প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সাংবাদিকদের সরব হওয়া যে কারণে জরুরি

English

ছবি: পিক্সাবে

২০৩৮ সালের আগে জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। এই সিদ্ধান্তের পর এক সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও, মিডিয়াতে কোনো সোরগোল নেই। অথচ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে— এটিকে বেশিরভাগ সাংবাদিক রিপোর্ট করেছেন ঐতিহাসিক বলে। আবার, গ্রীনল্যান্ডের সব বরফ গলে যাচ্ছে কিনা, এ নিয়ে গবেষকরা দিনের পর দিন হৈচৈ করলেও, এটি সংবাদ হিসেবে সেভাবে উঠে আসছে না।

এসব দেখে মনে হয়: সাংবাদিকরা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি, জলবায়ু সংকট কতটা গুরুতর। আমরা হয়তো এখন পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণী মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু এই সংকট কিভাবে ভবিষ্যতের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে উঠছে, তা খুব কম মানুষই বুঝতে পারছি।

এখন যেভাবে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমণ হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমাদের কার্বন বাজেট শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে ১০ বছরেরও কম সময় আছে। তার মানে, বিশ্বজুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমিয়ে আনার জন্য, আগামী ১০ বছরের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদসহ পুরো সমাজকে।

সাংবাদিকরা এধরনের বাক্য অনেক পড়েছেন ও শুনেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকে সেগুলো নিয়ে রিপোর্টও করেছেন। নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেছেন। কিন্তু খুব কম মানুষই হয়তো সত্যি সত্যি বুঝেছেন: আসলেই এর মানে কী। তা না হলে, রাজনীতিবিদ ও শিল্পখাতের নেতারা যেভাবে এগুলো বছরের পর বছর ধরে অগ্রাহ্য করে এসেছেন, তা আমরা করতে দিতাম না।

বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, খরা-বন্যা ও বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরগুলো আমরা সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত করছি ও দেখছি। কিন্তু এ নিয়ে তেমন উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না।

বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সাক্ষর করেছিল প্রায় ১৯০টি দেশ। সেই লক্ষ্য যদি অর্জন করতে হয়, তাহলে ২০২০ সালেই কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ কমানোর কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিৎ বৈশ্বিক কমিউনিটির। আমরা সবাই এটি জানি। কিন্তু আসলেই এর মানে কী?

এ নিয়ে এখনই তৎপর হওয়ার বিষয়টি আর ঐচ্ছিক কোনো ব্যাপার নেই। ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এটিই আমাদের শেষ সুযোগ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

“বিজ্ঞানী” বলতে এখানে নেহাত কিছু গ্রুপ বা ব্যক্তি বোঝানো হচ্ছে না। ৯০টি দেশ থেকে ৭০০-রও বেশি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ এ নিয়ে কাজ করছেন। জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যেন বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়, সেই লক্ষ্যে তাঁরা জাতিসংঘের জন্য এ বিষয়ক রিপোর্ট (আইপিসিসি রিপোর্ট) তৈরি করেন অনেক গবেষণা করে। ২০১৮ সালে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশের পর এই বিশেষজ্ঞরা উপলব্ধি করেছিলেন যে, জলবায়ু সংকটের এই চ্যালেঞ্জ কতটা বিশাল। এবং তাঁরা কেঁদে ফেলেছিলেন।

সেই ঘটনারও দুই বছর পেরিয়ে গেছে। এই দুই বছরে রাজনীতিবিদরা প্রায় কিছুই করেননি।

বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, খরা-বন্যা ও বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবরগুলো আমরা সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত করছি ও দেখছি। কিন্তু এ নিয়ে তেমন উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই, আমরা বুঝতে পারছি, এই খবরগুলো পুরোপুরি অর্থহীন নয় এবং আমরা সেগুলো দায়িত্ব নিয়েই রিপোর্ট করছি।

কিন্তু এই সব খবর মিলিয়ে কী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তা হয়তো আমাদের অনেকেই বুঝতে উঠতে পারছি না। আমরা উপলব্ধি করছি না: এ সব কিছু পৃথিবীর জন্য কী পরিস্থিতি তৈরি করছে। ফলে আমরা সেগুলো অন্যদের কাছে ব্যাখ্যাও করছি না। যদিও সাংবাদিক হিসেবে আমাদের ঠিক এই কাজটিই করার কথা।

বিজ্ঞানীরা কেন আরো পরিস্কার করে কথা বলে না?

