Photo: Pixabay
ডিজিটাল নিরাপত্তা: সাংবাদিকদের যা যা জানা দরকার
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
ডিজিটাল স্পেসে সাংবাদিকদের জন্য হুমকি ক্রমেই বাড়ছে। একারণে অনলাইনে যোগাযোগ এবং তথ্য রক্ষায় তাদের বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া দরকার।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিপদের গভীরতা জেনেও সাংবাদিকরা কোনো ধরনের মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।
“ছোট একটি পদক্ষেপ আনতে পারে বিরাট পরিবর্তন” শ্লোগানে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা গাইড প্রকাশ করেছে ররি পেক ফাউন্ডেশন। এই নির্দেশিকা তৈরির সময় বিষয়-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করেছে জিআইজেএন।
পিডিএন পালসের একটি সাক্ষাৎকারে ফ্রিডম অব দ্য প্রেস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ট্রিভোর টিম বলেন, “কেউ কখনো বলতে পারবেন না, তিনি শতভাগ নিরাপদ। কিন্তু কিছু মৌলিক পদ্ধতি অনুসরণ করে. যে কেউ ইন্টারনেটের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর তুলনায় নিজেকে আরো নিরাপদে রাখতে পারেন। এই নিরাপত্তা অনেক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে ।”
কানাডা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিটিজেন ল্যাবের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রবার্ট গুয়েরার সংক্ষিপ্ত সুপারিশ দিয়ে শুরু করছি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বেশির ভাগ সাংবাদিক ইন্টারনেট নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন না।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিও কর্মী এবং সাংবাদিকদের “নিরাপদ যোগাযোগ এবং তথ্য সুরক্ষার” উপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন গুয়েরা। তাঁর মতে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসাবে পরিচিতি পেলে, অনেকেই ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে আপনার ব্যক্তিগত এবং অনুসন্ধানী রিপোর্টের তথ্য চুরির চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, “প্রথমে ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন, তারপর কায়দা-কানুনগুলো শিখুন। এমন কিছু সহজ পদ্ধতি আছে, যা চাইলেই যে কেউ অনুসরণ করতে পারেন।”
গুয়েরার সুপারিশ:
ই–মেইল
- যেসব দেশে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি হয়, সেখানে গেলে স্থানীয় ইমেইল সেবার উপর নির্ভর করবেন না।
- নিজ বাড়িতে নিরাপদ ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করুন। যেমন, ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে “https” লেখা দেখলে ধরে নিতে পারেন ইমেইল সার্ভিসটি সুরক্ষিত। জিমেইল গতানুগতিক ভাবেই নিরাপদ। আর ইয়াহু ও ফেসবুকের সেটিংস্ বদলে নেয়া যায়। কেন সেটিংস বদলানো প্রয়োজন? কেননা, আপনি যদি বিনামূল্যের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন তবে বিনামূল্যের সাধারণ সফটওয়্যার দিয়েই আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটার আয়ত্তে নিয়ে যেতে পারবে যে কেউই। সোর্সের সাথে যোগাযোগের সময় এটি বড় ধরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। গুয়েরার মতে, “ এটা অনেকটা, ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে সোর্সের সাথে চিৎকার করে গোপন কথা বলার মত!”
- যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, তারাই আপনার একাউন্ট নিরাপদে রাখবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। আপনার অফিসের প্রযুক্তি ডেস্কের সাথে কথা বলুন। প্রয়োজনে গুগল বা ইয়াহুতে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খুলুন, যাতে ইমেইলের নিরাপত্তার ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ থাকে।
পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর লগইন
আপনার যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে সবাই আপনার ইউজারনেইম জানে। তার মানে, হ্যাকাদের শুধু আপনার পাসওয়ার্ড দরকার। তাই আত্মরক্ষার প্রথম ধাপ হল একটি তুলনামূলক জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কীভাবে তৈরি করবেন, তা নিচে বলা হয়েছে। যারা আরো নিরাপত্তা চান, তাদের জন্য সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত বা ঐচ্ছিক স্তর যোগ করেছে জিমেইল, টুইটার এবং ফেসবুক। একে বলা হয় টু-ফ্যাক্টর লগইন। যখন আপনি দুই ধাপে লগইন অপশনটি চালু করবেন তখন পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ফোনে যাচাই কোডসহ একটি ক্ষুদে বার্তা যাবে। সেটি লেখার পরই আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরির জন্য ১২ মিনিটের একটি ভিডিও আছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-এর।
লগইন সেটিংস
কম্পিউটারে অন্তত একটি ডিফল্ট অ্যাডমিন অ্যাকাউন্টসহ একাধিক ইউজার অ্যাকাউন্ট রাখুন। নিশ্চিত থাকুন যে দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টে কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সুবিধা নেই। তারপর আপনার দৈনন্দিন কাজের জন্য ঐ লগইনটি ব্যবহার করুন। এরপর ম্যালওয়ার স্বয়ংক্রিয় ভাবে ইন্সটল হওয়ার চেষ্টা করলে, বার্তার মাধ্যমে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাসওয়ার্ড চেয়ে আপনাকে সতর্ক করবে কম্পিউটার।
ম্যালওয়্যার
- সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট থেকে সাবধান থাকুন, সফটওয়্যার আপডেট রাখুন এবং ভাল এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল করুন। টাকা দিয়ে কেনা লাগে, এমন সফটওয়্যার বেশি নিরাপত্তা দেয়।
- আপনার চেনা কোনো ব্যক্তি বা দল থেকে মেইল এসেছে, কিন্তু ইমেইল অ্যাড্রেসের বানানে সামান্য হেরফের আছে – এমন কিছু দেখলেই সতর্ক হোন।
- ম্যাক খুবই সুরক্ষিত এমন ভুলধারণা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থাহীন পুরোনো কম্পিউটার আপনাকে আরো বড় বিপদে ফেলতে পারে।
গুয়েরা এখানে দরকারি কিছু টুলের বর্ণনা দিয়েছেন।
হঠাৎ কোনো গড়বড় হলে
কম্পিউটার ভুতুড়ে আচরণ করছে – এমন দেখলেই সতর্ক হোন। কিছু অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আছে যারা সাইবার হামলা শনাক্ত ও ট্র্যাকিংয়ের কাজে দক্ষ। বিপদ দেখলে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। এমন দলের মধ্যে:
- অ্যাক্সেস-নাও, একটি ডিজিটাল সিকিউরিটি হেল্পলাইন পরিচালনা করে। তারা সাতটি ভাষায় ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়।
- নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের সহায়তায় কাজ করে।
- প্যারিস ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রিপোর্টাস্ উইদাউট বর্ডারস্ সিপিজের মত একই ধরনের কাজ করে।
- টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন ল্যাব ইন্টারনেট নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের উপর গবেষণা করে।
টিউটোরিয়াল ও টিপ শিট
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে গাইডের কোনো অভাব নেই। এদের বেশিরভাগই খুব জটিল। এদের সবই যে সাংবাদিকদের জন্য উপযোগী, তা-ও নয়। তবে সেখানে কিছু না কিছু পাবেন, যা আপনার কাজে আসবে। কাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনার বার্তাকক্ষ বা প্রতিষ্ঠানে এমন কাউকে দায়িত্ব দিন, যে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে। এখানে কিছু দরকারি রিসোর্স দেয়া হল:
জিআইজেএন তৈরি করেছে জার্নালিস্ট সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট টুল। এটি একটি বিনামূল্যের টুল, যেখানে বিস্তারিত জরিপের মাধ্যমে কোনো নিউজরুম বা সাংবাদিক তাদের কাজে নিরাপত্তাজনিত দূর্বলতা সনাক্ত করতে পারেন। (২০০২)
আরও সুরক্ষিত ও ব্যক্তিগত টুইটিংয়ের জন্য টর সার্ভিস চালু করছে টুইটার, ভার্জের প্রতিবেদন। (২০২২)
প্রোপাবলিকার প্রতিবেদন, অনলাইন নিরাপত্তা জোরদারে এক সাবেক হ্যাকারের গাইড। সাবেক এই হ্যাকার এক সময় এমন একটি ওয়েবসাইট চালাতেন— যেটিকে বিচারকরা আখ্যায়িত করেছিলেন চুরি করা পরিচয় তথ্যের অ্যামাজন বলে। তিনি এখানে পরামর্শ দিয়েছেন ডেটা সুরক্ষার সেরা কিছু পদ্ধতি নিয়ে। (২০২২)
ক্লিক করবেন নাকি করবেন না? কিভাবে অনলাইনে নানা সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন—তা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে ট্যাকটিক্যাল টেক। (২০২২)
মোবাইল সাংবাদিকদের জন্য স্মার্টফোন নিরাপত্তা: পুলিশকে কি সাংবাদিকের স্মার্টফোন খুলে দেওয়া উচিৎ? “নাগরিক বিক্ষোভের মতো ঘটনা কাভার করতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ ও বিতরণের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ক্রমেই বেশি করে ব্যবহার করছেন স্মার্টফোন। “স্মার্টফোন সাংবাদিকতার” এই নতুন যুগে নতুন ধরনের কিছু আইনি ও প্রযুক্তিগত প্রশ্ন সামনে এসেছে। যেমন, কোন ধরনের পরিস্থিতিতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনো সাংবাদিককে তার স্মার্টফোন হস্তান্তর এবং সেটি খুলে দিতে বাধ্য করতে পারেন? যখন সংবাদ সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য অন্য কেউ জেনে ফেলার আশংকা থাকে, তখন কোন ধরনের নিরাপত্তা পদক্ষেপ বেশি কার্যকর হবে? চ্যাপেল হিলসের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার প্রবন্ধটি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।
মিশন-ভিত্তিক সংগঠনের জন্য জিসিএ সাইবার সিকিউরিটি টুলকিট তৈরি করেছে গ্লোবাল সাইবার অ্যালায়েন্স। অনলাইনে নিরাপদ থাকার জন্য প্রতিটি সংগঠনের যেসব টুল ও তথ্য দরকার— সেসব নিয়ে এখানে আর্টিকেল, ভিডিও ও ওয়েবিনার পাওয়া যায়। বিনামূল্যে।
সাংবাদিকরা কিভাবে অনলাইন হেনস্তা, মিথ্যা তথ্যে মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে পারেন, হাওয়ার্ড হার্ডলির ২০২১ সালের এই প্রবন্ধটিতে তুলে ধরেছেন: কিভাবে সাংবাদিকরা কারো হামলার শিকার হওয়ার আগেই নিজের অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার করতে পারেন এবং কর্মীদের সহায়তার ক্ষেত্রে নিউজরুমগুলো কী করতে পারে।
জিসিএ সাইবার সিকিউরিটি টুলকিট ফর জার্নালিস্টস। ২০২০ সালে গ্লোবাল সাইবার অ্যালায়েন্স প্রকাশ করেছি বিনামূল্যের এই কার্যকরী রিসোর্সটি। এটির লক্ষ্য: সাংবাদিক, ছোট নিউজরুম ও ওয়াচডগদের সাইবার নিরাপত্তাজনিত চর্চাগুলো আরও জোরদার করতে সহায়তা করা।
পড়ুন, ২০১৯ সালে জিআইজেএনের জন্য কাতারিনা সাবাদোসের লেখা প্রতিবেদন, অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখতে কোন টুল বেছে নেবেন। সাবাদোস একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এবং অরগানাইজড ক্রাইম এন্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) গবেষক।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস ডিজিটাল সেফটি কিট। ২০১৯ সালের এই গাইডে আছে ছয়টি অধ্যায়: অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা; ফিশিং; ডিভাইসের নিরাপত্তা; এনক্রিপ্টেড যোগাযোগ; নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার; এবং সীমান্ত পারাপার।
সিপিজে সুরক্ষা পরামর্শ: পেগাসাস স্পাইওয়্যারের শিকার সাংবাদিকরা (২০১৯)
নিউ ইয়র্ক টাইমস ডিজিটাল সিকিউরিটি এডুকেশন হাব-এ আছে ইন্টারনেটে নিজেকে ডক্স করার গাইড এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি চেকলিস্ট। ওয়ার্কশপ পরিচালনাকারীদের জন্য ডক্সিং সম্পর্কে একটি পাঠদানের গাইডও আছে এখানে।
নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইন ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের জন্য ২০১৯ সালের নভেম্বরে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস।
ডক্সিংয়ের শিকার হওয়া এড়াতে ডিজিটাল নিরাপত্তা যাচাই, জিআইজেসি১৯-এ এটি উপস্থাপন করেছিলেন রিভিল-এর প্রতিনিধি উইল কার্লেস, যিনি কাজ করেন উগ্রবাদ নিয়ে।
সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজন একটি বাস্তবায়নযোগ্য টুলকিট। ২০১৯ সালের এই প্রবন্ধটি লিখেছেন নাথিং২হাইড-এর প্রেসিডেন্ট ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা, গ্রেগোয়া পুজে।
তথ্যচিত্র নির্মানে কাজ করছেন এবং এজন্য দলের ডিজিটাল নিরাপত্তাগত চর্চা নিশ্চিত করতে চান বা আরও আধুনিক কৌশল অবলম্বন করতে চান— এমন মানুষদের জন্য এই গাইড তৈরি করেছে ফ্রিডম অব দ্য প্রেস ফাউন্ডেশন ও ফিল্ড অব ভিশন। এই গাইডে আছে: ডেস্কটপ নিরাপত্তা, ভ্রমণ নিরাপত্তা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং যোগাযোগ সংক্রান্ত নিরাপত্তা।
অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ। টোটেম-এর এই অনলাইন শিক্ষণ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ, অনলাইন ক্লাসরুমের পরিবেশে। তারা বিনামূল্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ আয়োজন করে ইংরেজি, ফার্সি ও স্প্যানিশ ভাষায়।
অনলাইন হয়রানি মোকাবিলায় নিউজরুম ও সাংবাদিকদের সম্ভাব্য পদক্ষেপ। ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইন্সটিটিউটের (আইপিআই) ২০১৯ সালের এই সংকলনে বেশ কিছু বিষয় কাভার করা হয়েছে। যেমন: অনলাইনে কোনো হুমকি পেলে সাংবাদিক কী করবেন? এবং নিউজরুমে নিরাপদ একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করণীয় কী?
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স। এনক্রিপশন, পরিচয় গোপন, অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা, বিদ্বেষপূর্ণ বার্তা ও মিথ্যা সংবাদ নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে পেশাগত বিবেচনা; ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য পাবেন এখানে: helpdesk.rsf.org।
ডিজিটাল নিরাপত্তা: ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলুন ব্যক্তিগত তথ্য। ২০১৯ সালে লেখাটি প্রকাশ করেছিল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস।
নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের ব্যবহারিক গাইড নামের পাঠ্যক্রমটি তৈরি করেছে ওপেন নিউজ এবং বাজফিড ওপেন ল্যাব। ডেভেলপার, ডিজাইনার এবং ডেটা এনালিস্টদেরকে ওপেন জার্নালিজম প্রজেক্ট তৈরিতে সাহায্য করে ওপেননিউজ। আর বাজফিড ওপেন ল্যাব হলো বাজফিড নিউজের একটি কলা ও প্রযুক্তি বিষয়ক ফেলোশিপ প্রোগ্রাম।
সিউলে অনুষ্ঠিত আনকভারিং এশিয়া ২০১৮ সম্মেলনে ট্যাকটিক্যাল টেকনোলজি কালেক্টিভের ডিজিটাল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্রিস ওয়াকারের উপস্থাপনার ভিত্তিতে জিআইজেএন প্রকাশ করেছে প্রত্যেক সাংবাদিকের জানা দরকার এমন চারটি ডিজিটাল নিরাপত্তা টিপস্। নিজের, সোর্সের এবং রিপোর্টের সুরক্ষার জন্য সাংবাদিকরা কিছু মৌলিক পরামর্শ পাবেন এই লেখায়।
অনলাইন হ্যারাসমেন্ট ফিল্ড গাইড, প্রকাশ করেছে পেন আমেরিকা। এখানে লেখক, প্রত্যক্ষদর্শী, চাকুরিজীবী ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পাঠকের জন্য আছে উপকারী পরামর্শ। এবং কিছু বিশেষ অনুল্লেখিত বিষয়, যেমন, বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে কথা বলার গাইডলাইন।
আপনার স্মার্টফোন ও আপনি: আধুনিক কালে মোবাইল ব্যবস্থাপনার হ্যান্ডবুক। ২০১৯ সালে এই গাইডটি প্রকাশ করেছে ফ্রিডম অব দ্য প্রেস ফাউন্ডেশন।
কারেন্ট ডিজিটাল সিকিউরিটি রিসোর্সের আগস্ট ২০১৭ সংস্করণে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মার্টিন শেলটন বলেন “সবচেয়ে সমৃদ্ধ ডিজিটাল সিকিউরিটি রিসোর্সও খুবই দ্রুত পুরোনো হয়ে যায়।” টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন নিয়ে শেলটনের লেখাটি বেশ আলোচিত। সাংবাদিকরা কীভাবে ম্যালওয়্যার মোকাবেলা করবেন – তার আরেকটি অনবদ্য লেখা।
শেলটনের ২০১৬ সালের লেখা: সাংবাদিকদের ডিজিটাল আত্মরক্ষা: একটি ভূমিকা, পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল জিআইজেএন-এ। এটি এখনও এ বিষয়ে একটি উপকারী ভূমিকা হিসেবে টিকে আছে।
ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফউন্ডেশন নজরদারি থেকে আত্মরক্ষার একটি গাইড তৈরি করেছে। সেখানে নিরাপত্তার সাতটি প্রাথমিক ধাপসহ বেশকিছু পরামর্শ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে:
- পাসওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার: শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির জন্য ডাইসওয়্যার ব্যবহার করুন। একই পাসওয়ার্ড বারবার ব্যবহার করবেন না, এনক্রিপ্টেড ডেটাবেসে নিরাপদভাবে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের জন্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহারের কথা বিবেচনা করুন। নিরাপত্তা প্রশ্নের ক্ষেত্রে সহজেই বের করা যাবে এমন উত্তর পরিহার করুন, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করুন। আপনি যদি পাসওয়ার্ডটি কাগজে লিখে আপনার ওয়ালেটে রাখেন তবে প্রকৃত পাসওয়ার্ডের আগে এবং পরে নকল কিছু অক্ষর অবশ্যই লিখে রাখবেন এবং অ্যাকাউন্ট কখনোই স্পষ্টভাবে লেবেল করে রাখবেন না। একাধিক অ্যাকাউন্টের জন্য কখনোই একই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এবং নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
