প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

সম্পাদকের বাছাই: ২০১৯ সালে আরবী ভাষার সেরা অনুসন্ধান

English

 

জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর বিচারে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। ফলে এখানকার অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কাজ করে যাওয়াও ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

গত নভেম্বরে, মিশরে তিন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়। সোলাফা সালাম, হোসাম আল-সায়াদ ও মোহামেদ সালাহ এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। স্বাধীন গণমাধ্যম মাদা মাসর-এর অফিসেও হানা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অল্প সময়ের জন্য আটক রেখেছিল তাদের চার সাংবাদিককে। একই মাসে, সৌদি সরকার গ্রেপ্তার করেছে অন্তত সাতজন সাংবাদিক, ব্লগার ও কলামিস্টকে। তবে এসব খারাপ খবরের মধ্যেও দেখা গেছে আশার আলো। গত এপ্রিলে, অ্যাসোসিয়েট প্রেসের তিন সাংবাদিক ম্যাগি মিশেল, নারিমান এল-মোফতি ও মাদ আল-জেকরি আন্তর্জাতিক রিপোর্টিংয়ের জন্য জিতেছেন ২০১৯ সালের পুলিৎজার পুরস্কার। শুধু আরব সাংবাদিকের নিয়ে গঠিত দলের পুলিৎজার জয়ের ঘটনা, এটিই প্রথম।

পড়ুন বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ২০১৯ সালের সম্পাদকের বাছাই

এবছর হামবুর্গে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্সে, ৫০ জন আরব সাংবাদিক অংশ নেন একটি নেটওয়ার্কিং সেশনে। সেখানে তারা আলোচনা করেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে কাজ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ছাড়াও আরো যে তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কথা বলেছেন, তা হলো: হাতেকলমে শেখার মতো প্রশিক্ষণের ঘাটতি, সহযোগিতামূলক আন্তসীমান্ত প্রজেক্টের অভাব এবং দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল অনুসন্ধানগুলোতে সহায়তা করার মতো আর্থিক অনুদানের স্বল্পতা।

কঠিন এসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও যে সাংবাদিকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সম্মানে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকে এবছর  প্রকাশিত হওয়া সেরা কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের খবর জানাচ্ছেন জিআইজেএনের আরবি-ভাষা সম্পাদক মাজদোলিন হাসান

মারাত-আল-নুমানে “ডবল স্ট্রাইক”

স্ক্রিনশট

২২ জুলাই, সিরিয়ার ইদলিব নগরীর দক্ষিণে অবস্থিত মারাত-আল নুমান শহরের একটি বাজারে রকেট হামলায় মারা যান ৩৯ জন। অনুসন্ধান চালিয়ে এই ঘটনায় যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ খুঁজে পায় বিবিসি অ্যারাবিক। অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, রাশিয়ার এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল “ডাবল স্ট্রাইক” নামের কৌশল। যেখানে একই বিমান থেকে পরপর দুইবার হামলা চালানো হয়, যেন প্রথম হামলার পর যারা আহতদের উদ্ধার করতে গেছেন, দ্বিতীয় আঘাতে তারাও মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ এবং গুগল আর্থের স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে, এই বিমান হামলার সঠিক স্থান ও সময় বের করেন  রিপোর্টাররা। রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা কখনোই বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেনি। কিন্তু বিবিসির প্রতিবেদন এই দাবিকে ভুল প্রমাণ করে।

ইয়েমেনে আটকে যাওয়া কলেরা ভ্যাক্সিন

স্ক্রিনশট

এই অনুসন্ধান অ্যাসোসিয়েট প্রেসের ইয়েমেনস ডার্টি ওয়ার সিরিজের অংশ। এটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টিংয়ে ২০১৯ সালের পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে; রিপোর্টিংয়ে সাহসিকতার জন্য জিতেছে ম্যাকগিল অ্যান্ড ব্যাটেন পদক। এই অনুসন্ধানটি দেখিয়েছে কিভাবে ইয়েমেনের উত্তরে হুতি সরকার এবং দক্ষিণে মার্কিন-সমর্থিত সরকার, কলেরা রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী সরিয়ে ফেলেছে এবং চুরি করা এসব সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি করেছে। কোথাও কোথাও, কলেরা আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র গঠন হয়েছে শুধু কাগজে-কলমে, যদিও জাতিসংঘ তার জন্য টাকা দিয়েছিল। অভিযোগ প্রমাণের জন্য, সাংবাদিক ম্যাগি মিচেল গোপনীয় নথিপত্র বিশ্লেষণ করেছেন এবং ২৯ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন ইয়েমেনে কাজ করা ত্রাণকর্মী এবং উত্তর-দক্ষিণ দুই সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটে, যখন দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত।

যৌনতার বিনিময়ে খাদ্য

স্ক্রিনশট

সিরিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি জার্নালিজম (সিরাজ)-এর এই অনুসন্ধানে দেখানো হয়েছে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য দামেস্ক ও তার আশেপাশের গ্রামীন এলাকায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কিভাবে সিরিয়ার নারীরা যৌন নিপীড়ন এবং শারিরীক বা মৌখিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই নারীরা বলেছেন, খাদ্য-ওষুধের মতো মানবিক সহায়তা পাওয়ার বিনিময়ে, তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনসম্পর্ক করতে বাধ্য হতেন, আশ্রয়কেন্দ্রের সুপারভাইজার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে। গ্রেপ্তার, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার, সাহায্য বন্ধ এবং চরিত্রহননের আশংকায় তারা মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হতেন। সাংবাদিক নুর ইব্রাহিম নিজে, দামেস্ক ও তার আশেপাশের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আটজন নারীর, যারা আশ্রয়কেন্দ্রের ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করতে বাধ্য হয়েছেন। ইব্রাহিম আরো কথা বলেছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ৩৫ জন পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে, যারা নাম-পরিচয় গোপন রেখে সমর্থন দিয়েছেন এই অনুসন্ধানে। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, যৌনতার বিনিময়ে খাদ্য — কতটা ব্যাপকভাবে ঘটেছে গৃহহীন এই নারীদের সঙ্গে।

টুইটারে ঘৃণার বিস্তার

স্ক্রিনশট

সিরীয় শরণার্থীদের নিয়ে লেবাননের রাজনীতিবিদদের মধ্যে কেমন বিদ্বেষ আছে, তা জোটবদ্ধভাবে অনুসন্ধান করেছিলেন কায়রো-ভিত্তিক গণমাধ্যম ইনফোটাইমস সিরাজ-এর সাংবাদিকরা। শরণার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে লেবাননের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বিতর্ক হচ্ছিল অনেক। কারা সিরীয় শরণার্থীদের পক্ষে আছেন, আর কারা বিপক্ষে; তা জানার জন্য ১০ মাস ধরে, এই তারকা ব্যক্তিত্বদের হাজারো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছেন সাংবাদিকরা। এই রিপোর্টিং চলার সময়, সিরিয়া ও লেবাননের অ্যাক্টিভিস্টরা #عرسال_تستغيث — এই হ্যাশট্যাগ (যার অর্থ: আরাসল সাহায্যের জন্য কাঁদছে) ব্যবহার করে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। লেবাননে সিরিয়ান শরণার্থীদের একটি ক্যাম্পের নাম আরাসল। এই ক্যাম্পেইনে তারা বলতে চেয়েছেন শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে ভয়ানক দুরাবস্থার কথা। কিন্তু ডেটা-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, নামী-দামী ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি টুইট, সিরীয় শরণার্থীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। দেখা যায়, নারীদের চেয়ে পুরুষরা বিরোধিতা করেছেন বেশি। শরণার্থীদের বিপক্ষে দেওয়া টুইটের ৯৫ শতাংশ এসেছে পুরুষদের কাছ থেকে। ৫ শতাংশ নারীদের থেকে।

তিউনিসিয়ায় মানব পাচার

স্ক্রিনশট

তিউনিসিয়ায় মানব পাচারের অনেক রকম চেহারা আছে। এর মধ্যে আছে জোরপূর্বক শিশুশ্রম, গৃহস্থালী ও যৌন দাসত্ব। ইনকিফাদার মোনিয়া বেন হামাদি  ও আয়মান তৌহিরি দেখতে চেয়েছেন, তিউনিসিয়ায় আধুনিক মানব দাসত্ব কিভাবে টিকে আছে, এই দাসত্বের শিকার মানুষদের ভাগ্য বাঁধা আছে কাদের হাতে, আর কতটা অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যৎ। তারা অনুসন্ধান করেছেন কিভাবে গ্রামীন অঞ্চলের অল্পবয়েসী মেয়েদের জোর করে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয় এবং বড় শহরগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গৃহকর্মী হিসেবে। তারা এও দেখেছেন, তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ সব জানার পরও চোখ বুজে ছিল। ফলে মেয়েগুলোকে দিন কাটাতে হয়েছে জীবন্ত দুঃস্বপ্নের মধ্যে।

চাকরি নিয়ে বিশ্বজোড়া প্রতারণা

স্ক্রিনশট

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে, গাল্ফ নিউজের অনুসন্ধানী সাংবাদিক মাজহার ফারুকি সামনে নিয়ে আসেন লাখো ডলারের বৈশ্বিক নিয়োগ-বাণিজ্য, যা ছড়িয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইতালি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। তাঁর অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় – ভারত-ভিত্তিক জব পোর্টাল উইজডম জবস কিভাবে আরব আমিরাতে অস্তিত্বহীন চাকরির প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করছে। পুরস্কার পাওয়া এই সাইটে তিন কোটিরও বেশি রেজিস্টার্ড ইউজার আছে। এই প্রতারণা করার জন্য তারা নিজেদের অফিসেই কল সেন্টার বসিয়ে নেয়। নামীদামী কোম্পানির রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজার সেজে চালাতে থাকে প্রতারণা। ব্যাপারটি জানাজানি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে, ভারতীয় পুলিশ কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। গ্রেপ্তার করে প্রধান নির্বাহীসহ ১৪ জন কর্মচারীকে। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে ১ লাখ চাকরি-প্রার্থীর কাছ থেকে সার্ভিস ফি-সহ নানান নামে লাখো ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

ইয়েমেন: জাতিসংঘের ত্রাণে দুর্নীতি

স্ক্রিনশট

ভাইস অ্যারাবিয়া-র এই অনুসন্ধান থেকে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইয়েমেনে যেসব মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তাতে বড় রকমের সমস্যা আছে। সাংবাদিক আসিল সারিহ সরকারি নানা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের দেওয়া এই মানবিক সহায়তার বেশিরভাগ খাদ্য-ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ বা খারাপ অবস্থায় ছিল। ইয়েমেনের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, মেট্রোলজি অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের রিপোর্টেও দেখা যায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম থেকে দেওয়া মানবিক সহায়তার বড় অংশই মানুষের ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। সরকারি নথিপত্র বিশ্লেষণের পর এই সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খাদ্য ও ওষুধ পাওয়া ৩৫ জনেরও বেশি ইয়েমেনির। তাঁরা জানিয়েছেন, কোনো বিকল্প না থাকায় তারা এইসব ওষুধ ও খাবার খেতে বাধ্য হয়েছেন।

যে যুদ্ধের শেষ নেই

১৯৯১ ও ২০০৩ সালের যুদ্ধের বিমান হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল বর্জ্য ইউরেনিয়াম। স্ক্রিনশট

ইউরোনিয়াম-বর্জ্য (depleted uranium) ব্যবহার কতটা বিধ্বংসী হতে পারে, তা দেখা যায় এই অনুসন্ধান থেকে। ইরাকে ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং সাদ্দাম হোসেন শাসনের অবসান ঘটানো ২০০৩ সালের যুদ্ধে এই বর্জ্য ইউরোনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল। সাংবাদিক মিজার কেমাল এমন অনেক মানুষের সাক্ষাৎকার ধারণ করেছেন, যারা তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে, তাদের শহর মার্কিন বিমানহামলার শিকার হওয়ার পর। বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমার শেলগুলোতে ছিল বর্জ্য ইউরোনিয়াম। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা ও পরিসংখ্যানও সমর্থন জুগিয়েছে এই প্রতিবেদনকে, যেখানে দেখা যায় ১৯৯১ ও ২০০৩ সালের যুদ্ধের পর, সেখানে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নির্যাতিত শিশুদের দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য

স্ক্রিনশট

জর্ডানের আল গাদ পত্রিকার রিপোর্টার নাদিন নিমরির মাথায় এই অনুসন্ধানের চিন্তা আসে একটি টুইট দেখার পর। টুইটটি ছিল একটি মেয়েকে নিয়ে, যাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যৌন নির্যাতনের মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে। নিমরি খুঁজে দেখতে চেয়েছিলেন, যৌন নির্যাতন মামলায় শিশুদের বিরুদ্ধে এরকম মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ আরো আছে কিনা। তাঁর অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, প্রতি বছর প্রায় ৩০০টি শিশু যৌন নিপীড়নের মামলা দেখা যায়। এর মধ্যে অপরাধীরা দোষী সাব্যস্ত হন ৩০ শতাংশের কম মামলায়। আর ১৫ শতাংশ শিশুর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এবং তাদের কিশোর পুর্নবাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

মাজদোলিন হাসান জিআইজেএন-এর আরবি সম্পাদক। পুরস্কারজয়ী এই সাংবাদিক কাজ করেছেন গ্লোবাল ইন্টেগ্রিটি, ১০০রিপোর্টার্সআরব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম-এ। মাজদোলিন জর্ডানে একটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ইউনিটের পরিচালক ছিলেন এবং দেশটির প্রথম নাগরিক  হিসেবে তিনি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য না দেয়ায় জর্ডান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

IDL-Reporteros founder Gustavo Gorriti

সদস্য প্রোফাইল

আইডিএল-রিপোর্টেরস: যে নিউজরুম পেরুর রাজনৈতিক অভিজাতদের চ্যালেঞ্জের সাহস দেখিয়েছে

পেরুর ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ক্রমাগত নানা ধরনের চাপ ও হুমকির মুখে পড়েছে অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম, আইডিএল-রিপোর্টেরস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা গুস্তাভো গোরিতি। পড়ুন, কীভাবে সেগুলো সামলে তারা সাহসিকতার সঙ্গে রিপোর্টিং চালিয়ে যাচ্ছে।

post office boxes, shell companies

পরামর্শ ও টুল

শেল কোম্পানির গোপন মালিকদের যেভাবে খুঁজে বের করবেন

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য শেল কোম্পানি ও সেগুলোর প্রকৃত মালিকদের পরিচয় খুঁজে বের করা বেশ কঠিন হতে পারে। তবে শক্তিশালী কিছু টুল রয়েছে যার সাহায্যে জটিল এই ক্ষেত্রে নতুন আসা সাংবাদিকেরাও গোপনে অবৈধ সম্পদ লুকোনো ব্যক্তিদের পদচিহ্ন খুঁজে বের করতে পারেন।

টেকসইতা পদ্ধতি

সাংবাদিকতার প্রভাব পরিমাপ — আমরা নতুন যা জানি

সব সংবাদমাধ্যমই চেষ্টা করে তাদের রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব তৈরির জন্য। কিন্তু এই প্রভাব পরিমাপ করার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে একেক ধরনের সূচক। পড়ুন, এ নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কী জানা গেছে।

BBC Newsnight NHS investigations lessons learned

কেস স্টাডি

যেভাবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসেবা কেলেঙ্কারির স্বরূপ উন্মোচন করেছে বিবিসি নিউজনাইট

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিয়ে ছোট একটি অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করেছিল বিবিসি নিউজনাইট। কিন্তু পরবর্তীতে এক বছরব্যাপী অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানাবিধ অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিস্তারিত চিত্র। পড়ুন, পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানটির নেপথ্যের গল্প ও অভিজ্ঞতা-পরামর্শ।