প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Image: Courtesy of DIG

লেখাপত্র

বিষয়

২০২২ ডিগ ফেস্টিভাল অ্যাওয়ার্ড: তথ্যচিত্রে উঠে আসা গোপন বাহিনী, গুপ্ত হত্যা ও স্বৈরশাসকের পতন

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

ছবি: ডিগ ফেস্টিভ্যালের সৌজন্যে

২০২২ সালের ডিগ ফেস্টিভ্যালে যেসব তথ্যচিত্র বিজয়ী হয়েছে তাদের বেশিরভাগেরই উপজীব্য ছিল প্রভাবশালীদের গল্প ও রুদ্ধদ্বারের আড়ালে ঘটে যাওয়া ঘটনা। ভাড়াটে সৈনিকদের প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ নিয়ে এক ঘন্টার ফরাসি তথ্যচিত্র এবং অভ্যুত্থানের মুখে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের শেষ উন্মত্ত ফোন কল নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছিল এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

এবারের আসর বসে ইতালীয় শহর মোডেনায়। বিশ্বের সেরা অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র, ভিডিও প্রতিবেদন এবং পডকাস্ট নিয়ে প্রতি বছর এই আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাপী ৪০০টির বেশি মনোনয়ন থেকে এ বছরের বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়েছে।

ইতালীয় ভাষায় ডিগ অর্থ ডকুমেন্টারি ইনচিয়েসস্তে জার্নালিজমি (বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় তথ্যচিত্র, অনুসন্ধান, সাংবাদিকতা)। এই অলাভজনক সংগঠন জিআইজেএনের সদস্য এবং তারা ইতালিসহ গোটা বিশ্বে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সমর্থনে কাজ করে।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রকল্প দুটি তাদের অনুসন্ধানী নজর দিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার শাসনামলের ওপর। একটি প্রকল্প অনুসন্ধান করেছে আধাসামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপকে নিয়ে। রাশিয়া বরাবরই সংস্থাটির অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও বিশ্বজুড়ে সংঘাতে এই বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছিল। আরেকটি প্রকল্প ২০১৫ সালে রাশিয়ার সবচেয়ে সুপরিচিত বিরোধী রাজনীতিবিদ বরিস নেমতসভের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে। এছাড়া সমুদ্রে ব্যাখ্যাতীত মৃত্যু রহস্য উন্মোচনকারী একটি অনুসন্ধানী পডকাস্ট পুরস্কার জেতে এবং ওপেন সোর্স অনুসন্ধানী দল বেলিংক্যাট পায় ওয়াচডগ পুরস্কার৷

চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীতদের তালিকা দেখা যাবে এই লিঙ্কে, আর বিজয়ীদের তালিকা নিচে দেওয়া হল

সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য অনুসন্ধানী চলচ্চিত্র: ‘ওয়াগনার, পুতিনস শ্যাডো আর্মি’

আলেকজান্দ্রা জুসেট ও কেসনিয়া বলচাকোভা পরিচালিত ফ্রান্স টিভির এই তথ্যচিত্র বিতর্কিত ও গোপন বেসরকারি সামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপ নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। বিশ্বজুড়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতি দেখা যায়। অনুসন্ধানী দলটি- ওয়াগনার গ্রুপ এবং বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মধ্যকার সম্পর্কও খতিয়ে দেখে। রাশিয়া বরাবরই রাষ্ট্রের সঙ্গে এই সংগঠনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেও প্যানেলের বিচারকেরা ড্যানিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ম্যাডস ব্রুগার পরিচালিত এই তথ্যচিত্রকে অভিহিত করেছেন এই বলে যে এটি “একটি জোরালো ভিজ্যুয়াল চলচ্চিত্র যা কর্পোরেশন ও রাষ্ট্রের যোগসাজশে টিকে থাকা একটি অস্বচ্ছ আর্থিক কাঠামোর চিত্র তুলে ধরে।” প্যানেলটি “এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী, জটিল ও বিপজ্জনক অনুসন্ধানের” সঙ্গে জড়িত দলটির প্রশংসা করেছে। অনুসন্ধানের জন্য দলটি তিনটি মহাদেশ জুড়ে অর্থের গতিপথ অনুসরণ করেছে।

মাঝারি দৈর্ঘ্যের সেরা অনুসন্ধানী চলচ্চিত্র: ‘নেমতসভস শ্যাডো’

