প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

ফেসবুক, টুইটার ও টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি অনুসন্ধান নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বললেন

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

investigating social media companies

ছবি: শাটারস্টক

গত এক দশকে হাতে গোনা কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আমাদের অনলাইন জীবনে আধিপত্য বিস্তার করেছে। বিশ্বব্যাপী অনলাইন যোগাযোগের ওপরও এসব কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ অপরিসীম৷ আর এগুলো পরিচালিত হয় তাদের দুর্গের মতো সদর দফতর থেকে

তবে একটানা এই আধিপত্য কিছুটা হলেও নড়ে যাচ্ছে। নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রাইভেসি রক্ষার প্রযুক্তি, এবং নেতৃত্ব থেকে আসা খামখেয়ালী সিদ্ধান্তের কারণে কোম্পানিগুলো সামনে কিভাবে চলবে – এবং সার্বিকভাবে তা ইন্টারনেটের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে – এ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। 

২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির ভেতর ও বাইরে অনুসন্ধান নিয়ে দ্য মার্কআপ রিপোর্টার অ্যারন সানকিন পরিচালিত একটি প্যানেলে অংশ নেন কোডা স্টোরির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইসোবেল ককেরেল, কলাম্বিয়া জার্নালিজম রিভিউর প্রধান ডিজিটাল লেখক ম্যাথিউ ইনগ্রাম ও শোরেনস্টাইন সেন্টারের গবেষণা পরিচালক জোয়ান ডোনোভান। তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের ওপর তাদের নীতিমালার প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান।

বক্তারা উপসংহারে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার দ্রুতগতি-বিবর্তন সমাজের ওপর সুদূরপ্রসারী ও গুরুতর প্রভাব বিস্তার করেছে। এসব প্রভাব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের অবশ্যই কোম্পানিগুলোর জটিল ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বুঝতে হবে এবং প্রতিবেদনের অভিনব অ্যাঙ্গেল নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।

‘পণ্যই যেখানে সমস্যা’

গত পাঁচ বছরে ফেসবুক তাদের নাম বদলেছে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে পা রেখেছে (যা এখন বাদ দিচ্ছে বলে মনে হয়), এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিতে জড়িয়েছে। টিকটক কিশোর-কিশোরীদের ঠোঁট-মেলানোর প্ল্যাটফর্ম থেকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রূপ নিয়েছে; আর টুইটার এখন তাদের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার খেয়ালখুশি মত চলছে

গবেষণায় আরও দেখা যায়, টুইটার ও টিকটক তথ্যের চেয়ে অপতথ্যের প্রসার ঘটায় বেশি, ফেসবুকের “ভুয়া খবর” ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচন ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং ইনস্টাগ্রাম প্রতি তিনজনে একজন কিশোরীর বডি ইমেজ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

ডোনোভান এখন ফেসবুক আর্কাইভ নিয়ে কাজ করছেন। এই গবেষণা প্রকল্প প্রাক্তন মেটা কর্মচারীদের ফাঁস করা সকল নথি জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করে সাজিয়ে রাখছে। ডোনোভান মনে করেন, এই ক্ষতিকর প্রভাবের বেশিরভাগই প্রতিরোধযোগ্য, এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ভেতরে থাকা অনেকেই এই সমস্যাগুলো জানেন, কিন্তু সমাধানের জন্য কাজ করেন না বা করতে পারেন না।

তিনি বলেছেন, “পণ্যই যে সমস্যা সেটা আমরা জানি, আর ফেসবুকও যে সেটা জানে তার প্রমাণও আমাদের হাতে রয়েছে। তারা যা তৈরি করে তা বিভিন্নভাবে ক্ষতির কারণ হয়।”

ডোনোভানের আশা, অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষকেরা ফেসবুক আর্কাইভের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে মেটার ভেতর থেকে অনুসন্ধান করবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি ও তাদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত নতুন নতুন বিষয় তুলে আনবেন।

কন্টেন্ট মডারেশন

পুরোপুরি চালু না হলেও এখন পর্যন্ত ডোনোভান ও তাঁর সহকর্মীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নথিগুলো থেকে বোঝা যায়, কীভাবে কার্যকর কন্টেন্ট মডারেশন করতে হয় ফেসবুক তা জানে না, অথবা সেদিকে তাদের নজর নেই।

তবে ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল দাঙ্গা বা ২০২২ সালে ব্রাজিলের নির্বাচনকালীন ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে ফেসবুক কী কী জানত, এটুকু নিশ্চিত করাতেই আর্কাইভটির কাজ সীমাবদ্ধ নয়। বরং আর্কাইভের রিপোর্টগুলো সাংবাদিকদের বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচনাবিন্দু হিসেবেও কাজ করতে পারে। অন্যভাবে বলা যায়, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের নিজেদের প্রশ্ন করতে হবে: দৃশ্যমান ঘটনার আড়ালে কী আছে? আপনার দূর সম্পর্কের যে চাচা ফেসবুকে নতুন নতুন পোস্ট না দিয়ে থাকতেই পারেন না, তিনি হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীটা সমতল – বিষয়টা কি আসলেই এমন? সম্ভবত না। তাহলে বিষয়টি এ পর্যন্ত গড়াল কী করে? তিনি কোন কোন ফেসবুক গ্রুপের সদস্য। এমন একটা খবর তিনি পেলেন কোথায়?

প্ল্যাটফর্মের তথ্য ও ডিসইনফর্মেশন নিয়ে ব্যবহারকারীরা কী ভাবেন, তা জানতে হবে। এজন্য তাদের সাক্ষাৎকার নিতে হবে, এবং অবশ্যই প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও ব্যাপকভাবে, আরও নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। 

ডনোভান বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া যতটা না পণ্য, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রক্রিয়া। মাস্কের টুইটার কেনার কারণ হলো, সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনাকে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

একটি বিষয় সহজেই বোঝা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালগরিদমগুলো ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্টের যোগান দিয়ে থাকে, তবে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনগুলো শনাক্ত ও খুঁটিয়ে দেখতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্মের বিস্তৃত প্রক্রিয়ায় নজর দিতে হবে। কেবল ডিজিটাল হিউম্যান ইন্টারেকশন খতিয়ে দেখা ও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর নির্দিষ্ট যোগাযোগের নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখতে পারেন যে নব্য-নাৎসিরা কীভাবে তরুণদের আকৃষ্ট করতে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে অথবা নির্বাচনী কারসাজিতে প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে কাজ করে

কেবল ‘কী’ প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট না থেকে ‘কীভাবে’ প্রশ্নের গভীরে ডুব দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা এই সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ভালভাবে জবাবদিহি করতে পারে।

পরবর্তী রণাঙ্গন: কৃত্রিম বুদ্ধিত্তা

বক্তারা একমত যে বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য ও ডিসইনফর্মেশনের বর্তমান প্রসার অনেকটা ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্যের মতো – বুঝতে পারার আগেই এর বিকাশ হচ্ছে, এবং নিয়ন্ত্রণেরও অতীত গতিতে। ইতিমধ্যেই আমরা এর পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, যেমন, জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা নির্দেশনা অনুসারে টেক্সট, ছবি ও অন্যান্য যোগাযোগ উপাদান তৈরি করতে পারে)।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভাষা শেখার মডেলগুলো বাস্তবতার অনুকরণে আরও উন্নতি করছে। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কল্যাণে এখন যে কেউ নকল ছবি, কৃত্রিম অডিও, ভিডিও ও টেক্সট তৈরি করতে পারছে যা দেখতে, শুনতে ও অনুভূতিতে অবিশ্বাস্যভাবে মানুষের মতোই মনে হয়।

বেশিরভাগ সমাধানেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নজর দেওয়া হয়। এছাড়া এসব সমাধানে রাজনৈতিক প্রচারণা, নির্বাচনী কারসাজি ও মিথ্যা ইতিহাস বা অবাস্তব ঘটনার ভিডিও তৈরিতে কীভাবে প্রযুক্তিগুলোর অপব্যবহার হতে পারে, তা নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন থাকে।

তবে সমস্যা হলো, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো এখনো “প্রকৃত” মানুষের তৈরি কন্টেন্টই সামাল দিতে পারছে না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা ডিপ ফেক সামাল দেবে কী করে। বিশেষজ্ঞরা তাই সাংবাদিকদের তাগিদ দিয়েছেন যেন তারা কপিরাইট লঙ্ঘন থেকে শুরু করে সম্মতি ছাড়া যৌন ছবি প্রকাশ, এবং নীতিনির্ধারক ও প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারকদের মধ্যকার বিরোধের মত এআই-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আরও গভীর রিপোর্ট করেন।

বদলির রাজনীতি

২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল দাঙ্গার মাস খানেক আগে থেকেই ওয়াশিংটন ডিসিতে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রাখার গুঞ্জনসহ বেশ কিছু সতর্ক বার্তা ছিল অনলাইনে। কিন্তু ট্রাম্প সমর্থকেরা মার্কিন সরকার ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে হামলা চালানোর পরও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তারা দায় স্বীকার করতেও দেরি করেছিল

একইভাবে, ২০২২ সালে ব্রাজিলের বিতর্কিত নির্বাচনের কয়েক মাস আগেও অনলাইনে বিপদের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। একই বছরের ৮ই জানুয়ারি ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলো উগ্র-ডানপন্থী সহিংসতাকারীদের হামলার শিকার হয়। সেই ঘটনাতেও সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো নিজেদের অপ্রস্তুতির কথা স্বীকার করেছে

