বৈশ্বিক হ্যাকিং সংকট: অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা যেভাবে লড়তে পারেন
জিআইজেসি২৩-র কিনোট স্পিচে সিটিজেন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রন ডেইবার্ট কথা বলেছেন বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সামনে থাকা নতুন ও ভীতিকর সব ডিজিটাল হুমকি নিয়ে।
জিআইজেসি২৩-র কিনোট স্পিচে সিটিজেন ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রন ডেইবার্ট কথা বলেছেন বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সামনে থাকা নতুন ও ভীতিকর সব ডিজিটাল হুমকি নিয়ে।
গোটা বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মামলা। মিথ্যা সংবাদ দমন ও প্রাইভেসি রক্ষার নামে দেশে দেশে মত প্রকাশ ও বাক স্বাধীনতা পরিপন্থী আইন হচ্ছে। বাড়ছে মিথ্যা মামলা, আইনি হয়রানি, আটক ও গ্রেপ্তারের ঘটনা। এমন একটি বাস্তবতাকে সামনে রেখে মিডিয়া ডিফেন্সের সহযোগিতায় সাংবাদিকদের জন্য এই গাইড তৈরি করেছে জিআইজেএন।
অনলাইনে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি, হুমকি, এবং নিয়ন্ত্রণ আগেও ছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের কারণে রিপোর্টিংয়ে ডিজিটাল যোগাযোগ পদ্ধতির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই ঝুঁকি আরো বেড়েছে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ আছে, যেখান থেকে বোঝা যাবে নজরদারির প্রযুক্তি এখন কতটা অভিনব। আর জানা যাবে, এমন পরিস্থিতি থেকে সাংবাদিকরা নিজেদের কিভাবে নিরাপদ রাখবেন।
করোনাভাইরাস এই দশকের সবচেয়ে বড় স্টোরি। কিন্তু মহামারির আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্যায়, অনিয়ম, বৈষম্য বা দুর্নীতির খবরগুলোকে কি আমরা ঠিকমত তুলে আনতে পারছি? যদি লুকোনো সেই সত্যটাকে তুলে আনতে চান আপনার অনুসন্ধান দিয়ে, তাহলে কোন কোন দিকে নজর দেবেন? কী নিয়ে রিপোর্ট করবেন? সম্ভাব্য অ্যাঙ্গেলই-বা কী হবে? উত্তর জানতে পড়ুন, স্বনামধন্য ১৩ সাংবাদিকের পরামর্শ।
আপনি যদি ডিজিটাল নিরাপত্তার উপর কোনো কর্মশালায় কখনো অংশগ্রহণ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জেনেছেন – কীভাবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বানাতে হয়, কীভাবে একটা ফোল্ডার বা এক্সটারনাল হার্ড ড্রাইভকে এনক্রিপ্ট করতে হয়, এবং কীভাবে আপনার অনলাইন মেসেজিং সার্ভিসগুলোকে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের আওতায় আনতে হয়। সবই দরকারি, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য সবসময় যথেষ্ট নয়। আপনার দরকার, নিজের পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে খাপ খায় এমন টুল বা চর্চা বাছাই করতে শেখা।
সাধারণ মানুষের ধারণা হুইসেলব্লোয়ার বা গোপন তথ্য ফাঁসকারীদের সাথে রিপোর্টারদের যোগাযোগটা “অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান” চলচ্চিত্রের মত রহস্যময় আর গোপনীয়তায় ভরা – মাটির নিচে অন্ধকার গ্যারেজে তারা সাক্ষাৎ করেন, সাংকেতিক উপায়ে আলাপ সারেন, ফিসফিসিয়ে তথ্য আদান প্রদান করেন। কিন্তু সময় বদলে গেছে। এখনকার সাংবাদিকরা হুইসেলব্লোয়ারদের সাথে যোগাযোগ করেন সিগন্যালে, তথ্য বিনিময় করেন ড্রপবক্সে। তাদেরকে এখন ওয়াশিংটন ডিসির গ্যারেজে যেতে হয় না। একারণে বদলে গেছে সোর্সের সুরক্ষার পদ্ধতিও।
আপনি যদি আর দশজন মানুষের মতো হন, তাহলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেট জুড়ে। এই ছড়ানো-ছিটানো তথ্যগুলো সাংবাদিকদের “ডক্স” করার জন্য – অর্থাৎ, ক্ষতিকর কারো দ্বারা ফোন নাম্বার ও বাসার ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য খুঁজে বের করে প্রকাশ করার মতো কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।
চারিদিকে ব্যক্তিগত ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার যত খবর আসছে, তাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে সবারই কমবেশী শংকিত হওয়া উচিত। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশী মনোযোগ দেয়া দরকার। কারণ, তারা গোপন সোর্স আর স্পর্শকাতর তথ্য নিয়ে কাজ করেন। পড়ুন, তথ্যের সুরক্ষায় যে চারটি কৌশল আপনি এখনই নিতে পারেন।