প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

আবাসন খাত নিয়ে মেক্সিকোর পুরস্কারজয়ী প্রতিবেদন : যা শিখতে পারি

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

আবাসন খাতের উন্নয়ন আর অর্থায়ন নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে রিপোর্টাররা নেপথ্যের ক্ষমতাধর ব্যক্তি, দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে এমন প্রতিবেদন খুঁজে পেতে পারেন। সাধারণ মানুষ ও সমাজের অধিকারকে এড়িয়ে  কোন কোন নির্মাণ প্রকল্প হয়েছে, তারও হদিস পেতে পারেন।

এর জন্য প্রয়োজন ডেটা বিশ্লেষণ, ভিজ্যুয়ালাইজেশন আর বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের দলীয় অংশগ্রহণ। সিটি উইদাউট ওয়াটার: এ টাউন এগেইনস্ট এ কংক্রিট জায়ান্ট প্রতিবেদনে যেমনটা করেছে মেক্সিকোর মিডিয়া আউটলেট এন+ফোকাস (N+Focus)। এ বছর তারা জিতে নিয়েছে ওর্তেগা ওয়াই গ্যাসেট অ্যাওয়ার্ডের সেরা মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদনের পুরস্কার।

প্রতিবেদনটি মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে সান সেবাস্তিয়ান জোকোর সম্প্রদায়ের গল্প তুলে ধরে। বলে, পানির মতো মৌলিক পরিষেবাকে ঘিরে কীভাবে তারা শক্তিশালী আবাসন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। ওই এলাকায় আবাসন প্রকল্প জুড়ে বহুতল অফিস ভবন, বিপণি বিতান গড়ে উঠেছে। কিন্তু নগর সম্প্রসারণ বিষয়ক সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব ওই এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দাবে স্থানচ্যুত হতে বাধ্য করে। এই অনুসন্ধানে এই বিষয়গুলো বেরিয়ে এসেছে। তথাকথিত ওই উন্নয়ন প্রকল্পের ফায়দা লুটে প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকইবা কারা হয়েছেন—  সে বিষয়টিও সাংবাদিকেরা নজরে আনেন।

প্রতিবেদক জেনিফার গঞ্জালেজ পোসাদাস এল পাইসকে বলেছেন, পানির মতো মৌলিক অধিকারকে কীভাবে “বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে”, আমাদের প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে।

সহযোগী লেখক আলেহান্দ্রো মেলগোজা রোচা বলেন, তাদের গল্পটি “নগরায়ন ও জমির ইচ্ছাকৃত মূল্য বৃদ্ধির। একইসঙ্গে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এবং বেসরকারি কোম্পানির মধ্যকার চোরা সম্পর্ককে সামনে আনে।

আইজেনেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা তাঁদের অভিজ্ঞতাগুলোকে তুলে ধরেছেন। দিয়েছেন বিভিন্ন পরামর্শও। উদ্দেশ্যে, এ বিট নিয়ে যে সব সাংবাদিক কাজ করেন, তাঁরা যেন আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথাও তুলে ধরতে পারেন।

বড় বড় উন্নয়নের সঙ্গে পানির খরচের মাত্রা নির্ধারণ করতে এন+ফোকাস শত শত নথি ঘেঁটে দেখেছে । ছবি: স্ক্রিনশট, এন+ফোকাস

পরামর্শ ১: একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন

যে কোনো গভীরতাধর্মী প্রতিবেদনের জন্য প্রয়োজন একটি যুৎসই কর্মপরিকল্পনা। প্রায় এক বছর ধরে তাঁরা প্রতিবেদনটি নিয়ে কাজ করেন। বিষয়টি আয়ত্বে নেওয়া, সময়ের ক্রমপঞ্জি ঠিক করা, আর হাতে কী ধরনের নথি আসতে পারে: প্রথম তিন মাস কেটেছে শুধু এসব পরিকল্পনা করেই।

