প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Gulf Guide - Oman
Gulf Guide - Oman

Illustration: Marcelle Louw for GIJN

রিসোর্স

» গাইড

অধ্যায় ১২: ওমানের জন্য রিপোর্টিং গাইড

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

গণমাধ্যম পরিস্থিতি

ওমানের সংবিধান বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেও সেখানে রয়েছে সুনির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা। ১৯৮৪ সালের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন আইনের মাধ্যমে দেশটিতে ক্ষমতাসীন পরিবারের সমালোচনা করার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। হুমকি, জরিমানা ও আটক এড়াতে সেখানকার সাংবাদিকদের মধ্যে সেলফ-সেন্সরশিপের চর্চা বেশ লক্ষণীয়।

সাংবাদিকতা করার জন্য সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমগুলোকে সরকার থেকে অনুমতিপত্র নিতে হয়। প্রেস আইন লঙ্ঘন করলে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করা হতে পারে। বিদেশি সাংবাদিকদেরও পাবলিকেশনস অ্যান্ড পাবলিশিং বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া টেলিকমিউনিকেশনস আইন, ২০০২-এর মাধ্যমে অনলাইন গণমাধ্যমের ওপরও আরোপ করা হয়েছে বাড়তি বিধিনিষেধ। 

এই দেশে কাজ করছেন- এমন সাংবাদিকদের জন্য সতর্কবার্তা: দেশটিতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করা সব ধরনের যোগাযোগের ওপর নজরদারি করা হয় এবং তাতে “শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা লঙ্ঘিত হলে” বিচারের আওতায় আসতে পারে। “সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার” সংক্রান্ত অভিযোগে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ইন্টারনেট অ্যাকটিভিস্ট ও সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ওমানের সরকার। 

Oman World Press Freedom Index Ranking

২০২১ সালের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ওমানের অবস্থান ছিল ১৩৩। ছবি: স্ক্রিনশট

খবর পাবেন কোথায়

ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালফিলিপাইন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তারা আপনাকে জোর করে শ্রমের ওপর ভালো স্টোরি খুঁজতে সাহায্য করবে। দূতাবাসগুলো অনেক সময় উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে অসন্তুষ্ট শ্রমিকেরা এসে তাঁদের সমস্যার কথা বলেন এবং সমাধান চান। উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকেরাও উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে প্রটোকলবিষয়ক বিধিনিষেধের জন্য আপনাকে ঢুকতে না-ও দেওয়া হতে পারে। যদি আপনি ঢুকতে পারেন, তাহলে বেশি কথা না বলে বরং শুনুন। সেখানে শ্রমিকদের ফোন নাম্বার নিয়ে রাখুন। দরকার মনে হলে ফোনে কিছু ছবিও তুলে নিতে পারেন। স্টোরির জন্য তাঁদের সঙ্গে পরে ফোনে যোগাযোগ করুন। নোট: সোর্স বা শ্রমিকের অনুমতি নিয়ে হলেও দূতাবাসের ভেতরে ছবি তোলা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে আপনি কয়েক ধরনের নিরাপত্তার জটিলতায় পড়তে পারেন।  

  • ওমানজুড়ে অভিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক ক্লাবগুলোতে গেলে অসংখ্য স্টোরি খুঁজে পাবেন। ফেসবুকে ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রিপোর্টে এই ক্লাবগুলো সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। এ জন্য সার্চ করতে পারেন এভাবে: [জাতীয়তা] + [অ্যাসোসিয়েশন]
  • এই অঞ্চলের অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ওমানের গৃহস্থালি কর্মীরা থাকেন সবচেয়ে অরক্ষিত অবস্থায়। কারণ, জাতীয় শ্রম আইনের মধ্যে তাঁরা অন্তর্ভুক্ত নন। এবং গৃহকর্মীদের জন্য আলাদা করে কোনো  শ্রম আইনও নেই। আরব আমিরাত-ওমান সীমান্ত দিয়ে প্রায়ই পাচার করে আনা হয় এই গৃহকর্মীদের। অথচ ‍গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে রিপোর্টিং সেভাবে করা হয়নি।
  • নির্মাণ খাত, জোর করে শ্রমের ঘটনার অনেক বড় উৎস। মাসকাট, সোহার, নিজওয়া, ইবরি, ইবরা ও সালালাহ এলাকার শ্রমিক ক্যাম্পগুলো ঘুরে দেখুন। অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে স্টোরির জন্য আপনার প্রধান গন্তব্য এসব ক্যাম্প।
  • ওমানের সরকারি ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর তথ্য ও সূত্রের সন্ধান পেতে পারেন। যেমন: ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্ট্যাটিসটিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন, মিনিস্ট্রি অব লেবার (টুইটার), রয়াল ওমান পুলিশ (টুইটার) এবং হিউম্যান রাইটস কমিশন

