প্রবেশগম্যতা সেটিংস

ছবি: শাটারস্টক

লেখাপত্র

বিষয়

নতুন বা নারাজ সোর্সকে কথা বলাবেন যেভাবে

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

এমন অনেক কর্মকর্তা, ভুক্তভোগী ও সম্ভাব্য হুইসেলব্লোয়ার সোর্স আছেন যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন, কিন্তু রিপোর্টারেরা তাদের নাগাল পান না।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার অ্যান্ড এডিটর্সের বার্ষিক ওয়াচডগ সাংবাদিকতা  সম্মেলন আইআরই২৩-এ এই বিষয়ে দুটি প্যানেল ছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞ অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা তুলে ধরেন, অপ্রত্যাশিত সোর্স খুঁজে পেতে বা নতুন সোর্সদেরকে তথ্য প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করতে তারা কোন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। এর মধ্যে আছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের খালি নোটবুক দেখানো, যদি কোনো পুলিশ কর্মকর্তা খণ্ডকালীন কাজে জড়িত থাকেন সেই কর্মক্ষেত্রে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করা এবং কথা বলতে নারাজ কর্মকর্তারা কোন কোন যুক্তিতে তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকার এড়াতে পারেন তা নিয়ে আগেই গবেষণা করা।

IRE23 logo interviewing sources

ছবি: স্ক্রিনশট, আইআরই

তবে তাদের আলোচনায় একটি সাধারণ বিষয় ছিল যা সাংবাদিকতার একেবারে মৌলিক চর্চা হলেও সাংবাদিকেরা সচরাচর ভুলে যান: নতুন সোর্স তৈরির জন্য আপনার প্রকাশিত কাজ দেখান এবং পরিচিত সোর্সদের ব্যবহার করুন। আর ভুলবেন না যে বিশ্বজুড়ে চাপা স্বভাবের অসংখ্য মানুষ এখনো সোর্স হিসেবে অব্যবহৃত রয়ে গেছেন। 

গণমাধ্যমে কখনো কথা বলেনি, এমন সোর্স খুঁজে বের করুন

  • পুরনো সোর্সের কাছে নতুন সোর্সের ব্যাপারে জানতে চান। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে এবিসি টেনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক অ্যান্ডি জুডসন বলেছেন, “সুপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎকার শেষ করে, সবসময় প্রশ্ন করুন: ‘আপনার কি মনে হয়, এ বিষয়ে আমার আর কার সঙ্গে কথা বলা উচিত?’”
  • আপনার প্রকাশিত স্টোরিই যেন সোর্সকে আশ্বস্ত করে। জুডসন আরও বলেছেন, “আপনি নিজের যে স্টোরি নিয়ে গর্ব করেন, সেটি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে পাঠান, – এমনকি তিনি আপনার নাগালের বাইরের মানুষ বলে মনে হলেও পাঠান।”
  • সরকারি পার্কিং লটে গাড়িতে হাতে লেখা নোট রেখে যাওয়ার কথা বিবেচনা করুন। ডেনভারের কেএমজিএইচ সেভেনের প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক টনি কোভালেস্কি অনেক সময় তাঁর পরিচিতি কার্ডের ওপরের দিকে এই কথাগুলো লিখেন “আমার কি আর কিছু জানা উচিত?” এবং সেগুলো সরকারি সংস্থার পার্কিং লটে গাড়ির জানালায় লাগিয়ে দেন। তিনি বলেছেন, “ভেতরের কাউকে যদি না পান, তবে এই কৌশল সত্যিই কাজে আসতে পারে।”
  • সিগারেট লাইটার বা অতিরিক্ত পানির বোতলের মতো জড়তা কাটানোর জিনিস সঙ্গে রাখুন। সিয়াটলের কিরো সেভেনের হয়ে ভোক্তা সমস্যা নিয়ে রিপোর্টিং করা অভিজ্ঞ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জেসি জোন্স বলেছেন, “যখন আদালতের কোনো মামলা চলত, আমি সবসময় একটি লাইটার সঙ্গে রাখতাম – কারণ ধূমপান ও মধ্যাহ্নভোজের জন্য বাইরে একটি জায়গা ছিল, আর আদালতের মামলার সংশ্লিষ্টতা সবসময় চাপের বিষয়, এবং অনেক সময় তাদের আগুন জ্বালানোর প্রয়োজন পড়ে। গরমের দিনে অতিরিক্ত পানির বোতল আপনাকে অন্যদের কাছে আসার দারুণ সুযোগ দিবে।”
  • কর্ম-ঘন্টার পর পুলিশের সঙ্গে দেখা করুন। “অনেক সময় পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপন কর্মীদের আরেকটি চাকরি থাকে। সেই চাকরি সম্পর্কে জানুন। সেখানে তাদের সাক্ষাতের নিয়ম সম্ভবত ভিন্ন, আর অনেকটা সহজ হয়ে থাকে। আমার পরিচিত একজন পুলিশ ছিলেন, যার ওয়াইনের কারখানা ছিল — মেরলট (ওয়াইন বিশেষ) নিয়ে কথা বলতে আপনি তার কাছে যেতে পারেন। এটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজে আসে।”
  • অবসরপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। জোন্স আরও বলেছেন, “অবসরপ্রাপ্তরা হতে পারেন আপনার যোগাযোগ তৈরির মাধ্যম, এবং সিস্টেম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিষয় ব্যাখ্যা করার মতো সময় তাঁদের হাতে থাকতে পারে।”
  • “চাপা স্বভাবের” ব্যক্তি খোঁজ করুন। অর্ন্তমূখীদের সোর্স হিসেবে প্রকাশ্যে আসার নজির অবিশ্বাস্য রকমের কম, এবং দূর থেকে যে ব্যক্তি বা কর্মকর্তা কোনো ঘটনা দেখতে পছন্দ করেন, তাদের এই দূরত্ব বজায় রাখার কোনো সংবাদযোগ্য কারণ থাকতে পারে। জোন্স বলেছেন, “আমি যখন শহরের কোনো মিটিং বা অপরাধস্থলে যাই, আমি ঘটনাস্থলের মানুষদের দিকে তাকাই না – আমি দূরে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ করি। সতর্ক দৃষ্টি রাখুন, এবং কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সময় যিনি ইতস্তত করেন বা অস্বস্তিতে ভোগেন; শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।