ক্রিস্তো গ্রোজেভ (বেলিংক্যাট), ইয়র্দান সালোভ (বিবিসি, বেলিংক্যাট) ও রোমান দোব্রোখতভের অনুসন্ধানী দলের (দ্য ইনসাইডার) পরিচালনায় নির্মিত এই তথ্যচিত্র, ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকালে রাশিয়ায় সবচেয়ে মর্মান্তিক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে। রাশিয়ায় সরকার বিরোধীদের অন্যতম ছিলেন পুতিনের কঠোর সমালোচক বরিস নেমতসভ। ক্রেমলিনের কাছে একটি সেতুর উপর তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালের এই হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন দোষী সাব্যস্ত হলেও সংরক্ষিত ফুটেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং নেমতসভের পুরানো বন্ধু ও সহযোগীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে অনুসন্ধানী দলটি হত্যার নির্দেশদাতা সম্পর্কে অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করে। তাঁদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে মৃত্যুর এক বছর আগে থেকেই এই রাজনীতিবিদকে অনুসরণ করা হত। প্যানেলের বিচারকেরা এই চলচ্চিত্রকে “পুতিনের শাসনামলের অন্ধকার দিক নিয়ে সময়োপযোগী অনুসন্ধান” বলে আখ্যা দিয়েছেন। দলের অন্যতম অনুসন্ধানকারী আলিয়াউম লেরয় পুরস্কার জয়ের পর বলেছেন: “আমরা এই চলচ্চিত্র রুশ জনগণকে উৎসর্গ করতে চাই, যারা এখনো রাশিয়ায় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সংগ্রাম করেন… ঝুঁকি নিয়ে এখনো রাস্তায় প্রতিবাদে মুখর হন আর ক্ষমতার কর্ণকুহরে পৌঁছে দেন নিজেদের কণ্ঠস্বর।”

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ‘দ্য ডিক্টেটরস লাস্ট কলস’

এ বছরের শুরুতে জিআইজেএন, এই রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্রের অনুসন্ধানী প্রযোজক-পরিচালক আমির নাদেরের সঙ্গে কথা বলেছিল। এবারের ডিগ প্রতিযোগিতায় এই তথ্যচিত্রটি সেরা অনুসন্ধানী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। এই তথ্যচিত্র মূলত, তিউনিসিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইন এল আবিদিন বেন আলীর শেষ সময়ের অ্যানিমেটেড উপস্থাপন। ২০১১ সালে এক আন্দোলনে এই শাসকের দীর্ঘ ২৩ বছরের একনায়কত্বের অবসান হয়েছিল। শেষপর্যন্ত এই আন্দোলন আরব বসন্তে রূপ নেয় – পরিণতিতে তিনি  পদত্যাগে বাধ্য হন এবং সৌদি আরবে নির্বাসিত হন। এই সাবেক নেতার অডিও রেকর্ডিং সম্বলিত এই চলচ্চিত্র নিয়ে বিচারকেরা বলেছেন, “ক্ষমতার শীর্ষ থেকে লুটিয়ে পড়া এক স্বৈরশাসকের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রতিচিত্র।” তারা নাদেরের অডিও ফরেনসিক ও অ্যানিমেশনের ব্যবহার এবং গল্পে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে প্রতিকূলতার মুখে পড়ার বিশদ বর্ণনারও প্রশংসা করেছে।

সেরা অডিও ও পডকাস্ট: ‘ইন ডার্ক ওয়াটারস’

ফরাসি মাছ ধরার ট্রলার বুগালেড ব্রেইজ ডুবে যাওয়ার পর বছরের পর বছর ধরে, সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া পাঁচ নাবিকের পরিবারকে বলা হচ্ছিল যে মাছ ধরতে গিয়ে একটি সাধারণ দুর্ঘটনায় তাদের প্রিয়জন নিহত হয়েছে। কিন্তু এই চার-পর্বের অনুসন্ধানী পডকাস্টের সঙ্গে জড়িত সাংবাদিক অ্যাডেল হামবার্ট ও এমিলি ডেনেত্রে এক বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্যের অসঙ্গতি তুলে ধরতে সৃজনশীল শব্দকৌশল ব্যবহার করেছেন। অথচ তার বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলাটি শেষ হতে বসেছিল। প্যানেলের বিচারকদের মতে, এই শব্দকৌশলের ব্যবহার এক কথায় “দুর্দান্ত অনুসন্ধানী কাজ।” ডিগ বিচারকেরা বলেছেন, তারা “সর্বসম্মতভাবে” প্রযোজনা, লাইভ শট ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রশংসা করেছে। পরিচালক হামবার্ট বলেছেন, তাঁর দল “গল্পে জোর দেয়া এবং ভুক্তভোগীদের ভুলে না যাওয়ার বিষয়টিকে জরুরি বলে মনে করেছে।”

