নাগরিক অনুসন্ধান: সম্পত্তির মালিকানার খোঁজ-খবর
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান গাইড
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান গাইড: ভূমিকা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: অনুসন্ধান পরিকল্পনা ও পরিচালনা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: নৈতিকতা ও সুরক্ষা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: ইন্টারনেটে খোঁজ
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: ব্যক্তি নিয়ে গবেষণা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: কর্পোরেশনের মালিক কারা
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: সরকারি নথিপত্র নিয়ে অনুসন্ধান
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনুসন্ধান
অধ্যায় গাইড রিসোর্স
নাগরিক অনুসন্ধান: সম্পত্তির মালিকানার খোঁজ-খবর
ভূমির মালিকানা রেকর্ড: জানা জরুরি কিন্তু পাওয়া কঠিন
সম্পদের রেকর্ড নিয়ে গবেষণা প্রধানত একটি স্থানীয় পর্যায়ের খেলা।
কিছু দেশে, খুব সহজেই অনলাইন সার্চিংয়ের মাধ্যমে জেনে যাওয়া যায়: কোনো জমি বা বাড়ির মালিক কে। কিন্তু অন্যান্য জায়গায় আপনাকে সরকারি দপ্তরগুলোতে যেতে হবে এবং অনেক নথিপত্র ঘাঁটতে হবে। কিছু জিনিস পাবেন, যদি সেসব রেকর্ড আদৌ থেকে থাকে। বিশ্বের বেশিরভাগ অংশেই, সম্পদের রেকর্ড ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। বা সেগুলো হয়তো গোপনীয় অবস্থায় থাকে মালিকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য।
ফলে এই কাজে বাধা-বিপত্তি অনেকই আছে। কোন রেকর্ডগুলো পাওয়া যায়, তা জানার জন্য আপনাকে ভূমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালাগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য সূত্র হতে পারে স্থানীয় কর্মকর্তা, রিয়েল এস্টেট ব্রোকার, এবং আইনজীবী।
অনেক জায়গায় জমির ওপর লেখা “নাম” মালিকানার আনুষ্ঠানিক রেকর্ড হিসাবে গণ্য করা হয়। জমির সীমানা এবং অবস্থানকে বলা হয় “ক্যাডেস্টার” রেকর্ড। এই রেকর্ড রাখার জায়গা আলাদাও হতে পারে। জমির দাম, প্রযোজ্য কর, জমির ব্যবহার এবং স্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় থাকে।
গুয়েতেমালায় অ্যাক্টিভিজম ও অনুসন্ধান
গুয়েতেমালার ৬০ বছর বয়সী এক কৃষক এবং আদিবাসী ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্ট রদ্রিগো টট। তিনি জিতেছেন অ্যাক্টিভিজম সংক্রান্ত বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কার, দ্য গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্ট প্রাইজ। শুরুতে তাঁর এই কাজ ছিল বিশুদ্ধ অনুসন্ধান। কমিউনাল ভূমির ওপর আইনি মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রমাণাদি সংগ্রহ শুরু করেছিলেন।
যা খুঁজে পেতে পারেন
এতো পার্থক্য ও জটিলতার পরও সম্পত্তির রেকর্ড আপনার অনুসন্ধানকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
এসব রেকর্ডে আপনি সম্ভাব্য যা যা পেতে পারেন:
- মালিকের নাম
- ঠিকানা ও পার্সেল নাম্বার
- সম্পত্তির সীমানার ভৌগলিক বর্ণনা
- সম্পত্তিতে নির্মিত স্থাপনা এবং তার বৈশিষ্ট্য
- সম্পত্তির সর্বশেষ ক্রয়মূল্য
- পূর্ববর্তী ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড
- বর্তমান ও অতীতের নির্ধারিত কর
- যেসব শর্ত মেনে সম্পত্তি ব্যবহারের করতে হবে
- মালিকের অধিকার ও সীমাবদ্ধতা
- সম্পত্তির নামে ঋণ
- সম্পত্তি সম্পর্কিত আইনগত বিবাদের ইতিহাস
- জমিতে নির্মাণকাজের রেকর্ড
- সম্পত্তি বেচাকেনায় বাধা হতে পারে এমন বন্ধকী ঋণের বিবরণ
- দাসখত, দায়বদ্ধতা, জনগনের প্রবেশাধিকারে সীমাবদ্ধতা
তথ্য পেতে কিছু বাধাবিপত্তি থাকতে পারে। গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের কারণে অনেক দেশে জমির মালিকের নাম বের করা যায় না। টাকা দিয়ে সেই তথ্য কিনতে হয়। কখনো কখনো এসব তথ্যের মান ও সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন বা কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে সত্যিকারের মালিকের পরিচয় গোপন করা হয়। তখন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম বের করা আরেক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও কোথায় দেখতে পারেন
শুধু ভূমি রেকর্ডই তথ্য পাওয়ার একমাত্র সম্ভাব্য সূত্র নয়।
সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ববিবাদ সংক্রান্ত আদালতের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
কিছু গবেষক সরকারি গেজেট এবং সরকারি রেকর্ডের বিভিন্ন প্রকাশনা ব্যবহার করেও সুফল পেয়েছেন। সেখান থেকে ভূমি ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন এবং নির্মাণকাজের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনও বের হয়ে আসতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ভূমি অধিকারের রেকর্ডও (যেমন খননের অধিকার) হয়তো পাওয়া যেতে পারে। কৃষি ভর্তুকির তথ্যও আপনার কাজে আসতে পারে।
সরকারি রেকর্ডের ওপর নির্ভর করার পাশাপাশি, প্রাতিষ্ঠানিক রিপোর্ট ও ওয়েবসাইট, গণমাধ্যমের রিপোর্ট, বিজ্ঞাপন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘেঁটে দেখার পরামর্শ দেন গবেষকরা। আকাশ থেকে তোলা ছবিও পাওয়া যেতে পারে।
বিক্রয়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা সম্পদও তথ্যের ভালো উৎস হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের জিলো কিংবা সেখানের বাণিজ্যিক সম্পত্তির জন্য লুপনেট.কম এর মতো জাতীয় সাইটগুলো ঘুরে দেখুন। একই ধরনের আরও অসংখ্য সাইট রয়েছে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার উইনডিড, চীনের লিয়ানজিয়া, ভারতের ম্যাজিক ব্রিকস।
কে সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় করছে, সে খোঁজখবর রাখতে হয় আবাসন ব্যবসায়ী, ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানদেরকে। তারা বলতে পারে: সম্ভাব্য সূত্র কে হতে পারে। ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজে আসতে পারে।
মাঠপর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন করলেও ফল পাওয়া যেতে পারে। আপনি কী দেখতে পাচ্ছেন? আশেপাশে জিজ্ঞাসা করুন।
আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন, জমির রেকর্ড নিয়ে গবেষণার জন্য জিআইজেএনের এই রিসোর্স পেজ।