ইমেজ: শাটারস্টক
পরামর্শ দেওয়া থেকে নীরবতা ভাঙ্গা: কৌশলগুলো নারী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য
পেশাজীবনের শুরুর দিকে ব্যবসা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদক সেলিনা চেং অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যেসব নারীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন, তারা অভিযোগ করেন হার্ভে ওয়াইনস্টিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাবেক শীর্ষ নির্বাহী বে লোগানের কাছ থেকে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হার্ভে ওয়াইনস্টিন একজন হলিউড প্রযোজক —যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বর্তমানে কারাভোগ করছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের আরও কয়েকটি অভিযোগের বিচার চলছে।
ভু্ক্তভোগীরা সেলিনার কাছে তাদের পুরোটা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যা একটি শক্তিশালী অনুসন্ধানের ভিত্তি তৈরি করে। কিন্তু এর জন্য সেলিনাকে চরম মূল্যও চুকাতে হয়—তা হচ্ছে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওয়াইনস্টিনের সহযোগী লোগানের প্রতিহিংসা।
২০১৯ সালে, অনুসন্ধানটি প্রকাশের দুই বছর পর চেং বলেন যে লোগান তাকে ফোন করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি, অপমান এবং চিৎকার করেন।
“সে যখনই ঘৃণা অনুভব করে, তখনই আমাকে কিছু না কিছু পাঠায়। আমি জানি না সে মদ্যপ থাকে কিনা,” বলেন চেং। তিনি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৪তম গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে (জিআইজেসি২৫) নারী সাংবাদিকদের ওপর বিশেষ ঝুঁকি ও সহিংসতা বিষয়ক এক প্যানেলে তার এই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এই ধরনের হয়রানি ও আগ্রাসনের ঘটনা নারী অনুসন্ধানী প্রতিবেদকদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ। ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন (আইডব্লিউএমএফ)-এর একটি গবেষণা বলছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে হামলা বাড়ছে এবং তা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বেশি প্রভাব ফেলছে সেই সব প্রতিবেদকের ওপর, যারা নারী, বর্ণভিত্তিক পরিচয়ের মানুষ, বা এলজিবিটিকিউআইএ+ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।
এই ঘটনার হার বিস্ময়কর — এবং এর প্রভাব ব্যাপক। ধারণা করা হয়, প্রায় ৭০ শতাংশ নারী সাংবাদিক কোনো না কোনো ধরনের হয়রানি, হুমকি বা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী সাংবাদিক এসব হামলা ও হুমকির কারণে পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছেন।
বহুমুখী ঝুঁকি
হয়রানি ও ভয় দেখানোর মতো হুমকির পাশাপাশি আছে আরও কিছু ঝুঁকি— যেগুলো কম আলোচিত। যেমন, সমান ও ন্যায্য পারিশ্রমিকের জন্য দরকষাকষি অথবা বয়সে বড় ও পুরুষ সহকর্মীদের সংখ্যা বেশি এমন বার্তাকক্ষে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করা। এসব চ্যালেঞ্জ কখনোই এককভাবে উপস্থিত হয় না। এগুলো একত্রিত হয়। একটির সঙ্গে অপরটি মিশে যায়। আর এই সব চ্যালেঞ্জের ব্যাপ্তি প্রায়ই দেশ-কাল-পাত্র ছাড়িয়ে যায়।
জিআইজেসি২৫–এর প্যানেলে চেং-এর সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন সাংবাদিক। তারা হলেন অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্ট (ওসিসিআরপি)-এর অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক দ্রাগানা পেচো; ন্যাশনাল ম্যাগাজিন কোমোরের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াতে আবদু; উইমেন হু ওন দ্য ওয়ার–এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক মাইস ক্যাট এবং ফিকেম সাবেন্দোর প্রধান কৌশল কর্মকর্তা তাইস সাইব্ট। সেশনটি পরিচালনা করেন জিআইজেএনের জার্মান সম্পাদক ও স্বাধীন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সারা উলরিখ।