বৈঠক ও সাক্ষাৎকার

সমাজকর্মী, বিশেষত, ভারতীয় আর বাংলাদেশি সমাজকর্মীরা আপনাকে জোর করে শ্রম দেওয়া শ্রমিকদের সম্পর্কে জানাতে এবং তাঁদের কাছে নিয়ে যেতে পারবেন। তাঁরা শ্রমিক ক্যাম্পে আপনাকে সঙ্গ দিতে এবং আপনার স্টোরিতে সাহায্য করতে পারেন। কথা বলতে আগ্রহী, এমন কোনো শ্রমিক খুঁজে পাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ফোনে সময় নির্ধারণ করুন। শুক্র ও শনিবার এ জন্য আদর্শ সময়। কারণ, সে সময় কর্তৃপক্ষের কেউ সাধারণত শ্রমিক ক্যাম্পে আসেন না। আরও ভালো হয় যদি শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের ক্যাম্পের বাইরে কোনো চায়ের দোকান বা শান্ত কোনো জায়গায় দেখা করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো পরামর্শ: খুব বেশি শব্দ করবেন না, পরিচয় গোপন রাখুন এবং মানুষের সঙ্গে মিশে যান।

আরও কিছু পরামর্শ:

  • দল বেঁধে শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করবেন না। এতে মানুষ এবং পুলিশের চোখে পড়ে যাবেন। সর্বোচ্চ পাঁচ-ছয়জন হতে পারে।
  • বড় ক্যামেরা সঙ্গে নেবেন না। এতে সন্দেহ তৈরি হবে এবং কেউ পুলিশেও খবর দিতে পারে। ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করুন বা শ্রমিকদের বলুন ক্যাম্পের ভেতরের ছবি তুলে আপনাকে পাঠাতে।
  • ক্যাম্পে যাওয়ার আগে শ্রমিকদের বলুন অন্য শ্রমিকদের ফোন নাম্বার এবং বেতনের স্লিপ বা অন্য সব নথিপত্র নিয়ে আসতে। আপনার যদি বিস্তারিত সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় না-ও থাকে, অন্তত আপনি তাঁদের নথিপত্র বা তার ছবি তুলে নিতে পারবেন।
  • ক্যাম্পে ঢুকুন পরিকল্পনা করে। আপনি কিসের ছবি তুলতে চান, কার সঙ্গে কথা বলতে চান এবং কতক্ষণ ক্যাম্পে থাকতে চান, সেগুলোর নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন। আধঘণ্টার ভেতরে ক্যাম্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। নির্জন এলাকায় চলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
  • স্থানীয় কেউ বা প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শক যদি হঠাৎ চলে আসেন, তাহলে শান্ত থাকুন। কোনো ঝামেলায় না গিয়ে চুপচাপ চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আতঙ্কিত হয়ে গেলে তা আপনাকে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
  • নিজের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিক নথিপত্র সঙ্গে রাখুন। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ছাড়া মাঠপর্যায়ের রিপোর্টিং খুবই বিপজ্জনক। আপনি যদি বিদেশি সাংবাদিক হয়ে থাকেন ,তাহলে প্রেস কার্ড আছে, এমন কাউকে খুঁজে নিন, যিনি বিপদে সাহায্য করতে পারবেন।
  • চলাচলের জন্য নির্ভরযোগ্য যানবাহন ব্যবহার করুন। ক্যাম্পগুলো সাধারণত বেশ দূরে হয়, আর ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করলে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। রাস্তায় কারও সাহায্য পাওয়ার সুযোগ খুবই কম এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রথম সাহায্য আসে পুলিশের কাছ থেকে। ঝামেলা এড়াতে একটি চার চাকার গাড়ি আর ট্যাংক ভর্তি তেলই যথেষ্ট।

