প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Gulf Guide Chapter 3 - Recruiters
Gulf Guide Chapter 3 - Recruiters

Illustration: Marcelle Louw for GIJN

রিসোর্স

» গাইড

অধ্যায় ৩: পরিসংখ্যান ও গবেষণা

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

মানব পাচার, বলপূর্বক শ্রম ও অনিয়মিত অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা আছে, আবার নেইও। এ ধরনের খবর প্রতিনিয়তই উঠে আসে, কিন্তু সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সরকারি প্রতিবেদন ও নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রকাশনায়। 

এই ডেটা নিয়ে কাজ করার সময় এগুলোর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সজাগ থাকাও জরুরি। কারণ, উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতি ও সংজ্ঞায়ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এমনকি একটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমেও ভিন্নতা থাকতে পারে। 

যেমন, বাহরাইন কর্তৃপক্ষ ও মিডিয়া কখনো কখনো “অনিয়মিত শ্রমিক” (যাঁরা অবৈধভাবে এ দেশে এসেছেন বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে) এবং “ফ্রি ভিসা শ্রমিক” (যাঁরা তাঁদের মূল চাকরিদাতার কাজের বাইরেও বৈধভাবে নানা রকম ফ্রিল্যান্স কাজ করতে পারেন)এই দুইকে মিলিয়ে ফেলে। যদিও এই মিলিয়ে ফেলার প্রবণতা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। কারণ, “ফ্রি ভিসা” দেশটির সব কটি রাজ্যেই বৈধ। এভাবে অভিবাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিটি দেশের বিশেষ ব্যবস্থাগুলো জেনে নিলে আপনি অনেক ভুলভ্রান্তি এড়াতে পারবেন। 

সময় দিতে পারলে, সাংবাদিকেরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে অসংখ্য ডেটা সংগ্রহ করতে পারেন। এগুলো অনলাইনেই পাওয়া যায়। মানব পাচারের ঘটনা এবং ফেরত পাঠানো নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ে, উৎস ও গন্তব্যদুই ধরনের দেশের মিডিয়াই নিয়মিত রিপোর্ট করে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওর প্রতিবেদন এবং উৎস দেশগুলোর দূতাবাস থেকেও আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন। তবে এসব ডেটা এবং নানা ধরনের অপ্রকাশিত তথ্য পেতে হলে আপনাকে হয়তো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

সরকার বা অন্য সংগঠনগুলো যেসব ডেটাবেস পরিচালনা করে, সেগুলো শুধু অভিবাসী জনসংখ্যা ও শ্রমশক্তির জরিপের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিছু প্রতিষ্ঠান মাঝেমধ্যে মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে ডেটা প্রকাশ করে। তবে পাচার ও বলপূর্বক শ্রম নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের সঙ্গে সরকারি রিপোর্ট মিলিয়ে দেখার সময় সতর্ক থাকুন। কারণ, সরকারি রিপোর্টে প্রায়ই এসব ইস্যুর ব্যাপ্তিকে অনেক কমিয়ে দেখানো হয় (বা ইচ্ছা করেই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়)।

নিচে থাকছে মানব পাচার, বলপূর্বক শ্রম এবং অবৈধ অভিবাসন-সংক্রান্ত ডেটা রিসোর্সের খোঁজ। প্রতিটি গবেষণা ও রিসোর্সের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ডেটাগুলোর সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

শ্রম ও অভিবাসন ডেটার উৎস

মডার্ন স্লেভারি রিপোর্ট২০২০ সালের এই স্টাডিতে পাবেন বিশ্বজুড়ে বলপূর্বক শ্রমের সবচেয়ে হালনাগাদ ডেটা। তবে এখানে আরব দেশগুলোর ডেটা সীমিত। কারণ, এই অঞ্চলের ভেতর থেকে গবেষণা করার সুযোগ কম। তবে এখন পর্যন্ত এখানেই সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ডেটা পাওয়া যায়।

মাইগ্রেশন ডেটা পোর্টাল। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অন মাইগ্রেশনের গ্লোবাল মাইগ্রেশন ডেটা অ্যানালাইসিস সেন্টারের (জিএমডিএসি) রিসোর্সে পাবেন বিশ্বজুড়ে অভিবাসন-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও পরিসংখ্যান। এর মধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ডেটাও আছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। বিশ্বজুড়ে বলপূর্বক শ্রম, নিয়োগ ও পাচার পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত গবেষণা প্রকাশ করে আইএলও। 

  • আরব দেশসংক্রান্ত প্রকাশনা পাবেন এখানে
  • দরকারি পরিসংখ্যানের একটি ডেটাবেস পাবেন এখানে

শ্রমের বৈশ্বিক মান নিয়ে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে আইএলওর ইনফরমেশন সিস্টেম অন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ড (নর্মলেক্স)। এখানে বিভিন্ন দেশের শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য থাকে। যেমন, দেশটি আইএলও কনভেনশন অনুমোদন করেছে কি না, আইএলও-র পর্যবেক্ষক দলের মন্তব্য এবং কনভেনশনের বাস্তবায়ন বিষয়ে দেশটির রিপোর্ট।  

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অন মাইগ্রেশন। অভিবাসনের দীর্ঘ যাত্রাপথের কোনো পর্যায়ে যাঁদের পাচার করা হয়েছে কিংবা জোর করে শ্রমে নিযুক্ত করা হয়েছে, সেসব অভিবাসীর ডেটা নিয়মিত প্রকাশ করে আইওএম। প্রকাশ করে তাঁদের সাক্ষাৎকারও। এই প্রকাশনাগুলো “বলপূর্বক শ্রম”, “শিশুশ্রম” ইত্যাদি ক্যাটাগরি ধরেও সার্চ করতে পারবেন। 

গাল্ফ লেবার মার্কেটস অ্যান্ড মাইগ্রেশন। অবৈধ অভিবাসন-সংক্রান্ত যেসব চর্চা ও ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, সেগুলো কীভাবে মানব পাচার ও বলপূর্বক শ্রমের মতো ঘটনার জন্ম দিতে পারে, তা নিয়ে নিয়মিত গবেষণা প্রকাশ করে জিএলএমএম। গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর আইনি ব্যবস্থা ও অভিবাসন-সংক্রান্ত তথ্য নিয়েও তাদের একটি ডেটাবেস আছে। 

ইউএস ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট। এটি প্রতিবছর প্রকাশিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার মানব পাচার মোকাবিলায় কেমন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা এখানে উল্লেখ করা হয়। সরকারিভাবে কতগুলো মানব পাচারের ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছেএমন তথ্য এখানে পাওয়া যায়।

গ্লোবাল ডিটেনশন প্রজেক্ট। এখানে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার (মেনা) দেশগুলোর প্রোফাইল পাওয়া যায়। সেখানে অবৈধ পথে ও পাচার করে আনা অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারেও তথ্য থাকে, যাঁদের অনেকেরই ঠাঁই হয় বিভিন্ন বন্দিশিবিরে।

Missing Migrants project

মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রকল্পের মাধ্যমে মৃত বা হারিয়ে যাওয়া অভিবাসীদের সনাক্ত করছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন। ছবি: স্ক্রিনশট

জাতিসঙ্ঘের সূত্র

ইউএনওডিসি রিপোর্ট অন ট্রাফিকিং ইন পারসনসমধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে মানব পাচারের ঘটনায় যত সাজার ঘটনা ঘটেছে, তার বিবরণ এবং পাচারসংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান পাবেন এই প্রতিবেদনে। 

ইউনাইটেড নেশনস মাইগ্রেশন প্রোফাইলস। এখানে সবচেয়ে সাম্প্রতিক যে ডেটা আছে, তা ২০১০ সালের। কিন্তু এই প্রোফাইলগুলো অভিবাসনের প্রেক্ষাপট বোঝার ভালো ক্ষেত্র হতে পারে। 

উৎস দেশের সূত্র

দূতাবাস, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পরিসংখ্যান সংস্থা

বিদেশে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে প্রায়ই তথ্য সংগ্রহ করে উৎসের দেশগুলো। এসব তথ্যের কিছু কিছু অনলাইনে প্রকাশিতও হয় বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে। আবার কিছু তথ্যের জন্য সামনাসামনি বা ফোন করে অনুরোধ জানাতে হয়। এ ধরনের কিছু রিসোর্সের উদাহরণ: 

বিভিন্ন সংগঠনের সংগ্রহ করা ডেটা ও গবেষণা

উৎস দেশের (যেমন ইন্দোনেশিয়া ও ভারত) কিছু সংগঠনও তাদের অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণা করে। এই শ্রমিকদের একটি বড় অংশ যায় মধ্যপ্রাচ্যে। বিষয়টি নিয়ে অনেক গবেষণা আছে এবং এ বিষয়ে কাজ করতে গেলে অবশ্যই এই সংগঠনগুলোর ওয়েবসাইটে ঢুঁ দেওয়া উচিত। সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার কথাও বিবেচনা করতে পারেন। কারণ, তাদের কাছে হয়তো এমন সব তথ্য ও গবেষণার খবর থাকতে পারে, যা এখনো অনলাইনে প্রকাশিত হয়নি। এমন কিছু সংগঠনের উদাহরণ:

ইন্দোনেশিয়ার মাইগ্র্যান্ট কেয়ার। গৃহকর্মী নিয়োগের ওপর ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, অনেকেই তেমন কাজ নিয়ে যাচ্ছেন মেনা অঞ্চলের দেশগুলোতে। এ নিয়ে কয়েকটি ইনফোগ্রাফিক পাবেন এখানে। 

বাংলাদেশের রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট-এ এই অঞ্চলের অভিবাসন-সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রতিবেদন ও গবেষণার তথ্য আছে।

কান্ট্রি প্রোফাইল: এশিয়ান মাইগ্র্যান্ট সেন্টারে পাবেন ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও কাতারের জনসংখ্যা/খাতভিত্তিক নানা উপকারী তথ্য। তবে মাথায় রাখুন: কোনো কোনো দেশের তথ্য অন্যদের তুলনায় বেশি হালনাগাদ অবস্থায় থাকতে পারে।

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অ্যাগেইনস্ট ট্রাফিক ইন উইমেন-এ আছে অভিবাসনের করিডর নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন। মেনা অঞ্চলে পাচার করে আনা শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ নিয়েও একটি প্রতিবেদন আছে এখানে। 

মনে রাখবেন, ভারতে তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) সংক্রান্ত তৎপরতা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ জন্য একই সঙ্গে অনেককে শারীরিক আক্রমণেরও শিকার হতে হচ্ছে। তবে আরটিআই ও সংসদীয় প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান উন্মোচিত হয়েছে। এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করাও আরেকটি বিকল্প পথ হতে পারে।

গন্তব্যের দেশের সোর্স

বিভিন্ন সংগঠনের করা গবেষণা

মেনা অঞ্চলের গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে জর্ডান, লেবানন ও মরক্কোর কয়েকটি এনজিও এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। কিছু উদাহরণ:

  • লেবানন: গৃহস্থালি কাজে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ ও চাকরি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে কাফা। এসব শ্রমিকের অনেককেই সে দেশে পাচার করা হয়েছে এবং জোর করে কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
  • কুয়েত: কুয়েতে অভিবাসী শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে দরকারি প্রতিবেদন ও তথ্য পাবেন কুয়েত সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস-এ।
  • বাহরাইন: মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স প্রোটেকশন সোসাইটি ‍দুরবস্থার মধ্যে থাকা শ্রমিকদের আশ্রয় দেয়। তাদের কাছে এসব ঘটনার অনেক পুরোনো প্রতিবেদন আছে। তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে হয়তো এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
  • গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল: মাইগ্র্যান্ট-রাইটস ডট ওআরজি অ্যাবিউজ ম্যাপ, নিয়মিতভাবে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে অভিবাসী শ্রমিক হয়রানির ঘটনা লিপিবদ্ধ করে, যার মধ্যে বলপূর্বক শ্রম ও মানব পাচারের ঘটনাও থাকে। এই ইস্যুতে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে মাইগ্রেন্ট-রাইটস ডট ওআরজি।
মন্ত্রণালয় ও পুলিশের বিবৃতি

মেনা অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সরকার অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা বা ফেরত পাঠানো নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেয়, এবং এমনকি অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও তথ্য প্রকাশ করে। মানব পাচারবিরোধী সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবেও প্রকাশিত হতে পারে প্রাসঙ্গিক ডেটা। কিছু উদাহরণ: 

ইউরোপিয়ান সংগঠনগুলোর গবেষণা

উত্তর আমেরিকা ও মেনা অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা) বিভিন্ন অংশ দিয়ে পাচার করা অভিবাসী শ্রমিকদের গন্তব্য হয়ে উঠছে ইউরোপ। এ নিয়ে ইউরোপভিত্তিক কয়েকটি অভিবাসী সংগঠন বেশ কিছু গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এগুলোর মধ্যে আছে:

প্ল্যাটফর্ম ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন অন আনডকুমেন্টেড মাইগ্র্যান্টস

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স

সেভ দ্য চিলড্রেন

কারিতাস

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন রিফিউজি অ্যান্ড এক্সাইলস

ইন্টারন্যাশনাল ক্যাথলিক মাইগ্রেশন কমিশন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ডেটা

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই অঞ্চল নিয়ে অনেক সাক্ষাৎকারভিত্তিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের হদিস পাবেন এই গাইডের এসেনশিয়াল রিডিংস পেজে

গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স। মানব পাচার ও বলপূর্বক শ্রমের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের প্রোফাইল ও সাম্প্রতিক ডেটা পাবেন এখানে। 

মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট। এখানে মেনা অঞ্চলের দেশগুলোতে অভিবাসনসংক্রান্ত প্রোফাইল আছে। আছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সাম্প্রতিক ডেটাও। 

একাডেমিক পেপার ও গবেষণা

একাডেমিক পেপারগুলো খুব একটা প্রচার পায় না, কিন্তু এগুলোতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। ফলে আপনার অনুসন্ধানের দেশ বা ইস্যুকেন্দ্রিক প্রাসঙ্গিক কিছু টার্ম ব্যবহার করে সার্চ করে দেখুন গুগল স্কলার-এ।

knomad.org এখানে বিশ্বজুড়ে অভিবাসী ও শরণার্থীদের বিষয়ে ডেটা পাবেন। বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও নিয়োগের খরচসংক্রান্ত ডেটাও আছে এখানে। নির্দিষ্টভাবে মেনা অঞ্চলের ডেটাও দেখতে পারবেন ফিল্টার করে। 

ফোর্সড মাইগ্রেশন রিভিউ। বলপূর্বক অভিবাসন নিয়ে এই প্রকাশনাটিই বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি পঠিত। তাদের ওয়েবসাইটে শরণার্থী ও বলপূর্বক অভিবাসন সম্পর্কে অনেক রিসোর্সের লিংক পাবেন। 

গাল্ফ সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিজ। অভিবাসন, শ্রমবাজারসহ জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরবি ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে কুয়েতভিত্তিক এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

জাহরা বাবরের গবেষণা। জাহরা বাবর কাতারের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল স্টাডিজের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর। তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলের অভিবাসন ও শ্রম নীতিমালা নিয়ে বিস্তারিতভাবে গবেষণা করেছেন ও লিখেছেন। 

ড. রে জুরেইদিনির গবেষণা। রে জুরেইদিনি মেনা অঞ্চলের অভিবাসন-সংক্রান্ত অন্যতম প্রধান বিশেষজ্ঞ। তিনি লেবাননে গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত কর্মীদের নিয়ে গবেষণা করছেন। মেনা অঞ্চলের অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে নিয়মিত লেখাপত্র প্রকাশ করেন। 

ড. নাসরা শাহ-র গবেষণা। নাসরা শাহ কুয়েতভিত্তিক পপুলেশন স্টাডিজ বিশেষজ্ঞ। তিনি জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে মানব পাচার ও অভিবাসন নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

মেক্সিকো থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল থেকে ফিলিপাইন : জিআইজেএনের অনুসন্ধানী বইয়ের তাকে

ঐতিহাসিক ভুলভ্রান্তি, করপোরেট লুকোছাপা আর অসদাদচরণ – যা লুকিয়ে রাখাই ক্ষমতাবানদের কাজ তার উদ্ঘাটন নিয়ে লেখা বই এবার জায়গা পেয়েছে জিআইজেএনের বইয়ের তাকে।

হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বার্তাকক্ষের পাশে দাঁড়াচ্ছে রিপোর্টার্স শিল্ড

অনেকটা শূন্য থেকেই গত বছর যাত্রা শুরু করা রিপোর্টার্স শিল্ড বিশ্বেজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর পাশে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। অলাভজনক সংস্থাটি স্ট্র্যাটেজিক ল-স্যুটস অ্যাগেইনস্ট পাবলিক পার্টিসিপেশন—সংক্ষেপে স্ল্যাপের (জনস্বার্থ বিরোধী কৌশলগত মামলা) বিপরীতে আর্থিক ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে থাকে। স্ল্যাপ মূলত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিকে নিরুৎসাহিত আর অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষকে ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবে প্রয়োগ করা হয় ।

অনুসন্ধান পদ্ধতি

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ছেন? এই তথ্য ও পরামর্শ আপনার জন্য

ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে নির্মিত “অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন” কিংবা হালের “দ্য পোস্ট”, “স্পটলাইট” এবং “সেইড” এর মতো চলচ্চিত্র অনেককেই সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ করে। বাস্তবে কিন্তু সাংবাদিকতা আরও অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। যদি আপনি অনুসন্ধানের কলাকৌশলটা শিখে নিতে পারেন, তাহলে সফল আপনি হবেনই।

পরামর্শ ও টুল

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে বিস্ফোরক শনাক্ত করবেন কীভাবে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ছবি পোস্ট করার হার বেড়েছে। উন্মুক্ত সূত্র থেকে বিস্ফোরক অস্ত্র শনাক্ত করায় এই ছবিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। কিন্তু এই ছবিগুলো থেকে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কখনও কখনও অপতথ্যও ছড়ায়।