প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Toxic Waste Pollution Factory Bank
Toxic Waste Pollution Factory Bank

Image: Shutterstock

লেখাপত্র

পরিবেশ ধ্বংসের পেছনে বিনিয়োগ করছে কারা-বিনিয়োগকারীদের খোঁজ করবেন যেভাবে : দ্বিতীয় পর্ব

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

সম্পাদকের নোট: পুলিৎজার সেন্টারের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় এ পর্বে পরিবেশের ক্ষতির পেছনে কে বা কারা জড়িত এবং কোথা থেকে তাদের আর্থিক প্রণোদনা আসছে— তা দেখানো হয়েছে (প্রথম পর্বটি পড়ুন)। প্রতিবেদনটি জিআইজেএন ও পুলিৎজার সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। রেইনফরেস্ট এবং সমুদ্র নিয়ে যাঁরা সাংবাদিকতা করছেন তাঁদের জন্য গবেষক দল অনুসরণ করেছেন অর্থের উৎস।

আপনি যখনই কোনো কোম্পানির মালিকানার তথ্য খুঁজে পাবেন, তখন বিনিয়োগকারীদের দিকেও নজর দিতে পারেন। শুধু মালিকদের পুঁজি নয়, কোম্পানিগুলো প্রায়ই বিনিয়োগকারীদেরও সহায়তা নিয়ে থাকে। এই বিনিয়োগকারীরা হতে পারেন কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান— যেখানে জড়িত থাকে ব্যাংক, বিনিয়োগ তহবিল আর সরকার।

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করছে বা দূষণে ভূমিকা রাখছে—সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের এমন অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়া হয়ে থাকে। লক্ষ্য,নিজ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও যেসব দেশে তাঁরা বিনিয়োগ করছেন সেসব দেশের টেকসই উন্নয়ন। গ্লোবাল নর্থ (যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ)-এর সরকারি ব্যাংক বা উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রায়ই গ্লোবাল সাউথের (আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ) খনি ও বন উজাড় করায় বিনিয়োগ করে। যদিও একে তথাকথিত উন্নয়ন বিনিয়োগ বলেই প্রচারণা চালানো হয়।

আমাদের রেইনফরেস্ট ইনভেস্টিগেশনস নেটওয়ার্কের (আরআইএন) রিপোর্টার গ্লোরিয়া পালারেস ডিআরসিতে (ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে) পাম তেলের শতবর্ষী ব্যবসা সম্পর্কে রিপোর্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন যে, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর বিষাক্ত বর্জ্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেখা যায়, শতবর্ষী ওই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে ইউরোপীয় আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া অফশোর কোম্পানির জটিল নেটওয়ার্কের আড়ালে লুকানো রয়েছে কোম্পানির মালিকানার সম্পর্কিত মূল তথ্য। তাছাড়া কোম্পানিটির জন্ম বেলজিয়ান ঔপনিবেশিক আমলে। স্পেন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস আর জার্মানির উন্নয়ন ব্যাংকও এতে বিনিয়োগ করেছে।

দেশে ও দেশের বাইরে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে— এ ধরনের শিল্পগুলো সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ সুরক্ষা বাবদ তহবিল পায়। যেমন তেল ও গ্যাস শিল্প, মৎস্য, এবং কৃষি। এদের বড় অংশই সরকারী ভর্তুকি পায়। ইউরোপীয় দেশগুলো সহায়তা করে মৎস্য শিল্পকে। কেননা এরা প্রায়ই তাদের জাহাজ পাঠিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল থেকে মাছ সংগ্রহ করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাছের মজুদ কমে যাচ্ছে।

কঙ্গো ২০২১, ময়লা ফেলার ভাগাড় থেকে কাসাভা পাতা কুড়াচ্ছে দুইজন কিশোরী। ছবি: গ্লোরিয়া প্যালারেস, এল পেইস

