তি।”
উচ্চমূল্যের শিল্পকর্মের সংগ্রহগুলো অনুসরণের সময়, শিল্পকর্মটি কে বিক্রি করেছে, তা কোথায় সংরক্ষণ করা হয়েছে, বীমা কার নামে করা, এবং কোনো গ্যালারিকে তা ধার হিসেবে দেওয়া হয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করার তাগিদ দিয়েছেন কেসওয়েল। “কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন যে, আপনি মানুষের দেয়ালে রাখা শিল্পকর্ম নিয়েই তদন্ত করছেন,” তিনি বলেন। “বিভিন্ন ভ্যানিটি ম্যাগাজিনে অনলাইন প্রোফাইলসহ এমন আরো অনেক কিছু থাকতে পারে যাদের আপনি সনাক্ত করতে পারেন।”
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কালো টাকা যেভাবে লুকান
১. গ্রহণ: কেসওয়েল বলেন, সরকারী চুক্তি সম্পাদন, উৎকোচ গ্রহণ, চুক্তিতে কাউকে সুবিধা দেওয়া, কিংবা অপরাধমূলক উদ্যোগ থেকে নগদ অর্থ নেওয়া – এসবই কালোটাকা আয়ের উপায়। এ ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই চুরির সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কিন্তু “প্রতিটি ক্ষেত্রই… অনুসন্ধানের সুযোগ তুলে ধরে। আপনি যদি কোনো চুক্তি সম্পাদন করেন, বা আপনি যদি চুক্তির বাইরে আপনার সরকারের কাছে বেশি পণ্য সরবরাহ বা বিক্রি করে থাকেন তবে প্রায়ই তার কাগুজে প্রমাণ রয়ে যাবে। আর ওইসব লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকেরাও কিছু বিষয় সম্পর্কে অবহিত থাকে।”
২. লুকানো: পরবর্তী ধাপ হলো অফশোর কোম্পানি শুরু করা এবং নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা। কেসওয়েল বলেন, “পৃথিবীতে এখনও এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুব বেশি কড়াকড়ি নেই [ব্যাংকের ক্ষেত্রে], এসব জায়গাতে অর্থ জমা রাখা যায়।”
৩. অর্থ স্থানান্তর: এসব ব্যক্তিরা এরপর ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে — নগদ অর্থ ভর্তি সুটকেস থেকে স্বয়ংক্রিয় রি-ওয়্যারে, যেখানে অর্থ একটি অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার পরপরই তা আবার ভিন্ন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়।
৪. নেটওয়ার্ক: পরিবার, আইনজীবী, এমনকি ট্রাভেল এজেন্টরাও বিশ্বজুড়ে সম্পদ সরানোর কাজে শামিল হতে পারে। “সবচেয়ে বড় ভুল যে আমরা দেখতে পাই সেটি হলো, এসব লোকজন তাদের পরিবারকেও জড়িয়ে ফেলে; বিশেষ করে, সম্পদের মালিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে সন্তানদের,” তিনি বলেন। “একজন প্রতারক, বা অপরাধী, বা ঋণখেলাপি কতটা সুশৃঙ্খল বা পরিশীলিত, তা বিবেচ্য নয়— বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের সূত্র ধরে তাদের পরিচয় উন্মোচিত হতে পারে।
৫. উপভোগ: শেষমেশ, তারা তাদের অর্জিত নগদ অর্থ ব্যয় করবেনই, যা কিনা আবাসন, যানবাহন কিংবা কেনাকাটার মাধ্যমে হতে পারে।
লুকানো সম্পদ উন্মোচন বিষয়ক পরামর্শ
- বিশুদ্ধ ভুলগুলোকে খুঁজুন. “লোকেরা সাধারণত অহংকারী হয়, বা তারা সম্পদ লুকানোর ক্ষেত্রে খুব একটা অভিজ্ঞ নয়,” কেসওয়েল বলেন। এটি তাদের ভুলের দিকে পরিচালিত করতে পারে, আর তা নির্দিষ্ট সম্পদ ঘিরে কাগুজে প্রমাণ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
- বিভিন্ন অফশোর এলাকায় সংযোগ তৈরি করুন। প্রাথমিক সোর্সেরা আপনাকে আঞ্চলিক অফিস থেকে তথ্য পেতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া আপনার বন্ধু স্থানীয় কোনো আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জেনে নিতে পারেন যে, সম্পদগুলো কেন একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং কোথায় দুর্বলতা পাওয়া যাবে।
- অনলাইন টুল ব্যবহার করুন। সাপ্লাই চেইন ট্র্যাক করতে পাঞ্জিভা এবং ডেটামাইনের মতো সাইটগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে এবং গ্রেলিস্ট ট্রেস আপনাকে বলে দিবে যে, লুকানো ব্যাংক হিসাবগুলো কোথায় রাখা হতে পারে। এটি সম্ভাব্য ব্যাংকিং লেনদেনগুলো উন্মোচন করার জন্য দরকারী টুল। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে যখন ডিজিটাল সম্পদ এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা হয় তখন টুলটি তা মনিটর করতে পারে। কেসওয়েল এক্ষেত্রে চেইন্যালাইসিস ও টিআরএম নামক আরো দুটি টুলের কথা উল্লেখ করেন।
- আপনার টার্গেটকৃত ব্যক্তির নেটওয়ার্কের লোকেদের সঙ্গে কথা বলুন। “আপনি দুর্নীতিবাজ আইনজীবীর সঙ্গে শুরুতেই কথা বলতে চাইবেন না, তাই বরং বৃত্তের শেষ প্রান্ত থেকে কাজ শুরু করুন,” কেসওয়েল বলেন। “এক্ষেত্রে সেক্রেটারি কিংবা চালক — যাদের কখনই খুব ভাল বেতন দেওয়া হয়নি, খুব ভাল আচরণও করা হয়নি, প্রায়ই দেখা যায় তারা বিভিন্ন আলাপচারিতা ও ঘটনার সংস্পর্শে আসেন এবং লুকানো সম্পদবিষয়ক তথ্য উন্মোচনের চাবিগুলো ধরে রাখেন।”
“বিশ্বজুড়ে সম্পদ ট্র্যাকিং নিয়ে জিআইজেসি২৩ প্যানেলের সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখুন।