প্রোপাবলিকার করা ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলোর প্রথম পর্ব যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আচরণবিধির তদারকিতে যে দুর্বলতা রয়েছে তা উন্মোচন করে দেয়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিচারপতিদের কেউ কেউ প্রভাবশালী ও ধণাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল্যবান উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন, অবকাশযাপনে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়িয়েছেন।
সামাজিক সমস্যা অনুসন্ধান ও প্রভাবশালীদের জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে একাডেমিক গবেষণা। এসব গবেষণা থেকে পাওয়া যেতে পারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি ও ডেটার খোঁজ। সাংবাদিকেরা কীভাবে তাদের অনুসন্ধানে একাডেমিক গবেষণার ব্যবহার বাড়াতে পারেন এবং এ সংক্রান্ত আদর্শ চর্চাগুলো কেমন হতে পারে— তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ পাবেন এই লেখায়।
গত বছর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে দেখা যায় কিছু “সেলফি” ভিডিও, যেগুলোতে চীনের উইঘুর জনগোষ্ঠীর মানুষদের গণহারে আটক করার কথা অস্বীকার করা হয়। বিস্তারিত অনুসন্ধানে দেখা যায়: এগুলো আসলে রাষ্ট্রীয় প্রভাবে পরিচালিত, সমন্বিত মিথ্যা প্রচারণা। এই লেখায় অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প বলেছেন সাংবাদিকেরা। এবং দিয়েছেন এ ধরনের অনুসন্ধানের জন্য কিছু উপকারী পরামর্শ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যে কোভিড-১৯ আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা বলা হচ্ছে, তাতে প্রায়ই থাকছে নানা অসঙ্গতি ও লুকোছাপা। কিভাবে সেসবের বাইরে গিয়ে সত্যিকারের সংখ্যাটা তুলে আনতে পারেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা? এই লেখায় কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা। তাদের এই কৌশল ও টুলগুলোর খবর আপনারও কাজে লাগতে পারে।
প্রোপাবলিকা ইলিনয়ের সাংবাদিকরা গত অক্টোবরে কিয়েরনানের নির্দেশনায় “উই উইল কিপ অন ফাইটিং ফর হিম” শিরোনামের একটি অনুসন্ধানী ন্যারেটিভ প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের মূল উপাদান ছিল অদ্ভুত এক ব্যক্তিগত নথি।
প্রতিবেদনের আইডিয়া আসে আমাদের চারপাশ থেকে। কোথাও অনিয়ম দেখেলে হুইসেলব্লায়ার বা গোপন পরামর্শদাতারা আমাদেরকে জানান আর আমরা সেটা অনুসন্ধান করি। রিপোর্টাররা স্বভাবজাতভাবেই অনুসন্ধিৎসু এবং সন্দেহপ্রবণ। আমরা চারপাশেই স্টোরি দেখতে পাই। কখনো কখনো প্রতিবেদনের বিষয় পড়ে থাকে আমাদের চোখের সামনেই।
