Global Investigative Journalism Network
(https://gijn.org/tag/%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8/)
কোভিড টিকার বেচাকেনায় স্বচ্ছতার অভাব, উদ্বেগের একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও কোথাও চুক্তিপত্র প্রকাশ করা হলেও সেখানে টিকার দাম, সরবরাহের শর্ত, মেধাসত্ত্ব – এমন গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় গোপন রাখা হচ্ছে। তারপরও সাংবাদিকরা অনেক টিকা বেচাকেনায় অস্বচ্ছতা তুলে আনছেন, বের করছেন চুক্তি ঘেঁটে তথ্য খুঁজে বের করার নতুন নতুন কৌশল। পড়ুন, হয়তো আপনারও কাজে আসবে।
মেক্সিকোর স্বাধীন সাংবাদিক মার্সেলা তুরাতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষদের নিয়ে। এমনই এক অনুসন্ধানে, তিনি ও তাঁর দল উন্মোচন করেছেন পুরো মেক্সিকোজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দুই হাজার গুপ্তকবরের নেটওয়ার্ক। এ ধরনের অনুসন্ধানে তিনি কোন টুলগুলো ব্যবহার করেন? জানতে চাইলে, পড়ুন “প্রিয় টুল” সিরিজের এই পর্ব।
জাপানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইয়াসোমি সাওয়া লড়ছেন উন্মুক্ত নথিপত্র, স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রসারের জন্য। তিনি একাধারে রিপোর্টার, শিক্ষক, আয়োজন করেন সাংবাদিকদের জন্য সম্মেলনও। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস, তথা আইসিআইজের মিট দ্য ইনভেস্টিগেটরস নামের মাসিক সিরিজে উঠে এসেছে এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকের গল্প। এই সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন, জাপানে সাংবাদিকতার বর্তমান চিত্র।
কোভিড-১৯ মহামারিতে সাংবাদিকদের জন্য তথ্য পাওয়ার সবচেয়ে বড় উৎস হতে পারে তথ্য অধিকার আইন। কিন্তু দেশে দেশে সরকারি কর্মকর্তারা অফিসে যাচ্ছেন না। তাই আবেদন করেও তথ্য পেতে দেরি হচ্ছে গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনগুলোর। অথচ এই সময়টিতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই তথ্য জানা সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে নাগরিকদের জন্য। তাই জাতিসংঘ থেকে শুরু করে নানান প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দাবি উঠেছে – স্বচ্ছতা নিশ্চিতের স্বার্থে দ্রুত তথ্য প্রদানের।
সাড়া জাগানো অনুসন্ধানগুলোতে কিভাবে গবেষণা, ডেটা বিশ্লেষণ ও নিরাপদ উপায়ে যোগাযোগ করেছেন অ্যাসোসিয়েট প্রেসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক রন নিক্সন? কিভাবে প্রতিনিয়ত তিনি ব্যবহার করেন তথ্য অধিকার আইন ও নানা রকমের আর্কাইভ? “প্রিয় অনুসন্ধানী টুল” সিরিজে তিনি এসব নিয়েই কথা বলেছেন জিআইজেএনের সঙ্গে।
আলবার্তো দোনাদিও। কলম্বিয়ায় তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের জনক বলতে পারেন তাকে। ল্যাটিন আমেরিকায় যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে পথ দেখিয়েছেন, তিনি তাদেরও একজন বটে। তারপরও রয়ে গেছেন সবার চোখের আড়ালে। তরুণ সংবাদ-কর্মী হুয়ান সেরানো এক বইয়ে তুলে এনেছেন এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকের গল্প। পড়ুন তাঁর এই সাক্ষাৎকারে।
English
তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে তথ্য পাওয়া খুব সহজ – এমন না ভাবাই ভালো। আবেদন করে পাওয়া তথ্য যে সবসময় আপনার কাজে লাগবে তা-ও নয়। তবু লেগে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায়। একারণে বিশ্বের যেখানেই এই আইন আছে, সেখানেই সাংবাদিকরা একে কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন অসাধারণ সব রিপোর্ট। একের পর এক বাধা পেরিয়ে যারা শেষ পর্যন্ত কঠিন সব তথ্য হাতে পাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, চাইলে তাদের পথ ধরে হেঁটে যেতে পারেন আপনিও। তখন, বিষয়টি সম্পর্কে আপনার ভয়ও কমে আসবে অনেকটাই।
একেক দেশের তথ্য অধিকার আইন একেকরকম হতে পারে। এই বৈচিত্র্যের কারণে, সবার কাজে আসবে এমন গড়পড়তা পরামর্শ দেয়া কঠিন। তবুও, অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শে উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া যায়।
ভারত, মেক্সিকো, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক-গবেষকদের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে জিআইজেএন তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারের আটটি সাধারণ দিক খুঁজে পেয়েছে। এখানে রইল তাদের সেই পরামর্শ ও প্রাসঙ্গিক লিংক, যা আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে এই আইন ব্যবহারের কিছু কার্যকর কৌশলের সাথে।
জিআইজেএনের ৮ পরামর্শ
১. আগাম পরিকল্পনা: খুঁজে বের করুন আপনি কী চান। তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে বিশেষজ্ঞ কমবেশি সবাই জোর দিয়ে বলেছেন, নথিপত্র চাওয়ার আগে, পর্যাপ্ত গবেষণা করে নিন। নিশ্চিত হোন আপনি কী চান।
২. বিকল্প ভাবনা: ভিন্ন পথেও চেষ্টা করুন। আগে এদিক-ওদিক খুঁজে দেখুন, বিকল্প পথে সেই তথ্য পাওয়া যায় কিনা। সেটি আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে চেয়ে দেখুন। না পেলে আরটিআই ব্যবহার করুন।
৩. অবস্থান: তথ্য চাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন, সেটি কোথায় আছে। কী খুঁজছেন তা জানা যত জরুরি, সেটি সরকারের কোন অফিসে আছে, তা নিশ্চিত হওয়াও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ।
৪. পূর্বপ্রস্তুতি: আগে জেনে নিন আইন সম্পর্কে। তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করার আগে, সেটি সম্পর্কে ভালোমতো জেনে নিন। যেমন, কত টাকা ফি দিতে হয়?
চিলির সান্টিয়াগোতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পড়ান পলেট দেজোর্মো। কোর্সের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়, “নিজে নিজে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। বিষয় হতে হবে সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক। জোর দিতে হবে সরকারের নীতি; অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা বিচারিক ক্ষমতা; বা সংগঠিত অপরাধে।” শুনে মনে হতে পারে, উচ্চাভিলাষী। কিন্তু দেজোর্মো মনে করেন, শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে পুরোপুরি নিয়োজিত করতে হলে, চিন্তার সীমারেখা একটু উঁচু হওয়া প্রয়োজন।
৫০ বছরের বেশী সময় ধরে ‘সুস্বাদু’ একটি ডকুমেন্ট গোপন করে রেখেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। নথিটির শিরোনাম, “শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর পাচকদের জন্য নির্দেশিকা।”
INVESTIGATIVE RESOURCES
IN YOUR INBOX
Our fortnightly bulletin brings you the latest from GIJN, useful tips, tools and the best investigative stories around the world.