পরের পাঁচ মাস তাঁরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করা, সাক্ষাৎকার নেওয়া, রেকর্ডিং করা, প্রাসঙ্গিক জায়গাগুলোর ছবি তোলা এবং আইনি প্রক্রিয়ায় পাওয়া নথিগুলো পর্যালোচনা করেছেন। শেষ সময়টা বরাদ্দ ছিল মাল্টিমিডিয়াতে গল্প সাজানো, তথ্য যাচাইসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন লেখার জন্য।

সম্পাদক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, ড্রোন রেকর্ডার, ডেটা বিশ্লেষক, মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার এবং প্রোগ্রামারদের নিয়ে গঠিত মোট ১৬জনের একটি দল এ কাজে অংশ নেয়।

পরামর্শ ২: মূল নকশার নথি-পত্র সংগ্রহ করুন

আবাসন আইন দেশভেদে ভিন্ন হয়। মেক্সিকোতে সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন ছাড়া কিছু নির্মাণ সম্ভব নয়। এটি তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। কে নির্মাণ করতে যাচ্ছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওই এলাকায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পরিষেবা দেওয়ার সক্ষমতা আছে কিনা— রিপোর্টে তা উল্লেখ থাকে। এই অনুমতি ছাড়া কিছু নির্মাণ সম্ভব নয়। তবে গঞ্জালেজ উল্লেখ করেন, কোনো এলাকায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে কিনা, এ নথিতে আপনি সে তথ্য পাবেন না— শুধু সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগত তথ্য পাবেন।

মেলগোজা উল্লেখ করেন, স্থানীয় নগর উন্নয়ন আইনের ওপর নির্ভর করে এ ধরনের নথিগুলো অঞ্চল বা দেশে দেশে আলাদা। তবে সাংবাদিকদের নির্মাণ সম্পর্কিত বাস্তব ধারণা দিতে পারে। যেমন জায়গাটি ঘিরে কী ধরণের উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, কতটা অঞ্চল জুড়ে, কত তলা ভবন, পার্কিংয়ের পরিকল্পনা আর জনসংখ্যার ঘনত্বের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে।

পরামর্শ ৩: ডেটাবেস তৈরি করুন এবং যে তথ্যগুলো পেয়েছেন সেগুলো সাজান

অনুসন্ধানী দলটি মেক্সিকো শহরের যে যে জায়গায় পানি পাওয়া যায় তা চিহ্নিত করা আছে এমন মানচিত্র হাতে নেন। এরপর এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন সবচেয়ে বেশি নির্মাণ কাজের অনুমতি পাওয়া এলাকাগুলো কোথায়। এই তথ্যগুলো তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন  সরকারি সংস্থা মেক্সিকো সিটি ওয়াটার সিস্টেম থেকে।

 যা তাদের আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে: যেসব এলাকাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রকল্প নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সহজে পানি পাওয়া যেত না।

পাশাপাশি, মেলগোজা পরিবেশ আইনজীবিদের অফিস থেকে আবাসনের মেগা প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে করা অভিযোগের রেকর্ড পর্যালোচনা করে পানির সঙ্গে আবাসন উন্নয়নের সম্পর্ককে তুলে ধরেন। এভাবে তিনি প্রশাসনিক ও আইনি নথিপত্র একসঙ্গে বিশ্লেষণের মাধ্যমে মেক্সিকো সিটির ২১১টি মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের একটি ডাটাবেস তৈরি করেন। যে প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন, অভিযোগ দাখিল এবং তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া ডেটাসহ এক্সেলে একটি টাইমলাইন তৈরি করেন তাঁরা। সামাজিক নেটওয়ার্ক থেকে ডেটা ট্র্যাকিং সংস্থার তথ্যও জুড়ে দেন।

