২০১৩ সালে, সিরিয়ার আলেপ্পোতে আবর্জনায় পূর্ণ একটি পরিত্যক্ত সড়ক। সিরিয়ার সবচেয়ে বড় শহর, আলেপ্পোর বেসামরিক জনগোষ্ঠী বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছে দেশটিতে চলা গৃহযুদ্ধের সময়। ছবি: ফ্রাঙ্কো পাগেট্টির সৌজন্যে
সম্পাদকের নোট: ইউরোপ, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে চলমান সহিংসতায় যুদ্ধাপরাধ এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলার মতো বিষয়গুলো বোঝার জন্য এই টিপশীট তৈরি করেছে জিআইজেএন। এটি ম্যাগি মাইকেলের লেখা জিআইজেএন রিপোর্টার্স গাইড টু ইনভেস্টিগেটিং ওয়ার ক্রাইমস এর একটি সংক্ষিপ্তসার।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে (সশস্ত্র সংঘাত আইন বা যুদ্ধ আইন নামেও পরিচিত) সংঘাতের সময় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর জন্য যোদ্ধা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিক ব্যক্তি বা বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করাটা যুদ্ধাপরাধ, তবে আইনানুগভাবে নেওয়া সামরিক পদক্ষেপের অনিচ্ছাকৃত ফলাফল হিসেবে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হলে সেটি সমানুপাতিকতার নীতির অধীনে বেআইনী না-ও হতে পারে।
সমানুপাতিকতা বা পৃথকীকরণের যে কোনো একটি নীতি লঙ্ঘন করলেই সেটি যুদ্ধাপরাধ হবে। বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অন্যান্য সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে (কিন্তু এতেই সীমাবদ্ধ নয়)—
- নির্যাতন কিংবা অমানবিক আচরণ করা
- বেআইনীভাবে বিতাড়ন বা স্থানান্তর কিংবা বেআইনীভাবে বন্দী করা
- জিম্মি করা
- অধিকৃত অঞ্চলে বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রেরণ, বা অধিকৃত অঞ্চলের অধিবাসীদের বিতাড়িত করা।
- লুটতরাজ চালানো
- নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার
- ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন সহিংসতা
- মানব ঢাল ব্যবহার
- যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে লোকেদের অনাহারে রাখা
- শিশু সৈনিক নিয়োগ
উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে যে যৌন সহিংসতা বা নির্যাতন অনেক বেশি বেআইনি কাজ— যা সর্বদা নিষিদ্ধ, এমনকি যোদ্ধাদের জন্যও। বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ বা বেসামরিক সম্পত্তি বা অবকাঠামোর ওপর সম্ভাব্য বেআইনি আক্রমণের ঘটনা যখন ঘটবে, তখন এমন কিছু প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোর উত্তর খোঁজা জরুরী। আর এর মধ্যে রয়েছে:
- আক্রান্ত ব্যক্তিরা কি বেসামরিক? তারা কি শত্রু পক্ষের হয়ে কাজ করে থাকতে পারে?
- হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা বা অবকাঠামোগুলোর মালিকানা কী বেসামরিক ব্যক্তিদের না সামরিক গোষ্ঠীর? (এগুলো কি কোনোভাবে সামরিক কাজে ব্যবহার করা হতো?)
- এই লোকজন/স্থাপনাগুলো কি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল? কিংবা অন্য কোনো লক্ষ্যবস্তুর ওপর আক্রমণের পরিণতি হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যেমন, ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি কোনো সামরিক স্থাপনা কিংবা যোদ্ধাদের অবস্থান ছিল?)