প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী নারীদের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরে সুনির্দিষ্ট এই চ্যালেঞ্জগুলো কতটা প্রচলিত আর অহরহ ঘটে চলেছে। তবে তারা শুধু চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করেই থেমে থাকেননি, নিজেদের সুরক্ষিত রেখে রিপোর্টিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন কৌশল আর উপায় তৈরি করেছেন।
কথা বলুন ও সহায়তা নিন
সার্বিয়ান অনুসন্ধানী সাংবাদিক পেচো বর্ণনা করেন কয়েক বছর আগে তিনি কেমন আতঙ্কের মধ্যে পড়েছিলেন যখন দেখেন কারা যেন তার ফ্ল্যাটটি তছনছ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু কিছুই চুরি হয়নি। কেননা তা ছিল নিছক মানসিক চাপ সৃষ্টির কৌশল। তাকে মনে করিয়ে দেওয়া যে তার ব্যক্তিগত জীবনে অনায়াসেই ঢুকে পড়া সম্ভব।
দুর্নীতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ে কাজ করা স্বাধীন ডিজিটাল নিউজরুম করিক–এর প্রতিষ্ঠাতা দলের সদস্য হিসেবে পেচো উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, যার মধ্যে ছিল প্যানামা পেপার্স ও প্যান্ডোরা পেপার্স।
তাকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা এটিই প্রথম নয়। আগে থেকেই কুৎসা রটনা আর নজরদারির মুখোমুখি হয়েছিলেন পেচো ও তার দল। যেখানে “ অফিসে আমরা কী কথা বলি, তারা সে কথা পর্যন্ত জানত,” — আর তাদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয় যে তিনি ও তার সহকর্মীদের “সারি করে দাঁড় করিয়ে গুলি করা উচিত।”
পিছু হটার বদলে, পেচো কৌশলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন — শুধু বাড়িতে ঢোকার ঘটনাই নয়, বরং তাদের নিউজরুমকে ঘিরে ধারাবাহিক হয়রানির পুরো চিত্র তুলে ধরেন।
“আমি চাইছিলাম তারা বুঝুক, তারা যদি মনে করে এভাবে আমার রিপোর্টিং বন্ধ করতে পারবে, তাতে কোনো কাজ হবে না। তুমি যদি এই খেলা খেলতে চাও, নিয়মটা আমি ঠিক করব,” তিনি বলেন। তিনি আরও জানান, সহকর্মীদের সহযোগিতা ও সমর্থনই তাকে সাহসী করে তুলেছিল এবং একাকীত্ব থেকে বের করে এনেছিল।
মুখ বন্ধ না করে থাকার সিদ্ধান্ত তাকে দুইভাবে সুরক্ষা দেয়: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ, এবং দাতাদের কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তার প্রদানের আশ্বাস। কেননা দাতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে এসব হামলা মূলত নজরদারিমূলক সাংবাদিকতাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টা।
ডেটা ব্যবহার করে ন্যায্য পারিশ্রমিক দাবি করুন
আজও বিশ্বজুড়ে পুরুষদের তুলনায় নারীরা গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ কম আয় করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের তথ্য অনুযায়ী, এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশ পেরিয়ে বার্তাকক্ষের আকার বা রিপোর্টিংয়ের ধরন যাই হোক না কেন সাংবাদিকতায় লিঙ্গভিত্তিক মজুরি বৈষম্য এখনো বিদ্যমান।
পরীক্ষামূলক সময় শেষে বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে চেংকে তার বস এই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি নাকি তার সহকর্মীদের তুলনায় কম বেতন পাচ্ছেন না। তর্কে না গিয়ে চেং নিজেই নিজের কর্মমূল্যায়ন করেন। তিনি তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর তালিকা করেন, প্রতিটির পাঠকসংখ্যা নিয়ে অভ্যন্তরীণ ডেটা জোগাড় করেন, এবং কোন কোন প্রকাশনা তার করা প্রতিবেদন থেকে উদ্বৃতি বা উক্তি ব্যবহার করেছে তার লিংক যুক্ত করেন। শেষ পর্যন্ত তার বেতন বাড়ে।
