পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে লন্ড্রোম্যাট থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যন্ত
জিআইজেসি২৩-র একটি সেশনে অর্থপাচার, অবৈধ লেনদেন, শেল কোম্পানি, ও অফশোর অ্যাকাউন্টের আড়ালে লুকোনো অর্থ খুঁজে বের করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা।
জিআইজেসি২৩-র একটি সেশনে অর্থপাচার, অবৈধ লেনদেন, শেল কোম্পানি, ও অফশোর অ্যাকাউন্টের আড়ালে লুকোনো অর্থ খুঁজে বের করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিকেরা।
নিজ দেশে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে অনেকেই জমি বা স্থাবর সম্পত্তি কেনেন ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব অর্থের উৎস ব্যাখ্যা করা যায় না। এবং সেগুলো হতে পারে বড় ধরনের দুর্নীতির ইঙ্গিত। এই লেখায় ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে বিদেশে এমন জমি ও বাড়ি কেনাবেচা নিয়ে অনুসন্ধানের কৌশল।
সংঘবদ্ধ অপরাধ, সরকারী দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করার কারণে প্রায়ই হুমকির মুখে পড়েন চেক রিপাবলিকের অনুসন্ধানী সাংবাদিক পাভলা হলকোভা। তা সত্ত্বেও তিনি চালিয়ে গেছেন এসব অনুসন্ধান। এবং জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার। এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন তাঁর অনুপ্রেরণা, চ্যালেঞ্জ, ও শিক্ষার কথা। পাশাপাশি নতুন অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্যও দিয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
বিশ্বজুড়ে বিকল্প আর্থিক লেনদেনের নতুন মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। ডিজিটাল এই অর্থ লেনদেন ব্যবস্থার একটি বড় অংশজুড়ে আছে নানাবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ড। সাইবার অপরাধ থেকে শুরু করে মুদ্রাপাচার, এমনকি মাদক পাচারের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সিকে বেছে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এমন অনুসন্ধানে আগ্রহী হলে পড়ুন এই পরামর্শগুলো। এটি এই জগতে ঢোকার প্রাথমিক গাইড হিসেবে কাজ করবে।
সংঘবদ্ধ অপরাধীদের অবৈধ টাকা বিদেশে পাচার, গোপন রাখা ও বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে গড়ে উঠেছে এক বৈশ্বিক সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি। এখানে আছে, ব্যাংক, আইনজীবী, একাউন্টেন্ট, কোম্পানি এজেন্ট, এবং আরও অনেক রকমের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অপরাধীদের অর্থকে অনুসরণ করতে চাইলে, আপনাকে জানতে হবে এই ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে কাজ করে এবং তথ্য কোথায় পাবেন। সেটাই জানা যাবে, এই রিপোর্টার্স গাইডে।
আসামীরা টাকা পাচার করেছেন মূলত জমি ক্রয়ের মাধ্যমে। এভাবে তারা ক্লিভল্যান্ড শহরের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট মালিক হয়ে ওঠেন। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও কিনে নেন। বিস্তারিত মামলার বিবরণে।
মিরান্ডা প্যাট্রুচিচ, অসংখ্য ক্রসবর্ডার অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। উন্মোচন করেছেন মুদ্রা পাচারের জটিল নেটওয়ার্ক, শত কোটি ডলারের ঘুষ কেলেংকারি এবং মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের শাসক গোষ্ঠীর সন্দেহজনক ব্যবসায়িক লেনদেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে আজারবাইজানী লন্ড্রোম্যাট, প্রডিগাল ডটার, এবং পানামা পেপারস। এই প্রশ্নোত্তরে মিরান্ডা তুলে ধরেছেন, কীভাবে সাংবাদিকরা টাকার সূত্র ধরে বড় বড় ঘটনা উন্মোচন করতে পারেন।