সাধারণ রিপোর্টিং পরামর্শ

  • ফোনে শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার নিলে সেটি রেকর্ড করুন।
  • হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেতনের স্লিপ, চিঠি এবং ছবির মতো আনুষ্ঠানিক নথিপত্র সংগ্রহ করুন।
  • আনুষ্ঠানিক সোর্সের জন্য দূতাবাস এবং সমাজকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দূতাবাস সাহায্য করলে তা সাংবাদিকের নিরাপত্তার জন্য বেশ সহায়ক হবে।
  • শ্রমিকেরা অতিরঞ্জিত অনেক কিছু বলতে পারেন। তাই তথ্য যাচাই খুবই জরুরি।
  • প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করুন। যদি তাঁরা অভিযোগ করেন যে রিপোর্টাররা তাঁদের কোনো জবাব দেওয়ার সুযোগ দেননি, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। তথ্য মন্ত্রণালয় এ ধরনের অভিযোগ খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে।
  • স্টোরিতে সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্য থাকাও জরুরি। বেশির ভাগ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেই তাদের ইমেইল ঠিকানা রয়েছে। তাদেরকে ইমেইলের জবাব দিতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত। আপনি যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জবাব ছাড়াই আপনার স্টোরি প্রকাশ করে ফেলেন, তাহলে তারা পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
  • তথ্য, রেকর্ডিং বা ছবি মুছে ফেলবেন না। ভবিষ্যতে কর্মকর্তারা সেগুলো চাইতে পারেন।

স্টোরি লিখবেন যখন

আপনি যদি ওমানভিত্তিক সাংবাদিক হন, তাহলে সরকারের সরাসরি সমালোচনা না করলে হয়তো বিপদে পড়বেন না। একটু “হালকা” সুরে লিখলে স্টোরি প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে, এবং আপনার চাকরি বা নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে না। আক্রমণাত্মক শিরোনাম এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আপনার সম্পাদককে পরামর্শ দিন। আপনাকে সাহায্যকারী শ্রমিকেরা চিহ্নিত হয়ে গেলে তাঁরা বিপদে পড়তে পারেন। তাই আপনার স্টোরির বিষয় বেশি গুরুতর হলে তাঁদের নাম ঊহ্য রাখুন এবং অস্পষ্ট ছবি ব্যবহার করুন।

নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় কাভারের ক্ষেত্রে পরামর্শ

বিক্ষোভ

খুব বেশি না ঘটলেও শ্রমিকেরা মাঝে মাঝে কাজের পরিবেশ আর অন্যায্য বেতন নিয়ে প্রতিবাদ করেন। সাধারণত ক্যাম্প বা রাস্তার মতো প্রতিবাদের স্থানে অতিরিক্ত পুলিশি প্রহরা দেখা যায়। তখন সাংবাদিকদের সেখানে ঢোকার চেষ্টা না করাই শ্রেয়। অতীতে যাঁরা এমন পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট করার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা বাধার মুখে পড়েছেন।

তবে আপনি পথচারীর বেশে গিয়ে ছবি তোলার এবং ক্যাম্পের ভেতরে বা অন্য পথচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন এবং পরে তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন। শ্রমিকদের দাবি এবং কর্তৃপক্ষের বক্তব্য যাচাইয়ের মতো রিপোর্টিং প্রটোকলগুলো প্রয়োজনীয় এবং এগুলো আপনার নিরাপত্তায় সাহায্য করবে।

মাথায় রাখুন, আপনার ক্যামেরা জব্দ করা এবং ছবি মুছে ফেলা হতে পারে। তাই আলাদা একটি ফোনে ছবি তোলার চেষ্টা করুন। সঙ্গে একজন সহকর্মী রাখলে কাজে সুবিধা হবে।

অবৈধ শ্রমিক

ওমানের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলেই কেবল আনডকুমেন্টেড (অনিবন্ধিত) শ্রমিক দেখা যায়। তাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। তাঁরা প্রায় বসবাসের অনুপযোগী স্থানে জীবন যাপন করেন, খাবারও পান খুব অল্প।

ক্ষেত্রবিশেষে, তাঁদের ঘরে সাক্ষাৎকার নেওয়া নিরাপদ হতে পারে, তবু সাংবাদিকদের মনে রাখা উচিত, যেকোনো সময় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের ধরে নিয়ে যেতে পারে। অভিযানের সময় স্বভাবতই পুলিশ সাংবাদিকদের কথা শুনবে না। থানায় যাওয়ার পরেই কেবল এর মীমাংসা হতে পারে।

মানব পাচার

ওমানে মানব পাচার নিয়ে স্টোরি করা খুবই কঠিন। এমনকি, স্থানীয় শ্রমিকদেরও প্রতিবেশী দেশ থেকে ওমানে পাচার করা হচ্ছে, তবু ওমানের সরকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে না। আপনার সামনে যদি মানব পাচারের কোনো ঘটনা আসে, তাহলে আপনার রিপোর্ট করার ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া উচিত।

তার ওপর, পাচার হয়ে আসা স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা প্রায় অসম্ভব। কর্তৃপক্ষ তাদের ঘরে থাকতে বাধ্য করতে পারে কিংবা তাদের উদ্ধার করে দূতাবাসের আশ্রয়ে রাখা হতে পারে। যেহেতু আশ্রয়স্থলগুলো অলিখিতভাবে সরকারের ইচ্ছার ওপরেই চলে, তাই স্বভাবতই সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয় না।

দূতাবাসগুলোর পাচারের শিকার শ্রমিকদের উদ্ধার করার এখতিয়ার নেই। তাই তারা সমাজকর্মীদের নিয়োগ করে। উদ্ধারকৃত শ্রমিকদের সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে সমাজকর্মীরা সাহায্য করতে পারেন। বেশির ভাগ সময় দূতাবাসের অজান্তেই সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। তাই বেশি সময় দেওয়া হয় না। সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত।

মনে রাখবেন:

  • কখনো ওমানের ভেতরে উদ্ধারকৃত শ্রমিকের পরিচয় প্রকাশ করবেন না। এতে তাঁরা ভীষণ বিপদে পড়তে পারেন। ছবি প্রকাশ করলেও উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
  • উদ্ধারকৃত ব্যক্তির দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  • আপনি যদি স্থানীয় সাংবাদিক হন, তাহলে এমনভাবে স্টোরিটি লিখুন, যাতে সরকারের সরাসরি সমালোচনা না হয়।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

অনুসন্ধান পদ্ধতি শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘হাব’ যেভাবে একটি প্রজন্মের রিপোর্টারদের তৈরি করেছে

মেক্সিকো সীমান্তে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য তাঁদের পেশাটা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। কেন্দ্রে যাঁরা সাংবাদিকতা করেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব তো ছিলই, ছিল সার্বক্ষণিকি নিরাপত্তাহীনতাও। সাংবাদিকেরা একজোট হয়ে এই দূরত্ব ঘুঁচিয়ে আনতে গড়ে তোলেন একটি সংগঠন। প্রয়োজনীয়ল প্রশিক্ষণ শেষে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁরা অনুসন্ধান করে তুলে আনেন বেশ কিছু প্রতিবেদন।

অনুসন্ধান পদ্ধতি গবেষণা

ডেনমার্কের কল্যাণ সংস্থার অ্যালগরিদমপদ্ধতি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধান

কল্যাণ সহায়তা বণ্টন পদ্ধতিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে অ্যালগরিদমভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করছিল ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান। অনুসন্ধানে দেখা গেল, বৈষম্য বিলোপে নেওয়া এই উদ্যোগে উল্টো বাড়ছে বৈষম্য।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

২০২৪ ডাবল এক্সপোজার ফেস্টিভ্যাল: সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব না পাওয়া কিংবা অন্যায্যতার মতো ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধান

জিআইজেএন সদস্য ও অলাভজনক অনুসন্ধানী বার্তাসংস্থা 100Reporters আয়োজিত চার দিনের ২০২৪ ডাবল এক্সপোজার চলচ্চিত্র উৎসব ও সিম্পোজিয়ামে (৭-১০ নভেম্বর) ২৩টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়ে গেল। দেখে নিন কী কী বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন নির্মাতারা।

পরামর্শ ও টুল

দেখুন, ওয়েবসাইট কনটেন্ট ও মেটাডেটা বিশ্লেষণে ওপেন সোর্স টুল ‘ইনফরমেশন লন্ড্রোম্যাট’ কীভাবে কাজ করে

বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্যকার যোগসূত্র, মালিকানা চিহ্নিত করা এবং কনটেন্টের ধরন ও বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের জন্য সবচেয়ে নতুন ও মজার টুলগুলোর মধ্যে ইনফরমেশন লন্ড্রোম্যাট একটি। কোনো পয়সাকড়ি খরচা না করেই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। জর্জ মার্শালের অর্থায়নে টুলটি বানিয়েছে অ্যালায়েন্স ফর সিকিউরিং ডেমোক্রেসি (এএসডি)।