অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সত্য ঘটনা খুঁজে বের করতে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রের মধ্যে সংযোগ তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন এবং অফলাইনে ছড়িয়ে রয়েছে হাজারো নথি, বিভিন্ন রেকর্ড আর ডেটাসেট। এগুলোর মধ্যে ঠিক কোন তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ—সামনের সারির একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে এসব তথ্য খুঁজে পাওয়ার কৌশলগুলো শেখা জরুরি।
সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই আলেফ সম্পর্কে জানেন। অলেফ হচ্ছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)-এর ডেটা প্ল্যাটফর্ম। অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা যেন সহজেই ডেটা অনুসন্ধান, বিন্যাস ও বিশ্লেষণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই সাজানো হয়েছে এটি। বিশেষ করে ”অর্থের উৎস অনুসন্ধান” এর মতো দুর্নীতি ও করপোরেট অপরাধকেন্দ্রিক কাজ যাঁরা করেন এটা তাদের জন্য প্রয়োজন। আলেফ ব্যবহার করে সাংবাদিকেরা বিভিন্ন সূত্রের সংযোগ খুঁজে বের করতে পারেন। এতে রয়েছে পুরানো অনেক ডেটাসেট, যা ব্যবহার করে সাংবাদিকেরা কেম্যান দ্বীপের শেল কোম্পানি, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক হিসাব, আইল অব ম্যানের জেট মালিকানা থেকে শুরু করে “বিপথগামী” লোকেদের অর্থসম্পদ লুকানোর গোপন উৎসগুলোর হদিস বের করতে পারেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাছে পরিচিত নাম আলেফ। প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজতে অনেক রিপোর্টার এটি ব্যবহার করেন। তবে অনেক সাংবাদিক হয়তো আলেফের সব ফিচারের সঙ্গে পরিচিত নাও হতে পারেন। কিংবা কীভাবে এগুলো ব্যবহার শুরু করবেন, জানেন না। এই টিপশীটের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটিতে কীভাবে প্রবেশ করবেন, কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং বিভিন্ন আধুনিক টুল—যেমন বিভিন্ন সংস্থা ও তথ্যের মধ্যে ক্রস-রেফারেন্স করা এবং নেটওয়ার্ক ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মতো কৌশলগুলো কীভাবে কাজে লাগাবেন—তা তুলে ধরা হয়েছে। আপনি নতুন হোন কিংবা অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী, আলেফ থেকে কীভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারেন সে বিষয়ক বিভিন্ন ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে এ লেখায় জানতে পারবেন।
কেন আলেফের সৃষ্টি
আলেফের নাম রাখা হয়েছে লাতিন আমেরিকার লেখক জর্জ লুইস বোর্হেসের একটি ছোট গল্পের নামানুসারে। রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে — ওসিসিআরপির বৃহৎ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সফটওয়্যারটি তৈরি হয়। এটি কর্পোরেট রেজিস্ট্রি, আর্থিক রেকর্ড, ফাঁস হওয়া তথ্য এবং আইনি নথিপত্র থেকে লাখ লাখ ডেটা সংগ্রহ করে তা অনুসন্ধান ও যাচাইযোগ্য করে তোলে।
সাধারণত বড় ডেটাসেট নিয়ে কাজ করার সময় সাংবাদিকরা এক রকমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। বিশেষ করে আন্তঃসীমান্ত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। সত্যি বলতে, সাংবাদিকদের ঠিক এমন একটি সমন্বিত টুলের প্রয়োজন ছিল। যে টুলটি অপ্রয়োজনীয় ডেটা কাঁটছাঁট করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্যাটার্ন এবং সূত্রের মধ্যকার সংযোগগুলো শনাক্ত করতে তাদের সাহায্য করবে। না হলে অনেক তথ্যই হয়তো লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যাবে। আলেফ এই গোটা প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে। সাংবাদিকদের ডেটা বিশ্লেষণ এবং তা থেকে মূল তথ্য খুঁজে বের করার ওপর মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।
আলেফ আবিষ্কারের পর, যতদিন গেছে ততই টুলটির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। বর্তমানে ৪০ কোটির বেশি নথি কিংবা ২০০ টিরও বেশি ডেটাসেটের তথ্য এখানে আছে। যেগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। এছাড়াও বিশেষ বিটের সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু ডেটাসেট। অনেক অপরাধ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশ পর্যন্ত গড়ায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শীর্ষ-স্তরের দুর্নীতি উন্মোচনের প্রয়োজন হয়।
এই ডেটাসেটগুলো এ ধরনের অপরাধ উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাস্তব উদাহরণ: আলেফ ব্যবহার করে অনুসন্ধান
