কোভিড-১৯ মহামারির সময় জনস্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা বায়োমেট্রিক স্ক্যানার কিছু দেশের সরকার নতুন করে ব্যবহার করেছে সংবাদমাধ্যমের ওপর নজরদারির জন্য। ছবি: শাটারস্টক
নজরদারির নব্য ও বর্ধিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের যা করার আছে
গোটা বিশ্বে সাংবাদিকেরা যে প্রায়ই স্পাইওয়্যারসহ বিভিন্নভাবে নজরদারির শিকার হচ্ছেন, তা গত কয়েক বছরে অসংখ্য কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু নজরদারির আরো যেসব ধরন প্রভাবশালী হয়ে উঠছে, সে সম্পর্কেও সাংবাদিকদের সচেতন হতে হবে। যেমন: কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জনস্বাস্থ্যের নামে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে এবং আরও ব্যাপক উদ্দেশ্যে, অবস্থান ট্র্যাকিং ও বায়োমেট্রিক নজরদারির মতো নতুন ডিজিটাল নজরদারি শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সময়ে সারা বিশ্বে অনলাইন নিরাপত্তার নামে এন্ড-টু এন্ড এনক্রপিশনকে দুর্বল করার আইনি প্রচেষ্টাও চলছে।
ইন্টারনেট সোসাইটির গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক ক্যালাম ভোগের মতে, “আসলে উদ্বেগের বিষয় হলো, প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রগুলোই এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে।” তিনি ভিয়েনায় ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের একটি প্যানেলে নজরদারির এই “অদম্য নতুন বিশ্ব” নিয়ে কথা বলেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে সমস্যাজনক ও ব্যাপক আইনগুলোর বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতে পারে।
এনক্রিপশন ভেঙ্গে ফেলা এবং জনপরিসরে বর্ধিত নজরদারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, কিছু সাফল্যের গল্পও রয়েছে। আইপিআইয়ের উপপরিচালক স্কট গ্রিফেন পরিচালিত এই প্যানেলে এপির অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যারেন্স বার্ক, সার্বিয়ার আইনজীবী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ফাউন্ডেশনের নেভেনা ক্রিভোকাপিক মার্টিনোভিচ, গ্রিসের ইনসাইড স্টোরির অনুসন্ধানী সাংবাদিক এলিজা ট্রায়ানটাফিলু অংশ নেন। তারা নতুন ও বর্ধিত নজরদারির হুমকি নিয়ে আলোচনা করেন এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকর আইন ও চর্চা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে অনুসন্ধান ও প্রচারণার ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু কেস স্টাডি তুলে ধরেন।
প্যানডেমিক টুল
এপির অনুসন্ধানী সাংবাদিক গ্যারেন্স বার্ক, ট্র্যাক্ড নামের একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর বিষয়বস্তু ছিল বায়োমেট্রিক ও এআই-সমর্থিত নজরদারি টুলের প্রভাব, যার অধিকাংশই কোভিড-১৯ মহামারির সময় থেকে চলছে এবং যার কল্যাণে সরকারগুলো মানুষের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যতথ্য, মুখাবয়ব শনাক্তকরণের ছবি এবং বাড়ির ঠিকানাসহ ‘অগণিত তথ্য’ হাতে পেয়েছে। বার্ক বলেন, “আমরা দেখেছি যে এই টুলগুলো পরবর্তীতে এমন সব উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যার সঙ্গে মহামারির কোনও সম্পর্ক নেই।”
অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, ইজরায়েল ও অন্যান্য দেশের কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে এপির দলটি একাধিক ঘটনার সন্ধান পায় যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণ ও কর্মীদের ভ্রমণ কমাতে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হয়রানির করতে কোভিডের সময়কার তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। তারা স্বাস্থ্যতথ্যগুলোকে অন্যান্য নজরদারি ও আইনপ্রয়োগকারী টুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে যা কেউ কল্পনাও করেনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও তথ্য শেয়ার করেছে।
বিকেন্দ্রীকৃত ক্রয় ও বাস্তবায়ন কাঠামো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার নিয়ে লুকোছাপার কারণে এই নতুন ধরনের প্রযুক্তিগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করা কঠিন। একথা মাথায় রেখে, বার্ক অনুসন্ধানের বিকল্প কিছু পথ বাতলে দেন। তাঁর পরামর্শ হলো: প্রযুক্তিটি কারা নক্সা, তৈরি, ও প্রয়োগ করেছে তা নিয়ে রিপোর্ট করুন; প্রয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রাসঙ্গিক আইন, প্রবিধান ও চুক্তি নিয়ে গবেষণা করুন; তাদের কারণে কার কার ক্ষতি হচ্ছে বা ক্ষতির আশংকা আছে সেদিকে নজর দিন; এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই টুলগুলোর অসম কোনো প্রভাব আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। (যেমন: ট্র্যাকড শিরোনামের অনুসন্ধানটিতে দেখা গেছে, হায়দ্রাবাদে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর কীভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।)
সার্বিয়া: প্রতিরোধ
শেয়ার ফাউন্ডেশনের নেভেনা ক্রিভোকাপিচ মার্টিনোভিচ সার্বিয়ার পাবলিক প্লেসে বায়োমেট্রিক নজরদারি এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বিরুদ্ধে তাদের সাম্প্রতিক লড়াইয়ের কথা বর্ণনা করেন। তাঁর দল চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট, হুয়াওয়ের সাইটে একটি গবেষণাপত্র খুঁজে পায় যেখানে তারা উন্নত ফেসিয়াল ও লাইসেন্স শনাক্তকরণ সফটওয়্যারসহ ১,০০০ ক্যামেরা দিয়ে সার্বিয়ার বেলগ্রেড নগরীকে ঢেকে ফেলার একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে৷ মার্টিনোভিচ বলেন, “আমরা এটিকে বিশ্লেষণ করি এবং প্রকাশ করি, আর এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই [মূল] নথিটি হুয়াওয়ে সাইট থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন “‘সবচেয়ে সমস্যাজনক বিষয় ছিল যে আমাদের আইনে বায়োমেট্রিক নজরদারি এবং জনপরিসরে ফেসিয়াল রিকগনিশন বাস্তবায়নের কোনো ভিত্তি নেই। তো, এভাবেই আমাদের লড়াইটা শুরু হয়েছিল।”
হুয়াওয়ের নথি থেকে তথ্য ব্যবহার করে এবং নাগরিকদের সহায়তায় বেলগ্রেড শহরের হাজার হাজার বর্তমান এবং প্রস্তাবিত ক্যামেরার একটি খোলা মানচিত্র তৈরি করে শেয়ার। এর প্রতিক্রিয়ায় গোটা দেশের গণমাধ্যমে যে কভারেজ হয়েছিল, তা সাধারণ মানুষকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে, গোষ্ঠীটি একটি প্রস্তাবিত আইনও উন্মোচন করেছিল যা পাবলিক প্লেসে বায়োমেট্রিক নজরদারি বৈধ করবে। সার্বিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন নাগরিক গোষ্ঠী ও কর্মীরা এর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে এবং লড়াই করতে সক্ষম হয়েছিলেন; এবং আইনটির সেই সংস্করণ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। মার্টিনোভিচ বলেছেন, “এটি একটি ছোট জয় ছিল।”
‘প্রিডেটরগেট’
এলিজা ট্রায়ানটাফিলু গ্রিসের অভ্যন্তরে, সাম্প্রতিক স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারির কথা বর্ণনা করেন। ইনসাইড স্টোরির একটি ২০২৩ সালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব দেশ প্রিডেটর নামের একটি নতুন ধাঁচের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে, গ্রিস তাদের একটি। ব্যবহারকারী একটি লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই তার ফোনকে সংক্রমিত করে, প্রিডেটর। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও বিরোধী রাজনীতিবিদের ফোন প্রিডেটর দিয়ে সংক্রমিত হয়। এদের মধ্যে থানাসিস কুকাকিস ছিলেন, ইউরোপের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহারের প্রথম নিশ্চিত ঘটনা। এই ঘটনার আগে, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইনি নজরদারির অধীনে ছিলেন কুকাকিস। অবশ্য, দেশটির সরকার প্রিডেটরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ইনসাইড স্টোরির প্রাথমিক অনুসন্ধানের আঠারো মাস পরে, ঘটনার হাল-হকিকত সংক্ষেপে তুলে ধরেন: গ্রিক সরকার নিশ্চিত করেছে যে গ্রিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আড়িপাতার আইনি পদ্ধতির অপব্যবহার করেছে, তবে তারা প্রিডেটরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছে। দেশটির আইনের একটি ধারায় ব্যক্তির জন্য স্পাইওয়্যার ব্যবহার কঠোরভাবে দণ্ডনীয় ঘোষণা করা হলেও একই ধারায় রাষ্ট্রের জন্য তা বৈধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “ভাল বিষয় হলো, এথেন্সের প্রসিকিউটর অফিস স্পাইওয়্যার ও আড়িপাতার অপব্যবহার নিয়ে তদন্ত করছে,” তবে সামগ্রিকভাবে, “তথাকথিত প্রিডেটরগেট নিয়ে সাংবাদিকতা তেমনটা হয়নি।” ট্রায়ানটাফিলু আরও বলেন, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম ও সরকার খবরটি ধামাচাপা দিতে চাইলেও এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ার প্রমাণ রয়েছে: সাম্প্রতিক একটি জরিপের ভিত্তিতে, ৫% উত্তরদাতা বলেছেন যে সাম্প্রতিক আইনসভা নির্বাচনে তাঁরা কাকে ভোট দেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আড়িপাতা কেলেঙ্কারি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
এনক্রিপশন
এটি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে সুরক্ষার জন্যে তথ্যকে এলোমেলো করে দেয়া হয়। এটা ব্যাংকিং কিংবা স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত অনলাইন সুরক্ষার জন্যে অত্যন্ত জরুরী। যেসব সাংবাদিক তাঁদের তথ্যের উৎস প্রকাশ করতে চান না, কিংবা তাঁদের ওয়েবসাইট ও তথ্যের নিরাপত্তা চান, তাঁদের জন্যেও এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
“আমরা যখন এনক্রিপশন সুবিধা হারাই, তখন সেটি এত ব্যাপক মাত্রার হয়রানির সুযোগ করে দেয় যা আমাদের অনেকের কাছেই অকল্পনীয়,” বলছিলেন ভোগ। যখন এনক্রিপ্টেড পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা হোয়াটসআপ নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়া থেকে চলে যেতে বাধ্য হলো, সাংবাদিকদের তখন স্থানীয় এমন এক টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ করতে হয়েছিল যেটিতে সিরিয়ার সিক্রেট পুলিশ নজরদারি করতে পারতো এবং এর ফলস্বরুপ গ্রেপ্তার ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছিল। এই ব্যাপারে নানামুখি কর্মতৎপরতার ফলে এখন এ ধরনের পরিষেবা প্রদানকারীদের নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত করা হয়েছে।
শিশুদের যৌন নির্যাতনের উপকরণ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, এবং অপতথ্য মোকাবিলা করার লক্ষ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে চলমান আইনি তৎপরতার কথা উল্লেখ করেন ভোগ। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোই এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে৷
“এই সমস্ত আইনের অসুবিধা হলো যে বলতে গেলে কখনোই তাদের প্রস্তাবে ‘এনক্রিপশন’ শব্দটি উল্লেখ করা হয় না,” বলছিলেন ভোগ৷ “উল্টো, এনক্রিপশন হুমকির মুখে পড়ে যখন প্রস্তাবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর সমাধানের ভার চাপিয়ে বলা হয় যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাওয়া মাত্রই তাঁদের কাছে ডি-ক্রিপ্টেড ডেটা হস্তান্তর করতে হবে।”
ভোগের মতে, সমস্যা হলো এই মুহূর্তে কোনো সমাধান নেই। তিনি বলেন, এনক্রিপশন পুরোপুরি বাদ দিতে বা একে দুর্বল করে দিতে সেবা প্রদানকারীদের ওপর চাপ সষ্টি করা হবে। অনলাইন নিরাপত্তা বিল পাস করা হলে, হোয়াটসঅ্যাপ ও সিগন্যালের মতো এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবাগুলো যুক্তরাজ্যের বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, যাতে করে তাঁদের পণ্যের ব্যাপারে কোনো আপস করতে না হয়।
ভোগ বলেন, “এক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু করার আছে।” সাংবাদিকদের এই বিলগুলো নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত এবং সেখানে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, কেননা তাঁরাই এর প্রকৃত প্রযুক্তগিত প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারবেন। তার মতে, প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে সরকারি দাবিগুলোও খতিয়ে দেখা উচিত, কারণ বেশিরভাগ সময়ই এসব দাবির যথার্থতা থাকে না।
“এটা আমাদের সকলের একযোগে কাজ করার সময়,” বলছিলেন ভোগ।
নিচের ভিডিওতে দেখুন আইপিআই ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের প্যানেল আলোচনা। ডিজিটাল নজরদারি থেকে নিরাপত্তা, প্রাইভেসি ও সুরক্ষা সম্পর্কে আরও জানতে দেখুন জিআইজেএনের ডিজিটাল ঝুঁকি নিয়ে অনুসন্ধানের রিপোর্টিং গাইড। আগামী সেপ্টেম্বরে গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সের একটি থিম হিসেবে থাকবে নতুন ধরনের এসব নজরদারি।
আরও পড়ুন
নজরদারির ক্রমবর্ধমান হুমকির সাথে যেভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন সাংবাদিকরা
মেটাডেটা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়
ইনভেস্টিগেটিং দ্য ডিজিটাল থ্রেট ল্যান্ডস্কেপ
অ্যালেক্সা ভ্যান সিকল জিআইজেএনের সহযোগী সম্পাদক। আগে তিনি বিদেশি চিঠিপত্র বিষয়ক সাময়িকী রোডস অ্যান্ড কিংডমসের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সম্পাদক এবং লন্ডনভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ক অলাভজনক সংস্থার প্রকাশক ছিলেন। তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় থাকেন।