লেখকের নোট: ২০০৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জন ম্যাককেইনের প্রচারণা সমাবেশে এক দম্পতির দিকে আমরা এগিয়ে যাই। দৃশ্যত তাদেরকে বিরক্ত মনে হচ্ছিল। তারা আমাদেরকে জানান যে তাদের মৃত ছেলে ম্যাককেইনের প্রাক্তন বাস ড্রাইভারের হৃৎপিণ্ড পেনসিলভানিয়ার একজন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। সেই রোগী ছিলেন বারাক ওবামার অনুগত সমর্থক কিন্তু তিনি তার অঙ্গদাতার সম্মানে ম্যাককেইনকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। “চুপচাপ” মানুষদের সঙ্গে কথা বলে দারুন গল্প আবিষ্কার করা যায়।

নতুন সোর্স ধরে রাখার কৌশল

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর, সিনসিনাটি ও সিয়াটেল শহরের অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কিরোর জোনস তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন সোর্সদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার বেশ কয়েকটি কৌশলও শেয়ার করেছেন।

  • ধরুন আপনার সোর্স কখনো আপনার স্টোরি দেখেননি। জোন্স বলেছেন, “আপনার সোর্স এবং আপনার পরবর্তী স্টোরির জন্য সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে আপনার স্টোরির লিঙ্কগুলো পাঠান। প্রতিবেদক হিসেবে আমরা ভাবি যে সবাই সবসময় আমাদের স্টোরিগুলো দেখছে, কিন্তু আসলে তা নয়।”
  • আপনার সোর্সের কাজের সময়সূচি সম্পর্কে জানুন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “আপনার সোর্স যখন কাজের চাপমুক্ত থাকেন, তখনই সেরাটা দিতে পারেন। কখন তাদের শিফট চালু হয় ও শেষ হয়, তা জানা জরুরি।”
  • সম্ভাব্য কন্টাক্টদের নিছক তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলতে কল করুন, শুধু তথ্য চাওয়ার জন্যে নয়। তিনি আরও বলেছেন, “কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই দেখা করুন; সবসময় যেন মনে না হয় যে আপনার কিছু দরকার। তাদের শখ খুঁজে বের করুন।”
  • অন্য গণমাধ্যমে সোর্স হিসেবে যাদের নাম এসেছে, তাদের কল করুন। জোনসের পরামর্শ হলো, “যদি কাউকে অন্য কোথাও উদ্ধৃত হতে দেখেন, তবে নির্দ্বিধায় তাদের কল করুন আর বলুন ‘আপনার কথাগুলো আমার পছন্দ হয়েছে – আপনি কি আমাকে আরেকটু খুলে বলতে পারেন?’ অনেকের জন্য টিভি বা অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে দৃশ্যমান হওয়া জীবনের স্মরণীয় ঘটনা।” জোন্স বলেন, “একবার সেই জড়তা কেটে গেলে,” রিপোর্টিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে অপরিচিত এই মানুষগুলো বুঝতে পারেন যে তাদের কাছে জানানোর মতো কত জরুরি জিনিস আছে।

ক্যামেরায় কথা বলার মতো সংবেদনশীল সোর্স পাওয়া

কর্মকর্তাদের যেমন জবাবদিহির দায় আছে, যৌন নির্যাতন বা মানসিক আঘাতের শিকার ব্যক্তিদের মতো সংবেদনশীল সোর্সের আপনাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার তেমন কোনো কোনও দায় নেই ৷ ফ্লোরিডার টাম্পা বে-তে ডব্লিউটিএসপি-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জেনা বোর্ন বলেছেন, “আমাদের স্টোরির জন্য তাদের যে কথা বলতেই হবে এমন নয়। তাই আপনাকে সে মোতাবেক যথাযথভাবে এই সাক্ষাৎকারগুলো নিতে হবে।”

  • মানবিকতা বজায় রেখে কথা বলুন। তথ্যচিত্র বা সম্প্রচার পরবর্তী সম্পাদনায় আপনাকে কতটা পেশাদার মনে হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা করবেন না; কেবল সোর্সের সাক্ষ্য এবং তাদের স্বাচ্ছন্দ্য সম্পর্কে ভাবুন। বোর্নের পরামর্শ ছিল, “আপনার ‘প্রতিবেদক কণ্ঠ’ পুরোপুরি বাদ দিন।” তাঁর মতে, সংবেদনশীল সোর্সের সঙ্গে ছোট ছোট, দৈনন্দিন শব্দ ও স্বাভাবিক, সমানুভূতিশীল প্রতিক্রিয়া ব্যবহার করা অনেক বেশি কার্যকর। “আর কথা বলার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন, তারাও মানুষ – গল্পের চরিত্র ভেবে আচরণ করবেন না।”
  • কী নিয়ে কাজ করছেন সোর্সকে জানান। বোর্ন বলেছেন, “এই বিষয় খতিয়ে দেখার কারণ তাদেরকে জানান এবং যাদের বক্তব্য ইতিমধ্যেই রেকর্ড হয়েছে, তাদেরকেও জানান। তাদের গল্প কীভাবে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, বা সমস্যার সমাধানে কাজে আসে, তা বোঝানোর চেষ্টা করুন – তবে অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দিবেন না।”
  • তাদেরকে একটি খালি নোটবুক দেখান। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সোর্সের সঙ্গে কথা বলার শুরুতে আপনার নোটপ্যাডের ফাঁকা প্রথম পৃষ্ঠা দেখান, যেন তারা আশ্বস্ত হন যে তারা নিরাপদে আছেন এবং এটি কোনো জিজ্ঞাসাবাদ নয়। বোর্ন বলেন, “শৈশবে যৌন নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই এই বলে যে তার বক্তব্যের ভিত্তিতে আমি আমার প্রশ্নগুলো সাজাবো।” এবিসি নিউজের অভিজ্ঞ প্রযোজক ইসমায়েল এস্ট্রাডা বলেছেন, ক্যামেরা বা রেডিও সাক্ষাৎকারকারীরা মূল প্রশ্নগুলো মুখস্ত রাখে এবং সঙ্গে কোনো নোটবুক রাখে না। এস্ট্রাডা বলেছেন, “আপনি যে কিছু ভুলে যাননি তা নিশ্চিত হতে শেষে প্রযোজকের দিকে তাকান। নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, আর সবসময় নোটে চোখ রাখা উচিত নয়।”
  • আয়েশি ঢঙের পোশাক পড়ুন। কেতাদুরস্ত বা ব্যয়বহুল পোশাক অনেক সংবেদনশীল সোর্সকে বিমুখ করতে পারে। বোর্ন আরও বলেছেন, “সাধারণত, ভয়ানক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া কারো কথা শোনার সময় সাধারণ পোশাক পরুন; এ ধরনের পরিস্থিতিতে কেতাদুরস্ত পোশাক পরাটা অদ্ভুত দেখায়।”
  • বিশাল কিছু উদঘাটিত হলে “বেশি প্রতিক্রিয়া” দেখাবেন না। বোর্ন বলেছেন, “সাক্ষাৎকারের কোনো পর্যায়ে তারা যদি বড় কিছু বলে ফেলেন, তাহলে ‘ওহ মাই গড!’ বলে আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে নিজেকে সংযত রাখুন। সমানুভূতি বজায় রাখুন এবং শান্ত থাকুন।”

অনির্ধারিত, ‘রুদ্ধ-দ্বার’ জবাবদিহিমূলক সাক্ষাৎকার যেভাবে নেবেন

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের ডব্লিউবিএফএফ ফোরটিফাইভ-এর প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ক্রিস প্যাপস্ট সম্প্রতি একটি বড় অনুসন্ধান থেকে পাওয়া শিক্ষা তুলে ধরেছেন। এই প্রতিবেদনে তাঁর দল দেখিয়েছে যে ২০২২ সালে বাল্টিমোর শহরের ২৩টি স্কুলে পরীক্ষায় গণিতে “দক্ষ” কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। দলটি আরও আবিষ্কার করেছে যে তাদের রিপোর্ট আসার পর রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এই বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারি ডেটা দ্রুত সংশোধন করেছে। তাই তথ্য গোপনকারী সেই চতুর কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার গ্রহণে তাঁকে একটি সতর্ক কৌশল গ্রহণ করতে হয়েছিল। প্যাপস্ট ব্যাখ্যা করে বলেছেন, খুব ছোট এবং সম্ভবত কঠিন জবাবদিহিমূলক এই সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বিশদ পরিকল্পনা করতে হয়েছিল।

  • সর্বোপরি: আপনার শুরুর প্রশ্ন ঠিক করুন। প্যাপস্ট বলেছেন, “উদ্দিষ্ট কর্মকর্তা এড়িয়ে যাওয়ার আগে এটিই হতে পারে একমাত্র প্রশ্ন, তাই শব্দ নিয়ে ভাবুন আর প্রয়োজনে একই প্রশ্ন আবার করুন। স্পষ্ট, তথ্যসমৃদ্ধ ফলো-আপ সহ সম্ভাব্য উত্তর কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবুন।”
  • প্রয়োজনে লম্বা সাক্ষাৎকার পরিকল্পনা করুন। প্যাপস্ট বলেছেন, “উদ্দিষ্ট ব্যক্তি যদি বলে বসেন, ‘আচ্ছা, চলুন বসে আলোচনা করি’। প্রশ্নগুলো আগে থেকেই তৈরি রাখুন। মনে রাখবেন, আক্রমনাত্মক হতে হবে ভদ্রভাবে – যথাযথ সুরে ‘স্যার’ ও ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন করে কথা বললে পরিবেশ ভালো থাকে। রিপোর্টার হিসেবে এমন বিপদে পড়তে পারেন, যেখানে আপনাকে ঘিরেই স্টোরি ডালপালা মেলতে পারে, তাই বেশি আক্রমণাত্মক হবেন না। বরং এড়িয়ে চলুন।”
  • সাক্ষাৎকার স্থলে সাক্ষাৎকারদাতা কর্মকর্তার “পালানোর উপায়” নিয়ে ভাবুন। প্যাপস্ট বলেছেন, টিভি বা ডকুমেন্টারি মিডিয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের জায়গা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে গিয়ে আগেই গবেষণা করুন, সাক্ষাৎকারের মাঝ পথে সোর্স যদি উঠে চলে যেতে চান, তাহলে তিনি কোন কোন পথ দিয়ে চলে যেতে পারেন। দরজা, পার্কিং স্পেস এবং বেরুনোর অন্যান্য পথগুলো চিনে রাখা এবং যেকোনো দ্রুত প্রস্থান ধারণ করার জন্য ক্যামেরা স্থাপন করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • আপনার দলীয় প্রচেষ্টার সীমারেখা সম্পর্কে আগেই ভাবুন। তিনি বলেছেন, “নিজেকে আগেই প্রশ্ন করুন ‘এই সদর দরজা দিয়ে, নাকি সেই সিঁড়ি ধরে আমরা কাউকে অনুসরণ করব? অনুসরণের শেষ সীমারেখা কোনটি?’। আর সেই সীমারেখা সম্পর্কে যে সবাই জানে, তা নিশ্চিত করুন।”
  • আইআরই২২ তে আলোচিত অনির্ধারিত সাক্ষাৎকার কৌশলগুলো নিয়ে জিআইজেএনের দিক নির্দেশনামূলক স্টোরি দেখুন: “জবাবদিহিমূলক সাক্ষাৎকার কীভাবে নিতে হয়৷”