- তথ্য-প্রমাণ ধ্বংস করা উচিত নয়। আপনি কোন তথ্য রাখবেন আর কোনটি মুছে ফেলবেন তার একটি নীতিমালা তৈরি করুন। এই নীতি যেন লিখিত থাকে এবং সবাই তা অনুসরণ করে। “কখনো আদালতে ডাক পড়লে এটাই আপনার জন্য সবচেয়ে বড় সুরক্ষা হয়ে দাঁড়াবে।”
- তথ্য সুরক্ষার প্রথমিক কথা: আপনার অ্যাকাউন্ট এবং স্ক্রিনসেভারের জন্য লগইন প্রয়োজন। আপনার পাসওয়ার্ডটি শক্তিশালী করুন। নিশ্চিত করুন আপনার সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিরাপদ।
- তথ্য এনক্রিপশন: পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত তথ্য পাওয়া সরকারী সংস্থাগুলোর জন্য খুব একটা কঠিন নয়। তবে ভাল করে এনক্রিপ্ট করা তথ্য পাওয়া অনেক কঠিন। কোন কাজের জন্য কিভাবে এনক্রিপশন করবেন, সে বিষয়ে মৌলিক পরামর্শের একটি নির্দেশিকা রয়েছে এসএসডির।
- ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষা: অ্যান্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন, সেগুলো আপডেট রাখুন এবং সন্দেহজনক লিঙ্ক এবং ফাইল এড়িয়ে চলুন।
ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের ইভা গালপারিনের পরামর্শ:
- স্কাইপ ঠিক অতটা নিরাপদ নয় যতটা আপনি মনে করেন। আপনি কার সাথে যোগাযোগ করছেন, তা সরকার চাইলেই ট্র্যাক করতে পারে। এর পরিবর্তে গুগল হ্যাংআউটস বা নিরাপদ প্লাটফরম ব্যবহারের কথা বিবেচনা করুন।
- টেক্সট ম্যাসেজ ব্যবহারও অনিরাপদ, কারণ তা এনক্রিপ্টেড নয়।
অয়্যার্ড ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে অয়ার্ড ডিজিটাল নিরাপত্তা গাইড, যা নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের একটি কার্যকর উৎস।
মায়ানমার: সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা গাইড নামের নির্দেশিকাটি তৈরি করেছে সেন্টার ফর ল’ এ্যান্ড ডেমোক্রেসি (সিএলডি)। তাদের সহায়তা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া সাপোর্ট (এইএমএস), ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউট এবং মায়ানমার প্রেস কাউন্সিল (এমপিসি)। এখানে সাংবাদিকদের জন্য যোগাযোগের সহজ ও সুলভ পদ্ধতি, ডিজিটাল হয়রানি, নজরদারি এবং হ্যাকিং ঠেকানোর ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য মিলবে।
সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের জন্য সিকিউরিটি ইন-এ-বক্স প্রকাশ করেছে ট্যাকটিকাল টেকনোলজি কালেক্টিভ। এটি নিয়মিত হালনাগাদ হয়। এতে আছে ১১টি বিষয়ে হাউ-টু-বুকলেট, ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এবং মোবাইল সিকিউরিটি নিয়ে হ্যান্ডস্-অন-গাইড।
নজরদারি থেকে আত্মরক্ষার চেক লিস্ট তৈরি করেছে দি ইন্টারসেপ্ট। এখানে নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিক, মধ্যবর্তী এবং উচ্চস্তরের পদক্ষেপ কী হবে, তা আলাদাভাবে বলা আছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নজরদারি থেকে আত্মরক্ষার উপায় নিয়ে লেখা এই প্রতিবেদনে ইন্টারসেপ্টের মিকাহ লি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাহী ক্ষমতার অবিরাম সম্প্রসারণের অর্থ হচ্ছে, “সামনে দীর্ঘ যুদ্ধ। কারিগরীভাবে যতই কঠিন হোক, আত্মরক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।”