নিয়ন্ত্রণ ভারসাম্য

এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যারা কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা করে। তাদের থেকে নতুন নতুন প্রতিবেদনের ধারণা বা চিন্তার সূত্র পাওয়া যেতে পারে। কিংবা খুঁজে বের করা যেতে পারে কোম্পানিগুলো কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করেছে সে সব তথ্য। তবে অনেক সময় এ সংস্থাগুলোর যাচাই-বাছাইগুলো খুব একটা গভীর হয় না। তাদের রেটিংও অনেক সময় প্রতিষ্ঠান, সরবরাহ শৃঙ্খল, বা পণ্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য (গ্রিনওয়াশিং) দিয়ে থাকে। তবে এগুরো ঘিরেও প্রতিবেদন তৈরি করা যেতে পারে।

গ্রিনওয়াশিংয়ের একটি সুপরিচিত উদাহরণ হচ্ছে আসবাব প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আইকেয়ারের পণ্যে ফরেস্ট স্টুয়ার্ডশিপ কাউন্সিলের লেবেল ব্যবহার। গবেষণা সংস্থা আর্থসাইট অনুসারে সংস্থাটি বনাঞ্চল থেকে  অবৈধভাবে সংগৃহীত কাঠকে গ্রিনওয়াশ করতে এ লেবেল ব্যবহার করেছিল। (প্রতিবেদন প্রকাশের পর আইকেয়ার তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, তারা তাদের আসবাবে অবৈধভাবে সংগ্রহ করা কাঠ ব্যবহার করে না এবং “সরবরাহকারীদের নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিতে সক্রিয় পদক্ষেপ নেয়।”)

যে সব সংস্থা কর্পোরেটের পরিবেশগত মান পরীক্ষা করে:

সিডিপি: মূলত কার্বন ডিসক্লোজার প্রজেক্ট নামে পরিচিত, “জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপদ পানি, এবং বন উজাড়ের ঝুঁকি ও সুযোগ পরিমাপ এবং ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন শহর, রাজ্য ও অঞ্চলের হাজার হাজার কোম্পানিকে সহযোগিতা করে।” কোম্পানির রেটিং দেখতে আপনি এদের ওয়েবসাইটে কোনো পয়সা খরচ ছাড়াই একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

সাস্টেইনালিটিক্স: ” গবেষণা প্রতিষ্ঠান মর্নিংস্টার সাস্টেইনালিটিক্স  প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির মানসম্পন্ন পরিবেশগত, সামাজিক, এবং গভর্নেন্স (ইএসজি) বিষয়ক বিশ্লেষণ, রেটিং ও ডেটা প্রদান করে।” আপনি তাদের রেটিংয়ে কোম্পানির নাম খুঁজতে পারেন।

ইউরোমনিটর: এ ব্যবসায়িক উন্নয়ন সংস্থা গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে,  কয়েক ইউরো খরচ করে যা আপনি তাদের ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন।

ইকোভেডিস: ক্রমশ  “বিশ্বের বৃহত্তম ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক রেটিং প্রদানকারী সংস্থা হয়ে উঠেছে “ইকোভেডিস। সংস্থাটি ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রেটিংকৃত কোম্পানির একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।”

ইউএনপিআরআই: জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা পিআরআই (প্রিন্সিপালস ফর রেসপন্সিবল ইনভেস্টমেন্ট) । প্রতিষ্ঠানটি  বিনিয়োগ এবং মালিকানা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিনিয়োগকারীদের নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে এবং ইএসজি মানদণ্ড বিবেচনা করে। এখানে স্বাক্ষরকারীদের একটি ডিরেক্টরি রয়েছে।

কর্পোরেট পরিবেশ মূল্যায়নকারি সংস্থার বিকল্প হচ্ছে অধিকারকর্মীদের বিভিন্ন গ্রুপ, যেগুলো কঠোর বাধ্যবাধকতা জুড়ে দেওয়ার পাশাপাশি  পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এমন প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসে। করে।

অধিকারকর্মীদের সংগঠন যারা তাদের পরিবেশগত প্রভাবের জন্য আর্থিক খাতের দায়বদ্ধতা নিরূপণ করে

