

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের মহাগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের জন্য। পাশাপাশি আছে নির্বাচনের স্বচ্ছতা- গ্রহণযোগ্যতার প্রতি হুমকি, কিংবা ভোটারদের যোগ্যতা নিয়ে আলোচনাও। যারা ভোট চুরির মিথ্যে অভিযোগকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন তাঁদের অনেকেই এখন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তাঁরা গণতন্ত্রের ভিত্তি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা নির্বাচনের ফল অস্বীকারকারীদের মুখোশ উন্মোচনে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
এই ওয়েবিনারে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলবেন নির্বাচনী বৈধতা ও ভোটারদের ভোট দেওয়ায় বাধা দেওয়ার বিষয়টি কীভাবে অনুসন্ধান করা যায় সে সম্পর্কে। এ সম্পর্কিত আইন ও যেসব রাজনৈতিক শক্তি মাঠে সক্রিয় তা খুঁজে বের করতে তথ্য ও পরামর্শ দেবেন তাঁরা। নির্বাচনী আইনে জটিলতা, অপ/ভুয়াতথ্যের ভূমিকা ও নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে কি না তা কীভাবে যথাযথভাবে অনুসরণ করা যায় এমন বিষয়গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবেন আলোচকেরা।
জাস্টিন গ্লয়ে একজন স্বাধীন সাংবাদিক, ও প্রকাশিতব্য ‘ইফ আই এম কামিং টু ইওর টাউন, সামথিং টেরিবল হ্যাজ হ্যাপেনড’ নামে বইয়ের লেখক। আমেরিকান ডুম নামে তিনি একটি নিউজলেটার বের করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে যে মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন তাতে সমর্থনকারী স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে রোলিং স্টোনের করা সাড়া জাগানো প্রতিবেদন তৈরিতে অবদান রেখেছেন। তাঁর কাজের ক্ষেত্র মূলত রাজনৈতিক চরমপন্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এর প্রভাব। তিনি সেসব কর্মকর্তাদের ওপর আলোকপাত করেছেন যাঁরা তাঁদের অবস্থান থেকে নির্বাচনী ফলাফলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করতে বা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন।
ক্যারি লেভাইন ভোটবিটের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। তিনি সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টেগ্রিটির সাবেক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। এই প্রতিষ্ঠানে থেকে তিনি ভোটাধিকার, রাজনীতিতে টাকা ও প্রভাব খাটানোর মতো বিষয়গুলো কাভার করেছেন। এর আগে তিনি সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিকস ইন ওয়াশিংটন (ক্রিউ) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ছিলেন। তিনি লিগ্যাল টাইমস ন্যাশনাল ল জার্নাল ও শার্লট অবজারভারের জন্য লিখেছেন, সম্পাদনাও করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী ক্যারি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী।
নিখেল সাস সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিকস ইন ওয়াশিংটনের (ক্রিউ) প্রধান পরামর্শক। তিনি জবাবদিহিতা, স্বচ্ছা ও সরকারের নৈতিকতা নিশ্চিত ও প্রচারে প্রয়োজনীয় আইনকানুন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। আগস্ট, ২০২৪ এ তিনি ক্রিউ এর ইলেকশন সার্টিফিকেশন আন্ডার থ্রেট প্রতিবেদন তৈরিতে ভূমিকা রাখেন। আসন্ন নির্বাচনে সুরক্ষা দিতে আইনী পথরেখা বিষয়ক প্রতিবেদন এটি।
ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করবেন গৌরি রামাচন্দ্রন। তিনি ব্রেনান সেন্টারের ইলেকশনস অ্যান্ড গভর্নমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক। তাঁর কাজের ক্ষেত্র নির্বাচনী নিরাপত্তা, নির্বাচন প্রশাসন ও নির্বাচন সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ।
আমাদের টুইটার ফিড @gijn ও নিউজলেটার দেখুন ভবিষ্যতে আরও যেসব ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে সে সম্পর্কে জানতে।
ওয়েবিনারে যোগ দিতে এই ঠিকানায় নাম নিবন্ধন করুন।
তারিখ, মঙ্গলবার ১ অক্টোবর ২০২৪।
সময় – মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা।