
ওয়াচডগ গণমাধ্যমের জন্য নতুন অ্যাডভাইজরি সেবা চালু করল জিআইজেএন
জিআইজেএন হেল্প ডেস্ক সেবার পরিসর বাড়িয়েছে। এখানে যোগাযোগ করলে এখন আইনি সহায়তা, ব্যবসায়িক বিকাশ এবং নিরাপত্তা, সুরক্ষা পরামর্শসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তাও পাওয়া যাবে।
জিআইজেএন হেল্প ডেস্ক সেবার পরিসর বাড়িয়েছে। এখানে যোগাযোগ করলে এখন আইনি সহায়তা, ব্যবসায়িক বিকাশ এবং নিরাপত্তা, সুরক্ষা পরামর্শসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তাও পাওয়া যাবে।
বিক্ষোভ-আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও থেকেও অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেন সাংবাদিকেরা। ঠিক যেমনটি দেখা গেছে কলম্বিয়ায় পুলিশি নির্যাতনের ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্রের ক্ষেত্রে। বেলিংক্যাট ও ফরেনসিক আর্কিটেকচারের সঙ্গে জোট বেঁধে এই মানচিত্র তৈরি করেছে কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যম, সেরোসেতেন্তা। পড়ুন এই সহযোগিতামূলক প্রকল্পের নেপথ্যের গল্প।
কঙ্গোয় ইবোলা সংক্রমণের সময় জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন ৪০ জন নারী। গত সেপ্টেম্বর থেকে নিপীড়নের এমন ঘটনাগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে দ্য নিউ হিউম্যানিটারিয়ান। এতে ত্রাণ ও সাহায্য সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে রীতিমত সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতকিছুর পরও এসব ঘটনা নিয়ে তদন্ত খুব একটা এগোয়নি, কেউ বিচারের মুখোমুখিও হননি। উল্টো, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিউ হিউম্যানিটারিয়ানকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, কেন তারা ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ করেনি। এই লেখায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছে, অনুসন্ধানী সংগঠনটি।
সংবাদকে বলা হয় ইতিহাসের প্রথম খসড়া। কিন্তু কারিগরীসহ নানা কারনে সাইট থেকে অনেক খবর মুছে বা হারিয়ে যায়। যেমন: ১৯৯৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হওয়া আর্টিকেলের ২৩ লাখ হাইপারলিংকের সিকিভাগেই এখন আর প্রবেশ করা যায় না। সবার ক্ষেত্রেই কমবেশি এমন হচ্ছে। এর ফলে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এসব ভাষ্য থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আর্কাইভ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা গণমাধ্যমের একটি বড় দায়িত্ব। জেনে নিন, সেটি যথাযথভাবে সংরক্ষণের ৬টি পরামর্শ।
আর্থ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক মূলত গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা, ইন্টারনিউজের একটি প্রকল্প। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাংবাদিকদের সহায়তা করা, যেন তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ নিয়ে যথাযথ রিপোর্ট করতে পারেন। এই নেটওয়ার্ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রধানত চারভাবে সহায়তা দেয়: তহবিল, প্রশিক্ষণ, রিসোর্স ও মেন্টরশিপ। এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতার সম্পাদকীয় এবং আর্থিক মডেলও তৈরি করেছে তারা। পড়ুন, তাদের সম্পর্কে।
আপনি কি সাংবাদিক? কখনো মনে হয়েছে কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে? ইদানীং শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি গোয়েন্দাদেরও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারিতে লাগানো হচ্ছে। এই লেখায় সেই গোয়েন্দারাই বলছেন, কেউ পিছু লাগলে আপনাকে কী করতে হবে!