অবশ্য, শুধু এ ধরনের তথ্য দিয়ে এসব কর্মকাণ্ডের আইনী বৈধতা নির্ণয় করা সবসময় সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু এসব প্রশ্নের জবাব থেকে মূল উত্তরগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে।
কৌশল ও পরামর্শ
তথ্য অনুসন্ধান, তদন্ত ও প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরুর আগে, সাংবাদিকদের বাস্তব বিষয়গুলো সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি থাকা প্রয়োজন। ভূপ্রকৃতি ও অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা, আক্রমণের শিকার হওয়া অধিবাসী, অপরাধী, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গতিশীলতা, সংঘাতের ঐতিহাসিক পটভূমি এবং এগুলো কীভাবে সামনে এসেছে সে সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই।
পটভূমি গবেষণা
বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে মাসব্যাপী গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন, কেননা এ ধরনের চর্চা সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিকর ভাষ্য ও অপপ্রচারের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এটি সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পা রাখার আগেই একজন সাংবাদিকের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গবেষণার প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, যেমন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির করা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার শীর্ষ থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর তালিকা। গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল ছাড়াও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো থেকে আপনি সব সময় কোনো না কোনো তথ্য পাবেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক তদন্তকারীদের করা পূর্ববর্তী কাজগুলোও দেখতে পারেন, বিশেষ করে যেগুলো মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশন অফিসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সাংবাদিকদের উচিত, সব সময়, সংঘাতের ওপর করা আগের কাজগুলো খুঁজে বের করা। লেক্সিসনেক্সিসের মতো নিউজ ডেটাবেস আপনাকে সেরা অনুসন্ধানগুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার
ভুক্তভোগীরা যে বেসামরিক ব্যক্তি, এটি প্রমাণের জন্য তাদের পরিচয় যাচাই করতে হয়। এজন্য শিক্ষাগত পটভূমি এবং কর্মজীবনের ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে এমন নথিপত্র সন্ধান করুন। এই ধরনের প্রমাণ বা সাক্ষ্য সংগ্রহ এবং সংশ্লিষ্ট পেপার ট্রেইলে অবশ্যই এর উত্তর থাকতে হবে যে, ভুক্তভোগী ব্যক্তি সেই সংঘাতের অংশ ছিলেন কিনা। এছাড়া স্থানীয় পৌর কর্মকর্তা, গোত্রের নেতা এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য সংগ্রহ করুন।
সংঘাতের ঘটনা নিয়ে কাজ করার সময় “নো-টার্গেট” তালিকার সন্ধান করুন। এটি এমন একটি তালিকা যেখানে সব ধরনের বেসামরিক বিষয়-সম্পত্তির কথা উল্লেখ থাকে, সংঘাত ও যুদ্ধের সময় দুই পক্ষের তা অবশ্যই এড়ানো উচিত। এই তালিকার একটি অনুলিপি পেতে যোগাযোগ করুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের সঙ্গে। এছাড়া জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাগুলোর কাছেও খোঁজ নিন। কী ধরনের স্থাপনা বা জায়গার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, কারা আক্রমণের শিকার হয়েছে তা পরীক্ষা করুন এবং কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত করুন যে, হামলার শিকার জায়গাগুলোর কোনো সামরিক মূল্য নেই।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সৈন্য বা যোদ্ধাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে শত্রুপক্ষ “নো-টার্গেট” তালিকায় থাকা স্থাপনা বা সম্পত্তির দখল নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ নিতে হবে। বিশেষ করে যারা একই এলাকার আশেপাশে বসবাস করে। আক্রমণের সময় সামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল কিনা তা প্রতিষ্ঠার জন্য ওই লোকগুলোর সাক্ষ্য গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে বেসামরিক লোকেরা তাদের বাড়ির আশেপাশের ভবনগুলোতে সন্দেহজনক কার্যকলাপের ভিডিও ফুটেজও ধারণ করে থাকতে পারেন।
প্রাক্তন যোদ্ধা কিংবা ভেতরের লোকেদের সাক্ষাৎকার নিন
এই ধরনের সোর্সের কাছে হামলার উদ্দেশ্য ও সংঘাতের তথ্য থাকে — যা সশস্ত্র যুদ্ধের আইনবিষয়ক নির্দিষ্ট কিছু বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের অবশ্যই এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং সব সময় বিবেচনায় রাখতে হবে যে: আপনার সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগির পেছনে সোর্সটির আসল উদ্দেশ্য কী?
এছাড়াও এমন মানুষদের চিনতে চেষ্টা করুন যারা ভেতরের খবর দিতে সক্ষম: যারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপরাধীদের সঙ্গে যোগ দিতে বাধ্য হন; যারা বিশ্বাস করেন যে দমন-পীড়নের তুলনায় সদাচারণ অনেক বেশি কার্যকর। কিংবা এমন মানুষদের খুঁজে বের করুন, যারা স্বেচ্ছায় অপরাধীদের দলে যোগ দিয়ে পরবর্তীতে অনুশোচনায় ভুগেছেন।
এ ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যে প্রশ্নগুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে: আক্রমণ বা নির্দিষ্ট ওই কাজের নেপথ্যের উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় কী ছিল? যেমন, তারা কি নির্দিষ্ট যোদ্ধা বা সামরিক উদ্দেশ্য লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল কিংবা বেসামরিক লোক ও তাদের সম্পত্তিকে লক্ষ্যবস্তু করতে চেয়েছিল? আক্রমণ পরিচালনাকারী পক্ষের কাছে কী ধরনের তথ্য ছিল, যেমন ওই ভবন থেকে কী কোনো গোয়েন্দা কাজ পরিচালনা করা হতো নাকি বিরোধী পক্ষের যোদ্ধাদের উপস্থিতির তথ্য ছিল। তারা কি বেসামরিক ভবন বা মানুষদের উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিল? আক্রমণের উদ্দেশ্য ও সংঘাত সম্পর্কিত তথ্য — যা সশস্ত্র যুদ্ধের আইনবিষয়ক নির্দিষ্ট কিছু বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর কোনো যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে কিনা – বা হয়নি – তা প্রমাণে সাহায্য করতে পারে।
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম
একটি নির্ভরযোগ্য, স্বাধীন ও পূর্ব-পরীক্ষিত অনুবাদক খুঁজুন। অন্যদের সহযোগিতাও নিতে পারেন, যেমন কোনো সহকর্মী কিংবা স্বাধীন গবেষক যিনি আপনার অনুবাদগুলোকে দেখে দিতে পারেন।
মর্মান্তিক ঘটনা শোনার প্রস্তুতি রাখুন
একজন সাংবাদিক হিসেবে এ ধরনের প্রস্তুতি রাখুন। কেননা হামলার ফলে আক্রান্ত বেসামরিক ব্যক্তি হয়তো পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যু, আঘাত, ধর্ষণ, মানসিক নির্যাতন, স্থানচ্যুতি বা সম্পদ হারানোর মতো পীড়ন দ্বারা গুরুতরভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। নিজেকে হারিয়ে ফেলা আক্রান্ত অসহায় এ মানুষগুলোর করুণ অবস্থা দেখে সাংবাদিকেরা বিচলিত বোধ করতে পারেন এটা ভেবে যে, আপনি হয়তো তার যন্ত্রণাগুলোকে আবার নাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় সাক্ষাৎকারের পরেই একজন ভুক্তভোগী বা সাক্ষী মুখ খোলেন। একই ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার আলাপ চালানোটা কঠিন হতে পারে, তবে সাংবাদিকদের যতটা সম্ভব সাক্ষ্য সংগ্রহ করতে হবে।
সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের অনুক্রম বুঝতে এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরিতে সাহায্য করার মাধ্যমে তথ্যগত ফাঁকও পূরণ করতে পারে একটি লিখিত টাইমলাইন। সাক্ষাৎকারদাতাদের নাম, পরিচিতি এবং ছবি সংগ্রহ করা অপরিহার্য।
সেলফোন হচ্ছে তথ্যের খনি
আক্রমণের আগে শেষ কখন কথোপকথন সম্পাদিত হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের চ্যাটের তথ্য তা দেখাতে পারে। এছাড়া ভুক্তভোগী কার সঙ্গে যোগাযোগ করছিল, আলোচনার বিষয়বস্তু, আন্দোলন, কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য অনুঘটক যেগুলো আক্রমণ চলাকালীন ভুক্তভোগীর অবস্থান নির্দেশ করবে।
একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনি আক্রান্ত বা ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের ফোন থেকে স্ক্রিনশট, ছবি বা ভিডিও চেয়ে অনুরোধ জানাতে পারেন। এদের কাছে অন্যান্য ভুক্তভোগীদের খোঁজ-খবর অথবা অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা নথিও পেতে পারেন। তারিখ, অবস্থান পরীক্ষা করা এবং ছবির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে প্রশ্ন করাটা গুরুত্বপূর্ণ, যেন পরবর্তীতে অনুসন্ধানের সময় যাচাই করে দেখা যায়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সব সময় লিখিত অনুমতি পত্রের কপি বহন করতে হবে।
ভৌত প্রমাণ এবং সামরিক উপাদান সংগ্রহ করা
বুলেট বা গোলার টুকরো, ব্যবহৃত ভারি কামানসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও হাতিয়ার ব্যবহারের প্রমাণচিহ্ন সংগ্রহ করা আক্রমণ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য যাচাই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হামলায় ব্যবহার করা বিভিন্ন অস্ত্র ও সরঞ্জামের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টুকরোগুলো সংগ্রহ করে তা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে এদের উৎস সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এই ধরনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ আক্রমণকারী দলের কাছে অস্ত্র রপ্তানিকারী দেশগুলো সম্পর্কে ভবিষ্যতের অনুসন্ধান পরিচালনার পথ তৈরি করে। ভুক্তভোগী এবং ঘটনা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও অন্যান্য উৎস সন্ধান করুন: মেডিকেল দল, ত্রাণকর্মী, আইনজীবী, গোত্র নেতা, স্থানীয় কর্মকর্তা, ড্রাইভার এবং স্কুল শিক্ষক, এরা সবাই অনুসন্ধানে যেমন গভীরতা আনতে পারে, তেমনি নতুন দিকনির্দেশনাও দিতে পারে।
স্থানাঙ্ক, অবস্থান, মানচিত্র, এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এমন জায়গাগুলোর সঠিক বিবরণ থাকা চাই। এটি তথ্য যাচাই এবং স্যাটেলাইট ইমেজ বা অন্যান্য ভূ-অবস্থান নির্ণয় কৌশলের মাধ্যমে তথ্য নথিবদ্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাগি মাইকেল রয়টার্সের কায়রো ভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের ওপর প্রতিবেদন তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি ২০১৯ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস দলের হয়ে কাজ করেন, যারা ইয়েমেনে দুর্নীতি, নির্যাতন এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের যুগান্তকারী অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য আন্তর্জাতিক রিপোর্টিংয়ে পুলিৎজার পুরস্কার এবং সাহসী প্রতিবেদন তৈরির জন্য ম্যাকগিল পদকসহ অন্যান্য পুরস্কার জিতে নেয়।