প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Tag

জিআইজেএন বাংলা

99 posts

আমার প্রিয় অনুসন্ধানী টুল: জোয়েল কোনোপো

বোতসোয়ানার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জোয়েল কোনোপো কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি সাড়াজাগানো অনুসন্ধানে। আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে একদিকে যেমন পাঠক-দর্শককে দিচ্ছেন সংবাদ পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখছেন নিজেকে ও সোর্সকে। সাংবাদিকতার বহুমাত্রিক কাজের জন্য তাঁর পছন্দের কিছু টুল আছে। সেগুলোর কথাই বলেছেন, “আমার প্রিয় টুল” সিরিজে।

প্রতিবেদনের শুরুতেই পাঠককে বেঁধে ফেলার উপায়

বড় একটা অনুসন্ধান শেষ করেছেন। এখন বসেছেন লিখতে। কিন্তু ভেবে পাচ্ছেন না, শুরু করবেন কিভাবে। এই মুশকিলে পড়তে হয় কম বেশি সবাইকে। আপনার জন্য রইলো দীর্ঘ প্রতিবেদন বা ফিচার শুরুর সাতটি দারুন কৌশল (উদাহরণসহ)। লিখেছেন পল ব্রাডশ।

মাত্র ১৫ সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থীকে অনুসন্ধানী সাংবাদিক বানাবেন যেভাবে

চিলির সান্টিয়াগোতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পড়ান পলেট দেজোর্মো। কোর্সের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়, “নিজে নিজে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। বিষয় হতে হবে সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক। জোর দিতে হবে সরকারের নীতি; অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা বিচারিক ক্ষমতা; বা সংগঠিত অপরাধে।” শুনে মনে হতে পারে, উচ্চাভিলাষী। কিন্তু দেজোর্মো মনে করেন, শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে পুরোপুরি নিয়োজিত করতে হলে, চিন্তার সীমারেখা একটু উঁচু হওয়া প্রয়োজন।

প্রজেক্ট মিরোস্লাভা: সহকর্মীর হত্যাকাণ্ড যেভাবে একজোট করেছে মেক্সিকোর সাংবাদিকদের

উত্তর মেক্সিকোতে মাদকের কারবারী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরে অনুসন্ধান করছিলেন মিরোস্লাভা ব্রিচ। সেটি শেষ হবার আগেই চিহুয়াহুয়া শহরে নিজ বাড়ির সামনে আটবার গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। দিনটি ছিল ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ। সময়, সকাল ৬টা ৫০ মিনিট। কিন্তু এই মৃত্যু চুপ করাতে পারেনি তাঁর সহকর্মীদের। হত্যাকাণ্ডের দুই বছরেরও বেশি সময় পর তারা এই হত্যা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রজেক্ট মিরোস্লাভা নামের সেই অনুসন্ধানে তারা দেখিয়ে দেন, এই হত্যাকাণ্ডের সরকারি তদন্তে কতটা দুর্বলতা আছে।

যদি হতে চান সাংবাদিকতার “সোনার হরিণ!”

সাংবাদিকতার জগতে এখন তারাই সোনার হরিণ, যারা কোডিং জানেন। এদের বলা হয় জার্নোকোডার। এরা সেই বিরল প্রজাতির সাংবাদিক যাদের রিপোর্টিং দক্ষতা আছে, আবার প্রোগ্রামিং এবং ডেটা বিশ্লেষণেও পটু। এই বিশেষ গুণের মিশেলে, তারা হয়ে ওঠেন যে কোনো নিউজরুমের জন্যেই আরাধ্য। আপনি কি ডেটা ইউনিট গঠন করতে চান? আপনার জন্য দুঃসংবাদ হলো, এই “সোনার হরিণ” আপনি যতটা ভাবছেন তার চেয়ে বিরল ও দুষ্প্রাপ্য।

তুরস্কে গণমাধ্যম দখলের ফল যেভাবে উল্টে দিল ছোট ছোট ডিজিটাল মিডিয়া

তুরস্কে কয়েক বছর ধরেই নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন চলছে। প্রথাগত বড় বড় গণমাধ্যমগুলো পুরোপুরি চলে গেছে রাষ্ট্রের দখলে। এত কিছুর পরও সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়েছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল। আর অবাধ তথ্যের যোগান এবং বিজয়ী বিরোধী দলের পক্ষে জনমত গঠনের শক্তিশালী ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে স্থানীয় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন হল, ছোট ছোট এসব ডিজিটাল মিডিয়া কীভাবে রাতারাতি এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে?

