২০২৪ ডাবল এক্সপোজার ফেস্টিভ্যাল: সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব না পাওয়া কিংবা অন্যায্যতার মতো ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধান
জিআইজেএন সদস্য ও অলাভজনক অনুসন্ধানী বার্তাসংস্থা 100Reporters আয়োজিত চার দিনের ২০২৪ ডাবল এক্সপোজার চলচ্চিত্র উৎসব ও সিম্পোজিয়ামে (৭-১০ নভেম্বর) ২৩টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যা উত্তর আমেরিকা ও অন্যান্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ওপর নতুন ভাষ্য হাজির করেছে।
গত দুই বছরে ডিএক্স আসরে আলোচনা হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্র ও বাড়তে থাকা কর্তৃত্ববাদের মতো বিষয়গুলো ঘিরে। এবার যুক্ত হয়েছে উপেক্ষিত আরো নানান বিষয়। যেমন, কারাবন্দীদের ওপর নির্যাতন, আড়ালে থাকা নারী বিজ্ঞানী, আর সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলনের ইতিহাস আমাদের নতুন কী শিক্ষা দিচ্ছে।
জিআইজিএন এখানে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্র নিয়ে আলোচনা করেছে। বিশেষ করে যেগুলো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে অভিনব সব অনুসন্ধানী পদ্ধতি।
আর দশটা সাধারণ প্রকল্পের মতোই এর শুরু। নির্মাতাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে নাজুক পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুদের সঙ্গে কথা বলে সাক্ষাৎকারের আদলে সংক্ষিপ্তভাবে সেগুলো তুলে ধরা। কিন্তু কাজে নেমে তাঁরা পূর্ব আফ্রিকার রহস্যময় হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারেন। আগাতে থাকেন রহস্যের সূত্র ধরে। নির্মাতা দলটিকে সঙ্গ দিয়েছে ১৩ বছর বয়সী উদীয়মান সাংবাদিক। অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাঁরা আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করেন: জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।
সাইমনের দুনিয়া থেকে অনেক দূরে বসবাস করে, এমন লোকেদের নেওয়া সিদ্ধান্ত তাকে ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে। এ কারণেই আমরা মনে করি এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র।”— “সার্চিং ফর আমানি” তথ্যচিত্রের সহ–পরিচালক নিকোল গর্মলে ও ডেবরা আরোকো।
দারুণ এ তথ্যচিত্রটি কিশোর সাইমন আলীর ব্যক্তিগত অন্বেষণ দিয়ে শুরু হয়। যে কি না তার বাবার মৃত্যুরহস্যের কারণ খুঁজছে। কেনিয়ার লাইকিপিয়াতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্রের গাইড হিসেবে তিনি কাজ করতেন। দায়িত্বরত অবস্থায়ই তাঁকে মেরে ফেলা হয়। এ তথ্যচিত্রটি আমাদের দেখায়, নতুন প্রতিভা অন্বেষণ আর অজানা বাঁকগুলোর অনুসরণ অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রকে কতটা সহজভাবে ফুটিয়ে তোলে।
যেমন, এ কিশোরদের হাতে যখন ক্যামেরা দেওয়া হয়, সবাই তখন নিজেদের ছবি তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে। একমাত্র আলীকেই দেখা যায় যে, সে চারপাশের ছবি তুলছে, তথ্য নিচ্ছে, আর বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। বিষয়টি মূল পরিচালক নিকোল গর্মলের চোখে পড়ে। এ তথ্যচিত্রে আলীর সংগৃহীত ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। কেনিয়ায় অনুবাদক ডেবরা আরোকোর কথাও না বললে নয়। তিনি এ গল্পের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন যে পরবর্তীতে সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
শেষ পর্যন্ত আলীর বাবার হত্যাকাণ্ডের পেছনের ঘটনা উন্মোচিত হয় । উঠে আসে জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থনৈতিক এবং অস্তিত্বগত প্রভাবের ফলে সৃষ্টি হওয়া সংকটের কাহিনী। বনভূমি সংরক্ষক ও স্থানীয় পশুপালকদের মধ্যে মারাত্নক দ্বন্দ্বের ঘটনা নিয়েই এ তথ্যচিত্র।
দুইজন পরিচালকই নিজ নিজ বিবৃতিতে বলেছেন, “সাইমনের দুনিয়া থেকে অনেক দূরে বসবাস করে, এমন লোকেদের নেওয়া সিদ্ধান্তই তাকে ভিন্ন বাস্তবতা বরণে বাধ্য করেছে। এ কারণেই আমরা মনে করি এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র। শুরুতে এমনটা নাও মনে হতে পারে। কারণ সচারচর আমরা তথ্যচিত্রের শুরুতেই মূল বিষয়কে সামনে নিয়ে আসি—এক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি। গল্পের শুরু হয়েছে সাইমনের জীবন ও লাইকিপিয়াতে তাঁর বাড়ির দৃশ্য দিয়ে— পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অথচ উপেক্ষিত আন্তঃসম্পর্কিত দিকগুলোর ওপর আলো ফেলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সহিংস উগ্র জাতীয়তাবাদী আন্দোলন কী কেবল অন্ধ বিদ্বেষ আর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদেরই প্রভাব, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কিছু?