কানাডিয়ান জার্নালিস্টস্ ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন বিপদে পড়া সাংবাদিকদের জন্য প্রকাশ করেছে আপনার ডিজিটাল জীবন সুরক্ষিত করুন।
এসএমএস প্রেরণ: অনেক বিশেষজ্ঞ সিগনাল কিংবা হোয়াটসআপ ব্যবহারের সুপারিশ করে। জার্নালিজম ডট কো ডট ইউকেতে সিগনাল সম্পর্কে আর্টিকেলটি দেখুন। আর হোয়াটসআপ ব্যবহার নিয়ে ফার্স্ট ড্রাফটের আর্টিকেলটি দেখুন। যারা সিগন্যালের মতো সেবা ব্যবহার করে ফাইল আদানপ্রদানে স্বাচ্ছন্দ্য নন– তাদের জন্য একটি ভালো ব্যবস্থা হতে পারে মোজিলা সিকিউর ফাইল শেয়ারিং সার্ভিস ব্যবহার করা।
নাইট সেন্টার ফর জার্নালিজম পাঁচটি মৌলিক পরামর্শ তুলে ধরেছে এই লেখায়:
- এইচডি এবং ফ্লাশ ড্রাইভ এনক্রিপশন– আপনার হার্ড ড্রাইভ এবং ইউএসবি ডিভাইসে একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে এনক্রিপশন। যাতে সেগুলো হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলেও ফাইল নিরাপদে থাকে।
- টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন– এটি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাক্সেস, ইমেইল এবং সোসাল মিডিয়াতে ব্যবহার হয়। লগইনের জন্য এমন কিছু লাগে যা আপনি জানেন (আপনার পাসওয়ার্ড) এবং যা আপনাকে পাঠানো হয় (যেমন, আপনার ফোনে পাঠানো কোড )।
- সিগন্যাল- অ্যাপ্লিকেশনটি স্মার্টফোনের জন্য তৈরি। আপনার সেল ফোনে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করলেও, বুঝতে পারবেনা যে সেখানে কি লেখা রয়েছে।
- সিন্ক ডট কম- এখানে বিনামূল্যের ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবস্থা আছে। এটি তথ্য সংরক্ষণ করে। কিন্তু কি সংরক্ষণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা রাখেনা। আমরা সাধারণত যেসব ওয়েব সাইট ব্যবহার করি, তা ফাইল স্ক্যান করে, একটি রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু সিন্ক তা করে না। এটি এনক্রিপ্টেড এবং আরো বেশি নিরাপদ, সেই সাথে ব্যবহার করাও সহজ।
- পিজিপি- পুরো নাম প্রিটি গুড প্রাইভেসি, ইমেইল এনক্রিপ্ট করার একটি মাধ্যম। এটি অনেকটা সিন্দুকের মত, তবে তার দুটি চাবি রয়েছে: একটি তালা লাগানোর জন্য এবং অন্যটি খোলার জন্য। তালা লাগানোর চাবিটি আপনি সবাইকে দেন যাতে করে সবাই আপনাকে ফাইল এবং বার্তাগুলো পাঠাতে পারে। কিন্তু তালা খোলার চাবিটি থাকবে শুধুমাত্র আপনার কাছেই।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রাইভেসি ফর জার্নালিস্টস নামের সাইটটি পরিচালনা করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ক্রিপ্টোঅস্ট্রেলিয়া। নতুন নতুন বিষয় নিয়ে লেখা প্রকাশ করা হয় তাদের ব্লগে। যেমন- ক্লাউডে গোপনীয়তার সাথে ফাইল সংরক্ষণ, নিরাপদ সার্চ ইঞ্জিন বাছাই এবং ইউএসবি ড্রাইভ এনক্রিপ্ট করা।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত জেনিফার ভ্যালেনতিনো ডেভ্রিস এবং নাতাশা সিংগারের লেখা আপনার অবস্থান ট্র্যাক করা থেকে অ্যাপগুলোকে যেভাবে আটকাবেন। এই লেখায় তারা সেটিংস পরিবর্তনের সুপারিশ করেন।
এবং অবশ্যই, একটি পডকাস্ট। দ্য স্টোরিফুল পডকাস্ট: ডিজিটাল নিরাপত্তা – কিভাবে সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টরা অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এই পডকাস্টে সাংবাদিক ও উপস্থাপক ডেলা কিলরয়-এর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্টোরিফুলের সাংবাদিক জেনি হাউসার ও এঘান সুইনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, ফ্রন্টলাইন ডিফেন্ডার্স-এর নির্বাহী পরিচালন অ্যান্ড্রু