প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বনরুই পাচারের জোটবদ্ধ অনুসন্ধান থেকে ১০টি জরুরি শিক্ষা

English

অবৈধ চোরাচালানের কারণে পিঁপড়েভুক এই নিরীহ স্তন্যপায়ী প্রাণীটি ক্রমেই চলে যাচ্ছে বিলুপ্তির পথে। ছবি: সাই ইয়াও-চেং / দ্য রিপোর্টার

এই গল্পের শুরু ১৫ মাস আগে, সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে। সেখানে এশিয়ার কয়েকজন সাংবাদিক জড়ো হন জোটবেঁধে কাজ করার উপায় নিয়ে কথা বলতে। সেই আলোচনায় আমরা এমন একটি ইস্যু খুঁজে পাই, যা সবাইকে স্পর্শ করে। বিষয়টি ছিল: বনরুইয়ের (প্যাঙ্গোলিন) বৈশ্বিক চোরাচালান। আন্তর্জাতিক আইন দিয়ে কাগজেকলমে সুরক্ষা দেওয়া হলেও, পিঁপড়েভুক এই নিরীহ স্তন্যপায়ী প্রাণীটি ক্রমেই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কারোই খুব একটা মাথাব্যাথা নেই। বড় কোনো গণমাধ্যমও এই বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধানে হাত দেয়নি।

চীনে প্রথাগত কিছু ঔষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বনরুইয়ের শক্ত আঁশটে আবরণ, যার যোগান আসে মূলত এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে। বিপুল পরিমাণ বনরুই খোলস অবৈধভাবে পাচার হয়ে আসে চীন ও এশিয়ার বাজারে। অবৈধ এই বাণিজ্য দিনে দিনে ফুলেফেঁপে উঠেছে। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো: এই চোরাচালান একেবারে অর্থহীন, কারণ প্যাঙ্গোলিনের আঁশে কোনো ঔষধি গুনাগুন নেই। ওষুধ হিসেবে এর কার্যকরিতা “মনস্তাত্বিক” বলা যেতে পারে। আমাদের এই অনুসন্ধানে দেখা গেছে: চীনসহ অন্যান্য এশিয় ওষুধ কোম্পানির চাহিদা মেটাতে – কখনো জোট বেঁধে, কখনো বা একে অপরের সঙ্গে রীতিমত প্রতিযোগিতা করে, বিভিন্ন মহাদেশ থেকে প্যাঙ্গোলিন আনছে চোরাকারবারীরা।

সম্মেলনের পর আমরা দলবেঁধে নেমে পড়ি অনুসন্ধানে। এভাবেই শুরু হয় দ্য প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টস। এশিয়ার কয়েকজন নামকরা সম্পাদক আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের বৈশ্বিক যোগাযোগের কারণে আমরা হংকংয়ের এডিএম ক্যাপিটাল ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান পেয়ে যাই। এরপর দলে ভেড়াতে থাকি রিপোর্টারদের, জোট বাঁধি একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

বনরুই চোরাচালানের জন্য ব্যবহার করা হয় এই প্রধান রুটগুলো। নেপালি টাইমসের ডেটা থেকে বানানো হয়েছে এই ম্যাপ: দ্য প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টস

আগের কোলাবরেটিভ (সহযোগিতামূলক) প্রকল্পগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে সবাই তিনটি শর্তে একমত হয়েছিলেন: আমরা রিপোর্ট করবো একসাথে, সম্পাদনা করবো জোট বেঁধে এবং প্রতিবেদনগুলো ছড়িয়ে দিতে প্রচারণাও চালাবো সবাই মিলে। জোটবদ্ধ কাজের পুরনো যে অভিজ্ঞতা, তার বাইরে গিয়েও নতুন অনেক কিছু করার চেষ্টা ছিল আমাদের। যেমন, এখানে প্রতিটি দেশের স্থানীয় গণমাধ্যমের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ছিল; তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়েছে; গল্পগুলো নিজের মতো করে পাঠকের কাছে তুলে ধরার জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় সম্পদও যোগান দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ও সোর্সের সাথে সংযোগ, সেরা মানের সম্পাদনা, এবং অনুসন্ধানের খরচ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও নিশ্চিত করা হয়েছে।

“প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টসের সৌন্দর্য হলো: অনুসন্ধান থেকে শুরু করে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সব কাজেই যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। নিজ দেশে, নিজ ভাষায় ও নিজ সংস্কৃতির ভেতরে থেকে তারা কাজ করেছেন,” বলেন এই প্রকল্পের অন্যতম সম্পাদক জয়েস লাউ।

আর ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমার নাও-এর সিনিয়র রিপোর্টার, টিন টেট পায়িং বলেন, “আমরা শিখেছি, স্থানীয় পাঠকের জন্য লেখা প্রতিবেদন, বিদেশী পাঠকদেরও মনোযোগ টানতে পারে। জোট বেঁধে রিপোর্টিং করতে গিয়ে এক চীনা সাংবাদিকের কাছ থেকে আমরা ঘটনার প্রেক্ষাপট জানতে পেরেছি, আর তিনি আমাদের কাছ থেকে পেয়েছেন সবচেয়ে দরকারি তথ্যটি। এভাবে আমরা দুই পক্ষই নিজ নিজ পাঠকের কাছে আরো ভালো প্রতিবেদন হাজির করতে পেরেছি।”

মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের সাংবাদিকরা এখন জানেন, চীনা কোনো কোম্পানির পরিবেশগত অপরাধ নিয়ে প্রতিবেদন করতে হলে তথ্যের জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। থাইল্যান্ডের একজন সাংবাদিক, তার মালয়েশিয়ার সহকর্মীর সাথে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই, সীমান্তের চোরাচালান নিয়ে আলাপ করতে পারেন।

১৪ দেশের ১৯টি সংবাদমাধ্যমে কাজ করা ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিক (ডেটা এডিটর, ভিডিও সাংবাদিক, পডকাস্ট প্রযোজক, কোডার ও ডিজাইনার) এই প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন।

২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে হামবুর্গে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে আমরা প্রকাশ করি “ট্রাফিকড টু এক্সটিংশন” – বনরুইয়ের অবৈধ বাণিজ্য নিয়ে ১০ হাজার শব্দের একটি জোটবদ্ধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে এই বাণিজ্য থেকে লাভবান হচ্ছে ক্রেতা, বিক্রেতা ও চোরাকারবারীরা। আমরা প্রমাণ করেছি এর পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রও আছে। এখানে বনরুই সংরক্ষণের একাধিক বিকল্প মডেলও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আফ্রিকা ও এশিয়ায় ৫০টিরও বেশি গণমাধ্যম, বনরুই নিয়ে নতুন অনুসন্ধান শুরু করেছে। আমাদের রিপোর্ট অনুদিত হয়েছে থাই, বার্মিজ, নেপালি, বাহাসা, ফ্লেমিশ, এবং চীনা (চীন, তাইওয়ান) ভাষায়। মালয়েশিয়ায় দুর্নীতির আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু হয়েছে।

তার চেয়েও যা গুরুত্বপূর্ণ: এই কাজের মধ্য দিয়ে সাংবাদিক ও বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে, যা প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও টিকে থাকবে। মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের সাংবাদিকরা এখন জানেন, চীনা কোনো কোম্পানির পরিবেশগত অপরাধ নিয়ে প্রতিবেদন করতে হলে তথ্যের জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। থাইল্যান্ডের একজন সাংবাদিক, তার মালয়েশিয়ার সহকর্মীর সাথে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই, সীমান্তের চোরাচালান নিয়ে আলাপ করতে পারেন।

আমাদের জন্য প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টস ছিল পরীক্ষামূলক একটি প্রকল্প। কিন্তু এটি শুরু মাত্র। স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ের রিপোর্টারদের যুক্ত করার জন্য আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা যদি স্থানীয় সাংবাদিকদের শক্তি বাড়াতে পারি, তাহলে পরিবেশ নিয়ে পাঠকের জীবন-ঘনিষ্ট অনেক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব। এবছরের শেষ দিকে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরো কথা বলব।

এই কাজ করতে গিয়ে বিগত বছরগুলোতে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এখানে থাকছে সম্পাদক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের জন্য ১০টি পরামর্শ:

১. মানসিকতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ তখনই সম্ভব, যখন সম্পাদক ও রিপোর্টাররা বুঝতে পারেন – রিপোর্টিং থেকে পাওয়া তথ্য, ভিজ্যুয়াল বা দক্ষতা ভাগাভাগির মাধ্যমে সবাই লাভবান হবেন। সম্পাদকদের প্রধান মনোযোগ হওয়া উচিত, সবচেয়ে ভালো প্রতিবেদন তৈরি করা। কারণ এখানেই সবার স্বার্থ নিহিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে মাথায় রাখতে হবে, যেন স্থানীয় রিপোর্টারদের যথেষ্ট সম্মান দেখানো হয়, তাদেরকে নিছক তথ্যের যোগানদাতা বা দোভাষী হিসেবে ব্যবহার না করা হয়।

২. কোন নিউজরুম কী চাইছে এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থান কী; তা নির্ধারণ করতে হবে। আপনার কাছে যে কারণে কোনো প্রকল্পকে অভিনব ও দারুন বলে মনে হবে, তা হয়তো আপনার সহযোগী নিউজরুমগুলোর কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা ও যোগাযোগ করতে হবে।

৩. নিউজরুমে কে বড়, কে ছোট – এমন স্তরবিন্যাস এড়িয়ে চলুন। সরাসরি রিপোর্টারদের সঙ্গে কাজ করুন। যেসব নিউজরুম সম্পাদকদের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলে, তারা রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে কম কার্যকর বলেই প্রমাণিত হয়। তাদের আউটপুটও কম থাকে। এর চেয়ে বরং প্রকল্পের অগ্রগতি এবং কর্মপন্থা সম্পর্কে পুরোপুরি স্বচ্ছতা রাখা ভালো, যাতে সম্পাদকরা যখন দরকার তখন পরিস্কার ধারণা নিতে পারেন।

৪. আদেশ নয়, সহযোগিতা ও পরামর্শ দিন। সম্পাদকরা আছেন তাঁদের সহায়তা দেওয়ার জন্য, রিপোটিংকে আরো উন্নত করার জন্য, শুধুই নির্দেশ দেওয়ার জন্য নয় – সাংবাদিকদের মনে এমন বিশ্বাস থাকা জরুরি।

“প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টসের সৌন্দর্য হলো: অনুসন্ধান থেকে শুরু করে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সব কাজেই যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। নিজ দেশে, নিজ ভাষায় ও নিজ সংস্কৃতির ভেতরে থেকে তারা কাজ করেছেন,” প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টসের অন্যতম সম্পাদক জয়েস লাউ।

৫. দলে কার কী দক্ষতা আছে, সে সম্পর্কে জানুন এবং সেই অনুযায়ী সবার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করুন। কেউ হয়তো রিপোর্টিংয়ে দক্ষ, কেউ হয়তো লেখালেখিতে। আবার কেউ হয়তো প্রচার-প্রচারণার বিষয়টি ভালো বোঝেন। প্রকল্পের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ দলে ভেড়ান। এমন দল গড়ুন যেখানে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে দক্ষ, বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী এবং স্থানীয় ইস্যুর ওপর ভালো দখল রাখা মানুষ থাকবে। কেবল এভাবেই সর্বোচ্চ প্রভাব নিশ্চিত করতে পারবেন।

৬. দূরে থেকেও একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করুন। আমরা বার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করেছি স্ল্যাক। তথ্য জমা রাখা, লেখা ও সম্পাদনার জন্য ব্যবহার করেছি গুগল ড্রাইভ, ডক ও স্প্রেডশিট। ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহার করেছি জুম। এর পাশাপাশি অনুসন্ধানের বিষয় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী নিতে হবে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও।

৭. যে সময়ে কাজ শেষ করবেন বলেছেন, সে সময়েই শেষ করুন। সময়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে হেলাফেলা করবেন না। গোড়ার দিকে জোটবদ্ধ কাজে প্রথাগত রিপোর্টিংয়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে। কিন্তু কাজের পদ্ধতি গড়ে উঠলে ধীরে ধীরে এটি কার্যকরী হয়ে ওঠে। এমন কাঠামো গড়ে তুলুন, যেখানে ঝামেলা কম। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি ভুলবেন না।

৮. নমনীয় হোন। সহযোগিতামূলক কাজের ভিত্তি হলো সুনাম, বিশ্বাস ও মূল্যবোধ। কাউকে কোনো কাজের জন্য জোর করবেন না। কোনো সংবাদমাধ্যম যদি অ্যাসাইনমেন্ট করা, কনটেন্ট সম্পাদনা বা তথ্য বিনিময়ে আপত্তি জানায়; তখন আসলে আর তেমন কিছুই করার থাকে না।

৯. উদারতা দেখান এবং কাজের অগ্রগতি সবার সঙ্গে শেয়ার করুন। আমাদের লক্ষ্য ছিল: সর্বোচ্চ সংখ্যাক মানুষের কাছে পৌঁছানো। তাই সবাই মিলে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি, সেটি রেখে দিয়েছি ক্রিয়েটিভ কমন্স’ লাইসেন্সের অধীনে, যাতে সহযোগীরা বিনা দ্বিধায় পরস্পরের কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারেন, প্রশাসনিক জটিলতা ছাড়াই। এর ফলে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের প্রতিবেদন অন্য ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশ করতে পেরেছেন খুব সহজেই। (অবশ্য এতে যে সবাই লাভবান হবে, তা কিছু মানুষকে বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।)

১০. কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নিউজরুমগুলোতে অনেক দক্ষ, নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক আছেন। তাঁরা যেন আরো বিকশিত হতে পারেন, সেই পরিস্থিতি তৈরি করাই মূল কাজ।

এখন, আমরা প্যাঙ্গোলিন রিপোর্টস-এর সারাংশ বানাচ্ছি। এই প্রকল্পের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইংরেজি ও চীনা ভাষায় দুটি দুটি পডকাস্ট তৈরি করছি। আমাদের মালয়েশিয় সহযোগী রেইজ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গ্রাফিক স্টোরি-বুক তৈরি করছে। এই রিপোর্টিং জোটকে আরো স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন সম্পাদকরা। সামনের দিনগুলোতে আমরা জোট বেঁধে কাজ করবো পরিবেশের নানা বিষয় নিয়ে। অবশ্য তাতে বনরুই নিয়ে অনুসন্ধান থামবে না, বরং আরো অনেক নিউজরুম এই কাজকে এগিয়ে নেবে, নতুন নতুন অনুসন্ধানের মাধ্যমে।

আমাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ থাকলে, মেইল করুন এই ঠিকানায়: contact@pangolinreports.comসাবস্ক্রাইব করুন আমাদের নিউজলেটার

প্যাট্রিক বোয়েলার সুইস পাবলিক ব্রডকাস্টার-এর আন্তর্জাতিক বিভাগ, এসডব্লিউআই -এর নির্বাহী সম্পাদক। এর আগে তিনি কাজ করেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমস, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সহ এশিয়ার আরো কিছু  গণমাধ্যমে। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া স্টাডিজ সেন্টারে সাংবাদিকতা শেখান। 

 

ইং চ্যান পুরস্কারজয়ী সাংবাদিক, প্রশিক্ষক ও জিআইজেএন চায়নার পরামর্শক সম্পাদক। ১৯৯৯ সালে তিনি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ সেন্টারের প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে গুয়াংডং-এর সান্তোউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন চেউং কং স্কুল অব জার্নালিজম। ২৩ বছর ধরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে থেকে কাভার করেছেন অভিবাসন, অর্থবাণিজ্য, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়। লিখেছেন নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ, এনবিসি নিউজ ও চীনা ভাষার বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

IDL-Reporteros founder Gustavo Gorriti

সদস্য প্রোফাইল

আইডিএল-রিপোর্টেরস: যে নিউজরুম পেরুর রাজনৈতিক অভিজাতদের চ্যালেঞ্জের সাহস দেখিয়েছে

পেরুর ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ক্রমাগত নানা ধরনের চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম, আইডিএল-রিপোর্টেরস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা গুস্তাভো গোরিতি। পড়ুন, কীভাবে সেগুলো সামলে তারা সাহসিকতার সঙ্গে রিপোর্টিং চালিয়ে যাচ্ছে।

post office boxes, shell companies

পরামর্শ ও টুল

শেল কোম্পানির গোপন মালিকদের যেভাবে খুঁজে বের করবেন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য শেল কোম্পানি ও সেগুলোর প্রকৃত মালিকদের পরিচয় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হতে পারে। তবে শক্তিশালী কিছু টুল রয়েছে যার সাহায্যে জটিল এই ক্ষেত্রে নতুন আসা সাংবাদিকেরাও গোপনে অবৈধ সম্পদ লুকোনো ব্যক্তিদের পদচিহ্ন খুঁজে বের করতে পারেন।

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

BBC Newsnight NHS investigations lessons learned

কেস স্টাডি

যেভাবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসেবা কেলেঙ্কারির স্বরূপ উন্মোচন করেছে বিবিসি নিউজনাইট

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়ে ছোট একটি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছিল বিবিসি নিউজনাইট। কিন্তু পরবর্তীতে এক বছরব্যাপী অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানাবিধ অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত চিত্র। পড়ুন, পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প ও অভিজ্ঞতা-পরামর্শ।