দলটি মহানগর এলাকা জুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির প্রাপ্যতা এবং গোটা বিষয়টি কীভাবে বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে তা দেখিয়েছে। ছবি: স্ক্রিনশট, এন+ ফোকাস

পরামর্শ ৪: রিয়েল এস্টেট ট্রাস্ট নিয়ে অনুসন্ধানের সময় অস্বচ্ছ তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলুন

রিয়েল এস্টেট ট্রাস্ট বা আবাসন খাতের বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো নিয়ে কাজ করে। এ জন্য জন-পরিসর ও প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়। মেক্সিকোতে তাদের কার্যক্রম অনেকটাই ঘোলাটে। তাই অনুসন্ধানের প্রতিটি পর্যায়ে প্রশ্ন করতে থাকুন। তথ্য থেকে শুরু করে উত্তর খোঁজা পর্যন্ত।

বাধা সত্ত্বেও, গঞ্জালেজ প্রতিবেদন তৈরির সময় একটা সুবিধা পেয়েছিলেন। বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো মেক্সিকোর স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। যেখানে আয়, বিক্রয় এবং সম্পত্তির প্রতিবেদন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া সম্ভব । এ থেকে সাংবাদিকেরা কোম্পানির ধরন, ব্যক্তিদের প্রোফাইল সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। আবাসন ট্রাস্টগুলো গুদাম, শপিং মল, বা শিল্প পার্কের মতো ভবন নির্মাণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত কিনা তাও শনাক্ত করতে পারেন।

আবাসন উন্নয়ন নিয়ে অনুসন্ধানের সময় মেলগোজার দেওয়া নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনা করে দেখতে পারেন।

  • আপনার শহরের মেগা প্লাজা এবং মেগা-উন্নয়ন — এবং নকশা — সম্পর্কিত তথ্যের সঙ্গে হালনাগাদ থাকুন।
  • আশেপাশের দল, গোষ্ঠী, সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যারা উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জানে। কীভাবে প্রকৃতি বা পরিবেশ বদলে গেছে, কীভাবে অনিয়ম এবং অভিযোগগুলো সামলানো হয়েছে, তারা আপনাকে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।
  • পত্রিকায় চোখ রাখুন। আবাসন উন্নয়ন ও প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য এখানে পাবেন।
  • উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনুসন্ধানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবিদের কার্যালয়ে তথ্যের স্বাধীনতা আইনের অধীনে তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানান।
  • বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক প্রতিবেদন দেখুন। সেখানে যেকোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ক সম্পর্কে কোম্পানিগুলোর জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। গঞ্জালেজ বলেন, ”পায়ের ছাপ অনুসরণ দিয়ে শুরু করুন।” কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে নিবন্ধিত সংযুক্ত সংস্থাগুলোর দিকে নজর রাখুন। এ থেকেও কোনো সূত্র পেতে পারেন।
  • প্রশাসনিক বিচার কার্যক্রমের প্রতিবেদন দেখুন। এখানে বিনিয়োগকারী ও আবাসন এজেন্টদের মামলার তথ্য থাকে।

পরামর্শ ৫: আবাসন ফাঁদ: যেন হাজার-মাথার দানব হাইড্রা

আবাসন উন্নয়ন ও নির্মাণ ট্রাস্ট নিয়ে আগে অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা থাকার কারণে গঞ্জালেজ ও মেলগোজা ধাপে ধাপে উপস্থাপনের মতো কৌশলগুলো সম্পর্কে জানতেন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্যের জন্য একাধিক অনুরোধ জানাতে হয়। গভীর অনুসন্ধান চালাতে হয় প্রতিটি ধাপে। গঞ্জালেজ এ প্রক্রিয়াকে “হাজার-মাথার দানব হাইড্রার সঙ্গে লড়াই” এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেখানে হাইড্রার একটি মাথা কাটার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন মাথা গজায়— সমস্যাগুলোও তেমন একের পর এক আসতেই থাকে।

“আপনি এখানে সবটা বুঝতে পারবেন না। তা যদি করতে যান তাহলে কাজ কখনোই শেষ হবে না… কিন্তু টাইমলাইন আমাদের খেই হারাতে দেয়নি। আমাদের হাইড্রার সব মাথা খুঁজে বের করার প্রয়োজনও পড়েনি,” গঞ্জালেজ যোগ করেন।

এ নিয় মেলগোজা বলেন, আবাসন নিয়ে অনুসন্ধানের আরেকটি জটিলতা হচ্ছে, যেসব কর্পোরেট সংস্থার নামে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিবন্ধিত হয়, সেগুলো অনেক সময় পরিবর্তিত হতে পারে।

কখনো কখনো এটি করা হয় “কর বা আইনি প্রক্রিয়ার কোনো চিহ্ন না রাখার জন্য… তাই ১০৫টি অভিযোগ পাওয়া মানে ১০৫টি ভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমনটা নাও হতে পারে। হতে পারে কোম্পানিগুলো একই প্রতিষ্ঠানের অংশ” তিনি ব্যাখ্যা করেন।

পরামর্শ ৬: তথ্য চেয়ে অনুরোধ

এ অনুসন্ধানের জন্য ১ হাজার ৮৭৬টি তথ্য চেয়ে অনুরোধ করতে হয়েছে। কারণ সাংবাদিকরা মেক্সিকো সিটির মেয়রের আলাদা ১৬টি কার্যালয়ের আওতায় থাকা সব উন্নয়ন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে চেয়েছেন। প্রতিবার তারা প্রশাসনিক ও অপরাধমূলক ফাইল, জরিমানা, অনুমতি এবং অনুমোদন, পাশাপাশি আবাসন উন্নয়নের উৎস ও পটভূমি বিশ্লেষণ করেছেন।

অনেক সময় সাংবাদিকদের তথ্যের অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে গোপনীয়তা নিয়ম বা তথ্যের অভাবকে। ওই প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। মেলগোজা বলেন, “তারা টুকরো টুকরো করে তথ্য সরবরাহ করেছিল।” যেসব অনুরোধ ব্যর্থ হয়েছে তা দেখে তিনি অবাক হয়েছিলেন, “কারণ পানি তো জনস্বার্থের বিষয়।”

শেষ পর্যন্ত অনুসন্ধানী দলটি সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আর তথ্যের জন্য লড়াইয়ে সময় ব্যয় করবে না। বরং যতটুকু তথ্য পেয়েছে, তা দিয়েই কাজ চালাবে। তাদের একটি সুবিধা ছিল, শুরুতেই তারা দুইটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করেছিল: এক, যেখানে তারা সব সরকারি তথ্য পাবে। দুই, যেখানে তারা পাবে না।

সাংবাদিকদের জন্য মেলগোজার পরামর্শ হচ্ছে, আপনি যে সময়সীমার মধ্যে নথি ও ডেটা পেতে পারেন, তা মাথায় রাখুন। তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনা করতে গিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের পানি ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করতে তাদের আট মাস লেগে যায়।

যেসব সাংবাদিক নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ

গঞ্জালেজ এবং মেলগোজা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এ পরামর্শগুলো তুলে ধরেছেন।