অ্যান্ডারসন; এবং সিকিউরিটি ফার্স্ট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হলি কিলরয়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক অলাভজনক বার্তাকক্ষ প্রোপাবলিকার জুলিয়া এঙ্গউইন যে নয়টি পরামর্শ দিয়েছেন তাতে তিনি লিখেছেন “প্রতি জানুয়ারিতে আমি ডিজিটাল টিউন-আপ করি…, এই বছর কাজটি বিশেষভাবে জরুরি বলে মনে হচ্ছে, কারণ আমরা এমন বিশ্বের মুখোমুখি হচ্ছি যেখানে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নজিরবিহীন হুমকির সম্মুখিন।”
কম্প্যারিটেক-এর জন্য এইমি ও’ড্রিসকল ১১ টি পরামর্শ দিয়েছেন। “তার মধ্যে রয়েছে সাধারণ জ্ঞান থেকে শুরু করে আপ-টু-ডেট প্রযুক্তির ব্যবহার, যোগাযোগ এনক্রিপ্ট করা এবং জনপ্রিয় প্লাটফর্ম এড়িয়ে চলার মত কৌশল। এই পদ্ধতিগুলোর কিছু কিছু বাড়তি কাজ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এগুলোকে যখন একত্রিত করা হয়, তখন তথ্য হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।”
“প্রযুক্তি বিশ্ব ভয় দেখাচ্ছে” এমন মন্তব্য করে ডেভিড ট্রিলিং সাংবাদিকদের জন্য দরকারি টিউটোরিয়ালের লিংকসহ একটি টিপ শিট তৈরি করেছেন। এটি প্রকাশ করেছে হার্ভার্ডস শোরেনস্টাইন সেন্টার।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া উন্নয়ন বিষয়ক জার্মান প্রতিষ্ঠান ডিডাব্লিউ একাডেমি ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কিত লিংকের বিশাল একটি সংগ্রহ তৈরি করেছে।
আ ফার্স্ট লুক অ্যাট ডিজিটাল সিকিউরিটি – সাইবার নিরাপত্তার একটি ওপেনসোর্স বুকলেট – এটি গিটহাবে নিয়মিত আপডেট হয়। এটি আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নিতে সহায়তা করবে।
অনুসন্ধানী গণমাধ্যমের জন্য উগান্ডা হাব একটি আর্টিকেলে পাঁচটি টিপস দিয়েছে, যা ডিডাব্লিউ একাডেমির সহায়তায় সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণে ব্যবহার হয়।
এন্টি-ফিশিং অ্যান্ড ইমেইল হাইজিন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেছে ফ্রিডম অব দ্য প্রেস ফাউন্ডেশন।
আপনার মোবাইল ফোন সুরক্ষায় আটটি টিপস নামের লেখায় একটি ইনফোগ্রাফি ব্যবহারের মাধ্যমে এর বর্ণনা তুলে ধরেছে ফ্রিডম অব দ্য প্রেস ফাউন্ডেশন। এখানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক হারলো হোমসের একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে। তিনি বলেছেন, “প্রতিটা দিনই বিচ্ছু-ভর্তি একটি গামলার মত।”
ডিজিটাল ফার্স্ট এইড কিট “মানবাধিকার আইনজীবী, ব্লগার, অধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকরা – যারা নিজেরাই আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে তাদের জন্য ‘সেল্ফ-ডায়াগনস্টিক টুলসের’ একটি সেট। হুমকিতে থাকা ব্যক্তির সহায়তায় যিনি প্রথমে এগিয়ে আসেন তার জন্যও পরামর্শ আছে বইটিতে। ডিজিটাল ডিফেন্সারস্ পার্টনারশিপ এবং এক ডজনেরও বেশি এনজিও একত্রে এটি তৈরি করেছে।
দি সোর্সে প্রকাশিত জনাথন স্ট্রের লেখা সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তা, প্রথম খন্ড: মৌলিক বিষয় এবং দ্বিতীয় কিস্তি, সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তা, দ্বিতীয় খন্ড: হুমকি মডেলিং।
টেড হান এবং কুইন নর্টনের লেখা সংবেদনশীল নথিপত্র প্রকাশের সময় সোর্সের সুরক্ষা, সাবটাইটেল: “মেটাডেটা ঘষামাজা, তথ্য যথাযথভাবে সম্পাদনা, মাইক্রোডট এবং আরো অনেক কিছু অনুসন্ধান করুন।”