২০১৭ সালের শীতে ব্রিটিশ সাংবাদিক মেইভ ম্যাকক্লিনাহানের চোখ আটকে যায় এক টুইটার পোস্টে। তাতে, নি:সঙ্গ এক গৃহহীন ব্যক্তির নির্মম মৃত্যুর খবর। আরেকটু খোঁজ করতেই বেরিয়ে এলো এমন ঘটনা ঘটছে হরহামেশা, এবং গোটা যুক্তরাজ্যজুড়ে। তারপরের গল্পটা ১৮ মাস ধরে চলা এক অনুসন্ধানের, যা কিনা একে একে ৮০০ গৃহহীনের নিঃসঙ্গ মৃত্যুকে সামনে নিয়ে আসে, এবং বদলে দেয় এ নিয়ে এতদিন ধরে জেনে আসা সরকারি ভাষ্যটাকেই। এই লেখায় চমকপ্রদ সেই অনুসন্ধানের পেছনের গল্প।
ইন্টারনেট মিম অনেকের কাছেই শুধু হাস্যরসের বিষয়। আবার অনেকের কাছে তা চরমপন্থী গ্রুপে নতুন সদস্য আমদানির কৌশল। ইন্টারনেট মিমের প্রভাবে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কিভাবে এক উচ্চশিক্ষিত নারীর চিন্তাভাবনায় নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে, তা উঠে এসেছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক ভিজ্যুয়াল প্রতিবেদনে। এই লেখায় পড়ুন সেই অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন তৈরির নেপথ্যের গল্প।
গণতান্ত্রিক বিকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা-র গুরুত্ব সম্পর্কে সবাই জানেন। কিন্তু জানেন কি, এর প্রভাব আছে অর্থনীতির বিকাশেও? গবেষণা বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত — যেমন সাংবাদিকদের কারাবন্দী করা, বাড়িতে হানা দেওয়া, ছাপাখানা বন্ধ করে দেওয়া, বা ভয় দেখানোর জন্য মানহানির মামলা করা — অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
একটি বড় পাঠক গোষ্ঠী গড়ে তোলা এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করার কৌশল ও পরামর্শ তুলে ধরা হবে জিআইজেএনের এই ওয়েবিনার সিরিজে। এতে অংশ নিচ্ছেন এমন একজন মিডিয়া স্ট্র্যাটেজিস্ট যার গণমাধ্যমে বিনিয়োগ ও সম্প্রসারণে দুই দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে, থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পাঠক বাড়ানোর কাজে পারদর্শী, আর দুই জন ডিজিটাল স্পেশালিস্ট যারা সফলভাবে অনুসন্ধানী আউটলেট পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
গুপ্তচররা যে ভালো নজরদারি এড়াতে পারেন, তা সবারই জানা। তবে সাংবাদিকদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও অনুসন্ধানী মনোভাব যে এসব ছদ্মবেশী রাষ্ট্রীয় গুপ্তচরকেও সনাক্ত করে ফেলতে পারে, তার আদর্শ সাম্প্রতিক উদাহরণ: আলেক্সি নাভালনির বিষকাণ্ড। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় এই নেতাকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে যে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত, তা সাংবাদিকরা বের করে ফেলেছেন অভিনব সব অনুসন্ধানী কৌশল ব্যবহার করে। যা কখনো কখনো তুলেছে কিছু নৈতিকতার প্রশ্নও।
সংবাদমাধ্যমে মোটা দাগে মাদকসেবী বা যৌনকর্মী হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছিল শিকাগোতে খুন হওয়া ৫১ জন নারীকে। স্বভাবতই তারা চলে যেতে বসেছিলে বিস্মৃতির পাতায়। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি প্রকল্পের কারণে। যেখানে এই খুন হওয়া নারীদের কথা স্মরণ করা হয়েছে নতুন করে। দেখানো হয়েছে: কিভাবে তাদের পরিবার ও বন্ধুরা এখনো লড়াই করছে ন্যায়বিচারের জন্য।