এই তথ্য চিত্রে প্রতিবেদকের ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিও দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই, স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে তিন জন মানুষ কীভাবে রাস্তায় নেমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে আন্দোলন চালাচ্ছে। যাদের একজন বিমানবাহিনীর সাবেক সদস্য। একজন লাতিনো ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিশারদ। অন্যজন সন্তানের বাবা হতে যাওয়া একজন বৈদ্যুতিক কর্মী, যার স্ত্রী একজন এশিয়ান নারী।
আমরা নিরপেক্ষভাবে গবেষণা চালাতে চেয়েছি, যেখানে ‘আমরা বনাম তারা’ এ ধরনের রাজনীতির ডাকে সাড়া দেওয়া লোকেদের জীবন বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছি — মাইকেল প্রিমো, হোমগ্রোন এর পরিচালক
তথ্যচিত্রটি শুরু হয় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলার আগের দিনের দৃশ্য দিয়ে। দেখা যায় প্রাউড বয়েজ মিলিশিয়ার একজন সদস্য সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেদিনের সহিংসতায় অংশ নেওয়ার জন্য পরবর্তীতে তাঁর ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তবে, চলচ্চিত্রটি চরমপন্থায় জড়ানোর কারণ হিসেবে কিছু অপ্রত্যাশিত দিকও তুলে ধরে। যেমন, এক ব্যক্তি প্রগতিশীল তথ্যচিত্র নামে পরিচিত “ফারেনহাইট ৯/১১” দেখার পর চরম ডানপন্থী মিলিশিয়া দলে যোগদানে উৎসাহী হন। একটি দৃশ্যে আবার তাকে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের এক নেতার সঙ্গে সাধারণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। চরিত্রগুলোর জটিল বিন্যাস বিভিন্ন চারিত্রিক বৈপরীত্যর কথা বলে। যেখানে চরম বিদ্বেষ ও সহিংসতা প্রবণ লোকেরাও একইসঙ্গে সংখ্যালঘুদের প্রতি সহানুভূতি এবং সমকামী অধিকারকে সমর্থন করতে পারে।
এ তথ্যচিত্র নির্মাণে নেমে পরিচালক মাইকেল প্রিমো সাহসিকতার সঙ্গে সফলভাবে কাজ করেছেন। একজন অশ্বেতাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে এখানে তিনি দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণটি তুলে ধরেছেন তা হচ্ছে, উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলোতে ক্রমবর্ধমানভাবে কৃষ্ণাঙ্গ ও লাতিনো পুরুষদের সংখ্যা বাড়ছে।
“’আমরা বনাম তারা’ ধাঁচের রাজনীতির প্রতি সাড়া দেওয়া মানুষদের জীবনকে আমরা নিরপেক্ষ ও নির্দলীয়ভাবে বুঝতে চেয়েছি,” এ থেকে আমরা যা অর্জন করেছি তা হলো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর ও আবেগপ্রবণ আলোচনার গুরুত্ব,” বলেন প্রিমো।
ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের পর্যালোচনায় উল্লেখ করেছে যে, তথ্যচিত্রটি নির্মাণ সফল হয়েছে কারণ ডানপন্থা নিয়ে গল্প বলার ক্ষেত্রে এখানে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। “বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের” পরিবর্তে আলোকপাত করা হয়েছে ব্যক্তির কাজ, ইচ্ছা ও অনুভূতি ওপর।
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য, উস্কানি এবং গোপনীয়তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেক বেশি। অথচ বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে পড়ছে নতুন এক প্রবণতা—প্রজেকশন প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে আন্দোলনকারী বা সমর্থকেরা রাস্তার পাশে দেওয়ালে কিংবা সরকারি বা বেসরকারি ভবনের ওপর প্রজেকশন প্রযুক্তির মাধ্যমে আলো ফেলে বার্তার ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। সাংবাদিকেরা এ বিষয়টির দিকে ঠিক নজর দিচ্ছেন না।
স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্র গেরিলা লাইট প্রজেকশনের ধারা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় আন্দোলনকারীরা আধুনিক প্রজেকশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাময়িকভাবে বৃহৎ পরিসরে তাদের বার্তা বা দাবিগুলো তুলে ধরে। “বিরোধিতাই দেশপ্রেম”—কেউ এমন বার্তা তুলে ধরছে। কেউ আবার বিশাল স্বস্তিকা চিহ্ন বা ইহুদি-বিরোধী বার্তা প্রদর্শন করেছে। এমনটাও দেখা গেছে, এই ধরনের প্রজেকশন করে একজন একক আন্দোলনকারী শত শত গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদকারীর বার্তাকে চাপা দিতে সমর্থ হয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাতা টম ক্লিমেন্ট দেখিয়েছেন, এই প্রবণতা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সম্পত্তি অধিকারের মধ্যকার সীমারেখাকে মুছে দিয়েছে। যা আইনি চ্যালেঞ্জ, বিরোধ মোকাবেলার ক্ষেত্রে কঠোর নতুন আইন তৈরির দাবী রাখে। তথ্যচিত্রে বিভিন্ন পক্ষ—আন্দোলনকারী, সম্পত্তির মালিক, এবং আইন প্রয়োগকারীদের মধ্যের বিরোধগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যা মোকাবেলার সুস্পষ্ট কোনো আইনও নেই।