পরামর্শ ও টুল

আমার প্রিয় অনুসন্ধানী টুল: ফ্যাবিওলা তোরেস

ফ্যাবিওলা তোরেস। পেরুর এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক কাজ করেছেন ইমপ্ল্যান্ট ফাইলস, পানামা পেপার্সসহ বেশকিছু সাড়াজাগানো অনুসন্ধানে। তিনি অনুসন্ধানী গণমাধ্যম ওহোপুবলিকোর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এখন গড়ে তুলেছেন স্বাস্থ্যখাতের ভুয়া খবর যাচাইয়ের নেটওয়ার্ক স্যালুদ কন লুপা। তাঁর আগ্রহের জায়গাও মূলত স্বাস্থ্য ও ডেটা। সাংবাদিকতার বহুমাত্রিক কাজের জন্য তাঁর পছন্দের কিছু টুল আছে। সেগুলোর কথাই বলেছেন, “আমার প্রিয় টুল” সিরিজে।

অপারেশন কার ওয়াশ: যে অনুসন্ধান বদলে দিয়েছে লাতিন আমেরিকার সাংবাদিকতা

বলা হয়, লাভা হাতো কেলেঙ্কারি বিশ্বের সবচে বড় দুর্নীতির ঘটনা। এটি উন্মোচন করেছেন সাংবাদিকরাই। জোটবদ্ধ এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অন্তত ১০জন সাবেক প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, গভর্নর, মন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম, যারা কোটি কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চেহারাই শুধু পাল্টে দেননি; ভবিষ্যতে আরো অনেক আন্তঃসীমান্ত রিপোর্টিং প্রকল্পের ভিতও রচনা করেছেন।

স্টোরি প্লেবুক: ছাঁচে ঢেলে দিন শব্দ, হয়ে যাবে গল্প

প্রতিদিন শত শত স্টোরি প্রকাশ করতে হয় ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে। নানা রকমের বিষয় ও তথ্যকে সহজে গল্পে বদলে ফেলতে তারা তৈরি করেছে স্টোরি প্লেবুক। এখানে পাঁচটি টেমপ্লেট আছে। সেই ছাঁচই রিপোর্টারকে বলে দেয় ষ্টোরির কোন অংশে কোন তথ্য বসাতে হবে, কোন প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। এভাবে সহজেই লেখা হয়ে যায় গল্প। তাদের এই টেমপ্লেট সবার জন্য উন্মুক্ত। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন আপনিও।

আন্ডারকভার রিপোর্টিং: আমি যেভাবে কসাই হলাম

প্যাট্রিক সেপানিয়াক। অ্যাসাইনমেন্টের প্রয়োজনে ছদ্মবেশ ধারণ করা তার জন্য নতুন নয়। নেদারল্যান্ডে অস্থায়ী শ্রমিক সেজে কাজ করতে গিয়ে মার খেয়েছেন। উবার ড্রাইভার সেজে গাড়ী চালিয়ে প্রমাণ করেছেন কোম্পানিটি কীভাবে করফাঁকি দেয়। স্ট্রিপ ক্লাবে ঘুরে ঘুরে বের করেছেন কীভাবে বিদেশী পর্যটকদের সবকিছু লুটে নেয়া হয়। শেষবার তিনি কসাইয়ের ছদ্মবেশে গিয়েছেন পোল্যান্ডের এক কসাইখানায়। চলুন জেনে নেয়া যাক, আন্ডারকভার তথা ছদ্মবেশে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিনি কী শিখেছেন।