প্রথাগত গণমাধ্যমের জন্য ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন। এতে লম্বা সময় লাগে। কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি, আয়ের উৎসে বৈচিত্র্য আনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় মনোভাবগত পরিবর্তন। প্রথাগত সংবাদমাধ্যমের ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাতে আগ্রহী- এমন যে কারো জন্য অনেক উপকারী হবে পরামর্শগুলো। মূলত এশিয়ার প্রেক্ষাপটে বলা হলেও, এগুলো আসলে গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের জন্যই প্রাসঙ্গিক।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এমনিতেই পরিশ্রমের কাজ। সাথে নানা রকম টেনশন। আর কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়া মগজটাকে বিশ্রাম দিতে আমরা অনেকেই আশ্রয় নিই বই পড়ায়। ভাবছেন কী পড়বেন? জিআইজেএন বুকশেলফ থেকে এখানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক ডজন বইয়ের একটি তালিকা দেয়া হলো, যা ২০২১ সালজুড়ে আপনার বই পড়ার অভ্যাসকে চাঙ্গা রাখবে।
আটটি দেশের আটটি সংগঠনকে নতুন সদস্য হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক। এদের মধ্যে গ্রিস এবং জাম্বিয়া থেকে এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান জিআইজেএনের সদস্য হলো। এই নতুন সদস্যদের নিয়ে, আমাদের নেটওয়ার্কে এখন যুক্ত হলো ৮২টি দেশের ২১১টি সংগঠন।
শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত এবছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সম্মেলনটি অনলাইনেই আয়োজন করতে হচ্ছে জিআইজেএনকে। তবে সশরীরে সম্মেলনে অংশ নিতেও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২২ সালের ১৪-১৮ অক্টোবর, সিডনিতেই আয়োজিত হতে যাচ্ছে পরবর্তী সম্মেলনটি।
জিনজিয়াং প্রদেশের আকার ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় চারগুণ। এত বিশাল জায়গাজুড়ে রিপোর্টিং করার বাড়তি চ্যালেঞ্জ আছে। পাশাপাশি আছে আটক হওয়ার সার্বক্ষণিক ভয়। সব মিলিয়ে, জিনজিয়াংয়ের বন্দীশিবির নিয়ে মাঠপর্যায়ে রিপোর্টিং করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তবে মাসখানেকের মধ্যেই আমরা এমন এক কৌশল বের করি, যা দিয়ে অনুসন্ধানের কাজটি সম্ভব বলে মনে হতে থাকে।
সাংবাদিকতার প্রধানতম একটি নিয়ম যেমন তথ্য যাচাই করা; তেমনি মর্মান্তিক ঘটনার শিকার বা সাক্ষীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ক্ষেত্রে ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হচ্ছে: ভিকটিমকে নতুন করে ভিকটিম না বানানো। মানবিকতা ও সংবেদনশীলতার সাথে পীড়িতদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ১৫টি পরামর্শ এখানে তুলে ধরেছেন মেক্সিকোর অভিজ্ঞ অনুসন্ধানী সাংবাদিক মার্সেলা তুরাতি, যিনি তার সাংবাদিকতা জীবনই পার করে দিয়েছেন গুম, খুন, আর লুকোনো কবরের অনুসন্ধানে।
পরিবেশ নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য গোটা বিশ্বেই বিখ্যাত গুস্তাভো ফালেইরোস। ব্রাজিলের এই সাংবাদিক এখন পুলিৎজার সেন্টারের রেইনফরেস্ট ইনভেস্টিগেশন নেটওয়ার্ক (আরআইএন)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জিতেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। পড়ুন, পরিবেশ ও জিও-অনুসন্ধানে তিনি কোন সব টুল বেশি ব্যবহার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কী শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞানচর্চাই হবে নাকি সেসব জ্ঞান হাতেকলমে চর্চা করে দেখার সুযোগও পাওয়া যাবে? কেমন হতো, যদি দুটিই পাওয়া যেত একসঙ্গে! তেমনটিই হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিকতা বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কেন্দ্রগুলো, রিপোর্টিংয়ের নানা কলা-কৌশল শেখানোর পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবে চর্চা করারও সুযোগ করে দিচ্ছে। পড়ুন এই মডেলটির অসীম সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জের গল্প।