২০২৩ সালে সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নির্বাচন হওয়ার কথা। তাই রাজনীতি ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগপৎ ব্যবহার আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ায় নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক মিসইনফর্মেশন ছড়ানো ও এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ছিল। গত মাসে তুরস্কে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হয় যেন কর্তৃপক্ষ চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরে বাধ্য থাকে।

এই নির্বাচনী মৌসুমে বিশ্বব্যাপী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এমন গল্পের পেছনে ছোটা উচিত যা কেবল দুষ্ট রাজনৈতিক কর্মীদেরই নয়, বরং সোশ্যাল মিডিয়াকেও জবাবদিহিতার ‍মুখে রাখে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট মডারেশন, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সামগ্রিকভাবে এর বাড়তে থাকা ব্যবহার নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এর সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আরও গভীরে যেতে হবে এবং আরও বিস্তৃত পরিসরে চিন্তা করতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ভেতর-বাহির অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অবশ্যই ওয়াচডগ বা প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সমাজের স্বার্থে অপচর্চাকারীদের শনাক্ত করতে হবে,  যেন তাদের প্রাপ্য পরিণতি নিশ্চিত করা যায়। ইনগ্রাম বলেছেন, “মনে রাখবেন, ইন্টারনেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স মেনে কাজ করে না। এটি অনেক কোম্পানির মালিকানাধীন একটি শপিং মল। আপনি এখান থেকে বিতাড়িত হতে পারেন।”

এছাড়া আরেকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে ইন্টারনেট এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থাৎ এই পরিবর্তনগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন তোলার প্রস্তুতি রাখতে হবে।

সানকিন বলেছেন, “পাঁচ বছর আগের ইন্টারনেট ও এর গঠন সম্পর্কে যদি ভাবেন এবং বিশেষ করে লাভজনক সোশ্যাল মিডিয়ার মত প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন, দেখা যাবে পুরো চিত্র সত্যিই আলাদা। পাঁচ বছর আগে মনে করা হতো, যে কোম্পানিগুলো ইন্টারনেটের সামাজিক দিকটি পরিচালনা করত, সেগুলো বেশ স্থিতিশীল… আর এখন আমরা অস্থির সময় পার করছি।”

সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি অনুসন্ধান নিয়ে আইজেএফের পুরো অধিবেশনটি দেখতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে।

আরও পড়ুন

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মনিটরিংয়ের নতুন অনুসন্ধানী টুল

সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাসঙ্গিকতা হারালে সাংবাদিকতার কী হবে?

টিপস ফর মাইনিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মস উইথ হেঙ্ক ভন এস


হলি পেইট একজন সাংবাদিক ও সোশ্যাল মিডিয়া পেশাজীবী। গণমানুষের শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে স্টোরি ও সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতক এবং ক্যানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সেখানে তাঁর গবেষণার মূল বিষয় ছিল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, জেন্ডার ও সামরিক বিজ্ঞাপন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

AI fact checking 2024 elections

পরামর্শ ও টুল সংবাদ ও বিশ্লেষণ

নির্বাচনে ভুয়া তথ্য ঠেকাচ্ছে জেনারেটিভ এআই, বৈশ্বিক দক্ষিণে প্রভাব কম

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এআই ব্যবহার করে ভুয়া তথ্যের প্রচার যেমন চলছে, তেমনি সত্যতা যাচাইয়ের কাজও করছে এআই। কিন্তু পশ্চিমের বাইরের দেশগুলোয় তথ্য যাচাইয়ে এআই খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছে না। আছে নানা সীমাবদ্ধতা।

Studio, headphones, microphone, podcast

সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ঘুরে আসুন ২০২৩ সালের বাছাই করা অনুসন্ধানী পডকাস্টের জগত থেকে

নানাবিধ সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী পডকাস্ট। এখানে তেমনই কিছু বাছাই করা পডকাস্ট তুলে এনেছে জিআইজেএনের বৈশ্বিক দল।

পরামর্শ ও টুল

ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া একাডেমিক গবেষণা নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন

একাডেমিক গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত। ফলে ত্রুটিপূর্ণ ও ভুয়া গবেষণা অনেক সময় তৈরি করতে পারে নেতিবাচক প্রভাব। পড়ুন, কীভাবে এমন ত্রুটিপূর্ণ গবেষণা নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারেন।

গাইড পরামর্শ ও টুল

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে অনুসন্ধানের রিপোর্টিং গাইড: সংক্ষিপ্ত সংস্করণ

জাতিসংঘের মতে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা হচ্ছেন বৃহত্তম বিভক্ত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। কার্যত প্রতিটি রিপোর্টিং বীটেই প্রতিবন্ধী বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা বা কাজ করার সুযোগ রয়েছে।