কমিউনিটি গড়ে তুলুন, দৃশ্যমানতাও বাড়ান
২০২৫ সালে রয়টার্স ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় উঠে আসে, বার্তাকক্ষের নেতৃত্বে লিঙ্গ বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। গবেষণাটি ১২টি দেশের ২৪০টি বড় অনলাইন ও অফলাইন সংবাদমাধ্যম বিশ্লেষণ করে। এই সংবাদমাধ্যমগুলিতে, শীর্ষ সম্পাদকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র ২৭ শতাংশ, যদিও দেশগুলোতে সাংবাদিকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ।
আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো—জরিপে অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দেশে, এমনকি যেসব দেশে নারী সাংবাদিকের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি, সেখানেও নেতৃত্বের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ সম্পাদকীয় পদে পুরুষরাই প্রাধান্য ধরে রেখেছেন। এই তথ্য নেতৃত্বের নাছোড়বান্দা বৈষম্যকে সামনে আনে, যা এখনও বার্তাকক্ষের সংস্কৃতি, অগ্রাধিকার আর সুযোগের বণ্টনকে প্রভাবিত করছে।
সঙ্কটের মূল থেকে পরিবর্তন আনার কাজটি সক্রিয়ভাবে করছেন ফিকেম সাবেন্দোর প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা তাইস সাইব্ট। তাইতো তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ক্লাসে নারী বক্তাদের আমন্ত্রণ জানান। কেননা, তিনি বিশ্বাস করেন নারীদের অনুসন্ধানী নেতৃত্ব দেখলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সেই ভূমিকায় কল্পনা করতে পারে।
“আমি সামষ্টিক শক্তিতে বিশ্বাস করি, দৃশ্যমানতার শক্তিতে বিশ্বাস করি… অংশগ্রহণ, উপস্থিতি—তা যত সামান্যই হোক না কেন, অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” বলেন তিনি।
দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আগ্রহী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কাজটি করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, প্রতিনিধিত্ব কিভাবে আত্মবিশ্বাস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুনর্গঠিত করতে পারে। ক্লাসরুমের বাইরে, তিনি বিশেষভাবে তরুণ নারীদের জন্য ফেলোশিপের ব্যবস্থা করেছেন, যেখানে রিপোর্টিং, ডিজাইন এবং নিরাপদ গবেষণার কৌশল শেখানো হয়। ২০২৪ সালে তার আটজন ফেলোর মধ্যে অর্ধেকই ব্রাজিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধানী পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, তিনি জানান।
বিশ্রামকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে পুনর্বিবেচনা করুন
চেং হংকংয়ের একটি সাংবাদিক ইউনিয়নেরও প্রধান। তিনি দমনমূলক পরিবেশে রিপোর্টিং চালিয়ে যাওয়ার চাপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, হুমকির কোনো মেয়াদ নেই। মাসের পর মাস, বছর—এমনকি দশক ধরে চলতে পারে। তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে বারবার স্থিতিশীল রাখার জন্য, তিনি পাহাড়ে চড়া, সমুদ্র দেখা এবং অনানুষ্ঠানিক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সান্ধ্যকালীন রান্না বা বই আলোচনার মতো কাজে অংশ গ্রহণের কথা বলেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, খানিক বিশ্রামের পাশাপাশি প্রতিদিনের সংবাদ চক্র থেকে দূরে থাকাটাও শক্তি যোগায়: “মানুষদের আনন্দ উপভোগ করা প্রয়োজন (…) এর ফলে তারা অনেক বেশি সময় যাবৎ কাজ চালিয়ে যেতে পারে ।” আনন্দ করাটা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং তা পেশাগত বার্নআউটের ফলে ছিটকে পড়া থেকে রক্ষার জন্য অপরিহার্য, তিনি যোগ করেন।