অনলাইনে এখন সত্যের বস্তুনিষ্ঠতা হামলার সম্মুখীন, একইভাবে সাংবাদিকরাও। হুমকি, ডক্সিং, হ্যাকিং, প্রাইভেসি লঙ্ঘন, ব্যক্তিগত ছবির বিদ্বেষপূর্ণ বিকৃতি – এসব বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবতে হচ্ছে রিপোর্টারদের, যা আগে অনেক দূরের ব্যাপার বলে মনে হতো। এধরনের হামলার কারণে রিপোর্টাররা সত্যিকারের জীবন-মরণ সঙ্কটে পড়ে যেতে পারেন। এতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হতে পারে, এমনকি তারা পেশা ছাড়তেও বাধ্য হতে পারেন। বদলে যাওয়া সময়ে, এই লেখাটি নিজের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে নিতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে আপনাকে।
অনেকেই স্মার্টফোনে ভালো ছবি তোলার জন্য নানা রকম অ্যাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কী জানেন, স্মার্টফোনের সঙ্গে থাকা সাধারণ ক্যামেরা অ্যাপটি দিয়েই কত কিছু করা সম্ভব? এই লেখায় মোজো গুরু ইভো বুরাম, মোবাইল ক্যামেরার সেই অপশনগুলোর কথা বলছেন, যা দিয়ে রীতিমত পেশাদারি মানের ছবি তোলা যায়, এবং সহজেই।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধীদের জন্য মানুষের তেমন সহানুভূতি নেই। পত্রিকাতেও তাদের কারা-জীবন নিয়ে খবর হয় না ততটা। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়েই বছরের পর বছর অনুসন্ধান করে গেছেন, রুথ হপকিন্স। তুলে এনেছেন, কারাবন্দীরাও কতটা অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হন, এবং কিভাবে তাদের দুর্দশাকে ঘিরে রমরমা ব্যবসা ও মুনাফা করে যাচ্ছে বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি ও তাদের অংশীদাররা।
সাংবাদিকতায় অর্থ সাহায্য নিয়ে আছে অনেক সমালোচনা। নিম্নআয়ের দেশগুলিতে এটি ধ্বংস করছে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গ্রহণ করতে পারলে উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়ন হয়ে উঠতে পারে গণমাধ্যম উন্নয়নের টুল। যেখানে সাংবাদিকতা, দাতাগোষ্ঠী ও পাঠক-দর্শক; জয় হবে সবারই।
ক্রীড়াজগতে যৌন নিপীড়ন; বিক্ষোভে পুলিশি সহিংসতা, ইয়েমেন যুদ্ধে ফরাসী অস্ত্র – এমন দারুন কিছু অনুসন্ধানের মাধ্যমে অল্পদিনের মধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে ফ্রান্সের স্বাধীন অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম, ডিসক্লোজ। ভাবলে অবাক হতে হয়, সাড়া জাগানো এই অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যমটির নিয়মিত কর্মী মাত্র পাঁচজন! পড়ুন, কিভাবে ফ্রান্সের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জগত কাঁপিয়ে দিচ্ছে ছোট এই নিউজরুম।
রাশিয়ায় অ্যালেক্সি নাভালনির অনুসন্ধানী দলটি প্রথাগত অর্থে সাংবাদিকতা করে না। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। কিন্তু তারাই উন্মোচন করেছে, ১৩৫ কোটি ডলারের প্রাসাদ নির্মাণের নেপথ্যের দুর্নীতি এবং তার সাথে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক। পড়ুন, তাদের এই অনুসন্ধান থেকে সাংবাদিকদের যা শেখার আছে।
জাতিসঙ্ঘে ভোটাভুটির ইতিহাস ও বিবর্তন, টুইটার ডেটা দিয়ে আরব বসন্ত স্মরণ, যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশি সহিংসতা, চীন-ভারতের সীমান্ত দ্বন্দ্ব; ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাক লাগানো সব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল জাজিরার ইন্টারঅ্যাকটিভ দল। এসব কাজে কী ধরনের টুল ব্যবহার করা হয়, তা জানাচ্ছেন এজে ল্যাবের প্রধান মোহাম্মদ হাদ্দাদ।
কোভিড টিকার বেচাকেনায় স্বচ্ছতার অভাব, উদ্বেগের একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও কোথাও চুক্তিপত্র প্রকাশ করা হলেও সেখানে টিকার দাম, সরবরাহের শর্ত, মেধাসত্ত্ব – এমন গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় গোপন রাখা হচ্ছে। তারপরও সাংবাদিকরা অনেক টিকা বেচাকেনায় অস্বচ্ছতা তুলে আনছেন, বের করছেন চুক্তি ঘেঁটে তথ্য খুঁজে বের করার নতুন নতুন কৌশল। পড়ুন, হয়তো আপনারও কাজে আসবে।