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় অনুসন্ধানী প্রকল্পকে সমর্থন দিয়েছে আলেফ। যেমন, আজারবাইজান লন্ড্রোম্যাট প্রকল্প। যেখানে শেল কোম্পানির মাধ্যমে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কোটি ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। সাংবাদিকেরা অর্থের উৎস খুঁজে খুঁজে এ দুর্নীতির ঘটনা সামনে আনেন।
অপরাধী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সুইস সিক্রেটস প্রকল্পে। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ এবং অপরাধীরা বর্তমানে কীভাবে দুবাইয়ের আবাসন বাজারকে সম্পদ লুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন তা প্রকাশ করা হয় দুবাই আনলকড অনুসন্ধানে। এসব অনুসন্ধানে আলেফের ক্রস-রেফারেন্সিং টুলগুলো সাংবাদিকদের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যের যোগসূত্র আবিষ্কারে সহায়তা করেছে। এটা ছাড়া সূত্রগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজটি সহজ হতো না।
কীভাবে আলেফ ব্যবহার করবেন
আলেফে প্রবেশের জন্য আপনাকে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না। সাংবাদিক, গবেষক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আলেফে অ্যাক্সেসের জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন। প্রতিটি অনুরোধই আমাদের কর্মীরা পর্যালোচনা করেন। এভাবে নিশ্চিত করা হয় যে, আলেফের কাছে পাঠানো অনুরোধটি অনুসন্ধানী প্রচেষ্টার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি ব্যবহারের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে—কিছু ডেটাসেট কেবল কয়েকজন বাছাই করা সাংবাদিকের জন্য সীমিত, অন্যগুলো যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। সাইন আপ না করেও ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখতে পারবেন।
আলেফে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার পর, কর্পোরেট রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে আপনি ফাঁস হওয়া নথি ও বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি আপনার নিজস্ব ডকুমেন্টও আলেফে আপলোড করতে পারেন। প্ল্যাটফর্মের ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনার নথিগুলোও। গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, আপনার আপলোড করা ডেটার ওপর আপনারই নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ঠিক করতে পারবেন, কে বা কারা আপনার নথিগুলো দেখতে পারবে। আপনি যদি চান, তাহলে নথিগুলোকে আপনার ব্যক্তিগত নথি (প্রাইভেট ওয়ার্ক স্পেস) হিসেবে রেখে দিতে পারেন।
শুরু করুন: আলেফ ব্যবহারের প্রথম ধাপ
আলেফের ইন্টারফেসটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে, যেন খুব সহজেই আপনি সেখান থেকে তথ্য খুঁজে নিতে পারেন। এখানে আপনি তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন, তথ্য ফিল্টার করতে পারেন এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য দ্রুত খুঁজে পেতে ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি নতুন ব্যবহারকারী হন, তাহলে ’ডকুমেন্ট সার্চ ফিচার’ থেকে শুরু করুন। গুরুত্বপূর্ণ শব্দ (কী ওয়ার্ড), নাম বা সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করা যায়—এমন শব্দ ব্যবহার করুন। হাজার হাজার তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি না করে আপনার প্রয়োজনীয় ও সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে তারিখ, নথির ধরন, বা সোর্স উল্লেখ করে ফিল্টার করুন।
এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হচ্ছে, বহু-ভাষার ব্যবহার। আলেফ বিভিন্ন ভাষায় নথি বাছাই ও অনুসন্ধান করতে পারে। এটি অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) সমর্থন করে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা ছবি কিংবা স্ক্যান করা নথি থেকে লেখা বা টেক্সট শনাক্ত করে ডিজিটাল টেক্সটে রূপান্তর করে। ফলে স্ক্যান করা ছবি বা পিডিএফ থেকেও তথ্য খোঁজা সম্ভব হয়। আন্তঃসীমান্ত বিষয়ক অনুসন্ধানে আলেফ একটি ভাষা অন্য ভাষায় বদলে নিতে পারে। অর্থাৎ আপনি এখানে ট্রান্সলিটারেশন সার্চ করতে পারেন। যেমন “Путин” (Putin) সিরিলিক লিপি (সিরিলিক লিপি মূলত পূর্ব ইউরোপ এবং ইউরেশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় ব্যবহার করা হয়—যেমন রাশিয়ান, বুলগেরিয়ান, সার্বিয়ান, ইউক্রেনিয়ান) ব্যবহার করে লেখা হয়েছে। ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি, রুশ, আরবি এবং স্প্যানিশসহ আলেফের ইন্টারফেসে ছয়টি ভাষা রয়েছে।
আলেফে কী ধরনের ডেটা রয়েছে?