এ তথ্যচিত্রটি ২০২০ সালের মে মাসে ভেনেজুয়েলায় ঘটে যাওয়া বিপর্যয়কর ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার গল্প বলে। ওই অভিযানের নাম ছিল অপারেশন গিডিয়ন, তবে ব্যঙ্গ করে একে “দ্য বে অফ পিগলেটস” বলা হয়। এখানে বেসরকারি সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, ভ্রান্তি, আর বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্যচিত্রটি মার্কিন বিশেষ বাহিনীর একজন প্রাক্তন সেনার ওপর আলোকপাত করে, এখন তিনি মেক্সিকোতে নির্বাসনে আছেন।ভাড়াটে সেনা, ভেনেজুয়েলার কিছু নির্বাসিত ব্যক্তি ও বিরোধী গোষ্ঠীর একটি দল নিয়ে তিনি অভিযানটি পরিচালনা করেছিলেন। ব্যর্থ এই অভিযানে ৮ জন নিহত এবং ডজনখানেক গ্রেফতার হন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা জেন গ্যাটিয়েন ও বিলি কোরবেন এই তথ্যচিত্রে একজন সেনা জেনারেল, একজন সাংবাদিক, একজন নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী, এবং আটক হওয়া একজন মার্কিন ভাড়াটে সেনার পরিবারের সদস্যের সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। তথ্যচিত্রটির গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ওই ব্যর্থ অভিযানের ঘটনা নিয়ে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে খুবই কম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল কোভিড-১৯ সংকটের চূড়ান্ত সময়। সংবাদমাধ্যমগুলো তখন ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন কেলেঙ্কারি ঘিরে ব্যস্ত ছিল। তথ্যচিত্রটি আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে ভাবতে বলে। তা হচ্ছে, এখনো এমন প্রশিক্ষিত এবং সশস্ত্র ষড়যন্ত্রকারী আছেন, যাঁরা মনে করেন যে তাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহিংসতার মাধ্যমে “শাসন পরিবর্তন” করতে পারেন। এমন বিভ্রান্ত সরকারি কর্মকর্তারাও আছেন, যাঁরা এখনো এই ধরনের লোকদের ব্যবহার করতে চান।
তথ্যচিত্রটি দারুণ একটি তৃণমূল আন্দোলনকে তুলে ধরে। ক্যালিফোর্নিয়ার অর্ধেকের বেশি কারাগারের কয়েদিরা অনির্দিষ্টকালের জন্য একক সেল বা আইসোলেশনে বন্দি থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ৩০ হাজার বন্দি একসঙ্গে অনশন ধর্মঘটে অংশ নেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা জো বিল মুনোজ অনশনকারীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন। কথা বলেছেন কারাগার নকশাবিদ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে এমন একটি অমানবিক ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। এবং কীভাবে এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিবাদ করা যেতে পারে। তথ্যচিত্রটি ক্যালিফোর্নিয়ার পেলিক্যান বে সুপারম্যাক্স কারাগারে সংঘটিত ধর্মঘট এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত অমানবিক চর্চার ওপর আলোকপাত করেছে। কারাকক্ষের অনন্ত নীরবতা: যা কয়েদিদের জন্য সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা।
আমরা অনশনকারী কয়েদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। বেশিরভাগই লস অ্যাঞ্জেলেসের নারী।যাঁরা তাদের নিজেদের ভাই, বাবা, চাচা এবং ছেলেদের কণ্ঠস্বর মনে করেন, এবং পেলিক্যান বে পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার যাত্রার জন্য জমানো সব অর্থ খরচ করেন” সহ-নির্দেশক লুকাস গিলকির সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন মুনোজ। “ আর সবশেষে, আমরা দেখলাম… এমন পুরুষদের যাঁরা বছরের পর বছর তাদের জীবন একটি কংক্রিটের কবরে কাটিয়েছেন।”
তাঁরা আরও বলেন: “‘দ্য স্ট্রাইক’ হলো দমনমূলক ব্যবস্থার বিপরীতে মানবিক সহনশীলতা অন্বেষণ; যা দর্শককে তাঁর নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়ের জন্য এক হতে আহ্বান জানায়।”
রোয়ান ফিলপ জিআইজেএন-এর সিনিয়র রিপোর্টার।তিনি পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমসের প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন একজন বিদেশী সংবাদদাতা হিসেবে তিনি বিশ্বের দুই ডজনেরও বেশি দেশের সংবাদ, রাজনীতি, দুর্নীতি এবং সংঘাতের বিষয়ে রিপোর্ট করেছেন।