নারীবাদী বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা
কর্তৃত্ববাদ দেশের সীমানার মধ্যে থেমে থাকে না, তাই সাংবাদিকদের সহযোগিতার গণ্ডিও সেখানে থেমে থাকা উচিত নয়। বক্তারা এবং শ্রোতারা এমন নেটওয়ার্ক গঠনের আহ্বান জানান, যা বিভিন্ন দেশের নারীদের যুক্ত করবে—যাতে নারীদের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলা সংবাদমাধ্যমবিরোধী হুমকি, যেমন আফগানিস্তানে তালেবানদের নারীদের মুছে ফেলার পদক্ষেপ, একক ক্ষোভ নয় বরং সামষ্টিক বৈশ্বিক চাপের মুখে পড়ে।
জিআইজেএনের উইমেন ইনভেস্টিগেটিভ নেটওয়ার্ক এবং উইমেন হু ওন দ্য ওয়ারসহ বিভিন্ন গ্রুপ মেনা অঞ্চলে নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়, মেন্টরশিপ করায় এবং তাদের পক্ষে কথা বলে। প্যানেলিস্ট ও দর্শকরা এই উদ্যোগগুলো আরও ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। যেমন, মেইলের তালিকা, সম্মিলিত সমাবেশের আয়োজন, তথ্য-জ্ঞানগুলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া—যা সম্মেলনের ফাঁকে অনানুষ্ঠানিক কফি আড্ডার মাধ্যমেও হতে পারে। নারী সাংবাদিকরা যখন একত্র হন, তখন কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থাগুলো তাদের অন্যতম শক্তিশালী কৌশলগুলোর একটি হারিয়ে ফেলে—যে কৌশলটিকে ব্যবহার করে তারা আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় যে আমরা নারীরা একা।
আরও কিছু পরামর্শ ও মোকাবিলার কৌশল
সেশনে উঠে আসা অন্যান্য পরামর্শের মধ্যে ছিল—
- আপনি যদি ক্ষমতা ও প্রভাব তৈরি করার মতো অবস্থানে থাকেন, তাহলে তা ব্যবহার করে অন্য নারী ও প্রান্তিক সাংবাদিকদের জন্য জায়গা তৈরি করুন। আপনার কাছে থাকা তথ্য-সম্পদগুলো ভাগাভাগি করুন এবং নিজেদের ও একে অন্যের ওপর বিনিয়োগ করুন।
- পুরুষ মিত্রদের ভূমিকা চিহ্নিত করুন এবং তা স্বীকৃতি দিন।
- পুরুষ সহকর্মীদের জন্য: কয়েকজন প্যানেলিস্ট বলেছেন, সমর্থক পুরুষ সহকর্মীরা কীভাবে নীরবে তাদের ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন—সুযোগের দরজা খুলে দিয়ে, মেন্টরশিপ দিয়ে, অথবা সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করে, যেমন: “আপনার কী প্রয়োজন?” এবং “আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?”
- প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের ওপর বিনিয়োগ করুন। নিজের মূল্য উপলব্ধিই নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি।
ন্যাশনাল ম্যাগাজিন কোমোরের সহপ্রতিষ্ঠাতা হায়াতে আবদু বলেন, তার এক অস্ট্রেলীয় পুরুষ সহকর্মী নিয়মিত তার খোঁজ-খবর নেন এবং তাকে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা দলের সঙ্গে সংযুক্ত করেন: “আজ আমি যে অনুসন্ধানী সাংবাদিক হয়েছি, তা তার কারণে।” প্রকৃত মিত্রতা নারীদের কণ্ঠকে জোরালো করে তোলে, কিন্তু তাদের আড়াল করে না।
নারী, নারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া এবং নন-বাইনারি সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য জিআইজেএন একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড তৈরি করেছে, যা হয়রানি, বৈষম্য এবং একাকিত্বের মোকাবেলায় সাহায্য করবে। যেখানে রয়েছে সহকর্মীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের, সহায়তা নেওয়ার এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশিকা।