আপনি ঠিক যেমনটা চাচ্ছেন— তেমন একটি টুল খুঁজতে গিয়ে কখনও কী সমস্যায় পড়েছেন? ঠিক যেমন ফিচারযুক্ত টুল খুঁজছেন, ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাম ঝরিয়েও তেমনটা পাচ্ছেন না? কিংবা আগে বিনামূল্যের যেসব টুল ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে নিতেন, সেগুলো ব্যবহার করতে হলে এখন বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হবে, যা আপনার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়?
আপনি এক নন। বেলিংক্যাটের দুটি জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশেরও বেশি ওপেন সোর্স গবেষক জানিয়েছেন, সঠিক টুলটি খুঁজে পাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
ঠিক এমন অবস্থায় কার্যকর সমাধান হতে পারে আমাদের নতুন অনলাইন ইনভেস্টিগেশনস টুলকিট। যা শুধু স্যাটেলাইট ছবি ও মানচিত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পরিবহন, অথবা অভিলেখাগারের (আর্কাইভ) মতো বিভাগের টুল সম্পর্কিত তথ্য দিয়েই সাহায্য করে না, টুলগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয়— সে বিষয়ক বিস্তারিত দিকনির্দেশনাও দিয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রতিটি টুলকিটের প্রাথমিক ব্যবহার, প্রয়োজনীয় তথ্য আর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়।
টুলকিটের অধিকাংশ টুল বিনা পয়সায় ব্যবহার করা যাবে।
বেলিংক্যাটের ১০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওপেন সোর্স গবেষকদের জন্য আমরা আমাদের টুলকিটটি উন্মুক্ত করে দিয়েছি— তাঁরা এর মানোন্নয়েও অংশ নিতে পারেন। স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল আছেন ,যাঁরা টুলকিটটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে। হালনাগাদ করাসহ নতুন বিষয় যোগ করতে ভূমিকা রাখেন। উদ্যোগটি চলমান। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে টুলকিটে আরো নতুন নতুন টুল যোগ হবে।
ওপেন সোর্স গবেষকেরা টুলের জন্য কোথায় খোঁজ করেন
ওপেন সোর্স গবেষকরা বিভিন্নরকম টুল ব্যবহার করে থাকেন—যেমন স্যাটেলাইট ইমেজ, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অনলাইন বিজনেস রেজিস্ট্রি, এবং সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্র্যাপিং সার্ভিস। এর মধ্যে কিছু টুল নিয়ে আসে বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি। স্বেচ্ছাসেবকেরাও কিছু টুল তৈরি ও তা শেয়ার করে। এগুলো ডেস্কটপ টুল, কোড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের কমান্ড লাইন টুল (যেমন GitHub), বা ব্রাউজার এক্সটেনশন আকারে আপনার কাছে আসতে পারে।
তবে বিচ্ছিন্ন টুল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গবেষকেরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। তাছাড়া সঠিক টুল খুঁজে বের করাটাও সময়সাপেক্ষ। ২০২৩ সালে বেলিংক্যাট জরিপে ১৫৩ জনের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছিলেন যে, গবেষণার জন্য সঠিক টুলটি খুঁজে পেতে তাদের খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। অবশ্য ২০২২ সালের জরিপে অংশ নেওয়া ৫০০ জনের বেশি উত্তরদাতাও একই কথা বলেছিলেন। তখন কিন্তু ওপেন সোর্স গবেষণার জন্য অনেকগুলো টুলকিট পাওয়া যেত। এর মধ্যে আমাদের আগের সংস্করণের টুলকিটটিও ছিল, সংযুক্ত ছিল গুগল শীটে।
বেলিংক্যাটের জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ওপেন সোর্স গবেষক টুল খুঁজতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন। এছাড়া ওয়েবসাইট এবং ব্লগেও আপনি কিছু টুল খুঁজে পাবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষকদের লেখা ও প্রকাশনা পড়ার সময়ও আপনি বিভিন্ন টুল সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ওপেন সোর্স গবেষকরা প্রায়ই স্যাটেলাইট ইমেজারি, ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অনলাইন বিজনেস রেজিস্ট্রি এবং সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্র্যাপিং সার্ভিসের মতো বিভিন্ন টুল ব্যবহার করেন।
এসব টুলের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত ধারণা পেতে আমরা বিভিন্ন দেশ, ব্যক্তির অভিজ্ঞতা এবং পেশার ভিত্তিতে ৪০ জন ওপেন সোর্স গবেষকের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। এর ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, ওপেন সোর্স গবেষকরা হরহামেশা যেসব টুল ব্যবহার করেন, সেগুলো সবসময় তাদের প্রয়োজন অনুসারে চাহিদা মেটাতে পারে না।
টুল খুঁজতে গবেষকরা সার্চ ইঞ্জিনের শরণাপন্ন হন। সবসময় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পান না। আমাদের নেওয়া সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করাই কঠিন। একজন গবেষক বলেন, “আপনি জানেন কিছু টুল আছে, কিন্তু সেগুলো খুঁজতে ঠিক কী লিখবেন (কীওয়ার্ড) তা জানেন না। তাই সঠিক টুল খুঁজে পেতে তাদের অন্ধকারে হাতড়াতে হয়।”
এমনকি সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে পেলেও, তাঁরা প্রায়ই বুঝতে পারেন না যে সার্চ রেজাল্টে পাওয়া টুলটি তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে কিনা। যেহেতু টুল সরবরাহকারীরা তাদের টুল নিয়ে অনেক গুণগান করেন। তাই টুলটির সীমাবদ্ধতা কী—তা বোঝাটা কঠিন।
সাক্ষাৎকার ও জরিপের ভিত্তিতে আমরা দেখতে পেয়েছি, কার্যকরী টুল খুঁজে পাওয়ার একটা ভালো উপায় হচ্ছে কারো কাছ থেকে টুলটি সম্পর্কে শোনা। আর এভাবেই তা কতটা কার্যকর—সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। একজন গবেষক বলেন, “আমার নেটওয়ার্কে অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ওএসআইএনটি (ওপেন সোর্স ইনটেলিজেন্স) ব্যবহার করেন। কারো সাথে আলাপকালে আমি সর্বসাম্প্রতিক টুলগুলো নিয়ে জানতে পারি।”
সাক্ষাৎকারদাতাদের অনেকেই বলেছেন টুল সম্পর্কে জানতে তারা ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং নিউজলেটারের দিকে ঝোঁকেন। এ সম্পর্কে একজন ওপেন সোর্স গবেষক বলেন, “কেউ যদি কোনো টুল ব্যবহার করেন এবং তা নিয়ে নিজের ব্লগে লেখেন এবং বলেন যে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি ওই টুলটি ব্যবহার করতে চাইবো।”
যে উৎস থেকেই গবেষণার জন্য তাঁরা টুলটি খুঁজে পান না কেন, অনেক গবেষক স্বীকার করেছেন, সবসময় ওই টুলগুলোর কথা মনে রাখাটা তাদের জন্য কঠিন। তাই কাজের সময় আর ওই টুলগুলোর কথা মাথায় আসে না। একজন সাক্ষাৎকারদাতা আমাদের জানিয়েছেন যে, “মাঝে মাঝে মনে হয় ‘এই টুলটা মজার হতে পারে’, কিন্তু তখন হয়তো তা ব্যবহার করা হয় না। আবার যখন প্রয়োজন হয়, তখন আর মনে পড়ে না।”
আমাদের টুলকিটগুলো ঠিক এ সমস্যা সমাধানের জন্যই তৈরি করা। এগুলো বিভিন্ন টুলের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সাজানো থাকে। এবং একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ওপেন সোর্স গবেষণায় কাজে লাগে এমন সব টুলগুলোকে একসঙ্গে উপস্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
“OSINT” এবং “toolkit” এর মতো কীওয়ার্ড দিয়ে গুগল করলে অনেক ফ্রি টুলকিটের তালিকা পাওয়া যায়। যদিও আমাদের সাক্ষাৎকারে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে খুব কম সংখ্যক ওপেন সোর্স গবেষকই জানিয়েছেন যে, কাজের সময় টুল খুঁজে পেতে তাঁরা টুলকিট ব্যবহার করা পছন্দ করেন।
আপনি কী ধরনের টুলকিট চান
উত্তরদাতারা টুলকিট ব্যবহার না করার প্রধান কারণ হিসেবে বলেছেন যে, বেশিরভাগ টুলকিটই নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করা হয় না।
চল্লিশ জন সাক্ষাৎকারদাতার মধ্যে আটজন পরামর্শ দিয়েছেন, টুলকিটগুলোকে আরো বেশি কার্যকর এবং গবেষকদের ব্যবহারের উপযোগী রাখতে অংশিদারত্বমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। একজন ওপেন সোর্স গবেষক বলেন, তাঁর মতে, যদি একজন ব্যক্তি টুলকিটটি নিয়মিত হালনাগাদ করার দায়িত্ব নেন, তাহলে তিনি সম্ভবত “পাগল হয়ে যাবেন”। তাই “লোকদের বিভিন্ন অংশের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার সাহস থাকতে হবে,” যা হতে পারে একমাত্র কার্যকর উপায়।”
আরেকটি জনপ্রিয় প্রস্তাবনা ছিল টুলের সাথে বা টুলের লিংকের পাশে নির্দেশনা জুড়ে দেওয়া। টুলগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় নির্দেশনার মধ্যে তা ব্যাখ্যা করা হবে। একজন গবেষক বলেন, ” আপনি একটি টুলকিট তৈরি করছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করবো টুলকিটটি ব্যবহার বিষয়ক কিছু নির্দেশনা আপনি ওর পাশে লিখে রাখবেন।” বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক টুলকিটে ব্যবহার বিষয়ক কোনো নির্দেশনাই থাকে না। ফলে ওপেন সোর্স গবেষকেরাও তা ব্যবহারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এছাড়া, কিছু গবেষক প্রতিটি টুলের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা এবং ব্যয় সম্পর্কিত সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। একজন সাক্ষাৎকারদাতা বলেন, “সহজে ব্যবহার করা যায় আমি এমন ওপেন সোর্স টুল পছন্দ করি। তবে যদি কোনো পেইড টুল থাকে, আমি সে কথাও জানতে চাই। কিন্তু তথ্যগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।” আরেকজন বলেন, টুল ব্যবহারের খরচের তথ্যও থাকা উচিৎ। বিশেষ করে যখন টুলটির জন্য “হাজার ডলার খরচ করে লাইসেন্স’ করতে হয়, যা ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মোটেও টেকসই নয়।”
বিশ্বের বিভিন্ন ওপেন সোর্স গবেষক বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করেন, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে থাকেন। আমাদের বেশ কয়েকজন সাক্ষাৎকারদাতা বলেন, টুলকিটগুলো কেবল ইংরেজিভাষী এবং পশ্চিমা দেশগুলোর গবেষকদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা না করে সার্বজনীন করা উচিত। একজন বলেন, “বিভিন্ন অ-পশ্চিমা সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগটা প্রশংসনীয়।” কিছু সাক্ষাৎকারদাতা নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের জন্য টুলের সাব-ক্যাটাগরি করার প্রস্তাব দেন।
গবেষকদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, টুলকিটে যদি সঠিক টুল বাছাইয়ের জন্য দিকনির্দেশনা থাকে, তাহলে বেশ কাজে লাগবে। আমাদের ৪০ জন সাক্ষাৎকারদাতার মধ্যে ১৩ জন এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের ধারণা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন। এআই গবেষকদের কাছে জানতে চাইবে যে, তাঁরা ঠিক কী ধরনের টুল চাচ্ছেন। গবেষকেরা তাদের টুল সম্পর্কে তথ্য লিখে দিলে এর ভিত্তিতে নির্দিষ্ট টুলের পরামর্শ দিবে।
বেলিংক্যাটের সহযোগিতামূলক টুলকিট ব্যবহার করা
এই বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা বেলিংক্যাট অনলাইন ইনভেস্টিগেশন টুলকিটের সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণ ডিজাইন করেছি। কাজটি এখনও চলমান। আমরা আশা করছি সময়ের সাথে সাথে তা আরও আধুনিক হবে, বিশেষ করে ওপেন সোর্স গবেষক সম্প্রদায়ের জন্য সহায়ক হবে।
যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে ক্লিক করেন, যেমন “Maps & Satellites” → “Maps,” তাহলে আপনি বর্ণ অনুসারে তালিকাভুক্ত সমস্ত টুল দেখতে পাবেন। এর সাথে আপনি টুলগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং টুলটি টাকা দিয়ে নাকি বিনা পয়সার ব্যবহার করা যায়, সে তথ্যও দেখতে পাবেন। যেসব টুলের কিছু ফ্রি এবং কিছু পেইড ফিচার রয়েছে, সেগুলোকে “partially free” বা ”আংশিক বিনা পয়সার” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডানদিকে, আপনি “Details” নামে একটি কলাম দেখতে পাবেন। আপনি যে টুলটি খুঁজছেন (যদি তা থেকে থাকে) তাহলে “Details” ক্লিক করুন। এবং আপনি যেখানে প্রবেশ করবেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট টুলের বিস্তারিত বর্ণনা, টুলটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে পরামর্শ ও তথ্য থাকবে। এ কাজের পেছনে আমরা অনেক সময় দিয়েছি।
টুলের বর্ণনাগুলো আমাদের স্বেচ্ছাসেবক, বেলিংক্যাটের কর্মী, এবং ওপেন সোর্স গবেষক সম্প্রদায়ের সদস্যরা মিলে লিখেছেন। প্রতিটি বর্ণনার নিজস্ব শৈলী এবং ব্যাপ্তি রয়েছে। তবে সবগুলোই একই ধরনের কাঠামো অনুসরণ করে লেখা হয়েছে।
ওপেন সোর্স গবেষকদের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় উঠে আসা সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমরা এই কাঠামোটি তৈরি করেছি। উদ্দেশ্য, বিশেষ কোনো গবেষণার সময় আপনি কী কেবল একটিমাত্র টুল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিবেন—এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যেন সহজে নিতে পারেন।
আমাদের টুলকিটে একটি ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ সার্চ ইন্টারফেস রয়েছে, যা ওপেনএআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত। এ ফিচারটি ব্যবহার করতে, স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে সার্চ বক্সে একটি প্রশ্ন লিখুন এবং দেখুন কী ফলাফল আসে। যেমন, আমরা যখন “শুরুর জন্য সেরা টুল” সম্পর্কে জানতে চাই, এটি তখন আমাদের সামনে বিভিন্ন টুল সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরে।
সুনির্দিষ্ট কাজের জন্যও টুল সুপারিশ করতে পারে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ সার্চ। যেমন, একটি প্রশ্নের মাধ্যমে সহজে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় টুল সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
নির্দিষ্ট গবেষণা কাজের জন্যও আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন, টুলটি আপনাকে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিতে সক্ষম।
মনে রাখবেন, আমাদের টুলকিটে আমরা টুল সম্পর্কিত যে বর্ণনা দিয়েছি, এর ওপর ভিত্তি করেই উত্তর আসবে। আপনি যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, টুলকিটে তা অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা—মূলত এর ওপর উত্তরের গুণগতমান নির্ভর করে। আমরা আশা করি, টুলকিটের তথ্য এবং টুল সম্পর্কিত পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাগুলো সময়ের সাথে সাথে সমৃদ্ধ হবে।
আপনি কিভাবে অংশ নিতে পারেন
বেলিংক্যাটের নতুন অনলাইন ইনভেস্টিগেশন টুলকিটটি মূলত একটি সহযোগিতামূলক প্রকল্প। আমরা এমন একটি রিসোর্স তৈরির লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে চাই, যা ওপেন সোর্স গবেষক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে একত্রিত করবে। পাশাপাশি টুল খোঁজার কাজকেও করবে সহজ ও স্বস্তির।
বেলিক্যাটের নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরাই আমাদের টুলকিটের মূল শক্তির উৎস, যাঁরা দুইটি প্রধান দলে বিভক্ত। আমাদের টুলকিট মেইন্টেইনাররা টুল সম্পর্কিত বর্ণনাগুলো লেখেন ও নজর রাখেন। তাদের “নিজস্ব” টুলগুলোর মধ্য থেকে একটি যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয় কিংবা নতুন ফিচার যুক্ত হয়, তখন হালনাগাদ সে তথ্য যোগের দায়িত্ব তাদের। আবার যাঁরা টুলকিট গার্ডিয়ান হিসেবে রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব খানিকটা বেশি। তাঁরা সবগুলো টুলের ওপর নজর রাখেন এবং টুলকিটের ক্রমবিকাশে সহায়তা করেন, যেন তা ওপেন সোর্স গবেষকদের প্রয়োজন পূরণে সক্ষম হয়। বিশ্বব্যাপী ওপেন সোর্স গবেষক সম্প্রদায়ের অবদানকেও আমরা স্বাগত জানাই।
এই নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় বেলিংক্যাটে। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনরায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্যান–বার্কম্যান ক্লেইন ফেলোশিপ ইন জার্নালিজম ইনোভেশন ফেলোশিপে অংশ নেওয়ার সময় টুলকিটটি তৈরি করেন জোহানা ওয়াইল্ড।
জোহানা ওয়াইল্ড একজন ওপেন সোর্স গবেষক, যিনি অনুসন্ধানী গবেষণা, টুল উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী সাংবাদিকতার ওপর কাজ করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের নিম্যান-বার্কম্যান ক্লেইন ফেলো ছিলেন। বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটিতে অ্যাফিলিয়েট হিসেবে রয়েছেন।