  • পুরোপুরি বহুমাত্রিক হোন: কী নিয়ে অনুসন্ধান করছেন, গবেষণা পরবর্তী  উন্নয়ন, এবং যাচাইকরণ— প্রতিটি স্তরে  দলের সবাইকে পুরোপুরি সঙ্গে রাখুন। জটিল কাজ হলেও দলের সদস্য যখন জানেন যে কী হচ্ছে, তখন কাজের সমন্বয় এবং কার্যকরী সমাধান পাওয়া সহজ হয়।
  • সীমা নির্ধারণ করুন: আবাসন খাতের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবেদনে অনেক ঝক্কি। হাজারটা কাজ করতে হয়। অনেক সময় কোম্পানিগুলো নিজেরাই ফাঁদ পেতে রাখে। তাই অনুমানের ভিত্তিতে কী করবেন তার ওপর সীমারেখা টানা জরুরী।
  •  ক্ষমতাশালীদের খুঁজে বের করুন: নেপথ্যের বড় খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করুন। এতে করে      আপনার অনুসন্ধান অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
  • দলীয় দক্ষতাকে কাজে লাগান: দলের প্রতিটি সদস্যের যোগ্যতা ও সক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখুন।
  • শুনুন: শুধু গল্প বলার খাতিরে নয়, সাংবাদিকদের উচিৎ ভুক্তভোগী ব্যক্তি আর সমাজের কথা শোনা। কেননা প্রতিবেদন প্রকাশের পর তো সাংবাদিকরা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। ভুক্তভোগী লোকগুলোকে কিন্তু দিনের পর দিন সেখানেই থাকতে হয়।

লেখাটি স্প্যানিশ ভাষায় আইজেনেটে প্রথম প্রকাশিত হয়। তাদের অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে। মূল লেখাটি আপনি এখানে পড়তে পারেন। অনুবাদের কাজটিও করেছেন নিবন্ধটির মূল লেখক। শৈলীগত কারণে ছোটখাট সম্পাদনা করা হয়েছে।


লুসেরো হার্নান্দেজ গার্সিয়া মেক্সিকোর একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং ডিজিটাল কনসালট্যান্ট। পাশাপাশি জিআইজেএন এন এসপানোলের সহযোগী। তিনি কমিউনিকেশন এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, বিশেষ করে মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশনে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য ডেটা, ভিজুয়ালাইজেশন, ডিজিটাল টুলস এবং অনলাইন সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালা নেন। আইজেনেটে তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কসেচা রোহা, সেমব্রামেডিয়া, এবং থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ পেয়েছেন।

 

 

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

অনুসন্ধান পদ্ধতি

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ছেন? এই তথ্য ও পরামর্শ আপনার জন্য

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে নির্মিত “অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন” কিংবা হালের “দ্য পোস্ট”, “স্পটলাইট” এবং “সেইড” এর মতো চলচ্চিত্র অনেককেই সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ করে। বাস্তবে কিন্তু সাংবাদিকতা আরও অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। যদি আপনি অনুসন্ধানের কলাকৌশলটা শিখে নিতে পারেন, তাহলে সফল আপনি হবেনই।

অনুসন্ধান পদ্ধতি পদ্ধতি

সাংবাদিকতা আর নৃতাত্ত্বিকতার মিশেলে মধ্য আমেরিকার পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধান

দ্য মাস্কিসা: দ্য হন্ডুরান জঙ্গল ড্রোনিং ইন কোকেন শিরোনামে তিন পর্বের ধারাবাহিক ওর্তেগা ওয়াই গ্যাসেট পুরস্কারে ভূষিত হয়। জুরিরা বলেন, প্রতিবেদনটিতে চলমান সময়ের সামগ্রিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে। মাদক পাচার, পরিবেশগত সমস্যা বা পরম্পরা ও সংস্কৃতির ওপর হুমকি এ সবই। প্রতিবেদকেরা বলেছেন,তাঁরা নৃতাত্ত্বিক গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন।

Supreme Court protest, corruption

অনুসন্ধান পদ্ধতি

যুক্তরাষ্ট্রের আদালত কেলেঙ্কারি, যেভাবে উন্মোচন প্রোপাবলিকার

প্রোপাবলিকার করা ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলোর প্রথম পর্ব যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আচরণবিধির তদারকিতে যে দুর্বলতা রয়েছে তা উন্মোচন করে দেয়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিচারপতিদের কেউ কেউ প্রভাবশালী ও ধণাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল্যবান উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন, অবকাশযাপনে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়িয়েছেন।