সেরা দীর্ঘ প্রতিবেদন: ‘ইরাসমাস ইন গাজা’

তথ্যচিত্রের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিবেদনধর্মী এই চলচ্চিত্রে এক তরুণ ইতালীয় মেডিকেল শিক্ষার্থী রিকার্দো কোরাদিনিকে অনুসরণ করা হয়। এই শিক্ষার্থী ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইরাসমাস প্রোগ্রাম নামে পরিচিত, প্রবাস-শিক্ষাকাল গাজায় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্রের শুরুতে তাঁর এক বন্ধু বলেন “বেশ অস্বাভাবিক একটি ইরাসমাস।” কথাটিকে একই সঙ্গে দুঃখজনক ও রসাত্মক বললে কম বলা হবে। সাদা মেডিকেল অ্যাপ্রোন পরিহিত কোরাদিনির কাছে আহত রোগী, যুবক, শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে – এমন একটি দৃশ্যে তিনি পরিচালক মাত্তিয়ো দিলবো ও চিয়ারা আভেসানিকে বলেন, “বিষয়টি আমার জন্য সহজ হবে ভেবে আমি খুব ভুল করেছি।” গাজায় জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ গোলাগুলি ও সহিংসতার বিষয়টি জানিয়ে নিজেকে “নিজের চেয়ে অনেক বড় কিছুর বিপরীতে” খুঁজে পাওয়ার কষ্টের কথা তুলে ধরেন তিনি। বিচারক প্যানেল চলচ্চিত্রটিকে “একজন মানুষের পরিণত হবার গল্প ও গাজার দৈনন্দিন জীবনের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্রের অপ্রত্যাশিত সংশ্লেষ” বলে অভিহিত করেছেন।

মাঝারি দৈর্ঘ্যের সেরা প্রতিবেদন: ‘গ্যালাক্সিওনটস’

ইউরোপীয় সংস্কৃতি বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল আর্তের আনা রচ ও স্টেফান হিবোজাদের এই প্রামাণ্যচিত্র ছিল ফরাসি ভাষী আরেক বিজয়ী। এই চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু হলেন আফ্রিকান আইনস্টাইন নামে পরিচিত ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর প্রকৌশলী জঁ-প্যাট্রিস কেকা ও মাতৃভূমি থেকে কক্ষপথে একটি রকেট উৎক্ষেপণে তার প্রাণপন চেষ্টা। অথচ দেশটির কখনো কোনো মহাকাশ কর্মসূচি ছিল না, বরং দারিদ্র্যের উচ্চ হারের কারণে সরকার অন্যান্য জরুরি বিষয়কে বেশি অগ্রাধিকার দিত। একে “পাগলামির প্রকল্প” আখ্যা দিয়ে নির্মাতারা বলেন, যন্ত্র তৈরিতে কোনো কিছুই — যেমন; ঘরে তৈরি জ্বালানি, মাটি-চাপা দেয়া বৈদ্যুতিক বর্জ্য ও গুঁড়ো দুধের কৌটা – বাদ দেননি কেকা৷ প্যানেলের বিচারকেরা বলেছেন, চলচ্চিত্রটি “মনোনিবেশ করেছে আশা, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও তাদের স্বপ্ন দেখার সক্ষমতায়,” যা কিনা “সংঘাত ও নিপীড়ন নিয়ে রিপোর্টিংয়ের আধিক্যের এই সময়েও” সব কিছুকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছে।