আলেফে ১৮০টিরও বেশি দেশের ডেটাসেট আছে। যেখানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ব ইউরোপ এবং সাবেক সোভিয়েত অঞ্চলের ওপর। ডেটাসেটগুলোকে হালনাগাদ রাখতে ওসিসিআরপি স্বয়ংক্রিয় স্ক্র্যাপার (কোনো ওয়েবসাইট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামকে বোঝায়) ব্যবহার করে। তবে ডেটার প্রাপ্যতা নির্ভর করে আপনি কোন দেশের ডেটা চাচ্ছেন, তার ওপর। কিছু কিছু দেশের অসংখ্য ডেটাসেট রয়েছে, আবার কিছু অঞ্চলের ক্ষেত্রে তা সীমিত বা অসম্পূর্ণ, সেক্ষেত্রে আপনি ওই দেশগুলো সম্পর্কে কম তথ্য পাবেন।
ওসিসিআরপির ডেটা ও গবেষণা দলটি স্থানীয় সহযোগী সংগঠনের সাথে মিলে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির রেজিস্ট্রি এবং সরকারি ফাইলিং। যেখানে রয়েছে ফাঁস বা হ্যাক হওয়া ডেটাসেট। তবে প্রতিটি ধাপে জনস্বার্থের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নৈতিক পর্যালোচনা করা হয়।
আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ডেটা সরবরাহের মাধ্যমে আলেফের কার্যকারিতা বাড়াতে আপনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ধরুন, আপনি কোনো নথি আপলোড করেছেন—যেমন ফোয়া (তথ্য অধিকার আইন) রেকর্ড বা ফাঁস হওয়া তথ্য। আপনার এ নথিগুলো আলেফের ডেটাসেটের সঙ্গেও মিলিয়ে দেখতে (ক্রস-রেফারেন্স) পারেন। এভাবে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পেয়ে গেলেন, অন্যথায় যা হয়তো নজরেই আসতো না।
আলেফে তথ্য অনুসন্ধান, ফিল্টার ব্যবহার, এবং কীভাবে অ্যালার্ট সেট করবেন তা জানতে নীচের ভিডিওটি দেখুন।
উন্নত ও আধুনিক ফিচার
অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য আলেফ এমন বেশ কিছু উন্নত ফিচার নিয়ে এসেছে যা আপনার অনুসন্ধানের সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। ক্রস-রেফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও পরিচয়ের মধ্যে যোগসূত্র বের করতে পারবেন, যা আন্তঃসীমান্ত নেটওয়ার্ক শনাক্তের কাজকে সহজ করে।
আলেফের রয়েছে একটি ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুল। যা বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সূত্রের মধ্যকার সংযোগগুলো মানচিত্র আকারে হাজির করে। টুলটি ডায়াগ্রামের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রের মধ্যকার সংযোগগুলো দেখায়। টাইমলাইনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ছবি আকারে তুলে ধরে। আলেফের এ ফিচারটি জটিল ডেটাসেট থেকে তথ্য উদ্ধারে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বাড়ায়। সাহায্য করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করতে।
আলেফের ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুলটি বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সূত্রের মধ্যকার সংযোগগুলো মানচিত্র আকারে হাজির করে। ডায়াগ্রামের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রের সম্পর্কগুলো চিহ্নত করে। ছবি: আলেফের স্ক্রিনশট।
প্রকৌশলীদের জন্য: ওপেন সোর্স লাইসেন্সের মাধ্যমে আপনি আলেফের সোর্স কোড ব্যবহার করতে পারেন। এর বিনিময়ে আপনাকে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের সার্ভারে আলেফ ব্যবহার করে। এছাড়া ডেভেলপারদের একটি দল রয়েছে, যারা নতুন ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করেন এবং প্রোগ্রামটি যেন ভালোভাবে চলে, সেদিকে খেয়াল রাখেন।
ওসিসিআরপি নিয়মিতভাবে আলেফের আধুনিক ফিচারগুলো নিয়ে ভার্চুয়াল কর্মশালার আয়োজন করে। যাঁরা প্ল্যাটফর্মটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তাঁরা এ ধরনের কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
উপসংহার: আলেফ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিন
আলেফ এমন একটি তথ্যভান্ডার, যেটি সাংবাদিকদের হাজার হাজার ডেটাসেট ও সূত্রের সংযোগ বের করতে সহায়তা করে। আলেফের বিদ্যমান ডেটার সাথে আপনার হাতে থাকা তথ্যগুলো মিলিয়ে সুগভীর অনুসন্ধান চালাতে পারেন। জটিল নেটওয়ার্কগুলোকে সরাসরি চিহ্নিত করতে পারেন। আপনি নতুন হোন কিংবা আধুনিক ফিচার ব্যবহারে আগ্রহী—আন্তঃসীমান্ত অনুসন্ধানী রিপোর্টিংকে সমর্থন করার জন্যই বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে আলেফের।
ইয়ান এসত্রোজিক ওসিসিআরপির প্রধান ডেটা সম্পাদক। ওসিসিআরপির গবেষণা প্রধান কারিনা শেড্রফস্কির সহযোগী হয়ে গবেষণা ও ডেটা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাজ করেছেন সম্পাদকীয় ও ডেটা দলের সাথে। ডেটা বিশ্লেষণ সমন্বয় এবং ডেটা-ভিত্তিক অনুসন্ধানেও অংশ নিয়েছেন। এর আগে, জার্মান পাবলিক নিউজ ব্রডকাস্টার এনডিআরে রিপোর্টার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। যেখানে লুক্সেমবার্গ লিকস, প্যানামা পেপার্স, প্যারাডাইস পেপার্স, ফিনসেন ফাইলসসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অনুসন্ধানে কাজ করেন জার্মানিভিত্তিক এ ডেটা সম্পাদক।