রেইনফরেস্ট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (আরএএন): জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাংকের আর্থিক ভূমিকা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরএএন। যেমন চ্যালেঞ্জিংব্যাংকস, যেখানে তারা জীবাশ্ম জ্বালানির সবচেয়ে বড় অর্থদাতাদের ভূমিকা তুলে ধরে। তাদের পক্ষ থেকে করা আরো একটি প্রতিবেদনের নাম স্টপ ব্যাংকস ফান্ডিং ক্লাইমেট ক্যাওস

৩৫০ডটওআরজি:  বিশ্বব্যাপী তৃণমূল আন্দোলন কর্মসূচী যা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য দায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহি করে। এদের ওয়েবসাইটে একটি অর্থ বিভাগ রয়েছে যেখানে অর্থ বিষয়ক সমস্ত তথ্য আপনি পাবেন।

গ্রিনপিস: পরিবেশগতভাবে সক্রিয় অন্যতম সুপরিচিত সংস্থাগুলো একটি। গ্রিনপিস তাদের প্রচারণার কার্যক্রমে প্রায়ই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। দুর্ভাগ্যবশত, তাদের ওয়েবসাইটে আর্থিক কোনো ডাটাবেস বা ডিরেক্টরি নেই। কিন্তু আপনি যদি “ব্যাংক” বা “ফাইনান্স” শব্দটি দিয়ে সার্চ অপশনটি ব্যবহার করেন, তাহলে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন পাবেন।

ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ: ” ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থের মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত এবং সামাজিক মান বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করি।” তাদের ওয়েবসাইটে ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স নামে একটি বিভাগ রয়েছে।

ক্লায়েন্ট আর্থ: আইনি সক্রিয়তার ওপর জোর দিয়ে, ক্লায়েন্ট আর্থ পরিবেশগত মামলাগুলোকে আদালতে নিয়ে আসে এবং টেকসই অর্থায়ন, গ্রিনওয়াশিং এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নিয়ম সম্পর্কে প্রচারণা চালায়।

Juliet Efemena, a fish processor in Guinea-Bissau in November 2023, who talked to Ocean Reporting Network Fellow Gideon Sarpong about the depletion of local fish stock by big fishing vessels. The vessels are there due to trade agreements with EU countries and a lack of sustainability regulation. Image by Gideon Sarpong/iWatch Africa.

২০২৩ সালের নভেম্বরে গিনি-বিসাউয়ের মাছ প্রক্রিয়াকরণকারী জুলিয়েট এফেমেনার সঙ্গে কথা বলেন ওশান রিপোর্টিং নেটওয়ার্কের ফেলো গিডিয়ন সার্পং। বড় মাছ ধরার জাহাজগুলোর কারণে স্থানীয় মাছের মজুদ হ্রাসের বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে এসব জাহাজ সেখান থেকে মাছ ধরে। এর জন্য দায়ী টেকসই নীতিমালার অভাবও। ছবি: গিডিয়ন সার্পং, আইওয়াচ আফ্রিকা

কোম্পানি থেকে শুরু করুন

আপনার অনুসন্ধান শুরুর প্রথম ধাপটি হচ্ছে কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দেওয়া। তারপর তাদের বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে জানা। বেসরকারি কোম্পানিগুলো নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন, তা দেখতে আপনি আমাদের আগের প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন। দেখতে পারেন কোম্পানির হিসাব সম্পর্কিত গাইডটিও।

পাবলিক কোম্পানি এবং এর তালিকাভুক্ত বিনিয়োগকারীদের তথ্য সাধারণত শেয়ার বাজার এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটে পাবেন। আপনি যদি কোকাকোলার বিনিয়োগকারী কারা তা দেখতে চান, তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে “ফাইলিং অ্যান্ড রিপোর্টস সেকশনে” বার্ষিক প্রতিবেদন খুঁজতে পারেন, অথবা নাসডাক এক্সচেঞ্জে কোম্পানি’স হোল্ডিংস দেখতে পারেন।

পাবলিক কোম্পানিগুলোর মালিকানা এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্যগুলো আপনি কোম্পানির ওয়েবসাইটে পাবেন । যা বিনিয়োগকারী এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে তথ্য রাখে। এটি থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারেন। নিচে কোম্পানির অ্যাকাউন্ট বিভাগে আমরা এসব তথ্য তুলে ধরেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক কোম্পানির তথ্য থাকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইএস)। একটি স্বাধীন সরকারি সংস্থা হিসেবে বাজার জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি তাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইডিজিএআরে এ সব তথ্য পেতে পারেন।

এখানে বেশকিছু স্টক এক্সচেঞ্জে  কোম্পানি শেয়ার তালিকার লিংক রয়েছে (যেখানে আপনি কোম্পানি সম্পর্কে তথ্য পাবেন):

নিউইয়র্কস্টকএক্সচেঞ্জতালিকা

নাসডাকস্টকস্ক্রিনার

ইউরোনেক্সটস্টক

সাংহাইস্টকএক্সচেঞ্জসূচক

জাপানএক্সচেঞ্জগ্রুপতালিকাভুক্তকোম্পানি

লন্ডনস্টকএক্সচেঞ্জ

ফর্ম ১০-কে: বার্ষিক প্রতিবেদনে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, বিনিয়োগ এবং ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

  • ফর্ম ১০-প্রশ্ন: ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন যা কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা এবং বিনিয়োগের আপডেট দেয়।
  • প্রক্সি স্টেটমেন্ট: শেয়ারহোল্ডার মিটিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নথি, যার মধ্যে শেয়ারহোল্ডার এবং নির্বাহীদের ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে।

আমাদের অনুসন্ধানী নেটওয়ার্কের কিছু ফেলো বিনিয়োগকারীদের তথ্য খোঁজার জন্য বিশেষায়িত সংস্থা যেমন ডেটা ডেস্ক এবং প্রফান্ডুর সঙ্গে কাজ করেছেন।

কোম্পানির হিসাব

কোম্পানিকে প্রায়ই তাদের আর্থিক নথি প্রকাশ বা সংরক্ষণ করতে হয়। পাবলিক কোম্পানির লেনদেন বা আর্থিক বিবরণী আপনি তাদের ওয়েবসাইটে পাবেন (সেখানে বিনিয়োগকারীর জন্য একটি উপধারাও থাকবে)। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটগুলোতেও তথ্য থাকবে, কেননা সেখানে তারা তালিকাভুক্ত থাকে। যেসব প্রাইভেট কোম্পানির মূলধন নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি তাদের তথ্য পেতে কোম্পানিটি যে দেশে নিবন্ধিত হয়েছে সে দেশের কোম্পানি রেজিস্ট্রিতে খোঁজ করুন। কেননা সে দেশে তথ্য সংরক্ষনের বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে।

কোম্পানি হিসাবে আপনি লাভ-লোকসান (অর্থের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রবাহ), তরল এবং অ-তরল সম্পদ (সহজেই বিক্রিযোগ্য পণ্য যেমন, বিভিন্ন সরঞ্জাম কিংবা আবাসন) সহায়ক সংস্থা (মালিকানাধীন কোম্পানি), মালিকানা, এবং বিনিয়োগের তথ্য পাবেন। একটি কোম্পানির মালিকানায় যা কিছু রয়েছে যেমন সম্পদ, সহায়ক সংস্থা এবং বিনিয়োগ—সব সম্পদ হিসেবে পরিচিত।

সংক্ষেপে, কোম্পানির বিনিয়োগকারী এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য খোঁজার জন্য কোম্পানির আর্থিক বিররণ গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে আপনি কোম্পানির মালিকানা, আর্থিক অবস্থা, বা নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো তথ্যগুলোও পাবেন। যদিও এসব তথ্যের জন্য আমরা বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে লেগে থাকি।

আপনি যদি কোম্পানির হিসাব বিশ্লেষণ নিয়ে আরও তথ্য জানতে চান, তাহলে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা ফিনান্স আনকাভারডে খোঁজ নিন। এটি সাংবাদিকদের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ এবং সহায়তায় জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়, আপনি ওদের কোর্সগুলো করতে পারেন।

কোনো কোম্পানির আর্থিক বিবরণী খোঁজার সময় মনে রাখবেন, তা আর্থিক বিবৃতি বা বার্ষিক অ্যাকাউন্ট নামেও থাকতে পারে। কোম্পানির আর্থিক তথ্য দেখতে, আপনি লাভ-লোকসান বিবৃতি এবং ব্যালেন্স শিটও দেখতে পারেন। এগুলো যথাক্রমে “আর্থিক বিবরণী” বা “আর্থিক অবস্থার বিবৃতি” নামে থাকতে পারে। কোম্পানি হিসাবের বিভিন্ন বিশেষণ সম্পর্কে জানতে ক্লিয়ার বুকের সংক্ষিপ্ত নির্দেশিকাটি দেখুন।

আর্থিক বিবরণীর কোন জায়গাতে আপনি বিনিয়োগকারী এবং বিনিয়োগের তথ্য পেতে পারেন তা জেনে নিন (মনে রাখবেন  এ বিভাগগুলোরও বিভিন্ন নাম থাকতে পারে)।

ব্যালান্স শিট

    • সম্পদ: এই বিভাগে স্বল্প-মেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগসহ কোম্পানির সবগুলো বিনিয়োগের তালিকা রয়েছে।
    • ইক্যুইটি বিনিয়োগ: অন্যান্য কোম্পানিতে নির্দিষ্ট বিনিয়োগগুলো এখানে তালিকাভুক্ত থাকতে পারে।

আয়ের বিবৃতি:

    • বিনিয়োগকৃত আয়: বিনিয়োগ থেকে আয়, যেমন লভ্যাংশ, সুদ, এবং বিনিয়োগের বিক্রয় থেকে লাভ বা ক্ষতি।

নগদ প্রবাহের বিবৃতি:

    • বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহ: বিনিয়োগ কর্মকাণ্ডে নগদ ব্যয় এবং প্রাপ্তির বিবরণ, যেমন সিকিউরিটিজ, সম্পত্তি, প্ল্যান্ট, সারঞ্জামাদি  এবং সহায়ক সংস্থার ক্রয় ও বিক্রয়।

আর্থিক বিবরণীতে সংযুক্ত নোট:

    • আর্থিক বিবরণীর বিনিয়োগ, বিনিয়োগ কৌশল, ঝুঁকি এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা এবং অতিরিক্ত তথ্য পাওয়া যাবে এখানে।
    • গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কে তথ্য, সহায়ক সংস্থাতে বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ এবং সহযোগীদের তথ্য এখানে পেতে পারেন।

ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা বিশ্লেষণ (এমডি অ্যান্ড এ) :

    • এই বিভাগটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে আর্থিক ফলাফল, বিনিয়োগের কৌশল এবং কার্যসম্পাদন সম্পর্কিত ধারণা দেয়।

শেয়ারহোল্ডার তথ্য:

    • সাধারণত বাৎসরিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি প্রধান শেয়ারহোল্ডার, শেয়ারহোল্ডারের কাঠামো, এবং মালিকানার যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের বিবরণ তুলে ধরে।

বিনিয়োগের সূচি:

    • কোম্পানি, বিশেষ করে বিনিয়োগ সংস্থার জন্য, এই বিশদ সূচিতে পৃথক বিনিয়োগের সব তালিকা থাকে, যার মধ্যে বাজার মূল্য এবং বিনিয়োগের ধরন অন্তর্ভুক্ত।

বিনিয়োগের তথ্য বিভিন্ন ধরনের নথিতে পাওয়া যায়। এখানে তালিকাভুক্ত উৎসগুলো পরীক্ষা করতে গিয়ে যদি কোনো বাধার সম্মুখীন হন, তবে লিক ডেটাবেস এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ডেটাবেসগুলোতে দেখুন, যেমন ওসিসিআরপির আলেফ। এখানে অনেক দেশের জাতীয় গেজেট অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং সেখানে বিনিয়োগের কিছু তথ্য তালিকাভুক্ত থাকে। আপনি শেয়ারহোল্ডারদের মিটিং থেকে ফাঁস হওয়া ইমেল, প্রেস রিলিজ বা পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনাযর তথ্য পেতে পারেন। গুগলের উন্নত অনুসন্ধানকে কাজে লাগাতে পারেন। কোম্পানির নামের সঙ্গে “ফাইলটাইপ: পিডিএফ” (filetype:pdf)  কিংবা ”ফাইলটাইপ পিপিটিএক্স” (filetype:pptx) লিখে সার্চ দিয়ে দেখুন। “সাইট:” (site:) ব্যবহার করে, আপনি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ডোমেইনে অনুসন্ধান চালাতে পারেন, যেমন “ ডট গভ” (.gov)।

Investment information about acquiring the company BodyArmor found in the Coca-Cola Company’s Form 10-Q. The company publishes these accounts on their website’s Investors section and submits it to the U.S. Securities and Exchanges Commission.

বডি আর্মার কোম্পানি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত বিনিয়োগের তথ্য কোকা-কোলার ত্রৈমাসিক রিপোর্টে পাওয়া গেছে। কোম্পানি এ হিসাবগুলো ওদের ওয়েবসাইটের বিনিয়োগকারী বিভাগে প্রকাশ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জমা দেয়। ছবি: স্ক্রিনশট

বিনিয়োগকারীদের দিয়ে শুরু করুন

বিনিয়োগকারীদের ও তাদের পরিবেশগত ট্র্যাক রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করুন, অনেক সংস্থা ও ওয়েবসাইট রয়েছে যারা  টেকসই নয়, এমন বিনিয়োগগুলোর ওপর নজর দেয়।

ব্যাংকট্র্যাক

ফরেস্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স

ফরেস্ট ৫০০

রিক্লেইম ফাইনান্স

শেয়ারঅ্যাকশন

রেসপন্সসিবল ইনভেস্টর

কর্পোরেট নাইটস

ইনফ্লুয়েন্স ম্যাপ

কী ধরনের কোম্পানিতে তাঁরা বিনিয়োগ করেছে, এ ধরনের তথ্য না খুঁজে আপনি বরং আপনার অনুসন্ধানের শুরু করতে পারেন বিনিয়োগকারী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ দিয়ে। এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের একটি ভালো জায়গা ফরেস্ট ৫০০, যারা প্রতিবছর বিভিন্ন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক, তহবিল সরবরাহকারী সংস্থা) বন উড়াজ এবং পরিবেশগত ঝুঁকির ওপর মূল্যায়ন করে। জনসাধারণ, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকদের সামনে প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলতা এবং পরিবেশগত নীতি সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করে, যা পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।

কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের পাশাপাশি, তাদের টেকসই প্রতিশ্রুতির দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত দায়িত্বশীল বিনিয়োগের বিষয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দেয় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, পরিবেশগত ক্ষতি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে অবদান না রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। সাংবাদিক হিসেবে, তাদের বিনিয়োগ কার্যক্রমের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘনের জন্য আমরা তাদেরকে দায়বদ্ধ করতে পারি। স্ট্যান্ড আর্থ তাদের প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর গ্যাস ও তেলের বিনিয়োগ কর্মকাণ্ড এবং প্রতিশ্রুতিগুলোকে পাশাপাশি উল্লেখ করে পার্থক্যগুলো তুলনা করে দেখিয়েছে।

উন্নয়ন ব্যাংক

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার বা রাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করে। রাষ্ট্রের অর্থ কোথায় বিনিয়োগ হবে তা নির্ধারণ করে। এরা প্রায়শ বিদেশে এবং পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে।

উন্নয়ন ব্যাংক, সাধারণত ডেভেলাপমেন্ট ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন (ডিএফআই) নামে পরিচিত। এই ব্যাংকগুলো দরিদ্র ও অস্থিতিশীল অঞ্চলের উন্নয়নকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরা দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ও অনুদান দেওয়া ও পরামর্শ সহায়তার দিয়ে থাকে। একটি ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে আবার এই সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক হতে পারে, অর্থাৎ একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এরা মূলত অবকাঠামো এবং কৃষির মতো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করে।

অন্যদিকে উন্নয়ন তহবিল আন্তর্জাতিক অর্থ প্রবাহ এবং লেনদেনে সমস্যার সম্মুখীন দেশকে স্বল্পমেয়াদী আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। পরিবেশের উপর প্রভাব বিষয়ক অনুসন্ধানের জন্য উন্নয়ন ব্যাংকগুলো থেকে অনেক বেশি তথ্য পেতে পারেন।

উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর অর্থায়ন প্রকল্প ঘিরে অনুসন্ধানের জন্য তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে যান। এভাবে শুরু করতে পারেন। বিনিয়োগের পরিমাণ এবং প্রত্যাশিত ফলাফলসহ বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে এখানে জানতে পারেন।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংকের তালিকা

উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর হাতে অনেক বেশি বাজেট রয়েছে। অনেক কর্মচারী, উপ-বিভাগ, কর্মসূচী এবং বিভাগ নিয়ে এগুলোর আকার অনেক বড় হয়ে থাকে। কেন তারা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এর একটা ব্যাখ্যা হতে পারে তাদের এই বিশাল বাজেট ও আকার-প্রকার। অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রকল্পের ওপর নজর রাখাও কঠিন। যেহেতু তাদের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের গ্রহের জীবনযাত্রার উন্নতি করা, সেহেতু তাদের বিনিয়োগের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করা। তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এমন ঋণ চুক্তি তৈরি করে যা দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে ঋণগ্রস্ত করে রাখে। ঋণ চুক্তিগুলো অনেক সময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা বা মতামত বিবেচনা না করেই করা হয়।

যেমন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে ইতালি জানায় যে তারা তাদের তহবিল ও বাজেট ব্যবহার করবে আফ্রিকা মহাদেশে অনুদান, ঋণ এবং গ্যারান্টির মাধ্যমে বিনিয়োগ করবে। এ পরিকল্পনাকে ম্যাটেই পরিকল্পনা বলা হয়, যা ইতালির জাতীয় গ্যাস কোম্পানি এনির প্রতিষ্ঠাতা এনরিকো ম্যাটেই-এর নামে রাখা হয়েছে। যখন এ পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয় তখন আফ্রিকান নেতারা বলেন যে, তারা চেয়েছিলেন যে ঘোষণার আগে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হোক।

উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইট দেখার পাশাপাশি, আপনি এমন কিছু সংস্থার ওপরও নির্ভর করতে পারেন যারা বিনিয়োগের তথ্যগুলোকে একত্রিত করে তুলে ধরে। উন্নয়ন ব্যাংকের কিছু সদস্যের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইটে তাদের প্রকল্পের তালিকা তুলে ধরা হয়।

যেমন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ফাইন্যান্স ইন কমন সবগুলো উন্নয়ন ব্যাংককে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, যেন তারা প্যারিস চুক্তি এবং ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য অর্থায়ন করতে পারে। পাবলিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং ইনস্টিটিউশন ডেটাবেস হচ্ছে তাদের একটি ইন্টারেক্টিভ মানচিত্র যা উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর মৌলিক ও বিস্তারিত তথ্য তালিকাভুক্ত করে।  প্রতিবেদন তৈরির প্রেক্ষাপট এবং লিডের জন্যে এটি দারুণ কার্যকর।

ইন্টারন্যাশনাল এইড ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভের ডি-পোর্টাল নামে একটি ডাটাবেস আছে। যেখানে আপনি দেশ, খাত এবং বছর দিয়ে উন্নয়নমূলক এবং মানবিক প্রকল্প অনুসন্ধান করতে পারবেন। এখানে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাও তালিকাভুক্ত আছে। এর কান্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ডেটা পেজ থেকে আপনি বাজেট, প্রতিশ্রুতি, বিতরণ, সেক্টর, অর্থের ধরন, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যগুলো স্প্রেডশীট আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আঞ্চলিক পর্যায়ে, ইউরোপিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউশনস (ইডিএফআই) গ্রুপের ওয়েবসাইট, ইউরোপীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে (বা ডিএফআই) তালিকাভুক্ত করে যারা বিদেশে বিনিয়োগ করে এবং তাদের প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।

ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। যেমন, ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক প্রোপার্কো, আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে তারা যে প্রকল্পে অর্থায়ন করে সে সম্পর্কিত একটি ইন্টারেক্টিভ ম্যাপসহ তাদের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত ডেটা পোর্টাল রয়েছে।


Jelter Meers new

জেল্টার মিয়ার্স হলেন পুলিৎজার সেন্টারের পরিবেশ অনুসন্ধান ইউনিটের গবেষণা সম্পাদক। এ ইউনিটের মধ্যে রয়েছে রেইনফরেস্ট ইনভেস্টিগেশন নেটওয়ার্ক (আরআইএন) এবং ওশেন ইনিসিয়েটিভ। তিনি ইলিনয়ের মিডওয়েস্ট সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং-এ অনুসন্ধানী রিপোর্টার হিসেবে কাজ  শুরু করেন। এখানে  তিনি আবাসন, অভিবাসী শ্রম এবং  কৃষির ওপর প্রতিবেদন তৈরি করেন।

 

madeleine ngeunga

ম্যাডেলিন নিয়াঙ্গা ক্যামেরুনের একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার কাজ কঙ্গো বেসিন অঞ্চলে বন ব্যবস্থাপনা ও নীতি, কৃষিব্যবসা ও জমি দখল, আদিবাসীদের অধিকার, ভূমি-বিষয়ক সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে।

 

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

অনুসন্ধান পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

নির্বাসিত লোকেদের ওপর রাষ্ট্রের হামলা: ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী সিরিজ “দমন নীতির দীর্ঘ হাত” থেকে আমরা যা শিখতে পারি

দ্যা ওয়াশিংটন পোস্টের আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী দল রিপ্রেশন’স লং আর্ম ধারাবাহিকে তুলে ধরেছে, কীভাবে নিজ দেশের সীমানার বাইরে থেকেও নিশানা হচ্ছেন ভিন্ন মতাবলম্বীরা।

প্রতিবেদন প্রকাশ বণ্টন ও প্রচার

সাংবাদিকতায় আস্থা ধরে রাখতে ভ্রাম্যমান অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ কীভাবে কাজ করছে

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভ্রাম্যমান অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ। উত্তর মেসিডোনিয়ায় এমন একটি বার্তাকক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করেছে। তাঁরাই বার্তাকক্ষে ছুটে যাচ্ছেন সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নিজেরাও।

জিআইজেসি২৫ ওয়েবসাইট এবং গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সের তারিখ ঘোষণা করেছে জিআইজেএন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বৃহত্তম আসর বসছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। সম্মেলনের তারিখসহ, অংশগ্রহণের খুঁটিনাটি থাকল এই প্রতিবেদনে। এবারই প্রথম এই সম্মেলন এশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর জিআইজেএন এ যাত্রায় সঙ্গে পেয়েছে মালয়েশিয়ার স্বাধীন সংবাদপত্র মালয়েশিয়াকিনিকে।

অনুসন্ধান পদ্ধতি

আবাসন খাত নিয়ে মেক্সিকোর পুরস্কারজয়ী প্রতিবেদন : যা শিখতে পারি

পানির মতো মৌলিক পরিষেবার সংকট থেকে মেক্সিকোর সিটির দক্ষিণে সান সেবাস্তিয়ান জোকোর মানুষ আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এককাট্টা হন। আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে এই এলাকায় কী সঙ্কট সৃষ্টি করেছিল, তা অনুসন্ধানের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাবে এই নিবন্ধে।