ওয়াচডগ অ্যাওয়ার্ড ২০২২: বেলিংক্যাট

“নতুন চর্চা, ভাষা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে জোরদার করে এর ব্যাপ্তি বিস্তৃত করার কারণে” ডিগ পর্ষদ জিআইজেএনের সদস্য সংস্থা বেলিংক্যাটের ওপেন সোর্স অনুসন্ধানী দলকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে। এছাড়া “লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যেত বা অপ্রকাশিত থেকে যেত এমন ঘটনার অস্তিত্ব প্রমাণে” রাশিয়া, ইউক্রেন ও সিরিয়ার মত জায়গায় দলটির কাজ যেভাবে সফল হয়েছে, তা নিয়ে ডিগ পর্ষদও উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। কীভাবে দলটি সাক্ষ্যনির্ভর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ডিজিটাল রেকর্ড কাজে লাগাচ্ছে, তা নিয়ে বেলিংক্যাটের কিরগিজস্তান-ভিত্তিক গবেষক/ডেটা-প্রশিক্ষক আইগানিশ আইদারবেকোভা কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “ডেটার বিপদ হল, অপরাধের সেরা ডিজিটাল প্রমাণ নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়। আমাদের মূল লক্ষ্য হল তার আগেই এই ডেটা ধরে রাখা।”

সম্পাদকের নোট: জিআইজেএনের দুই কর্মী — কর্মসূচি পরিচালক অ্যান কোক এবং উপপরিচালক গ্যাব্রিয়েলা মানুলি এবার ডিগ অ্যাওয়ার্ডের বিচারক প্যানেলে ছিলেন।

আরও পড়ুন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে ২০২২ সালের যে পাঁচটি চলচ্চিত্র অবশ্যই দেখবেন

যা দেখবেন: অস্কারের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র

ডিগ ফেস্টিভ্যাল অনারস ইনভেস্টিগেটিভ ফিল্মস দ্যাট এক্সপোজড স্ক্যান্ডালস


Laura Dixonলরা ডিক্সন ব্রিটিশ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। সহযোগী সম্পাদক হিসেবে জিআইজেএনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি চার বছর কলম্বিয়ায় রিপোর্টিং করেছেন এবং প্যারিস ও টেক্সাসের অস্টিনে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা করেছেন। ফার্ক গেরিলা গোষ্ঠীর সঙ্গে কলম্বিয়ার ৫২ বছরের সংঘাতের অবসান নিয়ে তাঁর কাজ টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, আটলান্টিক ও ইউএস নিউজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

হলি প্যাট জিআইজেএনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড এনগেজমেন্ট এডিটর। একজন সাংবাদিক ও সামাজিক মাধ্যম পেশাজীবী হিসেবে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ক্যাপিটাল নিউজ সার্ভিসে কাজ করেছেন এবং সম্প্রতি অলাভজনক সাংবাদিকতা প্রকল্প, আউট ল ওশান প্রজেক্টের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড আউটরিচ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

Studio, headphones, microphone, podcast

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ঘুরে আসুন ২০২৩ সালের বাছাই করা অনুসন্ধানী পডকাস্টের জগত থেকে

নানাবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী পডকাস্ট। এখানে তেমনই কিছু বাছাই করা পডকাস্ট তুলে এনেছে জিআইজেএনের বৈশ্বিক দল।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চিংড়ি চোরাচালান, হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, তামাক শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাব: চীন, হংকং ও তাইওয়ানের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনেক বাধাবিপত্তি ও চ্যালেঞ্জের মুখেও চীন, হংকং ও তাইওয়ান থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রভাব তৈরির মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমনই কিছু প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

InterNation international journalism network

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ইন্টারনেশন: (সম্ভবত) বিশ্বের প্রথম অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নেটওয়ার্ক

প্রায় ৪০ বছর আগে, গড়ে উঠেছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের (সম্ভবত) প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেশন। পড়ুন, এটির নেপথ্যের কাহিনী।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

যে বার্তাকক্ষ ‘চাঁদ ছুঁতে’ চেয়েছিল: বাজফিড নিউজের অনুসন্ধানী দলের উত্থান-পতন নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

বাজফিড নিউজের অনুসন্ধানী দল পৌঁছাতে চেয়েছিল সাফল্যের চূড়ায়। অল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় সব অনুসন্ধান পরিচালনা করে তারা সেই সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল জগতের গতিবিধি পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় শেষপর্যন্ত সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বাজফিড নিউজের কার্যক্রম। এই লেখায় অনুসন্ধানী দলটির কর্মকাণ্ড এবং উত্থান-পতনের গল্প বলেছেন টম ওয়ারেন।