ররি পেক ট্রাস্টের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ক লেখায় ডিজিটাল নিরাপত্তার নানান দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের পাওয়ার পয়েন্ট উপাস্থাপনা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য নিরাপত্তা টুলস।
সোসাইটি ফর প্রফেশনাল জার্নালিস্টস্ কর্তৃক প্রকাশিত সাংবাদিকের টুলবক্সে অনেক রিসোর্সের লিঙ্ক রয়েছে।
সহজ প্রক্রিয়ায় একটি ছোট অনলাইন প্রোফাইল রক্ষনাবেক্ষন বিষয়ে সিকিউরিটি ইন এ বক্স দিচ্ছে ভিডিও টিউটোরিয়ালের একটি সিরিজ।
দি কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস্ এর সাংবাদিকতা সুরক্ষা গাইডের অংশ হিসেবে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর তৃতীয় অধ্যায় হলো প্রযুক্তি নিরাপত্তা।
সিপিজে-র সীমান্ত পারাপার নিয়ে পরামর্শ নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন ইরাটা সিকিউরিটির রবার্ট গ্রাহাম।
রিপোর্টারস্ উইদাউট বর্ডারস্ পাঁচটি ভাষায় অনলাইন সার্ভাইভ্যাল কিট নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছে।
ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড, ফ্রিডম হাউজ, গ্লোবাল ভয়েজ, এবং ইন্টারনিউজ সহ প্রায় ডজন খানিক মিডিয়া সম্পর্কিত এনজিও ডিজিটাল ফার্স্ট এইড কিট নামে একটি গাইড তৈরি করেছে।
সাংবাদিকদের জন্য তথ্য নিরাপত্তা নামে ৮০ পৃষ্ঠার একটি হ্যান্ডবুক আছে লন্ডন ভিত্তিক সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের।
সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ইউনেস্কোর রিপোর্টে, ১২টি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল হুমকি চিহ্নিত করা হয়েছে – যেগুলো হলো “অবৈধ অথবা অবাধ ডিজিটাল নজরদারি, অবস্থান ট্র্যাকিং এবং লক্ষ্যের ব্যাপারে কোন ধারণা ছাড়াই সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের অবৈধ ব্যবহার”। আপনি কিভাবে নিজেকে এবং আপনার তথ্যকে রক্ষা করবেন সে বিষয়ে টিপস্ পাবেন এখানে।
ফেসবুকের ২০টি ভাষায় সাংবাদিকদের জন্যে নিরাপত্তা টিপস্ রয়েছে।
গাইড টু প্রাইভেসি রিসোর্সেস ২০১৯ এই নির্দেশিকাটি বিনামূল্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অ্যাপ, টুলস্ এবং সেবা সমূহের বিস্তৃত একটি তালিকা, যা এর ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের ডিভাইসে প্রয়োগ করতে পারে। এলএলআরএক্স (ল’ এন্ড টেকনোলোজি রিসোর্সেস্ ফর লিগাল প্রফেসনালস্)-এর জন্য এটি সংকলিত করেছেন মার্কাস পি জিলম্যান।
আ মাদারবোর্ড গাইড টু নট-গেটিং হ্যাক্ড, এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে মাদারবোর্ডের একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা। রয়েছে মোবাইল নিরাপত্তার বিষয়ও।
আ ডিআইওয়াই গাইড টু ফেমিনিস্ট সাইবার সিকিউরিটি, লিখেছেন নোয়াহ কেলি, যিনি হ্যাক*ব্লুসুমের মাধ্যমে ‘সাইবার ফেমিনিজম’ বিষয়টি উন্মোচন করেছেন।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোম্পানি ইএসইটি-এর স্টিফেন কোব সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নামের লেখায় এ সংক্রান্ত সাইট ও রিসোর্সের তালিকা দিয়েছেন।
২০১৭ সালে গাবোর সাটমারি লিখেছেন সাংবাদিকদের জন্য মৌলিক যোগাযোগ সুরক্ষা। এতে আছে ডকুমেন্ট থেকে মেটাডেটা ঘষামাজা, তাৎক্ষনিক বার্তা প্রেরণ, নিরাপদে ফাইল শেয়ার এবং যোগাযোগের মত বিষয়।
২০১৬ সালে একাডেমিক গবেষকদের উদ্দেশ্যে ডেটা অ্যান্ড সোসাইটি প্রকাশ করেছিল: ঝুঁকিপূর্ণ গবেষণা পরিচালনার সময় আদর্শ চর্চা এবং অনলাইন হয়রানি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়। এখানে ভালো কিছু পরামর্শ এবং অন্যান্য রিসোর্সের তালিকা আছে।