জেসি জোন্স ইতি টেনে বলেন, “সোর্সই সব, তারাই ইঞ্জিনের চালিকাশক্তি। আর সবাইকে আপনার ভিজিটিং কার্ড দিতে হবে – যক্ষের ধনের মতো কার্ডগুলো আঁকড়ে থাকা চলবে না।”

আরও পড়ুন

কোথায় পাবেন বিশেষজ্ঞ?

সাক্ষাৎকার গ্রহণের কৌশল

ট্র্যাজেডির শিকার, সাক্ষী ও বেঁচে ফেরাদের সাক্ষাৎকার নেবেন যেভাবে


Rowan Philp, senior reporter GIJNরোয়ান ফিলিপ জিআইজেএনের প্রতিবেদক। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমস পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। বিদেশ প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের ২৪টির বেশি দেশে সংবাদ, রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

يبحث الفيلم الوثائقي الذي تنتجه هيئة الإذاعة البريطانية "تحت سماء مسمومة" في تأثير حرق حقول النفط العراقية على المجتمعات المجاورة وعلى البيئة. الصورة: لقطة الشاشة، بي بي سي

কেস স্টাডি

ইরাকি জনগোষ্ঠীর ওপর গ্যাস ফ্লেয়ারিংয়ের প্রভাব যেভাবে উঠে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানে 

২০৩০ সালের মধ্যে সব শীর্ষ তেল কোম্পানি ও অনেক দেশ নিয়মিত গ্যাস ফ্লেয়ারিং বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইরাকের মতো দেশগুলোতে এখনও ফ্লেয়ারিং হচ্ছে। এবং এতে পরিবেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। দক্ষিণ ইরাকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর গ্যাস ফ্লেয়ারিংয়ের প্রভাব অনুসন্ধান করেছে বিবিসি আরবি সংস্করণের একটি দল। পড়ুন, কীভাবে হয়েছে এই পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানটি।

কেস স্টাডি পরামর্শ ও টুল

ব্রাজিলের রাজনীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের টুল বানান তাই নালন

২০১৫ সালে, ব্রাজিলের বড় এক সংবাদমাধ্যমের চাকরি ছেড়ে নিজেই একটি অনুসন্ধানী ও ফ্যাক্ট চেকিং সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাই নালন। এখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০ জনের একটি পুরস্কারজয়ী দলকে। এই লেখায় তিনি জিআইজেএন-কে জানিয়েছেন, ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কাজে তাঁরা কোন ধরনের টুলগুলো বেশি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সুপরিচিত অনেক টুল যেমন আছে, তেমনি আছে তাদের নিজেদের বানানো কিছু টুল।

Anna Wolfe Goldsmith Prize Mississippi Today welfare corruption

কেস স্টাডি

কল্যাণ তহবিলের টাকা নিয়ে নয়ছয় যেভাবে উন্মোচিত হলো এক পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানে 

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যে দারিদ্রের হার সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জনকল্যান তহবিলে টাকা দেওয়া হলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছায়নি। এ নিয়ে তিন বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেছেন আনা উলফ। জিতেছেন গোল্ডস্মিথ পুরস্কার। পড়ুন, তাঁর এই অনুসন্ধানের নেপথ্যের গল্প।

কেস স্টাডি সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ভ্রমণ ভোগান্তি: সীমান্ত পেরোতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের যত বাধা পাড়ি দিতে হয় 

দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ ও অবৈধ বাণিজ্য ক্রমেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এসব ঘটনা উন্মোচনের জন্য অনুসন্ধানও হতে হয় বিশ্বজোড়া। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা এই কাজের জন্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন। এই বাধাগুলো যেমন অপ্রত্যাশিত, তেমনি স্বল্প আলোচিত। পড়ুন, তেমন কিছু অভিজ্ঞতার গল্প এবং এসব ভোগান্তি এড়ানোর কিছু পরামর্শ।