কিন্তু পরিস্থিতি যদি এতো গুরুতরই হয়, তাহলে কেন এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না? আসলে জলবায়ু গবেষকরা এ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে কথা বলছেন। ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক চর্চার কারণে তাদের কথা বলতে হয় অনেক সম্ভাব্যতা ও সীমানা দিয়ে। তাদের কাছে এমন কোনো জাদুর বল নেই, যেখানে ভবিষ্যৎ দেখা যাবে। ফলে তাঁরা শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারেন না যে: আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই ইউরোপে পানি নিয়ে যুদ্ধ হবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে, জলবায়ু গবেষকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে: তাঁরা বিভিন্ন কথাবার্তা বলেন খুব নেতিবাচকভাবে এবং এজন্য মানুষ, বিষয়টি থেকে মুখ সরিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অ্যাক্টিভিজম ও আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ। কখনো কখনো স্বার্থ হাসিলের অভিযোগও আনা হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিবাচক যোগাযোগের দিকে হেঁটেছেন। কিন্তু তাতেও এই বার্তাগুলো কোনো প্রভাব ফেলছে না। বিজ্ঞানীরা বলেই চলেছেন: “আমরা যদি এখনো তৎপর হই তাহলে হয়তো সবচে বাজে পরিস্থিতি এড়াতে পারব।” কিন্তু আমরা শুনছি: “আমাদের এখনো সময় আছে।”

এছাড়াও, আমাদের মধ্যে অনেকে এমনও ভাবে: আমরা তো বেশ কয়েক বছর ধরেই নানান পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বোঝাপড়াও বদলে গেছে। জলবায়ু সংক্রান্ত প্রণোদনা প্যাকেজ পাশ হয়েছে। রাজনীতিবিদরাও বলছেন: বিষয়টি আর হালকাভাবে নেওয়া যাবে না; জলবায়ু সংক্রান্ত সুরক্ষার জন্য ইইউ রিকভারি ডিলের ৩০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; বাকি ৭০ শতাংশ খরচ করা হবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। ফলে, তারা নিশ্চয়ই এমন কিছু করবেন না যাতে জলবায়ুর বিষয়টি ঝুঁকির মুখে পড়ে। কিন্তু এই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ যাচ্ছে প্রথাগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে। তাহলে কিভাবে এটি কাজ করবে? পরিকল্পনায় বিস্তারিত কিছু বলা নেই। এবং খুব কম সাংবাদিকই এই প্রশ্নটি তুলছেন।

এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে ও পরিকল্পনা করা হয়েছে তা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। এবং সেগুলোও হচ্ছে খুব ধীরগতিতে। বিজ্ঞানীরা এটি খুব ভালোমতোই বুঝতে পারছেন। এমনকি কিছু সাংবাদিকের পাশাপাশি সরকার সংশ্লিষ্ট অনেক সংগঠনও বিষয়টি তুলে ধরছে।

বিজ্ঞানীরা বলেই চলেছেন: “আমরা যদি এখনো তৎপর হই তাহলে সবচে বাজে পরিস্থিতি এড়াতে পারব।” কিন্তু আমরা শুনছি: “আমাদের এখনো সময় আছে।”

কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই এগুলো নিয়ে সত্যি সত্যি উদ্বিগ্ন। অনেকে হয়তো মনে করেন: জলবায়ু পরিবর্তন কিভাবে পশ্চিমা বিশ্বের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে? মনে হয়, এটি যেন অনেক দূরের কোনো ব্যাপার। সময় ও স্থান; দুদিক থেকেই। হয়তো এটি সাহেল অঞ্চলের কোথাও প্রভাব ফেলছে; তাতে হাতে গোনা কিছু আদিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; অথবা আমাদের নাতির নাতনীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে – অনেকেই এমন চিন্তা করেন এবং জলবায়ু সংক্রান্ত ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখেন। সাংবাদিক হিসেবে, আমরাও আমাদের পাঠক-দর্শকদের এমন চিন্তাধারায় কোনো পরিবর্তন আনতে পারিনি।

কিন্তু এ ধরনের ভাবনা শুধু স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ও অন্যায্যই নয়; এটি পুরোপুরি মিথ্যাও বটে।

জলবায়ু সংকট এখনই আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলছে। পশ্চিম ইউরোপে এলব ও রাইন নদীর পানির স্তর প্রায়ই অনেক নিচে থাকছে। হার্জ পর্বতমালা ও স্যাক্সন সুইজারল্যান্ড অঞ্চলে বনভূমি কমেছে ব্যাপক আকারে। পোকামাকড়ের সংখ্য কমছে, জেলিফিস বাড়ছে, খরা-দাবদাহ, ফসল বিপর্যয়ের ঘটনা বাড়ছে। প্রথমবারের মতো আমরা সুপেয় পানির স্বল্পতা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হিমবাহ ও পার্মাফ্রস্ট (ভূগর্ভস্থ বরফ) গলে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে “পরবর্তী যে প্রজন্ম” ভুগবে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা এই বিশ্বেই বসবাস করছে। এই প্রজন্মের শিশুরা পৃথিবীতে চলে এসেছে। তারা আমাদেরই সন্তান। প্রতিটি দেশ ও মহাদেশে তারা ছড়িয়ে আছে।

জলবায়ূ পরিবর্তন আমাদের সন্তানদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আমরা রিপোর্ট করি না

সম্ভাব্য সবচে খারাপ অনুমানে বলা হচ্ছে: বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এখন যে শিশুরা জন্ম নিচ্ছে, তারা তখন থাকবে প্রাইমারি স্কুলে। আপনার তিন বছরের শিশুর বয়স তখন হবে ১৩ বছর। আপনার পাঁচ বছরের নাতি-নাতনি? তাদের বয়স হবে ১৫ বছর। আপনি কী আরো পাঁচ বছর পর সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন? অঙ্ক কষলেই বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চাইছি। এই শিশুরা যখন বুঝতে পারবে যে, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর; তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে।

জলবায়ু পরিবর্তন কিন্তু শুধু আমাদের ছেলেমেয়েদের জীবনেই প্রভাব ফেলবে না। আমরাও এর শিকার হবো। আপনার বয়স এখন ৪২ বছর? তার মানে, ১০ বছর পর আপনার বয়স হবে ৫২ বছর। ততদিনে আমরা এই সংকট মোকাবিলার সুযোগটা হারিয়ে ফেলব। এখনকার গড় আয়ু অনুযায়ী, আপনি হয়তো আরো ৩০ বছর বাঁচবেন। এবং আপনি নিজেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রবল সংকটগুলোর মুখোমুখি হবেন।

আপনি জীবিত থাকতেই দেখতে পাবেন: আরো অনেক খরা ও বন্যা পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তুলছে; জলবায়ু শরণার্থীরা তাদের বাড়িঘড় ছেড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় খুঁজছে। এগুলো শুধু আপনি টেলিভিশনেই দেখবেন না। এগুলো আপনার চোখের সামনে ঘটবে। আপনার বাড়ির বাইরেই।

পরিস্থিতি যদি খুব ভালো হয় (যেটির সম্ভাবনা খুবই কম), তাহলে আমরা হয়তো ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা পেরোবো ২০৫০ সালে। আপনার তিন বছরের সন্তান বা পাঁচ বছরের নাতির বয়স তখন থাকবে ৩০-এর ঘরে। এই বয়সে তারা নিজেরাও হয়তো সন্তান নেওয়ার কথা ভাববে। কিন্তু, এই পরিস্থিতির মানেও এমন না যে, কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের হাতে অনেক সময় আছে।

সাংবাদিকদের একটি বড় অংশকে বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তা না হলে রাজনীতিবিদরাও কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

এবারের গ্রীষ্মে, বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ পানিতে ডুবে ছিল। সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির কারণে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বড় একটি অংশে বন্যা হয়েছে। জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট নানা স্বল্পতার জন্য যুদ্ধ ও দ্বন্দ্বও ক্রমশ বাড়ছে। হত্যা বাড়ছে, মানুষ বাস্তৃচ্যুত হচ্ছে। আগামী বছর এগুলো আরো তীব্র হবে।

গত কয়েক মাসে তীব্র গরম দেখা গেছে ইরান ও ইরাকে। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রীরও বেশি। এমনকি জার্মানি ও অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশেও, দাবদাহের কারণে প্রতি বছর হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। এবং এটি থামবে না। বরং আরো তীব্র হবে।

ইউরোপে ট্রপিক্যাল ভাইরাসগুলোর সংক্রমণ বাড়ছে। একই সাথে ফিরে আসছে অনেক আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সব রোগবালাই। ফলে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। এবং এগুলো ৩০ বছর পরের বিষয় না। ২০২০ সালের পরেই আমরা এগুলো আর অগ্রাহ্য করতে পারব না।

অ্যামাজন, সাইবেরিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, আর্জেন্টিনা, কঙ্গো, কেনিয়া ও অ্যাঙ্গোলার বনভূমি ধ্বংস করে ফেলার বিষয়টিও আমরা অগ্রাহ্য করতে পারব না। আমরা এরই মধ্যে পৃথিবীর সহ্যসীমা অতিক্রম করে ফেলেছি। আমরা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকতে পারব কিনা, তা নির্ভর করবে আমরা কী পরিমাণ প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারছি, তার ওপর।

কিন্তু প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে চললেও কেন আমরা এতো ভীতিকর পরিস্থিতিতে পড়েছি? এই বিষয়টিও খুব কম মানুষই ভালোমতো বুঝতে পারে। বিধ্বংসী ও অপূরণীয় ক্ষতি এড়ানোর জন্য, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশ নিচে রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছিল জলবায়ু চুক্তিতে সাক্ষরকারী দেশগুলো।

এখন আমরা ১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছি। এখনই বায়ুমন্ডলে যে পরিমাণ কার্বন আছে, তার প্রভাব আগামী শতকগুলোতে দেখা যাবে। ফলে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে যাওয়ার আগপর্যন্ত আমরা এভাবেই কার্বন নির্গমন চালিয়ে যেতে পারব না। একটা পর্যায়ে এসে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তাপমাত্রা কোনোভাবেই ১.৬ বা ১.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি হতে দেওয়া যাবে না। এমনকি এই রকমের উষ্ণায়নও অনেক বিপজ্জনক হতে পারে। কেন?

২০২০ একটি ঐতিহাসিক বছর, বিশেষ করে জলবায়ূ রাজনীতির জন্যে

কারণ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন: আমরা হয়তো এখনই এমন এক অবস্থানে চলে এসেছি, যেখান থেকে আর পেছনে ফেরার পথ নেই। সাইবেরিয়ার ভূগর্ভস্থ বরফ গলে গিয়ে আরো কার্বন নির্গমন হচ্ছে এবং এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা আরো বাড়াচ্ছে। আর্কটিক সাগরের বরফ গলে যাওয়ায় সেখানকার পানি আরো দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। কারণ বরফ, সূর্যের রশ্মি প্রতিফলিত করতে পারে। কিন্তু বরফ গলে যাওয়ায় সেটি আর হচ্ছে না। এভাবে একটি পর্যায় অতিক্রম করে যাওয়ার পর, পরবর্তী পর্যায়টি আরো দ্রুত আসবে। আমরা এমন এক চেইন রিয়্যাকশনের মধ্যে পড়েছি, যেটি কোনোভাবেই থামানো সম্ভব না।

আমরা এই জলবায়ু সংকটের এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে আর বিষয়টি থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখার সুযোগ নেই। ২০২০ সালটি অনেক দিক দিয়েই ঐতিহাসিক একটি বছর। জলবায়ু রাজনীতির জন্যও বছরটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখনই সম্মিলিতভাবে এই উপলব্ধিতে আসতে হবে যে, সামনের বছরগুলোতে যেন আমাদের রাজনীতি-অর্থনীতিতে সঠিক পদক্ষেপগুলো দেখা যায়। নাহলে এই সংকট মোকাবিলার বিষয়টি অনেক দেরি হয়ে যাবে।

আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্ধারিত হবে: আগামী ১০ হাজার বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, বেশিরভাগ সাংবাদিকই এখনো বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

আমাদের হাতে সময় নেই। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে না। এখনই। কারো কারো কাছে শুনতে হয়তো অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে; কিন্তু আমাদের আসলে কাজ করতে হবে পুরো পৃথিবীকেই বাসযোগ্য করে তোলার জন্য। এমনকি আপনার বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গাটিও বাদ দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিকদের একটি বড় অংশকে বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তা না হলে রাজনীতিবিদরাও কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি যারা অস্বীকার করেন, তারা পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বড় বাধা নন। সমস্যাটি হলো: সবাই বোঝেন একটি ঝামেলা আছে, কিন্তু সেটি কত বড়, তা কেউ জানতে আগ্রহী না। এখন আমরা যেভাবে চলছি, তাতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রী বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে পৃথিবীর একটি বড় অংশই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

সামনের কয়েকটি মাসই হয়তো আমাদের শেষ সুযোগ বিশ্বজুড়ে সরকারগুলোর ওপর চাপ তৈরির জন্য। যেন বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রীর মধ্যে রাখতে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা ইতিহাসের এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নির্ধারিত হবে: আগামী ১০ হাজার বছরে পৃথিবীর চেহারা কেমন হতে যাচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, বেশিরভাগ সাংবাদিকই এখনো বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

অপেক্ষার আর সুযোগ নেই

প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাইলে আমাদের এখন থেকেই প্রতি বছর কার্বন নির্গমন কমাতে হবে ৭ শতাংশ হারে। আমরা যদি এই নির্গমন হার কিছু কম রাখি, তাহলে সেটি পরে পুষিয়ে নেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যাবে না।

ইইউর প্রণোদনা প্যাকেজ অনুযায়ী বর্তমান যে পরিকল্পনা আছে, তাতে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি না অন্য দেশগুলো কার্বন নির্গমন কমিয়ে ফেলে নাটকীয়ভাবে। বিষয়টি নিয়ে ইইউ নেতৃবৃন্দ যেরকম আচরণ করছেন, তা বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে শুধু অন্যায্যই নয়; এটি বরং আমাদের ভবিষ্যতকে আরো ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত, আমরা এই জলবায়ু সংকটের আগুন নেভানোর বদলে, সেটিতে বরং আরো বাতাস দিতে থাকব।

আমরা যদি সত্যিই বুঝতে পারতাম, জলবায়ু সংকট কি রকম নাটকীয়ভাবে আমাদের ছেলেমেয়েদের ওপর প্রভাব ফেলবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কত অল্প সময় আছে; তাহলে আমরা ইইউর কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজকে যুগান্তকারী হিসেবে উদযাপন করতে পারতাম না। কয়লা ব্যবহার বন্ধের ক্ষেত্রে গড়িমসি বা অন্যান্য আরো অনেক ব্যর্থতা আমরা শুধু দেখেই যেতাম না।

জলবায়ুর ওপর প্রভাব বিবেচনায় না রেখে কারোরই রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিৎ না।

কবে থেকে আমরা জলবায়ু সংকটের এই বিষয়গুলি আরো বিস্তারিতভাবে ও গুরুত্ব সহকারে রিপোর্ট করা শুরু করব? যখন গবেষকরা সম্মিলিতভাবে বলবেন যে: আমরা এমন এক অবস্থায় চলে এসেছি, যেখান থেকে আর ফেরার কোনো পথ নেই?

আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। জলবায়ু সংকট নিয়ে সাংবাদিকরা অনেক দারুন দারুন রিপোর্ট করেছেন। আমাদের অনেক সহকর্মীও বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে সতর্ক করছেন। যে কেউই বিষয়টি সত্যি সত্যি জানতে চাইলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন: পুরো পৃথিবী কত গুরুতর অবস্থায় আছে। কিন্তু এটি কিভাবে আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে, তা আমরা স্পষ্ট করতে পারিনি।

জলবায়ু সংকট, শুধু সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের জন্য আলাদা কোনো বিট না। এটি এমন একটি বিষয়, যা আমাদের সবার জীবনে, সব ধরনের সাংবাদিকতায় প্রভাব ফেলবে।

রাজনীতি বা অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক-লেখকদেরও জানা উচিৎ যে: ১.৫ ও ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে আইপিসিসি রিপোর্টে কী বলা আছে; সেখানে কেমন ভবিষ্যতের কথা বলা আছে। জলবায়ুর ওপর প্রভাব বিবেচনায় না রেখে কারোরই রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিৎ না।

পর্যটন, প্রযুক্তি, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ফ্যাশন, খাবারদাবার; সব ক্ষেত্রেই সমানভাবে পড়বে জলবায়ু সংকটের প্রভাব। কারণ পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণে মূখ্য ভূমিকা রাখছে আমাদের কার্বন নির্গমন।

নজরদারি মানে অ্যাক্টিভিজম নয়

জলবায়ু সংকট নিয়ে রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যাক্টিভিজম ও সাংবাদিকতার পার্থক্যের বিষয়টি অনেক সাংবাদিক তুলে ধরেছেন খুব সঠিকভাবে। কিন্তু যখন আমরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ১.৫ ডিগ্রী লক্ষ্যমাত্রার প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি; তখন সেটিকে অ্যাক্টিভিজম বলা যায় না। বৈজ্ঞানিক, মানবিক ও সাংবাদিকতা; সব দিক থেকেই এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাংবাদিক হিসেবে, আমরা শুধু আমাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের ব্যর্থতা নিয়ে রিপোর্ট করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারি না। যেসব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ১.৫ ডিগ্রীর লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি, তা শুধুই কোনো রিপোর্ট নয়। এটি শুধু এমন ব্যাপার না যে সব পক্ষের কথাই যেন সেখানে উঠে আসে এবং সেই অনুযায়ী পত্রিকার পাতায় জায়গা দেওয়া হয়।

জলবায়ু সংকট একটি ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। এবং সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাজ: সেই বাস্তবতাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা। এজন্য প্রয়োজনে রাজনীতিবিদ ও তাদের ঘনিষ্ট মানুষদেরও মোকাবিলা করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে মতামত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শুধু সমাজের প্রতিই নয়, নিজের সন্তানদের প্রতিও দায়িত্ব আছে। এমনকি তারা যদি এখনো ভূমিষ্ঠ না-ও হয়ে থাকে।

কোভিড-১৯ আমাদের দেখিয়েছে, দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ কত পরিবর্তন আনতে পারে। আরো দেখা গেছে: বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কোনো তথ্য অগ্রাহ্য করলে কী পরিণতি হয় এবং কত দ্রুত পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যেতে পারে।

যে কেউই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হতে পারে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে সবার ওপরে। কিন্তু এবার শুধু ঘরে বসে থাকলেই আপনি রক্ষা পাবেন না।

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তন: যেভাবে অনুসন্ধান করবেন এই শতাব্দীর সবচেয়ে জরুরি স্টোরি

জলবায়ু সংকট: অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য আইডিয়া

এফওআইএ দিস! – রিকুয়েস্টস আনকভার গ্রীন নিউজ

জিআইজেএন এনভায়রনমেন্টাল ডেটা সোর্স

এই খোলা চিঠিটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল মিডিয়াম-এ। অনুমতি নিয়ে পোস্টটি এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হলো। চিঠির আদি ভার্সনটি প্রকাশিত হয়েছিল জার্মান ভাষায়। সেটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন রুবি মোরিগান।

সারা শারম্যান ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কাজ করেছেন টারস্পিগেল, ভাইস, গ্রুনার + ইয়া, জেইট অনলাইন ও ফাঙ্কের হয়ে। ২০১৮ সালে মিডিয়াম ম্যাগাজিন তাঁকে নির্বাচিত করেছিল টপ ৩০ আন্ডার ৩০ হিসেবে। তিনি থাকেন বার্লিনে।

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

IDL-Reporteros founder Gustavo Gorriti

সদস্য প্রোফাইল

আইডিএল-রিপোর্টেরস: যে নিউজরুম পেরুর রাজনৈতিক অভিজাতদের চ্যালেঞ্জের সাহস দেখিয়েছে

পেরুর ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ক্রমাগত নানা ধরনের চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম, আইডিএল-রিপোর্টেরস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা গুস্তাভো গোরিতি। পড়ুন, কীভাবে সেগুলো সামলে তারা সাহসিকতার সঙ্গে রিপোর্টিং চালিয়ে যাচ্ছে।

post office boxes, shell companies

পরামর্শ ও টুল

শেল কোম্পানির গোপন মালিকদের যেভাবে খুঁজে বের করবেন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য শেল কোম্পানি ও সেগুলোর প্রকৃত মালিকদের পরিচয় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হতে পারে। তবে শক্তিশালী কিছু টুল রয়েছে যার সাহায্যে জটিল এই ক্ষেত্রে নতুন আসা সাংবাদিকেরাও গোপনে অবৈধ সম্পদ লুকোনো ব্যক্তিদের পদচিহ্ন খুঁজে বের করতে পারেন।

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

BBC Newsnight NHS investigations lessons learned

কেস স্টাডি

যেভাবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসেবা কেলেঙ্কারির স্বরূপ উন্মোচন করেছে বিবিসি নিউজনাইট

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়ে ছোট একটি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছিল বিবিসি নিউজনাইট। কিন্তু পরবর্তীতে এক বছরব্যাপী অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানাবিধ অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত চিত্র। পড়ুন, পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প ও অভিজ্ঞতা-পরামর্শ।